ইপেপার । আজ শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪

ঢাকা-যশোর সরাসরি ট্রেন চালু নভেম্বরে, বঞ্চিত হবে চুয়াডাঙ্গার মানুষ

জনবল ও ইঞ্জিন সংকটে দর্শনা থেকে নতুন ট্রেন অনিশ্চিত

নিজস্ব প্রতিবেদক:
  • আপলোড টাইম : ১০:২৫:৩০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৪
  • / ১১০ বার পড়া হয়েছে

আগামী নভেম্বর মাসের মাঝামাঝিতে ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে যশোর পর্যন্ত সরাসরি ট্রেন চলাচল চালু হতে পারে।  চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে প্রকল্পের কাজ পুরোপুরি শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। এর মধ্যে প্রকল্প ব্যয় কমছে ১ হাজার ৮৪৪ কোটিরও বেশি টাকা।

এদিকে, ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে যশোর পর্যন্ত ট্রেন চলাচল শুরু হলে বন্ধ হয়ে যাবে খুলনা থেকে চুয়াডাঙ্গা-কুষ্টিয়া-রাজবাড়ী-ভাঙ্গা হয়ে চলাচল করা আন্তঃনগর ট্রেন সুন্দরবন এক্সপ্রেস ও বেনাপোল এক্সপ্রেস। একই সাথে বন্ধ হবে খুলনা থেকে-চুয়াডাঙ্গা-ঈশ^রদী, যমুনা সেতু হয়ে ঢাকাগামী আন্তঃনগর ট্রেন চিত্রা এক্সপ্রেস। ফলে এসব ট্রেন থেকে বঞ্চিত হবে চুয়াডাঙ্গা-দর্শনার মানুষ।

এর আগে গত ২৫ মে রেলওয়ে (পশ্চিমাঞ্চল) থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে ঢাকা থেকে চুয়াডাঙ্গার দর্শনা পর্যন্ত সরাসরি ট্রেন চলাচল শুরু হওয়ার কথা বলা হয়। কিন্তু জনবলের অভাব, ইঞ্জিনের সংকটসহ নানা কারণে তা কতটা সম্ভব, এ বিষয়ে নিশ্চিত নন রেলের কর্মকর্তারা।

জানা গেছে, পদ্মা সেতুর রেলসংযোগ প্রকল্পের আওতায় ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত ১৬৯ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণ করা হচ্ছে। নতুন এই রেলপথ চালু হলে প্রতিদিন ২৪ জোড়া বা ৪৮টি যাত্রী ও মালবাহী ট্রেন চলাচল করতে পারবে। গত নভেম্বরে ট্রেন চলাচল শুরু হয়। এখন এই পথে ১০টি যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল করছে। মালবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হয়নি। আগামী নভেম্বরে যশোর পর্যন্ত চালু হলে কিছু যাত্রীবাহী ও মালবাহী ট্রেন চালুর পরিকল্পনা আছে রেলের।

তথ্যমতে, ঢাকা থেকে যশোর হয়ে বেনাপোল পর্যন্ত বেনাপোল এক্সপ্রেস ও ঢাকা থেকে খুলনা রুটের সুন্দরবন এক্সপ্রেসের ট্রিপ বাড়তে পারে। এছাড়া ঢাকা-খুলনা রুটের নকশিকাঁথা ট্রেনেরও ট্রিপ বাড়াতে চায় রেল কর্তৃপক্ষ। বর্তমানে ঢাকা থেকে খুলনা রুটের দূরত্ব ৪১২.৪০ কিলোমিটার। সময় লাগে ১০ ঘণ্টা। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের ফলে সময় কমবে ৬ ঘণ্টা ৩০ মিনিট। বর্তমানে চলে ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু-ঈশ^রদী-পোড়াদহ-দর্শনা রুটে। ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু দিয়ে নতুন ১৯৮.৯০ কিলোমিটার রেলপথের ফলে দূরত্ব কমছে ২১৩.৫০ কিলোমিটার। আবার ঢাকা থেকে যশোর হয়ে বেনাপোল পর্যন্ত ৩৫৬.৪০ কিলোমিটার বর্তমান দূরত্ব। পদ্মা সেতু দিয়ে ১৭৪.৩০ কিলোমিটার নতুন রেলপথের কারণে ১৮২.১০ কিলোমিটার দূরত্ব কমছে। বর্তমানে সময় লাগে ৮ ঘণ্টা, নতুন রেলপথে ভ্রমণের সময় লাগবে মাত্র সোয়া ৩ ঘণ্টা। অর্থাৎ প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে এই পথে ভ্রমণ সময় কমবে ৪ ঘণ্টা ৪৫ মিনিট।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

ঢাকা-যশোর সরাসরি ট্রেন চালু নভেম্বরে, বঞ্চিত হবে চুয়াডাঙ্গার মানুষ

জনবল ও ইঞ্জিন সংকটে দর্শনা থেকে নতুন ট্রেন অনিশ্চিত

আপলোড টাইম : ১০:২৫:৩০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৪

আগামী নভেম্বর মাসের মাঝামাঝিতে ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে যশোর পর্যন্ত সরাসরি ট্রেন চলাচল চালু হতে পারে।  চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে প্রকল্পের কাজ পুরোপুরি শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। এর মধ্যে প্রকল্প ব্যয় কমছে ১ হাজার ৮৪৪ কোটিরও বেশি টাকা।

এদিকে, ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে যশোর পর্যন্ত ট্রেন চলাচল শুরু হলে বন্ধ হয়ে যাবে খুলনা থেকে চুয়াডাঙ্গা-কুষ্টিয়া-রাজবাড়ী-ভাঙ্গা হয়ে চলাচল করা আন্তঃনগর ট্রেন সুন্দরবন এক্সপ্রেস ও বেনাপোল এক্সপ্রেস। একই সাথে বন্ধ হবে খুলনা থেকে-চুয়াডাঙ্গা-ঈশ^রদী, যমুনা সেতু হয়ে ঢাকাগামী আন্তঃনগর ট্রেন চিত্রা এক্সপ্রেস। ফলে এসব ট্রেন থেকে বঞ্চিত হবে চুয়াডাঙ্গা-দর্শনার মানুষ।

এর আগে গত ২৫ মে রেলওয়ে (পশ্চিমাঞ্চল) থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে ঢাকা থেকে চুয়াডাঙ্গার দর্শনা পর্যন্ত সরাসরি ট্রেন চলাচল শুরু হওয়ার কথা বলা হয়। কিন্তু জনবলের অভাব, ইঞ্জিনের সংকটসহ নানা কারণে তা কতটা সম্ভব, এ বিষয়ে নিশ্চিত নন রেলের কর্মকর্তারা।

জানা গেছে, পদ্মা সেতুর রেলসংযোগ প্রকল্পের আওতায় ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত ১৬৯ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণ করা হচ্ছে। নতুন এই রেলপথ চালু হলে প্রতিদিন ২৪ জোড়া বা ৪৮টি যাত্রী ও মালবাহী ট্রেন চলাচল করতে পারবে। গত নভেম্বরে ট্রেন চলাচল শুরু হয়। এখন এই পথে ১০টি যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল করছে। মালবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হয়নি। আগামী নভেম্বরে যশোর পর্যন্ত চালু হলে কিছু যাত্রীবাহী ও মালবাহী ট্রেন চালুর পরিকল্পনা আছে রেলের।

তথ্যমতে, ঢাকা থেকে যশোর হয়ে বেনাপোল পর্যন্ত বেনাপোল এক্সপ্রেস ও ঢাকা থেকে খুলনা রুটের সুন্দরবন এক্সপ্রেসের ট্রিপ বাড়তে পারে। এছাড়া ঢাকা-খুলনা রুটের নকশিকাঁথা ট্রেনেরও ট্রিপ বাড়াতে চায় রেল কর্তৃপক্ষ। বর্তমানে ঢাকা থেকে খুলনা রুটের দূরত্ব ৪১২.৪০ কিলোমিটার। সময় লাগে ১০ ঘণ্টা। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের ফলে সময় কমবে ৬ ঘণ্টা ৩০ মিনিট। বর্তমানে চলে ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু-ঈশ^রদী-পোড়াদহ-দর্শনা রুটে। ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু দিয়ে নতুন ১৯৮.৯০ কিলোমিটার রেলপথের ফলে দূরত্ব কমছে ২১৩.৫০ কিলোমিটার। আবার ঢাকা থেকে যশোর হয়ে বেনাপোল পর্যন্ত ৩৫৬.৪০ কিলোমিটার বর্তমান দূরত্ব। পদ্মা সেতু দিয়ে ১৭৪.৩০ কিলোমিটার নতুন রেলপথের কারণে ১৮২.১০ কিলোমিটার দূরত্ব কমছে। বর্তমানে সময় লাগে ৮ ঘণ্টা, নতুন রেলপথে ভ্রমণের সময় লাগবে মাত্র সোয়া ৩ ঘণ্টা। অর্থাৎ প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে এই পথে ভ্রমণ সময় কমবে ৪ ঘণ্টা ৪৫ মিনিট।