ইপেপার । আজ শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪

ঝিনাইদহে তিন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা

ঝিনাইদহ অফিস
  • আপলোড টাইম : ০৮:১২:২৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ নভেম্বর ২০২১
  • / ৪০ বার পড়া হয়েছে

এক নারীর অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে ঝিনাইদহের তিন সাংবাদিকসহ চারজনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়েছে। শৈলকুপার সাতবিলা কুলচারা গ্রামের আনোয়ার হোসেনের মেয়ে ও ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার্স অব ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের ছাত্রী শেফালী খাতুন বাদী হয়ে খুলনার বিভাগীয় সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতে মামলাটি করেন। আদালত বাদীর অভিযোগটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ঝিনাইদহ পিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছে।

মামলার আসামিরা হলেন- ভোরের কাগজের শৈলকুপা প্রতিনিধি মনিরুজ্জামান সুমন, দৈনিক সকালের সময় পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি শামিমুল ইসলাম শামিম, দৈনিক আজকালের খবর পত্রিকার শৈলকুপা প্রতিনিধি এইচ এম ইমরান ও শেফালীর সাবেক স্বামী শৈলকুপার পাঁচপাখিয়া গ্রামের হাফিজুর রহমানের ছেলে মনিরুল ইসলাম।

বাদী তাঁর অভিযোগে উল্লেখ করেছেন, তিনি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার্স অব ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের ছাত্রী ও একজন কৃষি উদ্যোক্তা। ২০১০ সালের ২০ ডিসেম্বর মামলার চার নম্বর আসামি মনিরুল ইসলামের সাথে তার বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাদের একটি পুত্রসন্তান হয়। ২০১৩ সালের শেষ দিকে স্বামী তাকে ফেলে রেখে বিদেশ চলে যায়। ২০১৮ সালে দেশে ফিরে বাদীকে নির্যাতন করতে থাকেন। ফলে ২০২০ সালের ৭ জুন স্বামীকে তালাক দেন। এরপর থেকেই যে যার মতো চলাফেরা করতে থাকেন। বাদী পিতার বাড়িতে থেকে হাঁস, মুরগী ও ছাগল পালনের পাশাপাশি বুকিটকের কাজ করেন। গত ৪ নভেম্বর সন্ধ্যার দিকে এক নম্বর আসামি মনিরুজ্জামান সুমন তার ফেসবুক ওয়ালে বাদী ও চার নম্বর সাক্ষী আহসানুল কবীর টিটোর কিছু অন্তরঙ্গ মুর্হর্তের ছবি পোস্ট করেন। এরপর ২ নম্বর আসামি শামিমুল ইসলাম শামিম ও ৩ নম্বর আসামি এইচএম ইমরানের ব্যক্তিগত আইডি থেকে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এই ছবি ও নিউজ ছড়িয়ে পড়ার পর বাদীর প্রতি ঘৃনা ছড়াতে থাকে। এলাকায় এ নিয়ে মুখরোচক ও বিরুপ আলোচনায় পরিণত হয়। বাদী ও চার নম্বর সাক্ষীর ব্যক্তিগত সুনাম ও সামাজিক নিরাপত্তা বিঘ্নিত করার জন্যই আসামীরা পরস্পর যোগসাজসে এই সাইবার অপরাধ সংঘটিত করেছে বলে বাদী তার অভিযোগে উল্লেখ করেন।

বিষয়টি নিয়ে বাদীর আইনজীবী স্বপন কুমার ঘোষ খবর নিশ্চিত করে জানান, গত ১৫ নভেম্বর বিজ্ঞ বিভাগীয় সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালত খুলনায় অভিযোগটি দায়ের করা হলে ঝিনাইদহ পিবিআইকে তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন। এ বিষয়ে তিন সাংবাদিকের বক্তব্য জানতে ফোন করা হলে তাদের ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। এদিকে তিন সাংবাদিকের নামে অভিযোগ দায়ের হওয়ায় সাংবাদিকদের বিভিন্ন সংগঠন নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে মামলা প্রত্যাহারের দাবী জানিয়েছেন।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

ঝিনাইদহে তিন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা

আপলোড টাইম : ০৮:১২:২৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ নভেম্বর ২০২১

এক নারীর অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে ঝিনাইদহের তিন সাংবাদিকসহ চারজনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়েছে। শৈলকুপার সাতবিলা কুলচারা গ্রামের আনোয়ার হোসেনের মেয়ে ও ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার্স অব ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের ছাত্রী শেফালী খাতুন বাদী হয়ে খুলনার বিভাগীয় সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতে মামলাটি করেন। আদালত বাদীর অভিযোগটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ঝিনাইদহ পিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছে।

মামলার আসামিরা হলেন- ভোরের কাগজের শৈলকুপা প্রতিনিধি মনিরুজ্জামান সুমন, দৈনিক সকালের সময় পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি শামিমুল ইসলাম শামিম, দৈনিক আজকালের খবর পত্রিকার শৈলকুপা প্রতিনিধি এইচ এম ইমরান ও শেফালীর সাবেক স্বামী শৈলকুপার পাঁচপাখিয়া গ্রামের হাফিজুর রহমানের ছেলে মনিরুল ইসলাম।

বাদী তাঁর অভিযোগে উল্লেখ করেছেন, তিনি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার্স অব ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের ছাত্রী ও একজন কৃষি উদ্যোক্তা। ২০১০ সালের ২০ ডিসেম্বর মামলার চার নম্বর আসামি মনিরুল ইসলামের সাথে তার বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাদের একটি পুত্রসন্তান হয়। ২০১৩ সালের শেষ দিকে স্বামী তাকে ফেলে রেখে বিদেশ চলে যায়। ২০১৮ সালে দেশে ফিরে বাদীকে নির্যাতন করতে থাকেন। ফলে ২০২০ সালের ৭ জুন স্বামীকে তালাক দেন। এরপর থেকেই যে যার মতো চলাফেরা করতে থাকেন। বাদী পিতার বাড়িতে থেকে হাঁস, মুরগী ও ছাগল পালনের পাশাপাশি বুকিটকের কাজ করেন। গত ৪ নভেম্বর সন্ধ্যার দিকে এক নম্বর আসামি মনিরুজ্জামান সুমন তার ফেসবুক ওয়ালে বাদী ও চার নম্বর সাক্ষী আহসানুল কবীর টিটোর কিছু অন্তরঙ্গ মুর্হর্তের ছবি পোস্ট করেন। এরপর ২ নম্বর আসামি শামিমুল ইসলাম শামিম ও ৩ নম্বর আসামি এইচএম ইমরানের ব্যক্তিগত আইডি থেকে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এই ছবি ও নিউজ ছড়িয়ে পড়ার পর বাদীর প্রতি ঘৃনা ছড়াতে থাকে। এলাকায় এ নিয়ে মুখরোচক ও বিরুপ আলোচনায় পরিণত হয়। বাদী ও চার নম্বর সাক্ষীর ব্যক্তিগত সুনাম ও সামাজিক নিরাপত্তা বিঘ্নিত করার জন্যই আসামীরা পরস্পর যোগসাজসে এই সাইবার অপরাধ সংঘটিত করেছে বলে বাদী তার অভিযোগে উল্লেখ করেন।

বিষয়টি নিয়ে বাদীর আইনজীবী স্বপন কুমার ঘোষ খবর নিশ্চিত করে জানান, গত ১৫ নভেম্বর বিজ্ঞ বিভাগীয় সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালত খুলনায় অভিযোগটি দায়ের করা হলে ঝিনাইদহ পিবিআইকে তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন। এ বিষয়ে তিন সাংবাদিকের বক্তব্য জানতে ফোন করা হলে তাদের ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। এদিকে তিন সাংবাদিকের নামে অভিযোগ দায়ের হওয়ায় সাংবাদিকদের বিভিন্ন সংগঠন নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে মামলা প্রত্যাহারের দাবী জানিয়েছেন।