ইপেপার । আজ শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪

জীবননগর খাদ্যগুদামে ঘুষসহ নানা হয়রানির অভিযোগ

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:১৫:১৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ জুন ২০২২
  • / ২১ বার পড়া হয়েছে

জীবননগর অফিস:

জীবননগর খাদ্যগুদামে চাল দিতে অতিরিক্ত টাকা ঘুষ নেওয়াসহ নানা ধরণের হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। এতে করে এবার বোরো মৌসুমে চাল দিতে অনীহা দেখা দিয়েছে মিলারদের মধ্যে। আবার কেউ কেউ বলছেন, সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বাইরে চালের দাম বেশি হওয়ার কারণে চাল দিতে চাচ্ছেন না মিলাররা। এদিকে, মিলাররা অভিযোগ করে বলছেন, খাদ্যগুদামে চাল দেওয়ার আগে সিডি নেওয়ার সময় খাদ্যগুদামের ওসিএলএসডি কাউসার, অফিস সহকারী রাকিবসহ বেশ কিছু কর্মকর্তা কেজি প্রতি এক টাকা দাবি করে বসে আছেন। টাকা না দিলে সকালবেলা খাদ্যগুদামে চাল ঢুকিয়ে সন্ধ্যায় চালে ময়েশ্চার আছে বলে গাড়ি ফেরত দিচ্ছেন। এই ভোগান্তির কারণে এলাকার মিলাররা চাল দিতে অনীহা প্রকাশ করছেন।

জীবননগর উপজেলা খাদ্যগুদাম সূত্রে জানা গেছে, এ বছর বোরো মৌসুমে সরকারিভাবে নির্ধারিত মূল্য ৪০ টাকা কেজি দরে মিলারদের নিকট থেকে চাল ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫ হাজার ৫২০ মেট্রিক টন। গত ২৯ মে ঘরোয়া পরিবেশের মধ্যদিয়ে মিলারদের নিকট থেকে চাল সংগ্রহের উদ্বোধন করা হয়। চাল সংগ্রহ চলবে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত। জীবননগর উপজেলায় ৫৬ জন মিলার আছেন। এর মধ্যে সিডি তুলেছেন মাত্র ৩১ জন, বাকি ২৫ জন মিলার খাদ্যগুদামের কর্মকর্তাদের আর্থিক বাণিজ্যের কারণে চাল দিতে অনীহা প্রকাশ করেছেন।

এ পর্যন্ত জীবননগর খাদ্যগুদামে চাল দিয়েছে এএনজেএম অটো রাইস মিল, সততা রাইস মিল ও বিল্লাল অটো রাইস মিল। এই তিনটি মিল মিলে মাত্র ৩ শ মেট্রিক টন চাল দিয়েছে। বাকি মিলাররা চাল দেওয়া নিয়ে হতাশার মধ্যে রয়েছেন। আদৌও মিলাররা চালগুলো খাদ্যগুদামে দিবে, নাকি গতবারের মতো লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কম চাল সংগ্রহ হবে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে বেশ কিছু মিলাররা অভিযোগ করে বলেন, জীবননগর খাদ্যগুদাম এখন ঘুষের রাজ্যে পরিণত হয়েছে। সেখানে মিলাররা জিম্মি হয়ে পড়েছেন। নিচ থেকে শুরু করে ওপর পর্যন্ত টাকা দিতে হয়। টাকা না দিলে চাল নিয়ে হয়রানিতে পড়তে হয়।

জীবননগর খাদ্যগুদামের ওসিএলএসডি মো. কাউসার হোসেনের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, এ বছর যে পরিমাণ লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়েছে, সে তুলনায় এখন পর্যন্ত মিলাররা চাল দিতে পারেননি। তবে এখনো সময় আছে, আশা করছি সময়ের মধ্যে মিলাররা চাল দিয়ে দিবেন। তা ছাড়া টাকা নিয়ে চাল নেওয়ার যে অভিযোগ উঠেছে, এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা। এখানে কোনো আর্থিক লেনদেন হয় না। সরকার যেভাবে চাল নেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছে, আমরা সেভাবেই মিলারদের নিকট থেকে চাল সংগ্রহ করছি।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

জীবননগর খাদ্যগুদামে ঘুষসহ নানা হয়রানির অভিযোগ

আপলোড টাইম : ১০:১৫:১৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ জুন ২০২২

জীবননগর অফিস:

জীবননগর খাদ্যগুদামে চাল দিতে অতিরিক্ত টাকা ঘুষ নেওয়াসহ নানা ধরণের হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। এতে করে এবার বোরো মৌসুমে চাল দিতে অনীহা দেখা দিয়েছে মিলারদের মধ্যে। আবার কেউ কেউ বলছেন, সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বাইরে চালের দাম বেশি হওয়ার কারণে চাল দিতে চাচ্ছেন না মিলাররা। এদিকে, মিলাররা অভিযোগ করে বলছেন, খাদ্যগুদামে চাল দেওয়ার আগে সিডি নেওয়ার সময় খাদ্যগুদামের ওসিএলএসডি কাউসার, অফিস সহকারী রাকিবসহ বেশ কিছু কর্মকর্তা কেজি প্রতি এক টাকা দাবি করে বসে আছেন। টাকা না দিলে সকালবেলা খাদ্যগুদামে চাল ঢুকিয়ে সন্ধ্যায় চালে ময়েশ্চার আছে বলে গাড়ি ফেরত দিচ্ছেন। এই ভোগান্তির কারণে এলাকার মিলাররা চাল দিতে অনীহা প্রকাশ করছেন।

জীবননগর উপজেলা খাদ্যগুদাম সূত্রে জানা গেছে, এ বছর বোরো মৌসুমে সরকারিভাবে নির্ধারিত মূল্য ৪০ টাকা কেজি দরে মিলারদের নিকট থেকে চাল ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫ হাজার ৫২০ মেট্রিক টন। গত ২৯ মে ঘরোয়া পরিবেশের মধ্যদিয়ে মিলারদের নিকট থেকে চাল সংগ্রহের উদ্বোধন করা হয়। চাল সংগ্রহ চলবে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত। জীবননগর উপজেলায় ৫৬ জন মিলার আছেন। এর মধ্যে সিডি তুলেছেন মাত্র ৩১ জন, বাকি ২৫ জন মিলার খাদ্যগুদামের কর্মকর্তাদের আর্থিক বাণিজ্যের কারণে চাল দিতে অনীহা প্রকাশ করেছেন।

এ পর্যন্ত জীবননগর খাদ্যগুদামে চাল দিয়েছে এএনজেএম অটো রাইস মিল, সততা রাইস মিল ও বিল্লাল অটো রাইস মিল। এই তিনটি মিল মিলে মাত্র ৩ শ মেট্রিক টন চাল দিয়েছে। বাকি মিলাররা চাল দেওয়া নিয়ে হতাশার মধ্যে রয়েছেন। আদৌও মিলাররা চালগুলো খাদ্যগুদামে দিবে, নাকি গতবারের মতো লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কম চাল সংগ্রহ হবে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে বেশ কিছু মিলাররা অভিযোগ করে বলেন, জীবননগর খাদ্যগুদাম এখন ঘুষের রাজ্যে পরিণত হয়েছে। সেখানে মিলাররা জিম্মি হয়ে পড়েছেন। নিচ থেকে শুরু করে ওপর পর্যন্ত টাকা দিতে হয়। টাকা না দিলে চাল নিয়ে হয়রানিতে পড়তে হয়।

জীবননগর খাদ্যগুদামের ওসিএলএসডি মো. কাউসার হোসেনের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, এ বছর যে পরিমাণ লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়েছে, সে তুলনায় এখন পর্যন্ত মিলাররা চাল দিতে পারেননি। তবে এখনো সময় আছে, আশা করছি সময়ের মধ্যে মিলাররা চাল দিয়ে দিবেন। তা ছাড়া টাকা নিয়ে চাল নেওয়ার যে অভিযোগ উঠেছে, এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা। এখানে কোনো আর্থিক লেনদেন হয় না। সরকার যেভাবে চাল নেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছে, আমরা সেভাবেই মিলারদের নিকট থেকে চাল সংগ্রহ করছি।