ইপেপার । আজ শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪

জীবননগর কৃষ্ণপুরে বিষের বোতল ও কাফনের কাপড় পড়ে কৃষকদের বিক্ষোভ

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:২৫:২৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৮ জুলাই ২০২২
  • / ১৭ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: কৃষি জমিতে সোলার বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের প্রতিবাদে চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার কৃঞ্চপুর গ্রামবাসী ফুঁসে উঠেছে। তাদের একমাত্র রুটি-রুজির আবলম্বন ফসলি জমি বাঁচাতে বিষের বোতল হাতে ও কাফনের কাপড় পরে জেলা প্রশাসকের দপ্তরের সামনে বিক্ষোভ ও জমি রক্ষা না হলে তারা আত্মহত্যা করবে এই প্রত্যয় ব্যক্ত করে জেলা প্রশাসক আমিনুল ইসলাম খানের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে কেন্দ্রীয় যুবলীগ সদস্য ও কৃষ্ণপুর গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের নেতৃত্বে কয়েকশ কৃষক বিষের বোতল ও কাফনের কাপড় পরে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের দপ্তরের সামনে বিক্ষোভ শেষে স্মারকলিপি প্রদান করেন।

কৃষকরা জানান, সিঙ্গাপুরভিত্তিক একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সরকারের আইনকানুনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে সাইক্লিস্ট এনার্জি পিটিআই লিঃ ৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য দীর্ঘদিন ধরে ১৮০ একর জমির ওপর সোলার বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের জন্য অধিগ্রহণের পায়তারা করে আসছে। কৃষকরা অভিযোগ করেন, উক্ত কৃষি জমিতে বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে ও জমি জোরপূর্বক অধিগ্রহণের জন্য একটি প্রভাবশালী মহল গ্রামের সাধারণ মানুষকে ভয়-ভীতিসহ নানাভাবে চাপ প্রয়োগ করছে। গ্রামের প্রায় ছয়শ বিঘা জমি দখলের পায়তারা করছে এবং ইতঃমধ্যে জনৈক বহিরাগত এক ব্যক্তির কয়েক বিঘা জমি নিয়ে ফসল উজাড় করে সেখানে সোলার বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের সাইনবোর্ডসহ প্রাথমিক কার্যক্রম শুরু করেছে।

স্মারকলিপি গ্রহণকালে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান কৃষক ও সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, সরকারের যেহেতু নির্দেশনা রয়েছে কোনো কৃষি জমিতে স্থাপনা হবে না। সেক্ষেত্রে বিষয়টি গুরুত্বের সাথে দেখা হবে এবং কৃষকরা যেন তাদের জমিতে ফসল আবাদ করে খেতে পারে, সেদিকে আমার সার্বিক সহযোগিতা থাকবে।

গ্রামবাসীর স্বাক্ষরিত ওই স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে, এই গ্রামে ৫ হাজার জনগণের বসবাস। জীবননগর উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের অধীন ৬৯ নম্বর কৃষ্ণপুর মৌজা মানচিত্র অনুযায়ী এই গ্রামের আয়তন ৬০০ একর। যার ৬০ ভাগ কৃষি জমি, ২০ ভাগ বসতবাড়ি, ২০ ভাগ বাগান ও অন্যান্য। এই মাঠের কৃষি জমিতে ধান (আউশ, আমন, বোরো), পাট (তোষা, মেস্তা), গম, আলু, ভুট্টা, বদাম, পেয়ারা, ভিল, ডাল (মুগ, মাসকলাই, খেসারী), বিভিন্ন ধরণের শাকসবজি (লালশাক, পুঁইশাক, লাউ, চিচিঙ্গা, বেগুন, মরিচ, কচু, মুলা, ঢেড়স ইত্যাদি)। এই মাঠ থেকে কৃষকেরা বছরে কমপক্ষে ০৩-০৪ ট ফসল ঘরে তুলছে। কৃষি সমৃদ্ধ এই গ্রামের প্রায় শতভাগ লোক প্রত্যক্ষভাবে কৃষির ওপরেই নির্ভর করে জীবন ও জীবিকার স্বপ্ন দেখে। অনেক কৃষক আছে যাদের কৃষিজমি নেই, তবুও তারা অন্যের জমি বর্গা চাষ করে হলেও নিজের তথা দেশের উন্নয়নে বর্তমান সরকারের অগ্রাধিকার ভিত্তিক খাত কৃষি খাতকে এগিয়ে নিয়ে এই দেশকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান এর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার কাজ করে যাচ্ছে।

বর্তমান সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এর ঘোষিত কৃষিভিত্তির অর্থনীতির রোল মডেল এই কৃষ্ণপুর গ্রাম। সবুজ শ্যামলে ভরা আমদের গ্রামের এই ০৩-০৪ ফসলী/আবাদী/চাষযোগ্য ১৮০ একর কৃষি জমিতে সিঙ্গাপুর ভিত্তিক বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান ‘সাইক্লেন্ট এনার্জি পিটিই লিঃ’ সোলার পাওয়ার প্লান্ট স্থাপনের জন্য দীর্ঘদিন যাবৎ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। প্রতিষ্ঠানটি বর্তমান সরকার ঘোষিত ম্যানডেট (ধানী/আবাদী/চাষযোগ্য জমিতে শিল্পায়ন নয়)-কে তোয়াক্কা না করে ০৩-০৪ ফসলি জমি ধ্বংসর অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। গ্রামবাসী প্রথম থেকেই সর্বনাশা সিদ্ধান্তের বিপক্ষে অবস্থান গ্রহণ করে এবং ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য যোগাযোগ করে। কৃষিজমি যা গ্রামবাসীর রুটি রুজির একমাত্র অবলম্বন তা রক্ষা করার জন্য গণস্বাক্ষর, অবস্থান কর্মসূচি, মানববন্ধনের মতো শাস্তিপূর্ণ কর্মসূচি গ্রহণ করে যা বিভিন্ন পত্রিকায় খবর হিসেবে প্রকাশিত হয় (গণস্বাক্ষর, স্থিরচিত্র ও পত্রিকার সংবাদ সংযুক্ত)। এরপরও তাদের অশুভ চক্রান্ত থেমে থাকেনি। প্রতিষ্ঠানটির কান্ট্রি ডিরেক্টর মো. জাকির হোসাইন স্থানীয় নেতাদের নিয়ে ২২/০৮/২০২০২ ইং তারিখে গ্রামবাসীর সাথে একটি মোটিভেশনাল মতবিনিময় সভার আয়োজন করে।

উক্ত ঘটনাস্থলেই গ্রামবাসী উক্ত সোলার পাওয়ার প্লান্ট স্থাপনের বিপক্ষে অবস্থান স্পষ্ট করেন। তারপরও আমরা দেখতে পাই যে, ২৪/০৮/২০২০ ইং তারিখে জনাব মোহাম্মদ নাজমুল আবেদীন, উপ-সচিব, বিদ্যুৎ বিভাগ, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়-এর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল প্লান্ট স্থাপনের স্থান পরিদর্শনে আসেন। সেখানে গ্রামবাসী তাদের পরিদর্শন কাজে সার্বিক সহযোগিতা ও তাদের অবস্থান স্পষ্ট করেন এবং গ্রামবাসীর দুঃখ দুর্দশার কথা চিন্তা করে প্রকল্পটি কৃষ্ণপুর গ্রামের ধানী চাষযোগ্য জমিতে স্থাপন না করার অনুরোধ জানান।

স্মারকলিপির শেষে উল্লেখ্যতে বলা হয়েছে, আমরা জানতে পেরেছি যে, উক্ত প্রতিষ্ঠানটি জমি বিক্রিতে গ্রামবাসীর সম্মতিসূচক কাগজ পত্রাদি দাখিল করিয়াছেন যাহার মধ্যে অর্ধেক মৃত ব্যক্তির স্বাক্ষরও রহিয়াছে। আমরা দ্ব্যর্থহিন কণ্ঠে জানাতে চাই গ্রামবাসী এ ধরনের কোন কমিটমেন্ট উক্ত প্রতিষ্ঠানের সাথে করে নাই। প্রতিষ্ঠানটির এ ধরনের দাখিলকৃত তথ্যাদি ও দলিলাদি সম্পূর্ণ ভুয়া/জাল। কর্তৃপক্ষ এবিষয়টির উপর যথাযথ নজর রাখবে এটাই গ্রামবাসীর প্রত্যাশা।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

জীবননগর কৃষ্ণপুরে বিষের বোতল ও কাফনের কাপড় পড়ে কৃষকদের বিক্ষোভ

আপলোড টাইম : ০৯:২৫:২৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৮ জুলাই ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক: কৃষি জমিতে সোলার বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের প্রতিবাদে চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার কৃঞ্চপুর গ্রামবাসী ফুঁসে উঠেছে। তাদের একমাত্র রুটি-রুজির আবলম্বন ফসলি জমি বাঁচাতে বিষের বোতল হাতে ও কাফনের কাপড় পরে জেলা প্রশাসকের দপ্তরের সামনে বিক্ষোভ ও জমি রক্ষা না হলে তারা আত্মহত্যা করবে এই প্রত্যয় ব্যক্ত করে জেলা প্রশাসক আমিনুল ইসলাম খানের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে কেন্দ্রীয় যুবলীগ সদস্য ও কৃষ্ণপুর গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের নেতৃত্বে কয়েকশ কৃষক বিষের বোতল ও কাফনের কাপড় পরে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের দপ্তরের সামনে বিক্ষোভ শেষে স্মারকলিপি প্রদান করেন।

কৃষকরা জানান, সিঙ্গাপুরভিত্তিক একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সরকারের আইনকানুনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে সাইক্লিস্ট এনার্জি পিটিআই লিঃ ৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য দীর্ঘদিন ধরে ১৮০ একর জমির ওপর সোলার বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের জন্য অধিগ্রহণের পায়তারা করে আসছে। কৃষকরা অভিযোগ করেন, উক্ত কৃষি জমিতে বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে ও জমি জোরপূর্বক অধিগ্রহণের জন্য একটি প্রভাবশালী মহল গ্রামের সাধারণ মানুষকে ভয়-ভীতিসহ নানাভাবে চাপ প্রয়োগ করছে। গ্রামের প্রায় ছয়শ বিঘা জমি দখলের পায়তারা করছে এবং ইতঃমধ্যে জনৈক বহিরাগত এক ব্যক্তির কয়েক বিঘা জমি নিয়ে ফসল উজাড় করে সেখানে সোলার বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের সাইনবোর্ডসহ প্রাথমিক কার্যক্রম শুরু করেছে।

স্মারকলিপি গ্রহণকালে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান কৃষক ও সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, সরকারের যেহেতু নির্দেশনা রয়েছে কোনো কৃষি জমিতে স্থাপনা হবে না। সেক্ষেত্রে বিষয়টি গুরুত্বের সাথে দেখা হবে এবং কৃষকরা যেন তাদের জমিতে ফসল আবাদ করে খেতে পারে, সেদিকে আমার সার্বিক সহযোগিতা থাকবে।

গ্রামবাসীর স্বাক্ষরিত ওই স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে, এই গ্রামে ৫ হাজার জনগণের বসবাস। জীবননগর উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের অধীন ৬৯ নম্বর কৃষ্ণপুর মৌজা মানচিত্র অনুযায়ী এই গ্রামের আয়তন ৬০০ একর। যার ৬০ ভাগ কৃষি জমি, ২০ ভাগ বসতবাড়ি, ২০ ভাগ বাগান ও অন্যান্য। এই মাঠের কৃষি জমিতে ধান (আউশ, আমন, বোরো), পাট (তোষা, মেস্তা), গম, আলু, ভুট্টা, বদাম, পেয়ারা, ভিল, ডাল (মুগ, মাসকলাই, খেসারী), বিভিন্ন ধরণের শাকসবজি (লালশাক, পুঁইশাক, লাউ, চিচিঙ্গা, বেগুন, মরিচ, কচু, মুলা, ঢেড়স ইত্যাদি)। এই মাঠ থেকে কৃষকেরা বছরে কমপক্ষে ০৩-০৪ ট ফসল ঘরে তুলছে। কৃষি সমৃদ্ধ এই গ্রামের প্রায় শতভাগ লোক প্রত্যক্ষভাবে কৃষির ওপরেই নির্ভর করে জীবন ও জীবিকার স্বপ্ন দেখে। অনেক কৃষক আছে যাদের কৃষিজমি নেই, তবুও তারা অন্যের জমি বর্গা চাষ করে হলেও নিজের তথা দেশের উন্নয়নে বর্তমান সরকারের অগ্রাধিকার ভিত্তিক খাত কৃষি খাতকে এগিয়ে নিয়ে এই দেশকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান এর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার কাজ করে যাচ্ছে।

বর্তমান সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এর ঘোষিত কৃষিভিত্তির অর্থনীতির রোল মডেল এই কৃষ্ণপুর গ্রাম। সবুজ শ্যামলে ভরা আমদের গ্রামের এই ০৩-০৪ ফসলী/আবাদী/চাষযোগ্য ১৮০ একর কৃষি জমিতে সিঙ্গাপুর ভিত্তিক বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান ‘সাইক্লেন্ট এনার্জি পিটিই লিঃ’ সোলার পাওয়ার প্লান্ট স্থাপনের জন্য দীর্ঘদিন যাবৎ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। প্রতিষ্ঠানটি বর্তমান সরকার ঘোষিত ম্যানডেট (ধানী/আবাদী/চাষযোগ্য জমিতে শিল্পায়ন নয়)-কে তোয়াক্কা না করে ০৩-০৪ ফসলি জমি ধ্বংসর অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। গ্রামবাসী প্রথম থেকেই সর্বনাশা সিদ্ধান্তের বিপক্ষে অবস্থান গ্রহণ করে এবং ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য যোগাযোগ করে। কৃষিজমি যা গ্রামবাসীর রুটি রুজির একমাত্র অবলম্বন তা রক্ষা করার জন্য গণস্বাক্ষর, অবস্থান কর্মসূচি, মানববন্ধনের মতো শাস্তিপূর্ণ কর্মসূচি গ্রহণ করে যা বিভিন্ন পত্রিকায় খবর হিসেবে প্রকাশিত হয় (গণস্বাক্ষর, স্থিরচিত্র ও পত্রিকার সংবাদ সংযুক্ত)। এরপরও তাদের অশুভ চক্রান্ত থেমে থাকেনি। প্রতিষ্ঠানটির কান্ট্রি ডিরেক্টর মো. জাকির হোসাইন স্থানীয় নেতাদের নিয়ে ২২/০৮/২০২০২ ইং তারিখে গ্রামবাসীর সাথে একটি মোটিভেশনাল মতবিনিময় সভার আয়োজন করে।

উক্ত ঘটনাস্থলেই গ্রামবাসী উক্ত সোলার পাওয়ার প্লান্ট স্থাপনের বিপক্ষে অবস্থান স্পষ্ট করেন। তারপরও আমরা দেখতে পাই যে, ২৪/০৮/২০২০ ইং তারিখে জনাব মোহাম্মদ নাজমুল আবেদীন, উপ-সচিব, বিদ্যুৎ বিভাগ, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়-এর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল প্লান্ট স্থাপনের স্থান পরিদর্শনে আসেন। সেখানে গ্রামবাসী তাদের পরিদর্শন কাজে সার্বিক সহযোগিতা ও তাদের অবস্থান স্পষ্ট করেন এবং গ্রামবাসীর দুঃখ দুর্দশার কথা চিন্তা করে প্রকল্পটি কৃষ্ণপুর গ্রামের ধানী চাষযোগ্য জমিতে স্থাপন না করার অনুরোধ জানান।

স্মারকলিপির শেষে উল্লেখ্যতে বলা হয়েছে, আমরা জানতে পেরেছি যে, উক্ত প্রতিষ্ঠানটি জমি বিক্রিতে গ্রামবাসীর সম্মতিসূচক কাগজ পত্রাদি দাখিল করিয়াছেন যাহার মধ্যে অর্ধেক মৃত ব্যক্তির স্বাক্ষরও রহিয়াছে। আমরা দ্ব্যর্থহিন কণ্ঠে জানাতে চাই গ্রামবাসী এ ধরনের কোন কমিটমেন্ট উক্ত প্রতিষ্ঠানের সাথে করে নাই। প্রতিষ্ঠানটির এ ধরনের দাখিলকৃত তথ্যাদি ও দলিলাদি সম্পূর্ণ ভুয়া/জাল। কর্তৃপক্ষ এবিষয়টির উপর যথাযথ নজর রাখবে এটাই গ্রামবাসীর প্রত্যাশা।