ইপেপার । আজ শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪

জীবননগর করতোয়া নদী থেকে বাঁধ তুলে নেওয়ার দাবি

জীবননগর অফিস:
  • আপলোড টাইম : ১০:১৮:২৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ নভেম্বর ২০২১
  • / ৫১ বার পড়া হয়েছে

জীবননগর উপজেলার করতোয়া নদী থেকে বাঁধ তুলে নিয়ে সাধারণ মানুষের জন্য উন্মুক্তকরণ এবং বাঁকা ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম ও তাঁর অনুসারীরাদের নিকট থেকে দখলমুক্তকরণের দাবিতে পাথিলা গ্রামের ১১৫ জন জীবননগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. আরিফুল ইসলামের নিকট লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। গতকাল সোমবার সকাল ১০টায় জীবননগর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে গ্রামবাসী উপস্থিত হয়ে এ অভিযোগ দায়ের করেন।

 

গ্রামবাসী জানান, এই নদীতে এলাকার সাধারণ মানুষ গোসল করা, মাছ ধরা, কৃষিকাজে ব্যবহার করা থেকে শুরু করে নানা কাজে ব্যবহার করেন। সেই নদীতে বাঁকা ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ শুরু করেছেন। মাছ চাষের ফলে ওই নদীতে কাউকে নামতে দেওয়া হচ্ছে না। যদিও রবিউল ইসলাম মেম্বার সরকারিভাবে ইজারা নেওয়ার দাবি করলেও করতোয়া নদী ইজারা দেওয়া হয়নি বলে জানান উপজেলা নির্বাহী অফিসার।
পাথিলা গ্রামের একাধিক ব্যক্তি জানান, করতোয়া নদী সবসময় উন্মুক্ত ছিল, সেখানে সবাই গোসল করত, গরুর গা ধোয়াতো, পাট জাগ দেওয়া হত এবং কৃষিকাজের জন্য ব্যবহার করা হত। কিন্তু করতোয়া নদী খনন হওয়ার কয়েক মাসের মধ্যেই গঙ্গাদাশপুর গ্রামের আমিনুর রহমানের বাড়ির নিচ থেকে পাথিলা গ্রামের ব্রিজ পর্যন্ত রবিউল ইসলাম মেম্বার জোরপূর্বক দখল করে বাঁশের বেড়া দিয়ে ঘিরে মাছ চাষ করছে। নদীতে বাঁধ না দেওয়ার জন্য রবিউল ইসলাম মেম্বারকে একাধিকবার অনুরোধ করা হয়েছে। তারপরও তিনি তাঁর দলবল এনে জোরপূর্বক নদী দখল করে মাছ চাষ করছেন।
বাঁকা ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান রবিউল ইসলামের সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান, এই নদীটা তিনি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট থেকে ইজারা নিয়েছেন। এবছরও তিনি খাজনা দিয়েছেন বলে জানান।
জীবননগর উপজেলা সমবায় অফিসার নুর আলম জানান, পাথিলা গ্রামে একটি সময় সমিতি আছে, যেটি রবিউল ইসলাম মেম্বার পরিচালনা করেন। তবে নদী ইজারা নেওয়ার বিষয় আমি কিছু জানি না। এগুলো জলমহল কমিটি আছে, তারা দিয়ে থাকে।
জীবননগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আরিফুল ইসলাম বলেন, পাথিলা গ্রামবাসীর পক্ষ থেকে একটি লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে, তাতে গ্রামবাসী বলেছে করতোয়া নদী দখল করে এলাকার কিছু প্রভাশালী ব্যক্তি মাছ চাষ করছে। এ বিষয়টি সুষ্ঠু তদন্তের জন্য উপজেলা সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এটা তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তা ছাড়া সরকারি কোনো নদী কাউকে ইজারা দেওয়া হয় না।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

জীবননগর করতোয়া নদী থেকে বাঁধ তুলে নেওয়ার দাবি

আপলোড টাইম : ১০:১৮:২৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ নভেম্বর ২০২১

জীবননগর উপজেলার করতোয়া নদী থেকে বাঁধ তুলে নিয়ে সাধারণ মানুষের জন্য উন্মুক্তকরণ এবং বাঁকা ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম ও তাঁর অনুসারীরাদের নিকট থেকে দখলমুক্তকরণের দাবিতে পাথিলা গ্রামের ১১৫ জন জীবননগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. আরিফুল ইসলামের নিকট লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। গতকাল সোমবার সকাল ১০টায় জীবননগর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে গ্রামবাসী উপস্থিত হয়ে এ অভিযোগ দায়ের করেন।

 

গ্রামবাসী জানান, এই নদীতে এলাকার সাধারণ মানুষ গোসল করা, মাছ ধরা, কৃষিকাজে ব্যবহার করা থেকে শুরু করে নানা কাজে ব্যবহার করেন। সেই নদীতে বাঁকা ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ শুরু করেছেন। মাছ চাষের ফলে ওই নদীতে কাউকে নামতে দেওয়া হচ্ছে না। যদিও রবিউল ইসলাম মেম্বার সরকারিভাবে ইজারা নেওয়ার দাবি করলেও করতোয়া নদী ইজারা দেওয়া হয়নি বলে জানান উপজেলা নির্বাহী অফিসার।
পাথিলা গ্রামের একাধিক ব্যক্তি জানান, করতোয়া নদী সবসময় উন্মুক্ত ছিল, সেখানে সবাই গোসল করত, গরুর গা ধোয়াতো, পাট জাগ দেওয়া হত এবং কৃষিকাজের জন্য ব্যবহার করা হত। কিন্তু করতোয়া নদী খনন হওয়ার কয়েক মাসের মধ্যেই গঙ্গাদাশপুর গ্রামের আমিনুর রহমানের বাড়ির নিচ থেকে পাথিলা গ্রামের ব্রিজ পর্যন্ত রবিউল ইসলাম মেম্বার জোরপূর্বক দখল করে বাঁশের বেড়া দিয়ে ঘিরে মাছ চাষ করছে। নদীতে বাঁধ না দেওয়ার জন্য রবিউল ইসলাম মেম্বারকে একাধিকবার অনুরোধ করা হয়েছে। তারপরও তিনি তাঁর দলবল এনে জোরপূর্বক নদী দখল করে মাছ চাষ করছেন।
বাঁকা ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান রবিউল ইসলামের সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান, এই নদীটা তিনি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট থেকে ইজারা নিয়েছেন। এবছরও তিনি খাজনা দিয়েছেন বলে জানান।
জীবননগর উপজেলা সমবায় অফিসার নুর আলম জানান, পাথিলা গ্রামে একটি সময় সমিতি আছে, যেটি রবিউল ইসলাম মেম্বার পরিচালনা করেন। তবে নদী ইজারা নেওয়ার বিষয় আমি কিছু জানি না। এগুলো জলমহল কমিটি আছে, তারা দিয়ে থাকে।
জীবননগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আরিফুল ইসলাম বলেন, পাথিলা গ্রামবাসীর পক্ষ থেকে একটি লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে, তাতে গ্রামবাসী বলেছে করতোয়া নদী দখল করে এলাকার কিছু প্রভাশালী ব্যক্তি মাছ চাষ করছে। এ বিষয়টি সুষ্ঠু তদন্তের জন্য উপজেলা সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এটা তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তা ছাড়া সরকারি কোনো নদী কাউকে ইজারা দেওয়া হয় না।