ইপেপার । আজ মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪

জীবননগরে হেলিপ্যাড মাঠ এখন ঠিকাদারের দখলে!

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৭:৫৫:১৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৩
  • / ১৬ বার পড়া হয়েছে

জীবননগর অফিস:
জীবননগর উপজেলার ঠিকাদারের বিরুদ্ধে হেলিপ্যাড মাঠ দখল করার অভিযোগ উঠেছে। জীবননগর পৌরসভার ইসলামপুর গ্রামে অবস্থিত হেলিপ্যাডটি তৈরি করা হয়েছিল হেলিকপ্টার ওঠা-নামার জন্য। তবে মাঠে হেলিকপ্টার না নামলেও এলাকার তরুণ যুবসমাজের খেলোয়াড়রা এখানে ছোট-বড় ফুটবল ও ক্রিকেট টুর্নামেন্ট ছাড়তেন। খেলা দেখার জন্য উৎসুক খেলাপ্রেমীরা এখানে ভিড় করতেন। প্রতিদিন বিকেল হলে ইসলামপুর, শাখারিয়াসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত অনেকে এখানে খেলাধুলা করত। তবে বর্তমান মাঠটি কিছু ঠিকাদারদের দখলে রয়েছে। ফলে এই মাঠে খেলাধুলা একেবারে বন্ধ হয়ে গেছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, রাস্তার কাজে ব্যবহারের জন্য পাথর, বালি, খোয়া, পাইপসহ বিভিন্ন ধরনের মালামাল রাখা হয়েছে হেলিপ্যাডের মাঠে। মাঠের বিভিন্ন স্থানে গর্ত করে সেখানে পিচ জ্বালানোর ব্যবস্থাও করা হয়েছে। এলাকার তরুণ যুবদের একমাত্র খেলার মাঠটি ঠিকাদাররা দখল করায় এলাকার সচেতন মহলে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় যুবক ফাহিম খান অভিযোগ করে বলেন, ‘আমাদের এলাকার একমাত্র খেলার মাঠ ছিল হেলিপ্যাড। এখানে দুই গ্রামের শিশু-কিশোর ও যুবকরা খেলাধুলা করত। কিন্তু ঠিকাদাররা কীভাবে এখানে তাদের রাস্তার কাজের জন্য মালামাল রাখলো, এটা আমরা জানি না। আমরা চাই প্রশাসন এই মাঠটি ঠিকাদারদের থেকে দখলমুক্ত করে আমাদের খেলার মাঠে ফিরিয়ে দিক।’

স্থানীয় আক্কাচ আলী বলেন, ‘দীর্ঘদিন যাবৎ হেলিপ্যাডের মাঠটি ফাঁকা পড়েছিল, এই মাঠে এলাকার যুবক ছেলেরা খেলাধুলা করত। কিন্তু হঠাৎ দুই বছর ধরে দেখছি স্থানীয় কিছু ঠিকাদার মাঠটি দখল করে বিভিন্ন মালামাল রেখেছে। যার ফলে এই মাঠে সমস্ত খেলাধুলা বন্ধ হয়ে গেছে।’ এ বিষয়ে জীবননগর পৌর মেয়র মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ইসলামপুর হেলিপ্যাড দখল করে কোন ঠিকাদার মালামাল ফেলেছে, এটা আমি জানি না। তবে খেলাধুলার কোনো বিকল্প নেই। মাঠটি যাতে দ্রুত দখলমুক্ত করা যায়, সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

জীবননগর পৌর ভূমি কর্মকর্তা আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘জীবননগর পৌরসভার অর্ন্তগত হেলিপ্যাড দখলমুক্ত করার জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার আমাকে নির্দেশ প্রদান করেছিলেন। আমি ঠিকাদার জাকাউল্লাহকে মৌখিকভাবে বলেছি হেলিপ্যাড থেকে সমস্ত মালামাল সরিয়ে নেওয়ার জন্য।’ জীবননগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. রোকুনুজ্জামানের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, ‘হেলিপ্যাড দখল করে কোনো ঠিকাদার সেখানে মালামাল রাখতে পারবে না। যে ঠিকাদার হেলিপ্যাড দখল করে মালামাল রেখেছে, আমরা তাকে মালামাল সরিয়ে নেওয়ার জন্য নির্দেশ প্রদান করেছি। যদি নির্দেশ না মানে, তবে ওই ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

জীবননগরে হেলিপ্যাড মাঠ এখন ঠিকাদারের দখলে!

আপলোড টাইম : ০৭:৫৫:১৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৩

জীবননগর অফিস:
জীবননগর উপজেলার ঠিকাদারের বিরুদ্ধে হেলিপ্যাড মাঠ দখল করার অভিযোগ উঠেছে। জীবননগর পৌরসভার ইসলামপুর গ্রামে অবস্থিত হেলিপ্যাডটি তৈরি করা হয়েছিল হেলিকপ্টার ওঠা-নামার জন্য। তবে মাঠে হেলিকপ্টার না নামলেও এলাকার তরুণ যুবসমাজের খেলোয়াড়রা এখানে ছোট-বড় ফুটবল ও ক্রিকেট টুর্নামেন্ট ছাড়তেন। খেলা দেখার জন্য উৎসুক খেলাপ্রেমীরা এখানে ভিড় করতেন। প্রতিদিন বিকেল হলে ইসলামপুর, শাখারিয়াসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত অনেকে এখানে খেলাধুলা করত। তবে বর্তমান মাঠটি কিছু ঠিকাদারদের দখলে রয়েছে। ফলে এই মাঠে খেলাধুলা একেবারে বন্ধ হয়ে গেছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, রাস্তার কাজে ব্যবহারের জন্য পাথর, বালি, খোয়া, পাইপসহ বিভিন্ন ধরনের মালামাল রাখা হয়েছে হেলিপ্যাডের মাঠে। মাঠের বিভিন্ন স্থানে গর্ত করে সেখানে পিচ জ্বালানোর ব্যবস্থাও করা হয়েছে। এলাকার তরুণ যুবদের একমাত্র খেলার মাঠটি ঠিকাদাররা দখল করায় এলাকার সচেতন মহলে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় যুবক ফাহিম খান অভিযোগ করে বলেন, ‘আমাদের এলাকার একমাত্র খেলার মাঠ ছিল হেলিপ্যাড। এখানে দুই গ্রামের শিশু-কিশোর ও যুবকরা খেলাধুলা করত। কিন্তু ঠিকাদাররা কীভাবে এখানে তাদের রাস্তার কাজের জন্য মালামাল রাখলো, এটা আমরা জানি না। আমরা চাই প্রশাসন এই মাঠটি ঠিকাদারদের থেকে দখলমুক্ত করে আমাদের খেলার মাঠে ফিরিয়ে দিক।’

স্থানীয় আক্কাচ আলী বলেন, ‘দীর্ঘদিন যাবৎ হেলিপ্যাডের মাঠটি ফাঁকা পড়েছিল, এই মাঠে এলাকার যুবক ছেলেরা খেলাধুলা করত। কিন্তু হঠাৎ দুই বছর ধরে দেখছি স্থানীয় কিছু ঠিকাদার মাঠটি দখল করে বিভিন্ন মালামাল রেখেছে। যার ফলে এই মাঠে সমস্ত খেলাধুলা বন্ধ হয়ে গেছে।’ এ বিষয়ে জীবননগর পৌর মেয়র মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ইসলামপুর হেলিপ্যাড দখল করে কোন ঠিকাদার মালামাল ফেলেছে, এটা আমি জানি না। তবে খেলাধুলার কোনো বিকল্প নেই। মাঠটি যাতে দ্রুত দখলমুক্ত করা যায়, সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

জীবননগর পৌর ভূমি কর্মকর্তা আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘জীবননগর পৌরসভার অর্ন্তগত হেলিপ্যাড দখলমুক্ত করার জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার আমাকে নির্দেশ প্রদান করেছিলেন। আমি ঠিকাদার জাকাউল্লাহকে মৌখিকভাবে বলেছি হেলিপ্যাড থেকে সমস্ত মালামাল সরিয়ে নেওয়ার জন্য।’ জীবননগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. রোকুনুজ্জামানের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, ‘হেলিপ্যাড দখল করে কোনো ঠিকাদার সেখানে মালামাল রাখতে পারবে না। যে ঠিকাদার হেলিপ্যাড দখল করে মালামাল রেখেছে, আমরা তাকে মালামাল সরিয়ে নেওয়ার জন্য নির্দেশ প্রদান করেছি। যদি নির্দেশ না মানে, তবে ওই ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’