ইপেপার । আজ রবিবার, ২০ অক্টোবর ২০২৪

জীবননগরে সারের অবৈধ মজুদ রোধে কৃষি কর্মকর্তাদের মনিটরিং

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৮:৪৯:৫০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • / ১৬ বার পড়া হয়েছে

জীবননগর অফিস:
জীবননগরে ন্যায্য মূল্যে সার পেয়ে খুশি কৃষকরা। প্রকৃত কৃষকদের সার দিতে উপজেলার বিভিন্ন সার ডিলারদের দোকান তদারকি করছেন কৃষি কর্মকর্তারা। তেলের দাম বৃদ্ধিতে সারের সংকট সৃষ্টি হবে, এ ধরনের গুজবে কান দিয়ে জীবননগর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের কিছু অসাধু সার ব্যবসায়ী নিজেদের স্বার্থ হাসিল করার জন্য স্থানীয় কিছু কৃষকদের মাধ্যমে বেশি করে সার ক্রয় করায় ডিলারদের ঘরে ইউরিয়া সারের শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছিল। ফলে সার নিয়ে বিপাকে পড়েন এলাকার কৃষকসহ সার ডিলাররা। এ ঘটনায় জীবননগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. আরিফুল ইসলামসহ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাগণ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালান এবং ডিলার না হয়েও অতিরিক্ত সার মজুদ করার দায়ে জরিমানা করেন। এবং কৃষকদের কথা চিন্তা করে উপজেলার সার ডিলারদের তদারকির জন্য কৃষি কর্মকর্তাদের দায়িত্ব প্রদান করেন। সঠিক সময়ে ইউরিয়া সার পেয়ে এবার হাসি ফুটেছে কৃষকদের মুখে।

উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়নের কয়া গ্রামের কৃষক শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘আমি সার নিয়ে দুশ্চিন্তায় ছিলাম। অনেকে বলছে সারের দাম বাড়ছে বলে ডিলাররা সার দিচ্ছে না। আমি তাদের কথা শুনে টেনশনে পড়ে গিয়েছিলাম। পরে ডিলারের কাছে থেকে ইউরিয়া সার নিয়ে আসলাম কোনো সমস্যায় হয়নি। সরকার নির্ধারিত যেই দাম, সেই দামেই আমি সার পেয়েছি। এখন সার পেয়ে আমি খুবই খুশি।’

জীবননগর উপজেলার সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. আরিফ হোসেন বলেন, ‘উপজেলায় ১০ জন ডিলারের মাধ্যমে কৃষকদের সার বিতরণ চলছে। প্রতিটি ডিলারদের সাথে আমাদের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা সার বিক্রয়ে সার্বক্ষণিক মনিটরিং অব্যাহত রেখেছেন। ফলে প্রকৃত কৃষকরাই সার পাচ্ছেন। উপজেলায় সারের কোনো সংকট নেই।’

জীবননগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. আরিফুল ইসলাম বলেন, স্যারের কোনো সংকট জীবননগরে নেই। কৃষকদের অতিরিক্ত সার কেনার প্রবণতা থেকে ২-১টা ইউনিয়নে ডিলারের সার দ্রুত শেষ হয়ে যায়। তবে প্রকৃত কৃষক যাতে সার পায়, সে জন্য সার বিক্রয়ে সার্বক্ষণিক মনিটরিং অব্যাহত রাখা হয়েছে।

জীবননগর সার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি হাজী হাফিজুর রহমান বলেন, জীবননগর উপজেলাতে ১০টি সারের ডিলার আছে এবং সবাই কৃষকদের মাঝে সার বিক্রি করছে। জীবননগর উপজেলাতে সারের কোনো সংকট নেই। তবে গ্রামের কিছু ব্যবসায়ী আছেন, যারা নিজেদের স্বার্থ হাসিলের জন্য স্থানীয় কৃষকদের পাঠিয়ে বিভিন্ন ডিলারদের নিকট থেকে সার তুলে নিজেদের দোকানে বিক্রয় করে থাকেন। আমরা কৃষক দেখে সার দিয়ে থাকি, কিন্তু এই সার তুলে যদি কোনো কৃষক বাইরের দোকানে বিক্রয় করেন, এ দায়ভার তো সার ডিলাররা দেখবে না। তবে আমরা কৃষকদের মাঝেই সার দিয়ে থাকি, এখন বাজারে কোনো সারের ঘাটতি নেই।’

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

জীবননগরে সারের অবৈধ মজুদ রোধে কৃষি কর্মকর্তাদের মনিটরিং

আপলোড টাইম : ০৮:৪৯:৫০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২২

জীবননগর অফিস:
জীবননগরে ন্যায্য মূল্যে সার পেয়ে খুশি কৃষকরা। প্রকৃত কৃষকদের সার দিতে উপজেলার বিভিন্ন সার ডিলারদের দোকান তদারকি করছেন কৃষি কর্মকর্তারা। তেলের দাম বৃদ্ধিতে সারের সংকট সৃষ্টি হবে, এ ধরনের গুজবে কান দিয়ে জীবননগর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের কিছু অসাধু সার ব্যবসায়ী নিজেদের স্বার্থ হাসিল করার জন্য স্থানীয় কিছু কৃষকদের মাধ্যমে বেশি করে সার ক্রয় করায় ডিলারদের ঘরে ইউরিয়া সারের শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছিল। ফলে সার নিয়ে বিপাকে পড়েন এলাকার কৃষকসহ সার ডিলাররা। এ ঘটনায় জীবননগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. আরিফুল ইসলামসহ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাগণ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালান এবং ডিলার না হয়েও অতিরিক্ত সার মজুদ করার দায়ে জরিমানা করেন। এবং কৃষকদের কথা চিন্তা করে উপজেলার সার ডিলারদের তদারকির জন্য কৃষি কর্মকর্তাদের দায়িত্ব প্রদান করেন। সঠিক সময়ে ইউরিয়া সার পেয়ে এবার হাসি ফুটেছে কৃষকদের মুখে।

উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়নের কয়া গ্রামের কৃষক শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘আমি সার নিয়ে দুশ্চিন্তায় ছিলাম। অনেকে বলছে সারের দাম বাড়ছে বলে ডিলাররা সার দিচ্ছে না। আমি তাদের কথা শুনে টেনশনে পড়ে গিয়েছিলাম। পরে ডিলারের কাছে থেকে ইউরিয়া সার নিয়ে আসলাম কোনো সমস্যায় হয়নি। সরকার নির্ধারিত যেই দাম, সেই দামেই আমি সার পেয়েছি। এখন সার পেয়ে আমি খুবই খুশি।’

জীবননগর উপজেলার সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. আরিফ হোসেন বলেন, ‘উপজেলায় ১০ জন ডিলারের মাধ্যমে কৃষকদের সার বিতরণ চলছে। প্রতিটি ডিলারদের সাথে আমাদের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা সার বিক্রয়ে সার্বক্ষণিক মনিটরিং অব্যাহত রেখেছেন। ফলে প্রকৃত কৃষকরাই সার পাচ্ছেন। উপজেলায় সারের কোনো সংকট নেই।’

জীবননগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. আরিফুল ইসলাম বলেন, স্যারের কোনো সংকট জীবননগরে নেই। কৃষকদের অতিরিক্ত সার কেনার প্রবণতা থেকে ২-১টা ইউনিয়নে ডিলারের সার দ্রুত শেষ হয়ে যায়। তবে প্রকৃত কৃষক যাতে সার পায়, সে জন্য সার বিক্রয়ে সার্বক্ষণিক মনিটরিং অব্যাহত রাখা হয়েছে।

জীবননগর সার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি হাজী হাফিজুর রহমান বলেন, জীবননগর উপজেলাতে ১০টি সারের ডিলার আছে এবং সবাই কৃষকদের মাঝে সার বিক্রি করছে। জীবননগর উপজেলাতে সারের কোনো সংকট নেই। তবে গ্রামের কিছু ব্যবসায়ী আছেন, যারা নিজেদের স্বার্থ হাসিলের জন্য স্থানীয় কৃষকদের পাঠিয়ে বিভিন্ন ডিলারদের নিকট থেকে সার তুলে নিজেদের দোকানে বিক্রয় করে থাকেন। আমরা কৃষক দেখে সার দিয়ে থাকি, কিন্তু এই সার তুলে যদি কোনো কৃষক বাইরের দোকানে বিক্রয় করেন, এ দায়ভার তো সার ডিলাররা দেখবে না। তবে আমরা কৃষকদের মাঝেই সার দিয়ে থাকি, এখন বাজারে কোনো সারের ঘাটতি নেই।’