ইপেপার । আজ শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪

জীবননগরে সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে অতিরিক্ত দামে বিক্রি হচ্ছে সয়াবিন তেল

মিঠুন মাহমুদ:
  • আপলোড টাইম : ০৮:৫২:৩১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ মে ২০২২
  • / ২৪ বার পড়া হয়েছে

শ্রমিকের একদিনের হাজিরায় মিলছে ১ কেজি সয়াবিন তেল, নিম্নবিত্তের দুর্দশা

জীবননগরে অতিরিক্ত দামে বিক্রি হচ্ছে সয়াবিন তেল। সরকার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম বাড়িয়ে প্রতি লিটার ১৯৮ টাকা, খোলা সয়াবিন তেল ১৮০ টাকা ও খোলা পাম তেল ১৭২ টাকা নির্ধারণ করেছে। কিন্তু জীবননগরে এসব তেল বিক্রি হচ্ছে নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে অনেক বেশিতে। খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ২১০ টাকা কেজি, পাম তেল ১৯০ টাকা এবং সুপার পাম তেল ১৯৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এদিকে, সয়াবিন তেলের দাম বাড়ার সাথে সাথে জীবননগর শহরে সংকট দেখা দিয়েছে বোতলজাত সয়াবিন তেলের। বোতলজাত সয়াবিন তেল থাকলেও সেগুলো বাড়ি বা গোডাউনে মজুত করে রেখেছেন কিছু অসাধু ব্যবসায়ী। ক্রেতাদের অভিযোগ, প্রশাসনের তদারকি না থাকায় ব্যবসায়ীরা একটি সিন্ডিকেট তৈরি করে নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি দামে তেল বিক্রি করছেন। তবে ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাজারে তেলের সংকট রয়েছে, সে কারণে যেমন দামে তেল কেনা হচ্ছে, তেমন দামে বিক্রি করা হচ্ছে।

জীবননগর উপজেলার হরিহরনগর গ্রামের দিনমজুর আয়ুব আলী অভিযোগ করে বলেন, ‘আমি এক দিন লোকের খেতে কাজ করলে ২ শ থেকে ২৫০ টাকা হাজিরা পাই। আর এক কেজি তেল কিনতে হলে দিতে হচ্ছে ২১০ টাকা। ৪০ টাকা থাকছে, চাল কিনব না অন্য বাজার করব। আমি এক দিন কাজ না করলে কপালে ভাত জুটবে না।’ একই অভিযোগ করেন জীবননগর পৌর শহরের আব্দুল মজিদ। তিনি বলেন, দিন দিন যেভাবে জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে, সে অনুযায়ী শ্রমিকের হাজিরা বাড়ছে না। শ্রমিকের হাজিরা বাড়ানোর কথা বললেই মহাজনরা ক্ষোভে ভেঙে পড়ছেন। অথচ এক মাসের ব্যবধানে সয়াবিন তেলের দাম কেজিতে ৩০ টাকা বাড়াল। এভাবে চলতে থাকলে দেশের অসহায় হতদরিদ্র মানুষগুলো না খেয়ে মারা যাবে।

জীবননগর বাজারের মুদি ব্যবসায়ী আ. গফুর বলেন, রোজার মধ্যে থেকে বাজারে বোতলজাত সয়াবিন তেল সংকট। আর রোজার মধ্যে খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি করা হয়েছে ১৯৫ টাকা কেজি দরে। কিন্তু এখন খোলা সয়বাবিন তেল কিনতে হচ্ছে ২০৬ টাকা কেজি দরে। আর খুচরা বিক্রি করতে হচ্ছে ২১০ টাকা দরে।

তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে, জীবননগর পৌর শহরের গাজী স্টোর, নাজমুল স্টোর, নাসিম স্টোর এবং পেয়ারাতলার নেছার স্টোরের মাধ্যমে জীবননগর উপজেলার ছোট-বড় সমস্ত মুদি দোকানীরা সয়াবিন তেল ক্রয় করে থাকেন। এই চারটি প্রতিষ্ঠান রোজার আগে থেকেই তেলের দাম বৃদ্ধি করেছে এবং বোতলজাত সয়াবিন তেল সংকট দেখিয়েছে।

এবিষয়ে জীবননগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. আরিফুল ইসলাম বলেন, সরকার নির্ধারিত মূল্যের বাইরে অতিরিক্ত দামে কেউ মালামাল বিক্রি করলে ওই ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের মালিকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

জীবননগরে সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে অতিরিক্ত দামে বিক্রি হচ্ছে সয়াবিন তেল

আপলোড টাইম : ০৮:৫২:৩১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ মে ২০২২

শ্রমিকের একদিনের হাজিরায় মিলছে ১ কেজি সয়াবিন তেল, নিম্নবিত্তের দুর্দশা

জীবননগরে অতিরিক্ত দামে বিক্রি হচ্ছে সয়াবিন তেল। সরকার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম বাড়িয়ে প্রতি লিটার ১৯৮ টাকা, খোলা সয়াবিন তেল ১৮০ টাকা ও খোলা পাম তেল ১৭২ টাকা নির্ধারণ করেছে। কিন্তু জীবননগরে এসব তেল বিক্রি হচ্ছে নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে অনেক বেশিতে। খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ২১০ টাকা কেজি, পাম তেল ১৯০ টাকা এবং সুপার পাম তেল ১৯৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এদিকে, সয়াবিন তেলের দাম বাড়ার সাথে সাথে জীবননগর শহরে সংকট দেখা দিয়েছে বোতলজাত সয়াবিন তেলের। বোতলজাত সয়াবিন তেল থাকলেও সেগুলো বাড়ি বা গোডাউনে মজুত করে রেখেছেন কিছু অসাধু ব্যবসায়ী। ক্রেতাদের অভিযোগ, প্রশাসনের তদারকি না থাকায় ব্যবসায়ীরা একটি সিন্ডিকেট তৈরি করে নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি দামে তেল বিক্রি করছেন। তবে ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাজারে তেলের সংকট রয়েছে, সে কারণে যেমন দামে তেল কেনা হচ্ছে, তেমন দামে বিক্রি করা হচ্ছে।

জীবননগর উপজেলার হরিহরনগর গ্রামের দিনমজুর আয়ুব আলী অভিযোগ করে বলেন, ‘আমি এক দিন লোকের খেতে কাজ করলে ২ শ থেকে ২৫০ টাকা হাজিরা পাই। আর এক কেজি তেল কিনতে হলে দিতে হচ্ছে ২১০ টাকা। ৪০ টাকা থাকছে, চাল কিনব না অন্য বাজার করব। আমি এক দিন কাজ না করলে কপালে ভাত জুটবে না।’ একই অভিযোগ করেন জীবননগর পৌর শহরের আব্দুল মজিদ। তিনি বলেন, দিন দিন যেভাবে জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে, সে অনুযায়ী শ্রমিকের হাজিরা বাড়ছে না। শ্রমিকের হাজিরা বাড়ানোর কথা বললেই মহাজনরা ক্ষোভে ভেঙে পড়ছেন। অথচ এক মাসের ব্যবধানে সয়াবিন তেলের দাম কেজিতে ৩০ টাকা বাড়াল। এভাবে চলতে থাকলে দেশের অসহায় হতদরিদ্র মানুষগুলো না খেয়ে মারা যাবে।

জীবননগর বাজারের মুদি ব্যবসায়ী আ. গফুর বলেন, রোজার মধ্যে থেকে বাজারে বোতলজাত সয়াবিন তেল সংকট। আর রোজার মধ্যে খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি করা হয়েছে ১৯৫ টাকা কেজি দরে। কিন্তু এখন খোলা সয়বাবিন তেল কিনতে হচ্ছে ২০৬ টাকা কেজি দরে। আর খুচরা বিক্রি করতে হচ্ছে ২১০ টাকা দরে।

তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে, জীবননগর পৌর শহরের গাজী স্টোর, নাজমুল স্টোর, নাসিম স্টোর এবং পেয়ারাতলার নেছার স্টোরের মাধ্যমে জীবননগর উপজেলার ছোট-বড় সমস্ত মুদি দোকানীরা সয়াবিন তেল ক্রয় করে থাকেন। এই চারটি প্রতিষ্ঠান রোজার আগে থেকেই তেলের দাম বৃদ্ধি করেছে এবং বোতলজাত সয়াবিন তেল সংকট দেখিয়েছে।

এবিষয়ে জীবননগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. আরিফুল ইসলাম বলেন, সরকার নির্ধারিত মূল্যের বাইরে অতিরিক্ত দামে কেউ মালামাল বিক্রি করলে ওই ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের মালিকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।