ইপেপার । আজ শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪

জীবননগরে ধর্ষণের চেষ্টা মামলার বাদীকে জীবননাশের হুমকি

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:০১:০৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৬ এপ্রিল ২০২২
  • / ২২ বার পড়া হয়েছে

জীবননগর অফিস:

জীবননগর উপজেলার কন্দর্পপুরে ধর্ষণ চেষ্টা মামলার আসামীকে আদালত জেলহাজতে প্রেরণ করার ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে আসামীর পরিবারের লোকজন বাদীকে মামলা প্রত্যাহার করে নিতে জীবননাশের হুমকির অভিযোগ উঠেছে। মামলা প্রত্যাহার না করলে বাদীকে জীবননাশের হুমকি দেয়া হয়। এ ঘটনায় হতদরিদ্র বাদীর পরিবার শঙ্কার মধ্যে আছেন। গত সোমবার এবিষয়ে জীবননগর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে।

জানা যায়, জীবননগর উপজেলার হাসাদহ ইউনিয়নের কন্দর্পপুর স্কুলপাড়ার হতদরিদ্র মিজানুর রহমানের স্ত্রী ফেরদৌসী খাতুনকে (৪০) একই গ্রামের মৃত আব্দুল খালেকের ছেলে বাবু মিয়া (৫০) নানা ধরনের কু-প্রস্তাব করে থাকে। কিন্তু গৃহবধু তার প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় বাবু মিয়া ফেরদৌসীকে অত্যাচার নির্যাতন করতে থাকে। একপর্যায়ে ২০২১ সালে ২৬ জুন রাত দশটার দিকে গৃহবধু ফেরদৌসী তার স্বামী অনুপস্থিতিতে নিজঘরে ঘুমিয়েছিলেন। ওই সময় বাবু গৃহবধু ফেরদৌসীর ঘরে প্রবেশ করে মুখ চেপে ধরে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এঘটনায় গৃহবধু ফেরদোসী সামাজিকভাবে বিচার না পেয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। সেসময় কোনো ফলাফল না পেয়ে তিনি পরবর্তীতে আদালতে অভিযুক্ত বাবু মিয়ার বিরুদ্ধে মামলা করেন।

ভুক্তভোগী গৃহবধু ফেরদৌসী বলেন, ‘আমার করা মামলায় গত ২৮ মার্চ আদালতের ধার্য তারিখে আসামী বাবুকে আদালত হাজির করে জেলহাজতে প্রেরণ করেন। বাবু জেল হাজতে যাওয়ার পর তার চাচা রাজ্জাক ডাক্তার, ভাই অমেদুল, ছামাদুল, ছেলে রিফাত ও চাচাতো ভাই সাইফুল আমাদের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। তারা আমাকে গত ৩১ মার্চ বিকাল সাড়ে চারটার দিকে মামলা প্রত্যাহার করে নিতে বললে আমি রাজি না হওয়ায় তারা আমাদেরকে গ্রাম ছাড়া করার হুমকি দিয়ে চলে যায়। এখন তারা প্রতিনিয়ত আমাদেরকে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। আমাদেরকে বাইরে বের হতে দেবে না বলেও হুমকি দিচ্ছে। তাদের হুমকিতে আমরা আতঙ্কিত। শেষ পর্যন্ত বাধ্য হয়ে জীবননগর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছি। যার নম্বর-১৬০, তারিখ: ০৪-০৪-২২ ইং।

হাসাদহ ইউনিয়ন পরিষদের সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড মেম্বার শ্যামল মিয়া বলেন, ‘বাবু জেল হাজতে যাওয়ার পর আমরা বিষয়টি আপস নিষ্পত্তির জন্য বসেছিলাম। তবে মামলাটি আপস যোগ্য না হওয়ায় শেষ পর্যন্ত চূড়ান্তভাবে আপোষ না হলেও চেষ্টা চলছে।’

জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) স্বপন কুমার দাস বলেন, ‘ঘটনার ব্যাপারে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) হয়েছে, তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

জীবননগরে ধর্ষণের চেষ্টা মামলার বাদীকে জীবননাশের হুমকি

আপলোড টাইম : ১০:০১:০৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৬ এপ্রিল ২০২২

জীবননগর অফিস:

জীবননগর উপজেলার কন্দর্পপুরে ধর্ষণ চেষ্টা মামলার আসামীকে আদালত জেলহাজতে প্রেরণ করার ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে আসামীর পরিবারের লোকজন বাদীকে মামলা প্রত্যাহার করে নিতে জীবননাশের হুমকির অভিযোগ উঠেছে। মামলা প্রত্যাহার না করলে বাদীকে জীবননাশের হুমকি দেয়া হয়। এ ঘটনায় হতদরিদ্র বাদীর পরিবার শঙ্কার মধ্যে আছেন। গত সোমবার এবিষয়ে জীবননগর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে।

জানা যায়, জীবননগর উপজেলার হাসাদহ ইউনিয়নের কন্দর্পপুর স্কুলপাড়ার হতদরিদ্র মিজানুর রহমানের স্ত্রী ফেরদৌসী খাতুনকে (৪০) একই গ্রামের মৃত আব্দুল খালেকের ছেলে বাবু মিয়া (৫০) নানা ধরনের কু-প্রস্তাব করে থাকে। কিন্তু গৃহবধু তার প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় বাবু মিয়া ফেরদৌসীকে অত্যাচার নির্যাতন করতে থাকে। একপর্যায়ে ২০২১ সালে ২৬ জুন রাত দশটার দিকে গৃহবধু ফেরদৌসী তার স্বামী অনুপস্থিতিতে নিজঘরে ঘুমিয়েছিলেন। ওই সময় বাবু গৃহবধু ফেরদৌসীর ঘরে প্রবেশ করে মুখ চেপে ধরে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এঘটনায় গৃহবধু ফেরদোসী সামাজিকভাবে বিচার না পেয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। সেসময় কোনো ফলাফল না পেয়ে তিনি পরবর্তীতে আদালতে অভিযুক্ত বাবু মিয়ার বিরুদ্ধে মামলা করেন।

ভুক্তভোগী গৃহবধু ফেরদৌসী বলেন, ‘আমার করা মামলায় গত ২৮ মার্চ আদালতের ধার্য তারিখে আসামী বাবুকে আদালত হাজির করে জেলহাজতে প্রেরণ করেন। বাবু জেল হাজতে যাওয়ার পর তার চাচা রাজ্জাক ডাক্তার, ভাই অমেদুল, ছামাদুল, ছেলে রিফাত ও চাচাতো ভাই সাইফুল আমাদের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। তারা আমাকে গত ৩১ মার্চ বিকাল সাড়ে চারটার দিকে মামলা প্রত্যাহার করে নিতে বললে আমি রাজি না হওয়ায় তারা আমাদেরকে গ্রাম ছাড়া করার হুমকি দিয়ে চলে যায়। এখন তারা প্রতিনিয়ত আমাদেরকে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। আমাদেরকে বাইরে বের হতে দেবে না বলেও হুমকি দিচ্ছে। তাদের হুমকিতে আমরা আতঙ্কিত। শেষ পর্যন্ত বাধ্য হয়ে জীবননগর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছি। যার নম্বর-১৬০, তারিখ: ০৪-০৪-২২ ইং।

হাসাদহ ইউনিয়ন পরিষদের সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড মেম্বার শ্যামল মিয়া বলেন, ‘বাবু জেল হাজতে যাওয়ার পর আমরা বিষয়টি আপস নিষ্পত্তির জন্য বসেছিলাম। তবে মামলাটি আপস যোগ্য না হওয়ায় শেষ পর্যন্ত চূড়ান্তভাবে আপোষ না হলেও চেষ্টা চলছে।’

জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) স্বপন কুমার দাস বলেন, ‘ঘটনার ব্যাপারে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) হয়েছে, তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’