ইপেপার । আজ শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪

জীবননগরে তুচ্ছ ঘটনায় শিশুকে মারধরের অভিযোগ

জীবননগর অফিস:
  • আপলোড টাইম : ০৯:৩১:০১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৮ এপ্রিল ২০২২
  • / ২৬ বার পড়া হয়েছে

জীবননগরে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ৪র্থ শ্রেণির এক স্কুলছাত্রকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় জীবননগর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে ভুক্তভোগী পরিবার। জীবননগর উপজেলার মনোহরপুর ইউনিয়নের মনোহরপুর আবাসনে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মনোহরপুর আবাসনে নজরুল ইসলামের স্ত্রী সফুরা বেগম এবং তাঁর মেয়ে সাথীর সঙ্গে একই আবাসনের বৃদ্ধা মেহেরজানের কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে সাথী ও তাঁর মা সফুরা মিলে বৃদ্ধা মেহেরজানকে মারধর করেন। এসময় মেহেরজানের কাছে থাকা তাঁর নাতি ছেলে আবুবক্কর (৯) ঠেকাতে গেলে সাথী ওই শিশুর গোপানাঙ্গে লাথি মারে এবং তাকে মারধর করতে থাকে। এতে আবু বক্কর মাটিতে পড়ে চিৎকার করলে স্থানীয় লোকজন ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।

আহত স্কুলছাত্রের নানী অভিযোগ করে বলেন, ‘দুই দিন আগে সাথীর মায়ের সাথে আমার কথা কাটাকাটি হয়। সেই জের ধরে সাথী আবাসনে এসে আমাকে মারধর করে এবং আমার নাতি ঠেকাতে গেলে সাথী তাকে আচাড় মারে। সে মাটিতে পড়ে গেলে তার গোপানাঙ্গে লাথি মারে এবং মারধর করে। আমি চিৎকার করলে আবাসনের লোকজন ছুটে এসে আমার নাতিকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করি। আমি গরিব মানুষ, তারা যেভাবে আমাকে ও আমার নাতিকে মারধর করেছে, আমি এর বিচার চাই।’

স্থানীয় ব্যবসায়ী পিণ্টু বলেন, ‘ওই দিন রাতে সাথী আবাসনে এসে আবু বক্করের নানী ও আবু বক্করকে মারধর করে। একপর্যায়ে আবুবক্করের গোপানাঙ্গে লাথি মারলে আবুবক্কর ছটফট করতে থাকে এবং তার গোপানাঙ্গ ফুলে যায়। এ সময় আমরা সবাই মিলে আবুবক্করকে হাসপাতালে নিয়ে যায়।’

তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে, সাথী মনোহরপুর শিমুলতলা নামক স্থানে একটি জমিতে বসবাস করছেন এবং তাঁর মা দশনা হল্টস্টেশনে নিজের বাড়ি রেখে মনোহরপুর আবাসন এলাকাতে গত তিন মাস যাবৎ বসবাস করছেন। সেখানে এসে প্রতিনিয়ত আবাসনের সাধারণ মানুষের সাথে ঝগড়া-বিবাদ করে থাকেন। সাথী ও তাঁর মায়ের বিরুদ্ধে কেউ কোনো প্রতিবাদ করলে তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। ফলে সাথী ও তাঁর মায়ের বিরুদ্ধে কেউ কোনো কথা বলে না। এদিকে, নিজের বাড়ি রেখে সাথীর মা কেন মনোহরপুর আবাসনে বসবাস করছেন, এ নিয়ে দেখা দিয়েছে নানা প্রশ্ন।

এ বিষয়ে সাথীর সাথে কথা বললে তিনি বলেন, ‘আবু বক্কর আমার মাকে লাঠি দিয়ে মারলে আমি আবু বক্করকে চড় মারি। তা ছাড়া আর কিছু বলিনি। আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা।’

মনোহরপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও মনোহরপুর ইউপি সদস্য মো. গোলাম রসুল বলেন, ‘মনোহরপুর আবাসনে আবুবক্কর নামের এক শিশুকে অমানসিকভাবে মারধর করেছে সাথী। আমি এ বিষয়টি শুনেছি। আবু বক্করের নানী আমার কাছে এসেছিল, আমি ছেলেটাকে দেখে হাসপাতালে ভর্তি করার জন্য বলেছিলাম। সাথী ও তার মা কাউকে মানে না এবং তারা এখানে এসে প্রতিনিয়ত অশান্তি সৃষ্টি করছে। তাদের নিয়ে একাধিকবার বিচার হয়েছে।’

জীবননগর থানার অফিসার ইনচাজ (ওসি) মো. আব্দুল খালেক বলেন, ‘মনোহরপুর আবাসনে স্কুলছাত্রকে মারধর করেছে এমন কোনো অভিযোগ আমার কাছে আসেনি। অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

জীবননগরে তুচ্ছ ঘটনায় শিশুকে মারধরের অভিযোগ

আপলোড টাইম : ০৯:৩১:০১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৮ এপ্রিল ২০২২

জীবননগরে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ৪র্থ শ্রেণির এক স্কুলছাত্রকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় জীবননগর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে ভুক্তভোগী পরিবার। জীবননগর উপজেলার মনোহরপুর ইউনিয়নের মনোহরপুর আবাসনে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মনোহরপুর আবাসনে নজরুল ইসলামের স্ত্রী সফুরা বেগম এবং তাঁর মেয়ে সাথীর সঙ্গে একই আবাসনের বৃদ্ধা মেহেরজানের কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে সাথী ও তাঁর মা সফুরা মিলে বৃদ্ধা মেহেরজানকে মারধর করেন। এসময় মেহেরজানের কাছে থাকা তাঁর নাতি ছেলে আবুবক্কর (৯) ঠেকাতে গেলে সাথী ওই শিশুর গোপানাঙ্গে লাথি মারে এবং তাকে মারধর করতে থাকে। এতে আবু বক্কর মাটিতে পড়ে চিৎকার করলে স্থানীয় লোকজন ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।

আহত স্কুলছাত্রের নানী অভিযোগ করে বলেন, ‘দুই দিন আগে সাথীর মায়ের সাথে আমার কথা কাটাকাটি হয়। সেই জের ধরে সাথী আবাসনে এসে আমাকে মারধর করে এবং আমার নাতি ঠেকাতে গেলে সাথী তাকে আচাড় মারে। সে মাটিতে পড়ে গেলে তার গোপানাঙ্গে লাথি মারে এবং মারধর করে। আমি চিৎকার করলে আবাসনের লোকজন ছুটে এসে আমার নাতিকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করি। আমি গরিব মানুষ, তারা যেভাবে আমাকে ও আমার নাতিকে মারধর করেছে, আমি এর বিচার চাই।’

স্থানীয় ব্যবসায়ী পিণ্টু বলেন, ‘ওই দিন রাতে সাথী আবাসনে এসে আবু বক্করের নানী ও আবু বক্করকে মারধর করে। একপর্যায়ে আবুবক্করের গোপানাঙ্গে লাথি মারলে আবুবক্কর ছটফট করতে থাকে এবং তার গোপানাঙ্গ ফুলে যায়। এ সময় আমরা সবাই মিলে আবুবক্করকে হাসপাতালে নিয়ে যায়।’

তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে, সাথী মনোহরপুর শিমুলতলা নামক স্থানে একটি জমিতে বসবাস করছেন এবং তাঁর মা দশনা হল্টস্টেশনে নিজের বাড়ি রেখে মনোহরপুর আবাসন এলাকাতে গত তিন মাস যাবৎ বসবাস করছেন। সেখানে এসে প্রতিনিয়ত আবাসনের সাধারণ মানুষের সাথে ঝগড়া-বিবাদ করে থাকেন। সাথী ও তাঁর মায়ের বিরুদ্ধে কেউ কোনো প্রতিবাদ করলে তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। ফলে সাথী ও তাঁর মায়ের বিরুদ্ধে কেউ কোনো কথা বলে না। এদিকে, নিজের বাড়ি রেখে সাথীর মা কেন মনোহরপুর আবাসনে বসবাস করছেন, এ নিয়ে দেখা দিয়েছে নানা প্রশ্ন।

এ বিষয়ে সাথীর সাথে কথা বললে তিনি বলেন, ‘আবু বক্কর আমার মাকে লাঠি দিয়ে মারলে আমি আবু বক্করকে চড় মারি। তা ছাড়া আর কিছু বলিনি। আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা।’

মনোহরপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও মনোহরপুর ইউপি সদস্য মো. গোলাম রসুল বলেন, ‘মনোহরপুর আবাসনে আবুবক্কর নামের এক শিশুকে অমানসিকভাবে মারধর করেছে সাথী। আমি এ বিষয়টি শুনেছি। আবু বক্করের নানী আমার কাছে এসেছিল, আমি ছেলেটাকে দেখে হাসপাতালে ভর্তি করার জন্য বলেছিলাম। সাথী ও তার মা কাউকে মানে না এবং তারা এখানে এসে প্রতিনিয়ত অশান্তি সৃষ্টি করছে। তাদের নিয়ে একাধিকবার বিচার হয়েছে।’

জীবননগর থানার অফিসার ইনচাজ (ওসি) মো. আব্দুল খালেক বলেন, ‘মনোহরপুর আবাসনে স্কুলছাত্রকে মারধর করেছে এমন কোনো অভিযোগ আমার কাছে আসেনি। অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’