ইপেপার । আজ সোমবার, ২১ অক্টোবর ২০২৪

জীবননগরে করতোয়া ও ভৈরব খননের পর নদীপাড়ে শীতকালীন সবজি চাষ

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৮:৪৩:২৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ অক্টোবর ২০২২
  • / ২১ বার পড়া হয়েছে

মিঠুন মাহমুদ: জীবননগর উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়নের করতোয়া নদীর দুই পাড়ে চলছে আগাম শীতকালীন সবজি চাষ। মাটির উর্বরতা ভালো ও পানির ব্যবহার সহজলভ্য হওয়ায় এ কাজে ঝুঁকে পড়েছেন সাধারণ কৃষকরা। এসব শীতকালীন সবজির মধ্যে লালশাক, সবুজ শাক, লাউ, কুমড়া শাক, ডাটা ছাড়াও পেঁপে ও কলা রয়েছে।

বর্তমান সরকারের ঘোষণা দেশের কোনো জমি ফাকা পড়ে থাকবে না, সব জমিতে চাষ করতে হবে। তারই ধারাবাহিকতায় দীর্ঘদিনের অবহেলিত করতোয়া ও ভৈরব নদী খনন করে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড। খননের উৎকৃষ্ঠ মাটিগুলো বিভিন্ন ঠিকাদারের মাধ্যমে পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধীনে অর্থ জমা দিয়ে বিক্রয় করে প্রান্তিক কৃষকদের চাষের জন্য তৈরি করে দেয়। জীবননগর উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়নের হরিহরনগর, হাবিববুর, যাদবপুর এলাকার করতোয়া নদীর পাড়ে দেখা গেছে আগাম সবজি চাষের চারা গজিয়ে উঠেছে অনেকটাই। চলছে সার পানি প্রয়োগ ও নিড়ানি কাজের ব্যবহার। অনেকেই মাটি তৈরি করছেন সবজি চাষের জন্য।

কৃষক মতেহার হোসেন জানান, ‘করতোয়া নদী খননের মাটি পাড় থেকে সরিয়ে নেওয়ায় আমাদের অনেক উপকার হয়েছে। এখানে আমরা মৌসুমি সবজি চাষ করতে পারছি। এসব সবজি চাষ করে বেশ মুনাফা লাভ করতে পারব। নিজেদের খাবারের পাশাপাশি এখান থেকে বাজারে আমরা বিক্রয় করতে পারব।’ হাবিবপুর গ্রামের কৃষক আব্দুল আজিজ বলেন, ‘আমি করতোয়া নদীর পাড়ে কলাবাগান করেছি, অনেক সুন্দর কলা ধরেছে। নদীর পাড় থেকে মাটি সরিয়ে নেওয়ায় এখানে চাষ করে আমদের একটি বাড়তি আয় হচ্ছে।’

সীমান্ত ইউনিয়নের দায়িত্বরত উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. ইয়াছিন আলী বলেন, সরকারিভাবে করতোয়া নদী খনন করার পর মাটি নদীর পাড় থেকে সরিয়ে নেওয়ায় এলাকার কৃষকদের অনেক উপকার হয়েছে। কৃষকরা নদীর পাড়ে বিভিন্ন ধরণের সবজি চাষ করছেন এবং অনেকেই এবার ভুট্টা ও পাট চাষ করেছেন। এতে তারা অনেক লাভবান হচ্ছেন।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

জীবননগরে করতোয়া ও ভৈরব খননের পর নদীপাড়ে শীতকালীন সবজি চাষ

আপলোড টাইম : ০৮:৪৩:২৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ অক্টোবর ২০২২

মিঠুন মাহমুদ: জীবননগর উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়নের করতোয়া নদীর দুই পাড়ে চলছে আগাম শীতকালীন সবজি চাষ। মাটির উর্বরতা ভালো ও পানির ব্যবহার সহজলভ্য হওয়ায় এ কাজে ঝুঁকে পড়েছেন সাধারণ কৃষকরা। এসব শীতকালীন সবজির মধ্যে লালশাক, সবুজ শাক, লাউ, কুমড়া শাক, ডাটা ছাড়াও পেঁপে ও কলা রয়েছে।

বর্তমান সরকারের ঘোষণা দেশের কোনো জমি ফাকা পড়ে থাকবে না, সব জমিতে চাষ করতে হবে। তারই ধারাবাহিকতায় দীর্ঘদিনের অবহেলিত করতোয়া ও ভৈরব নদী খনন করে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড। খননের উৎকৃষ্ঠ মাটিগুলো বিভিন্ন ঠিকাদারের মাধ্যমে পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধীনে অর্থ জমা দিয়ে বিক্রয় করে প্রান্তিক কৃষকদের চাষের জন্য তৈরি করে দেয়। জীবননগর উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়নের হরিহরনগর, হাবিববুর, যাদবপুর এলাকার করতোয়া নদীর পাড়ে দেখা গেছে আগাম সবজি চাষের চারা গজিয়ে উঠেছে অনেকটাই। চলছে সার পানি প্রয়োগ ও নিড়ানি কাজের ব্যবহার। অনেকেই মাটি তৈরি করছেন সবজি চাষের জন্য।

কৃষক মতেহার হোসেন জানান, ‘করতোয়া নদী খননের মাটি পাড় থেকে সরিয়ে নেওয়ায় আমাদের অনেক উপকার হয়েছে। এখানে আমরা মৌসুমি সবজি চাষ করতে পারছি। এসব সবজি চাষ করে বেশ মুনাফা লাভ করতে পারব। নিজেদের খাবারের পাশাপাশি এখান থেকে বাজারে আমরা বিক্রয় করতে পারব।’ হাবিবপুর গ্রামের কৃষক আব্দুল আজিজ বলেন, ‘আমি করতোয়া নদীর পাড়ে কলাবাগান করেছি, অনেক সুন্দর কলা ধরেছে। নদীর পাড় থেকে মাটি সরিয়ে নেওয়ায় এখানে চাষ করে আমদের একটি বাড়তি আয় হচ্ছে।’

সীমান্ত ইউনিয়নের দায়িত্বরত উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. ইয়াছিন আলী বলেন, সরকারিভাবে করতোয়া নদী খনন করার পর মাটি নদীর পাড় থেকে সরিয়ে নেওয়ায় এলাকার কৃষকদের অনেক উপকার হয়েছে। কৃষকরা নদীর পাড়ে বিভিন্ন ধরণের সবজি চাষ করছেন এবং অনেকেই এবার ভুট্টা ও পাট চাষ করেছেন। এতে তারা অনেক লাভবান হচ্ছেন।