ইপেপার । আজ বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪

জীবননগরে আবদ্ধ ঘরে পড়েছিল নারীর পচা লাশ

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৩:৫১:০৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩ মে ২০২৩
  • / ২৬ বার পড়া হয়েছে

জীবননগর অফিস:
জীবননগরে আবদ্ধ একটি ঘর থেকে মানসিক ভারসাম্যহীন কুলছুম খাতুন (২৭) নামের এক নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গত সোমবার বিকেলে জীবননগর পৌর শহরের কোর্টপাড়া থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত কুলছুম একই পাড়ার মৃত বিল্লাল হোসেনের মেয়ে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত সোমবার বিকেলে কুলছুমদের বাড়ি থেকে দুর্গন্ধ ছড়ালে প্রতিবেশীরা তাদের বাড়ির ভেতরে যায়। তারা গিয়ে দেখতে পায় কুলছুম একটি আবদ্ধ ঘরের মধ্যে মৃত অবস্থায় পড়ে আছে। তার শরীরে পোকা ধরায় দুর্গন্ধ বের হচ্ছিল। এসময় উৎসুক জনতা কুলছুমের ভাই মুজিবুর রহমানের বাড়ির সামনে ভিড় করে।

স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, কুলছুম আগে সুস্থ ছিল। তার একটা মেয়েও আছে। মেয়েটিকে তার মামা জীবননগর শাপলাকলি পাড়ার এক ব্যক্তির নিকট দত্তক দিয়ে দেন। হঠাৎ করে কুলছুম মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে। এরপর থেকে আর কোনো দিন তার ভাইয়ের বাড়ি থেকে সে বের হয়নি। বাড়ির মধ্যে বাথরুমের পাশেই কুলসুমের জন্য একটা ছোট ঘর করে দিয়েছিল ভাই মুজিবুর। কুলসুম সেখানেই খাওয়া-দাওয়া করত এবং ঘুমাত। তার সঙ্গে বাইরের কোনো লোকজনের দেখা-সাক্ষাৎ হতো না।

কুলছুমের বোন রহিদা খাতুন অভিযোগ করেন, ‘আমার ভাই কোনো দিন বোনটাকে চিকিৎসা করাননি। তাকে ঠিক মতো খাবার দেয়নি। আমার বোনটাকে যদি একটু চিকিৎসা করাতো, তাহলে সে হয়তো সুস্থ হয়ে উঠতো। আমার ভাই আমাদের জমি-জায়গা আত্মসাৎ করেছে। আমরা জমির ভাগ চাওয়ায় সে আমাদের কোনো বোনকে তার বাড়িতে ডুকতে দিতো না। বাবার সম্পত্তি যা আছে, সব সে ভোগ দখল করে আসছে।’
এ বিষয়ে মুজিবুর রহমানের সঙ্গে কথা বলার জন্য তার বাড়িতে গেলে তাকে পাওয়া যায়নি। জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. নাসির উদ্দিন মৃধা বলেন, ‘বিষয়টি আমি শুনেছি। এ ঘটনায় তার পরিবারের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কেউ কোনো অভিযোগ দেয়নি।’

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

জীবননগরে আবদ্ধ ঘরে পড়েছিল নারীর পচা লাশ

আপলোড টাইম : ০৩:৫১:০৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩ মে ২০২৩

জীবননগর অফিস:
জীবননগরে আবদ্ধ একটি ঘর থেকে মানসিক ভারসাম্যহীন কুলছুম খাতুন (২৭) নামের এক নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গত সোমবার বিকেলে জীবননগর পৌর শহরের কোর্টপাড়া থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত কুলছুম একই পাড়ার মৃত বিল্লাল হোসেনের মেয়ে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত সোমবার বিকেলে কুলছুমদের বাড়ি থেকে দুর্গন্ধ ছড়ালে প্রতিবেশীরা তাদের বাড়ির ভেতরে যায়। তারা গিয়ে দেখতে পায় কুলছুম একটি আবদ্ধ ঘরের মধ্যে মৃত অবস্থায় পড়ে আছে। তার শরীরে পোকা ধরায় দুর্গন্ধ বের হচ্ছিল। এসময় উৎসুক জনতা কুলছুমের ভাই মুজিবুর রহমানের বাড়ির সামনে ভিড় করে।

স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, কুলছুম আগে সুস্থ ছিল। তার একটা মেয়েও আছে। মেয়েটিকে তার মামা জীবননগর শাপলাকলি পাড়ার এক ব্যক্তির নিকট দত্তক দিয়ে দেন। হঠাৎ করে কুলছুম মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে। এরপর থেকে আর কোনো দিন তার ভাইয়ের বাড়ি থেকে সে বের হয়নি। বাড়ির মধ্যে বাথরুমের পাশেই কুলসুমের জন্য একটা ছোট ঘর করে দিয়েছিল ভাই মুজিবুর। কুলসুম সেখানেই খাওয়া-দাওয়া করত এবং ঘুমাত। তার সঙ্গে বাইরের কোনো লোকজনের দেখা-সাক্ষাৎ হতো না।

কুলছুমের বোন রহিদা খাতুন অভিযোগ করেন, ‘আমার ভাই কোনো দিন বোনটাকে চিকিৎসা করাননি। তাকে ঠিক মতো খাবার দেয়নি। আমার বোনটাকে যদি একটু চিকিৎসা করাতো, তাহলে সে হয়তো সুস্থ হয়ে উঠতো। আমার ভাই আমাদের জমি-জায়গা আত্মসাৎ করেছে। আমরা জমির ভাগ চাওয়ায় সে আমাদের কোনো বোনকে তার বাড়িতে ডুকতে দিতো না। বাবার সম্পত্তি যা আছে, সব সে ভোগ দখল করে আসছে।’
এ বিষয়ে মুজিবুর রহমানের সঙ্গে কথা বলার জন্য তার বাড়িতে গেলে তাকে পাওয়া যায়নি। জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. নাসির উদ্দিন মৃধা বলেন, ‘বিষয়টি আমি শুনেছি। এ ঘটনায় তার পরিবারের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কেউ কোনো অভিযোগ দেয়নি।’