ইপেপার । আজ বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪

চুয়াডাঙ্গায় মহান বিজয় দিবস, শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস ও স্থানীয় মুক্ত দিবস উপলক্ষে প্রস্তুতি সভায় ডিসি

জাতীয় পতাকার অবমাননা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:১২:৫৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৩
  • / ২৫ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক:
শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস ও মহান বিজয় দিবস-২০২৩ উদ্যাপন উপলক্ষে চুয়াডাঙ্গায় প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বুধবার সকাল ১০টায় চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসনের আয়োজনে জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে ওই সভা অনুষ্ঠিত হয়। জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ড. কিসিঞ্জার চাকমার সভাপতিত্বে ১৪ ডিসেম্বর শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস ও ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস-২০২৩ সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে উদ্যাপন উপলক্ষে প্রস্তুতিমূলক সভায় বিভিন্ন উপ-কমিটি গঠন করা হয়।
প্রস্তুতি সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপার আর. এম ফয়জুর রহমান (পিপিএম-সেবা), জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান মনজু, চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর সিদ্দিকুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদ্য পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত) রিয়াজুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা) শারমিন আক্তার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) নাজমুল হামিদ রেজা, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শামীম ভূঁইয়াসহ জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও সরকারি-বেসরকারি সকল দপ্তরের প্রতিনিধিগণ, সাংবাদিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ।
সভায় চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমা বলেন, দেশের সর্বশ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধারা। তাঁদের সর্বোচ্চ সম্মান দেখানোর চেষ্টা করব আমরা সবাই। সকল কাজের চেয়ে বিজয় দিবস গুরুত্বপূর্ণ। ফলে সকল সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীকে উপস্থিত থাকতে হবে। লক্ষ্য রাখতে হবে শ্রদ্ধা যেন শ্রদ্ধার সাথেই হয়। এসময় জেলা প্রশাসক হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, জাতীয় পতাকার অবমাননা কোনোভাবেই মেনে নেয়া হবে না। কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান যদি এ দিবস উপলক্ষে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে, তারা যেন সঠিক নিয়ম-কানুন মেনে পতাকা উত্তোলন করে। অন্যথায় তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কোনো দপ্তরে এ ধরনের ঘটনা ঘটলে সেই দপ্তর প্রধান দায়ী থাকবেন। বিজয় দিবসের সুনাম অক্ষুণ্ন রাখতে জাতীয় পতাকার রং ও মাপ সঠিক নিয়ম পালন করে উত্তোলন করতে হবে। যদি কেউ সঠিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন না করে, বিষয়টি যদি প্রশাসনের নজরে আসে, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সভায় মহান বিজয় দিবস, শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস ও চুয়াডাঙ্গা স্থানীয় মুক্ত দিবস পালনে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। এর মধ্যে মিনি ম্যারাথন দৌঁড় প্রতিযোগিতা, ইসলামিক ফাউন্ডেশনে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক আলোচনা সভা, শিশু একাডেমিতে বিভিন্ন প্রতিযোগিতা, সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহে আলোকসজ্জা, সড়কদ্বীপে জাতীয় পতাকা দ্বারা শোভাবর্ধন, ১৬ ডিসেম্বর ভোরে ৩১বার তোপধ্বনির মধ্যদিয়ে দিবসের সূচনা। এরপর জাতীয় পতাকা উত্তোলন, মহান শহিদ স্মৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ, পুরাতন স্টেডিয়াম মাঠে কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সিনেমা বিনামূল্যে প্রদর্শন, শিশুদের জন্য পার্ক বিনামূল্যে উন্মুক্ত থাকবে। হাসপাতাল, জেলখানা, শিশুপরিবার ও অন্ধস্কুলে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন, প্রীতি ফুটবল, দড়াটানা খেলা, নৌকাবাইচ খেলা, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ বিরোধী আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়াও শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবসে আলোচনা সভা, পুষ্পস্তবক অর্পণ ও মোমবাতি প্রজ্বলন এবং চুয়াডাঙ্গার স্থানীয় মুক্ত দিবসে আলোচনা সভা, মোমবাতি প্রজ্জ্বলন ও আলোচনা সভার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

চুয়াডাঙ্গায় মহান বিজয় দিবস, শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস ও স্থানীয় মুক্ত দিবস উপলক্ষে প্রস্তুতি সভায় ডিসি

জাতীয় পতাকার অবমাননা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না

আপলোড টাইম : ০৯:১২:৫৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক:
শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস ও মহান বিজয় দিবস-২০২৩ উদ্যাপন উপলক্ষে চুয়াডাঙ্গায় প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বুধবার সকাল ১০টায় চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসনের আয়োজনে জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে ওই সভা অনুষ্ঠিত হয়। জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ড. কিসিঞ্জার চাকমার সভাপতিত্বে ১৪ ডিসেম্বর শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস ও ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস-২০২৩ সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে উদ্যাপন উপলক্ষে প্রস্তুতিমূলক সভায় বিভিন্ন উপ-কমিটি গঠন করা হয়।
প্রস্তুতি সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপার আর. এম ফয়জুর রহমান (পিপিএম-সেবা), জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান মনজু, চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর সিদ্দিকুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদ্য পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত) রিয়াজুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা) শারমিন আক্তার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) নাজমুল হামিদ রেজা, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শামীম ভূঁইয়াসহ জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও সরকারি-বেসরকারি সকল দপ্তরের প্রতিনিধিগণ, সাংবাদিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ।
সভায় চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমা বলেন, দেশের সর্বশ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধারা। তাঁদের সর্বোচ্চ সম্মান দেখানোর চেষ্টা করব আমরা সবাই। সকল কাজের চেয়ে বিজয় দিবস গুরুত্বপূর্ণ। ফলে সকল সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীকে উপস্থিত থাকতে হবে। লক্ষ্য রাখতে হবে শ্রদ্ধা যেন শ্রদ্ধার সাথেই হয়। এসময় জেলা প্রশাসক হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, জাতীয় পতাকার অবমাননা কোনোভাবেই মেনে নেয়া হবে না। কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান যদি এ দিবস উপলক্ষে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে, তারা যেন সঠিক নিয়ম-কানুন মেনে পতাকা উত্তোলন করে। অন্যথায় তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কোনো দপ্তরে এ ধরনের ঘটনা ঘটলে সেই দপ্তর প্রধান দায়ী থাকবেন। বিজয় দিবসের সুনাম অক্ষুণ্ন রাখতে জাতীয় পতাকার রং ও মাপ সঠিক নিয়ম পালন করে উত্তোলন করতে হবে। যদি কেউ সঠিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন না করে, বিষয়টি যদি প্রশাসনের নজরে আসে, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সভায় মহান বিজয় দিবস, শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস ও চুয়াডাঙ্গা স্থানীয় মুক্ত দিবস পালনে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। এর মধ্যে মিনি ম্যারাথন দৌঁড় প্রতিযোগিতা, ইসলামিক ফাউন্ডেশনে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক আলোচনা সভা, শিশু একাডেমিতে বিভিন্ন প্রতিযোগিতা, সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহে আলোকসজ্জা, সড়কদ্বীপে জাতীয় পতাকা দ্বারা শোভাবর্ধন, ১৬ ডিসেম্বর ভোরে ৩১বার তোপধ্বনির মধ্যদিয়ে দিবসের সূচনা। এরপর জাতীয় পতাকা উত্তোলন, মহান শহিদ স্মৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ, পুরাতন স্টেডিয়াম মাঠে কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সিনেমা বিনামূল্যে প্রদর্শন, শিশুদের জন্য পার্ক বিনামূল্যে উন্মুক্ত থাকবে। হাসপাতাল, জেলখানা, শিশুপরিবার ও অন্ধস্কুলে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন, প্রীতি ফুটবল, দড়াটানা খেলা, নৌকাবাইচ খেলা, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ বিরোধী আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়াও শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবসে আলোচনা সভা, পুষ্পস্তবক অর্পণ ও মোমবাতি প্রজ্বলন এবং চুয়াডাঙ্গার স্থানীয় মুক্ত দিবসে আলোচনা সভা, মোমবাতি প্রজ্জ্বলন ও আলোচনা সভার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।