ইপেপার । আজ বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৪

জয়রামপুর রেলস্টেশনে ব্যানার-ফেস্টুন হাতে নিয়ে এলাকাবাসীর মানববন্ধন

নকশিকাঁথা মেইল ট্রেনের যাত্রাবিরতির দাবি

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৪:৫৬:২৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৩
  • / ২৯ বার পড়া হয়েছে

প্রতিবেদক, জয়রামপুর:
দামুড়হুদা উপজেলার জয়রামপুর স্টেশনে নকশিকাঁথা মেইল ট্রেনের যাত্রাবিরতি পুনর্বহাল রাখার দাবিতে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী। গতকাল শুক্রবার বিকেল সাড়ে চারটায় জয়রামপুর স্টেশন প্ল্যাটফর্মে জয়রামপুর গ্রামসহ আশেপাশের গ্রামের সাধারণ মানুষ ব্যানার-ফেস্টুন হাতে নিয়ে এই মানববন্ধনে অংশ নেয়। এতে প্রতিনিধিত্ব করেন জয়রামপুর মানবকল্যাণের কেন্দ্রীয় সভাপতি মিলন মাহমুদ ও সেনা সদস্য লাজিব সিদ্দিক।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন দামুড়হুদার হাউলী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আবু সাঈদ খোকন, জয়রামপুর ডিএস দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক নাফিস আক্তার সিদ্দিক, সেনা সদস্য লাজিব আক্তার সিদ্দিক ও জয়রামপুর মানবকল্যাণ সংগঠনের সভাপতি মিলন মাহমুদসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, জয়রামপুর স্টেশন কৃষি নির্ভর স্টেশন। জয়রামপুর একটি কৃষি অধ্যুষিত এলাকা। এখানে প্রচুর পরিমাণ সবজি চাষ হয়। নকশিকাঁথা মেইল ট্রেনের মাধ্যমে জয়রামপুরসহ আশেপাশে গ্রামের সবজি কুষ্টিয়া, কুমারখালী, রাজবাড়ী, খুলনা, দৌলতপুর, যশোর ইত্যাদি স্থানে বিক্রির জন্য নেওয়া হয়।

হাউলী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ খোকন বলেন, দামুড়হুদা থানার একমাত্র ঐতিহ্যবাহী রেলস্টেশন জয়রামপুর। জয়রামপুরসহ আশেপাশের গ্রামে খেটে খাওয়া দিনমজুর মানুষের চলাচলের একমাত্র বাহন হলো এই লোকাল ট্রেন। এই লোকাল ট্রেনের মাধ্যমে তাদের জীবিকা নির্ভর করে। অসুস্থ মানুষ এখান থেকে ট্রেনে করে চিকিৎসা নিতে যায়, যাতে তাদের যাতায়াত খরচটা কম হয়। কৃষিপণ্য বহন করে খরচ কমানোর জন্য। এই ট্রেনটি যদি এখানে না থামে, তাহলে তাদের বড় ধরনের ক্ষতি হয়ে যাবে। এ জন্য রেল মন্ত্রণালয়ের কাছে তাদের দাবি, অবিলম্বে জয়রামপুর রেলস্টেশনের লোকবল নিয়োগের মাধ্যমে আবারও এই স্টেশনটাকে পুনরুজ্জীবিত করতে হবে।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশের প্রথম রেল যোগাযোগ স্থাপন হয় দর্শনা থেকে জগতি পর্যন্ত। ১৮৬২ সাল থেকে দর্শনা থেকে জগতি রেল যোগাযোগের প্রথম হলেও এলাকার মানুষের দাবি জয়রামপুর প্রথম স্টেশন। চুয়াডাঙ্গা জেলার ঐতিহ্যবাহী কৃষি পণ্যবাহী প্রথম স্টেশন নামে খ্যাত জয়রামপুর রেলস্টেশন। এই ঐতিহ্যবাহী রেল স্টেশনে আন্তঃনগর ট্রেনের যাত্রাবিরতি না থাকলেও মেইল ট্রেনগুলো যাত্রাবিরতি করত। জয়রামপুর থেকে কৃষিপণ্য ঢাকা, খুলনা, রাজশাহী বিভিন্ন এলাকায় বিক্রয়ের জন্য নিয়ে যাওয়ার প্রধান বাহন হিসেবে ব্যবহৃত হতো নকশিকাঁথা মেইল ট্রেন। জয়রামপুরসহ আশেপাশে গ্রামের মানুষের দাবি, অবিলম্বে নকশিকাঁথা ২৫ নকশি কাঁথা ২৬ মেইল ট্রেনের যাত্রাবিরতি পুনর্বহাল রাখতে হবে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

জয়রামপুর রেলস্টেশনে ব্যানার-ফেস্টুন হাতে নিয়ে এলাকাবাসীর মানববন্ধন

নকশিকাঁথা মেইল ট্রেনের যাত্রাবিরতির দাবি

আপলোড টাইম : ০৪:৫৬:২৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৩

প্রতিবেদক, জয়রামপুর:
দামুড়হুদা উপজেলার জয়রামপুর স্টেশনে নকশিকাঁথা মেইল ট্রেনের যাত্রাবিরতি পুনর্বহাল রাখার দাবিতে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী। গতকাল শুক্রবার বিকেল সাড়ে চারটায় জয়রামপুর স্টেশন প্ল্যাটফর্মে জয়রামপুর গ্রামসহ আশেপাশের গ্রামের সাধারণ মানুষ ব্যানার-ফেস্টুন হাতে নিয়ে এই মানববন্ধনে অংশ নেয়। এতে প্রতিনিধিত্ব করেন জয়রামপুর মানবকল্যাণের কেন্দ্রীয় সভাপতি মিলন মাহমুদ ও সেনা সদস্য লাজিব সিদ্দিক।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন দামুড়হুদার হাউলী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আবু সাঈদ খোকন, জয়রামপুর ডিএস দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক নাফিস আক্তার সিদ্দিক, সেনা সদস্য লাজিব আক্তার সিদ্দিক ও জয়রামপুর মানবকল্যাণ সংগঠনের সভাপতি মিলন মাহমুদসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, জয়রামপুর স্টেশন কৃষি নির্ভর স্টেশন। জয়রামপুর একটি কৃষি অধ্যুষিত এলাকা। এখানে প্রচুর পরিমাণ সবজি চাষ হয়। নকশিকাঁথা মেইল ট্রেনের মাধ্যমে জয়রামপুরসহ আশেপাশে গ্রামের সবজি কুষ্টিয়া, কুমারখালী, রাজবাড়ী, খুলনা, দৌলতপুর, যশোর ইত্যাদি স্থানে বিক্রির জন্য নেওয়া হয়।

হাউলী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ খোকন বলেন, দামুড়হুদা থানার একমাত্র ঐতিহ্যবাহী রেলস্টেশন জয়রামপুর। জয়রামপুরসহ আশেপাশের গ্রামে খেটে খাওয়া দিনমজুর মানুষের চলাচলের একমাত্র বাহন হলো এই লোকাল ট্রেন। এই লোকাল ট্রেনের মাধ্যমে তাদের জীবিকা নির্ভর করে। অসুস্থ মানুষ এখান থেকে ট্রেনে করে চিকিৎসা নিতে যায়, যাতে তাদের যাতায়াত খরচটা কম হয়। কৃষিপণ্য বহন করে খরচ কমানোর জন্য। এই ট্রেনটি যদি এখানে না থামে, তাহলে তাদের বড় ধরনের ক্ষতি হয়ে যাবে। এ জন্য রেল মন্ত্রণালয়ের কাছে তাদের দাবি, অবিলম্বে জয়রামপুর রেলস্টেশনের লোকবল নিয়োগের মাধ্যমে আবারও এই স্টেশনটাকে পুনরুজ্জীবিত করতে হবে।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশের প্রথম রেল যোগাযোগ স্থাপন হয় দর্শনা থেকে জগতি পর্যন্ত। ১৮৬২ সাল থেকে দর্শনা থেকে জগতি রেল যোগাযোগের প্রথম হলেও এলাকার মানুষের দাবি জয়রামপুর প্রথম স্টেশন। চুয়াডাঙ্গা জেলার ঐতিহ্যবাহী কৃষি পণ্যবাহী প্রথম স্টেশন নামে খ্যাত জয়রামপুর রেলস্টেশন। এই ঐতিহ্যবাহী রেল স্টেশনে আন্তঃনগর ট্রেনের যাত্রাবিরতি না থাকলেও মেইল ট্রেনগুলো যাত্রাবিরতি করত। জয়রামপুর থেকে কৃষিপণ্য ঢাকা, খুলনা, রাজশাহী বিভিন্ন এলাকায় বিক্রয়ের জন্য নিয়ে যাওয়ার প্রধান বাহন হিসেবে ব্যবহৃত হতো নকশিকাঁথা মেইল ট্রেন। জয়রামপুরসহ আশেপাশে গ্রামের মানুষের দাবি, অবিলম্বে নকশিকাঁথা ২৫ নকশি কাঁথা ২৬ মেইল ট্রেনের যাত্রাবিরতি পুনর্বহাল রাখতে হবে।