ইপেপার । আজ শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪

জমি ও রাস্তার বিরোধে চারজন পিটিয়ে জখম!

নিজস্ব প্রতিবেদক:
  • আপলোড টাইম : ০১:৪২:৪০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ এপ্রিল ২০২২
  • / ২১ বার পড়া হয়েছে

চুয়াডাঙ্গায় জমি ও রাস্তা নিয়ে বিরোধের জেরে ফুফু ও চাচা-চাচীসহ তিনজনকে রড দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করার অভিযোগ উঠেছে তাদেরই আপন দুই ভাতিজার বিরুদ্ধে। গতকাল মঙ্গলবার বিকেল চারটার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার হাজরাহাটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরে পরিবারের সদস্যরা রক্তাক্ত জখম অবস্থায় আহতদের উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেয়। আহতরা হলেন- হাজরাহাটি গ্রামের বিশ্বাসপাড়ার মৃত আব্দুল মজিদের মেয়ে হাজেরা বেগম (৭০), ছেলে সাবু বিশ্বাস (৫৫) ও তাঁর স্ত্রী মাসুরা খাতুন (৪০)। অভিযুক্ত দুজন হলেন- সাবু বিশ্বাসের ভাই বাবলু বিশ্বাসের দুই ছেলে মনিরুল ইসলাম (২৬) ও মারিফুল ইসলাম (২৩)।

জানা যায়, আহত সাবু বিশ্বাস ও তাঁর ছোট ভাই বাবলু বিশ্বাসের মধ্যে পৈত্রিক জমি ও রাস্তা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এ নিয়ে গতকাল বিকেলে দুই ভাইয়ের মধ্যে বাগবিত-ার সৃষ্টি হয়। এরই একপর্যায়ে বাবলু বিশ্বাসের দুই ছেলে মনিরুল ও মারিফুল তাদের চাচা সাবু বিশ্বাসকে রড দিয়ে পিটিয়ে জখম করে। সাবু বিশ্বাসকে ঠেকাতে গেলে মনিরুল ও মারিফুল দুই ভাই তাদের ফুফু হাজেরা ও চাচী মাসুরাকেও রড দিয়ে পিটিয়ে জখম করে। এসময় মনিরুলও সামান্য আহত হয়।

আহত মাসুরা খাতুন বলেন, ‘আমাদের বাড়ি বাবলুর বাড়ির পেছনের দিকে হওয়ায় আমাদের বাড়িতে প্রবেশের একটি রাস্তা রয়েছে। তবে বাবলু আমাদের বাড়িতে চলাচলের রাস্তার সঙ্গে বাড়ি বানাচ্ছে। আবার রাস্তার দিকে বড় করে সানসেট তৈরি করছে। আমার স্বামী বাবলুকে রাস্তার দিকে সানসেট দিতে নিষেধ করলে বাবলুর দুই ছেলে মনিরুল ও মারিফুল তার সঙ্গে খারাপ আচরণ করতে শুরু করে। এরই একপর্যায়ে মনিরুল ও মারিফুল আমার স্বামীকে মোটা রড দিয়ে পেটাতে শুরু করে। আমি ও আমার ননদ ঠেকাতে গেলে তারা দুই ভাই আমাদেরকেও রড দিয়ে পিটিয়ে আহত করে। পরে বাড়ির অন্যান্যরা আমাদেরকে হাসপাতালে নিয়ে আসে।’

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. আফরিনা ইসলাম বলেন, ‘বিকেল সাড়ে চারটার দিকে রক্তাক্ত জখম অবস্থায় চারজনকে জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়। প্রত্যেকের শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। জরুরি বিভাগ থেকে তাদেরকে তাৎক্ষণিক চিকিৎসা প্রদান করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে সাবু বিশ্বাসের জখম গুরুতর হওয়ায় তাকে ভর্তি থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।’

চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন বলেন, ‘এ ঘটনা সম্পর্কে এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

জমি ও রাস্তার বিরোধে চারজন পিটিয়ে জখম!

আপলোড টাইম : ০১:৪২:৪০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ এপ্রিল ২০২২

চুয়াডাঙ্গায় জমি ও রাস্তা নিয়ে বিরোধের জেরে ফুফু ও চাচা-চাচীসহ তিনজনকে রড দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করার অভিযোগ উঠেছে তাদেরই আপন দুই ভাতিজার বিরুদ্ধে। গতকাল মঙ্গলবার বিকেল চারটার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার হাজরাহাটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরে পরিবারের সদস্যরা রক্তাক্ত জখম অবস্থায় আহতদের উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেয়। আহতরা হলেন- হাজরাহাটি গ্রামের বিশ্বাসপাড়ার মৃত আব্দুল মজিদের মেয়ে হাজেরা বেগম (৭০), ছেলে সাবু বিশ্বাস (৫৫) ও তাঁর স্ত্রী মাসুরা খাতুন (৪০)। অভিযুক্ত দুজন হলেন- সাবু বিশ্বাসের ভাই বাবলু বিশ্বাসের দুই ছেলে মনিরুল ইসলাম (২৬) ও মারিফুল ইসলাম (২৩)।

জানা যায়, আহত সাবু বিশ্বাস ও তাঁর ছোট ভাই বাবলু বিশ্বাসের মধ্যে পৈত্রিক জমি ও রাস্তা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এ নিয়ে গতকাল বিকেলে দুই ভাইয়ের মধ্যে বাগবিত-ার সৃষ্টি হয়। এরই একপর্যায়ে বাবলু বিশ্বাসের দুই ছেলে মনিরুল ও মারিফুল তাদের চাচা সাবু বিশ্বাসকে রড দিয়ে পিটিয়ে জখম করে। সাবু বিশ্বাসকে ঠেকাতে গেলে মনিরুল ও মারিফুল দুই ভাই তাদের ফুফু হাজেরা ও চাচী মাসুরাকেও রড দিয়ে পিটিয়ে জখম করে। এসময় মনিরুলও সামান্য আহত হয়।

আহত মাসুরা খাতুন বলেন, ‘আমাদের বাড়ি বাবলুর বাড়ির পেছনের দিকে হওয়ায় আমাদের বাড়িতে প্রবেশের একটি রাস্তা রয়েছে। তবে বাবলু আমাদের বাড়িতে চলাচলের রাস্তার সঙ্গে বাড়ি বানাচ্ছে। আবার রাস্তার দিকে বড় করে সানসেট তৈরি করছে। আমার স্বামী বাবলুকে রাস্তার দিকে সানসেট দিতে নিষেধ করলে বাবলুর দুই ছেলে মনিরুল ও মারিফুল তার সঙ্গে খারাপ আচরণ করতে শুরু করে। এরই একপর্যায়ে মনিরুল ও মারিফুল আমার স্বামীকে মোটা রড দিয়ে পেটাতে শুরু করে। আমি ও আমার ননদ ঠেকাতে গেলে তারা দুই ভাই আমাদেরকেও রড দিয়ে পিটিয়ে আহত করে। পরে বাড়ির অন্যান্যরা আমাদেরকে হাসপাতালে নিয়ে আসে।’

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. আফরিনা ইসলাম বলেন, ‘বিকেল সাড়ে চারটার দিকে রক্তাক্ত জখম অবস্থায় চারজনকে জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়। প্রত্যেকের শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। জরুরি বিভাগ থেকে তাদেরকে তাৎক্ষণিক চিকিৎসা প্রদান করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে সাবু বিশ্বাসের জখম গুরুতর হওয়ায় তাকে ভর্তি থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।’

চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন বলেন, ‘এ ঘটনা সম্পর্কে এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’