ইপেপার । আজ সোমবার, ২১ অক্টোবর ২০২৪

চুয়াডাঙ্গা বিএরটিএ’র লিগ্যাল নোটিশ

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:১১:০৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৫ অক্টোবর ২০২২
  • / ২০ বার পড়া হয়েছে

ভুল তথ্য দিয়ে সংবাদ প্রচার করায় অনিবন্ধিত চঠ অনলাইন পত্রিকার সম্পাদক সামসুদ্দিন চৌধুরীর বিরুদ্ধে লিগ্যাল নোটিশ দিয়েছেন চুয়াডাঙ্গা বিআরটিএ সিল ম্যাকানিক। নোটিশে বলা হয়েছে- গত ৩ অক্টোবর চঠ নামক ব্যক্তিগত অনলাইন পত্রিকার একটি পেজে ‘নবায়ন ড্রাইভিং লাইসেন্স-এর কিছু রেফারেন্স নম্বর দিয়ে জালিয়াতি করে ৪৫ লাখ টাকা নিয়েছে সহকারী পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার সৈয়দ আইনুল হুদা চৌধুরী ও ক্যাশিয়ার মো. জাকির হোসেন’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ হয়।
এবিষয়ে চুয়াডাঙ্গা বিআরটিএ অফিসের সহকারী পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার সৈয়দ আইনুল হুদা চৌধুরী জানান, নবায়নের কার্যক্রম বন্ধ ছিল প্রায় ২ বছর। তিনি চুয়াডাঙ্গা অফিসে যোগদান করেছেন গত বছরের ২২ ডিসেম্বর। যা এখনো এক বছর পূর্ণ হয়নি। প্রায় দুই বছর বন্ধ থাকা লাইসেন্স ১১ মাসে যোগদান করা সহকারী পরিচালক কী করে এত টাকা নিয়ে লাইসেন্স প্রদান করেছে? ড্রাইভিং লাইসেন্স চুয়াডাঙ্গা বিআরটিএ সার্কেল থেকে ঢাকায় প্লাস্টিক কার্ড হওয়ার জন্য এ পর্যন্ত কোনো নবায়ন লাইসেন্স সাবমিট হয়নি। এবং সহকারী পরিচালক এর দপ্তর থেকে সাবমিট না হলে ঢাকা থেকে কোনো কার্ড আসার প্রশ্নই আসে না। প্রতিটি উ/খ এর ভলিউম আছে এবং ভলিউমে তৎকালীন লাইসেন্সিং কর্তৃপক্ষের স্বাক্ষর আছে। যে সকল উ/খ রেফারেন্স নম্বর অভিযোগ আনা হয়েছে, তার সত্য ০৯/১০টি লাইসেন্স স্মার্টকার্ড, ৫/৭ বছর আগে গ্রাহকগণ পেয়েছে। ওই প্রাপ্তির মধ্যেই কেউ কেউ নবায়নের জন্য আবেদন করেছে। চুয়াডাঙ্গা বিআরটিএ অফিসে গোপন নথির বহিপ্রকাশ করেছে। তিনি আরও জানান, তারা আইনগতভাবে এ অনলাইন পেজের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
সহকারী পরিচালক আরও বলেন, ‘আমার আমলে দুটি নবায়ন পরীক্ষার কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে। এর ভেতরে ভুল তথ্য দেওয়া এই ধরনের রেফারেন্স নম্বর আমার দুটি বোর্ডে রেজ্যুলেশনের তালিকায় নেই।’ তিনি বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে জাকির হোসেন বিআরটিএ চুয়াডাঙ্গা সার্কেলে সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। তার পিছনে অনেক শত্রুপক্ষের লোক লেগে আছে। কিছু শত্রুপক্ষ তাকে ও তার কার্যক্রমে ক্ষতি করার চেষ্টা করছে। দীর্ঘদিন যদি কোনো লোক একই পদে চাকরি করেন, তাহলে তার অনেক শত্রু তৈরি হয়। এই শত্রুতার মধ্যে অফিসের কোনো কর্মচারী জড়িত থাকতে পারে বিস্তারিত যাচাই-বাছাই করে দেখা হবে।’
এবিষয়ে অভিযুক্ত চঠ অনলাইন পত্রিকার সম্পাদক সামসুদ্দিন চৌধুরীর মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি ফোন ধরেননি। -বিজ্ঞপ্তি

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

চুয়াডাঙ্গা বিএরটিএ’র লিগ্যাল নোটিশ

আপলোড টাইম : ০৯:১১:০৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৫ অক্টোবর ২০২২

ভুল তথ্য দিয়ে সংবাদ প্রচার করায় অনিবন্ধিত চঠ অনলাইন পত্রিকার সম্পাদক সামসুদ্দিন চৌধুরীর বিরুদ্ধে লিগ্যাল নোটিশ দিয়েছেন চুয়াডাঙ্গা বিআরটিএ সিল ম্যাকানিক। নোটিশে বলা হয়েছে- গত ৩ অক্টোবর চঠ নামক ব্যক্তিগত অনলাইন পত্রিকার একটি পেজে ‘নবায়ন ড্রাইভিং লাইসেন্স-এর কিছু রেফারেন্স নম্বর দিয়ে জালিয়াতি করে ৪৫ লাখ টাকা নিয়েছে সহকারী পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার সৈয়দ আইনুল হুদা চৌধুরী ও ক্যাশিয়ার মো. জাকির হোসেন’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ হয়।
এবিষয়ে চুয়াডাঙ্গা বিআরটিএ অফিসের সহকারী পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার সৈয়দ আইনুল হুদা চৌধুরী জানান, নবায়নের কার্যক্রম বন্ধ ছিল প্রায় ২ বছর। তিনি চুয়াডাঙ্গা অফিসে যোগদান করেছেন গত বছরের ২২ ডিসেম্বর। যা এখনো এক বছর পূর্ণ হয়নি। প্রায় দুই বছর বন্ধ থাকা লাইসেন্স ১১ মাসে যোগদান করা সহকারী পরিচালক কী করে এত টাকা নিয়ে লাইসেন্স প্রদান করেছে? ড্রাইভিং লাইসেন্স চুয়াডাঙ্গা বিআরটিএ সার্কেল থেকে ঢাকায় প্লাস্টিক কার্ড হওয়ার জন্য এ পর্যন্ত কোনো নবায়ন লাইসেন্স সাবমিট হয়নি। এবং সহকারী পরিচালক এর দপ্তর থেকে সাবমিট না হলে ঢাকা থেকে কোনো কার্ড আসার প্রশ্নই আসে না। প্রতিটি উ/খ এর ভলিউম আছে এবং ভলিউমে তৎকালীন লাইসেন্সিং কর্তৃপক্ষের স্বাক্ষর আছে। যে সকল উ/খ রেফারেন্স নম্বর অভিযোগ আনা হয়েছে, তার সত্য ০৯/১০টি লাইসেন্স স্মার্টকার্ড, ৫/৭ বছর আগে গ্রাহকগণ পেয়েছে। ওই প্রাপ্তির মধ্যেই কেউ কেউ নবায়নের জন্য আবেদন করেছে। চুয়াডাঙ্গা বিআরটিএ অফিসে গোপন নথির বহিপ্রকাশ করেছে। তিনি আরও জানান, তারা আইনগতভাবে এ অনলাইন পেজের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
সহকারী পরিচালক আরও বলেন, ‘আমার আমলে দুটি নবায়ন পরীক্ষার কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে। এর ভেতরে ভুল তথ্য দেওয়া এই ধরনের রেফারেন্স নম্বর আমার দুটি বোর্ডে রেজ্যুলেশনের তালিকায় নেই।’ তিনি বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে জাকির হোসেন বিআরটিএ চুয়াডাঙ্গা সার্কেলে সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। তার পিছনে অনেক শত্রুপক্ষের লোক লেগে আছে। কিছু শত্রুপক্ষ তাকে ও তার কার্যক্রমে ক্ষতি করার চেষ্টা করছে। দীর্ঘদিন যদি কোনো লোক একই পদে চাকরি করেন, তাহলে তার অনেক শত্রু তৈরি হয়। এই শত্রুতার মধ্যে অফিসের কোনো কর্মচারী জড়িত থাকতে পারে বিস্তারিত যাচাই-বাছাই করে দেখা হবে।’
এবিষয়ে অভিযুক্ত চঠ অনলাইন পত্রিকার সম্পাদক সামসুদ্দিন চৌধুরীর মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি ফোন ধরেননি। -বিজ্ঞপ্তি