ইপেপার । আজ শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪

চুয়াডাঙ্গা ফেরিঘাট রোডে আওয়ামী লীগ নেতা খুস্তার জামিলের বাড়ি সংলগ্ন বৈদ্যুতিক খুটিতে আগুন, অল্পের জন্য রক্ষা!

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৭:০৭:২৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • / ২৭ বার পড়া হয়েছে


সমীকরণ প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গা শহরের গুরুত্বপূর্ণ ফেরিঘাট রোডে বৈদ্যুতিক খুটিতে অবস্তিত তারের জটলায় শর্টসার্কিট হয়ে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। তবে সতর্কতা অবলম্বন করায় অল্পের জন্য ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের হাত থেকে প্রাণে রক্ষা পেয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও বিশিষ্ট ঠিকাদার খুস্তার জামিলসহ তার পরিবারের সদস্যরা। এছাড়া ফেরিঘাট রোডে অবস্থিত বড় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো ও তাদের গোডাউনে থাকা কোটি কোটি টাকার মালামালও এই আগুন রক্ষা পেয়েছে। গতকাল রোববার দিবাগত রাত ১টার দিকে ফেরিঘাট রোডে অবস্থিত আওয়ামী লীগ নেতা খুস্তার জামিলের বাড়ি সংলগ্ন বৈদ্যুতিক খুঁটির তারের জটলায় এই আগুনের সূত্রপাত হয়। এরপর পাশের বিল্ডিংয়ের তারেও সেই আগুন ছড়ালে এলাকার আবাসিক ভবনের সদস্যদের মধ্যে আগুন আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এসময় ফেরিঘাট রোডে বসবাসকারীদের মেইন সড়কে তাদের পরিবারসহ অবস্থান নিতে দেখা যায়। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের সদস্যরা খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছে আগুন নিয়ন্ত্রণে নেন। এর আগে চুয়াডাঙ্গা শহরের বিদ্যু অফিসে এলাকাবাসী ফোন দিলে তারা সঙ্গে সঙ্গে ফেরিঘাট রোড ফেজের লাইনটি বন্ধ করে দেয়। এরপর বিদ্যু অফিসে কর্মীরা এসে তারের জটলাগুলো সরিয়ে পরিস্থিতি আরো স্বাভাবিক করে। তবে ঘটনাস্থলে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার একটি টিম জেলার ব্যবসায়ীদের প্রাণকেন্দ্র এই ফেরিঘাট রোডে সার্বক্ষণিকভাবে অবস্থান করে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দেখা যায়।
চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও বিশিষ্ট ঠিকাদার খুস্তার জামিল বলেন, ‘বৈদ্যুতিক খুটিগুলোতে ওজোপাডিকো, ডিশ ও ইন্টারনেট লাইনের তারসহ বিভিন্ন সার্ভিস তার অ্যামেল-গেমেট (এলোমেলোভাবে) অবস্থায় জটলা পাকিয়ে আছে। যার কারণে মাঝেমধ্যেই বৈদ্যুতিক খুটিগুলোতে বিদ্যুতের শর্টসার্কিট হচ্ছে। আজ আমরা যদি সময় মতো টের না পেতাম, তাহলে পরিবারসহ ভয়াবহ আগুনে ক্ষতিগ্রস্থ হতাম। প্রত্যেকটি বৈদ্যুতিক খুটিতে থাকা তারগুলো এখনই শৃঙ্খলার মধ্যে আনতে হবে। তা নাহলে যে কেউ যেকোনো সময় বাজে পরিস্থিতির মধ্যে পড়বে।’
চুয়াডাঙ্গা ফেরিঘাট রোডের বাসিন্দা ও ব্যবসায়ী পবিত্র কুমার আগরওয়ালা ও শংকর কুমার দে বলেন, ‘খুস্তার জামিল মামার বাড়ির সামনের বৈদ্যুতিক খুটিতে থাকা কেবল লাইনের তারে বিদ্যুতের শর্টসার্কিট হয়ে আগুন লেগে যায়। এরপরই আমরা বিদ্যুত অফিস ও ফায়ার সার্ভিসে কল দিই। তারা দ্রুত এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে নেয়। আমরা ফেরিঘাট রোডে বসবাসকারীরা খুব ভয় পেয়ে গেছিলাম। আগুন যদি পুরো এলাকায় ছড়াতো, তাহলে খুস্তার জামিল মামার পরিবারসহ আমরা ও আমাদের পরিবারের লোকজন খুব বিপদের মধ্যে পড়তাম। আর এই এলাকার কোটি কোটি টাকার ব্যবসায়ী মালামাল পুড়তো। এই তারের জটলার একটা সমাধান হওয়া উচিত।’
ঘটনাস্থলে লাইন ঠিক করতে চুয়াডাঙ্গা ওজোপাডিকোর কর্মীরা বলেন, আমরা আপাতত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে কিছু সংযোগ ও সার্ভিস তার কেটে রেখেছি। পরে এগুলো একটা শৃঙ্খলার মধ্যে আনা হবে।
ঘটনাস্থলে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা চুয়াডাঙ্গা ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের সদস্যরা বলেন, সংবাদ পেয়ে আমরা দ্রুত ফেরিঘাট রোডে পৌছে, আগুন নিয়ন্ত্রণে আনি। ঝড়-বৃষ্টির কারণে বৈদ্যুতিক খুটিতে থাকা তারের জটলায় শর্টসার্কিট হয়েছে বলে আমরা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি। তবে কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

চুয়াডাঙ্গা ফেরিঘাট রোডে আওয়ামী লীগ নেতা খুস্তার জামিলের বাড়ি সংলগ্ন বৈদ্যুতিক খুটিতে আগুন, অল্পের জন্য রক্ষা!

আপলোড টাইম : ০৭:০৭:২৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২২


সমীকরণ প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গা শহরের গুরুত্বপূর্ণ ফেরিঘাট রোডে বৈদ্যুতিক খুটিতে অবস্তিত তারের জটলায় শর্টসার্কিট হয়ে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। তবে সতর্কতা অবলম্বন করায় অল্পের জন্য ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের হাত থেকে প্রাণে রক্ষা পেয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও বিশিষ্ট ঠিকাদার খুস্তার জামিলসহ তার পরিবারের সদস্যরা। এছাড়া ফেরিঘাট রোডে অবস্থিত বড় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো ও তাদের গোডাউনে থাকা কোটি কোটি টাকার মালামালও এই আগুন রক্ষা পেয়েছে। গতকাল রোববার দিবাগত রাত ১টার দিকে ফেরিঘাট রোডে অবস্থিত আওয়ামী লীগ নেতা খুস্তার জামিলের বাড়ি সংলগ্ন বৈদ্যুতিক খুঁটির তারের জটলায় এই আগুনের সূত্রপাত হয়। এরপর পাশের বিল্ডিংয়ের তারেও সেই আগুন ছড়ালে এলাকার আবাসিক ভবনের সদস্যদের মধ্যে আগুন আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এসময় ফেরিঘাট রোডে বসবাসকারীদের মেইন সড়কে তাদের পরিবারসহ অবস্থান নিতে দেখা যায়। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের সদস্যরা খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছে আগুন নিয়ন্ত্রণে নেন। এর আগে চুয়াডাঙ্গা শহরের বিদ্যু অফিসে এলাকাবাসী ফোন দিলে তারা সঙ্গে সঙ্গে ফেরিঘাট রোড ফেজের লাইনটি বন্ধ করে দেয়। এরপর বিদ্যু অফিসে কর্মীরা এসে তারের জটলাগুলো সরিয়ে পরিস্থিতি আরো স্বাভাবিক করে। তবে ঘটনাস্থলে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার একটি টিম জেলার ব্যবসায়ীদের প্রাণকেন্দ্র এই ফেরিঘাট রোডে সার্বক্ষণিকভাবে অবস্থান করে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দেখা যায়।
চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও বিশিষ্ট ঠিকাদার খুস্তার জামিল বলেন, ‘বৈদ্যুতিক খুটিগুলোতে ওজোপাডিকো, ডিশ ও ইন্টারনেট লাইনের তারসহ বিভিন্ন সার্ভিস তার অ্যামেল-গেমেট (এলোমেলোভাবে) অবস্থায় জটলা পাকিয়ে আছে। যার কারণে মাঝেমধ্যেই বৈদ্যুতিক খুটিগুলোতে বিদ্যুতের শর্টসার্কিট হচ্ছে। আজ আমরা যদি সময় মতো টের না পেতাম, তাহলে পরিবারসহ ভয়াবহ আগুনে ক্ষতিগ্রস্থ হতাম। প্রত্যেকটি বৈদ্যুতিক খুটিতে থাকা তারগুলো এখনই শৃঙ্খলার মধ্যে আনতে হবে। তা নাহলে যে কেউ যেকোনো সময় বাজে পরিস্থিতির মধ্যে পড়বে।’
চুয়াডাঙ্গা ফেরিঘাট রোডের বাসিন্দা ও ব্যবসায়ী পবিত্র কুমার আগরওয়ালা ও শংকর কুমার দে বলেন, ‘খুস্তার জামিল মামার বাড়ির সামনের বৈদ্যুতিক খুটিতে থাকা কেবল লাইনের তারে বিদ্যুতের শর্টসার্কিট হয়ে আগুন লেগে যায়। এরপরই আমরা বিদ্যুত অফিস ও ফায়ার সার্ভিসে কল দিই। তারা দ্রুত এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে নেয়। আমরা ফেরিঘাট রোডে বসবাসকারীরা খুব ভয় পেয়ে গেছিলাম। আগুন যদি পুরো এলাকায় ছড়াতো, তাহলে খুস্তার জামিল মামার পরিবারসহ আমরা ও আমাদের পরিবারের লোকজন খুব বিপদের মধ্যে পড়তাম। আর এই এলাকার কোটি কোটি টাকার ব্যবসায়ী মালামাল পুড়তো। এই তারের জটলার একটা সমাধান হওয়া উচিত।’
ঘটনাস্থলে লাইন ঠিক করতে চুয়াডাঙ্গা ওজোপাডিকোর কর্মীরা বলেন, আমরা আপাতত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে কিছু সংযোগ ও সার্ভিস তার কেটে রেখেছি। পরে এগুলো একটা শৃঙ্খলার মধ্যে আনা হবে।
ঘটনাস্থলে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা চুয়াডাঙ্গা ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের সদস্যরা বলেন, সংবাদ পেয়ে আমরা দ্রুত ফেরিঘাট রোডে পৌছে, আগুন নিয়ন্ত্রণে আনি। ঝড়-বৃষ্টির কারণে বৈদ্যুতিক খুটিতে থাকা তারের জটলায় শর্টসার্কিট হয়েছে বলে আমরা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি। তবে কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।