ইপেপার । আজ শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪

চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাব ও সাংবাদিক সমিতির নবনির্বাচিত নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময়কালে এমপি ছেলুন জোয়ার্দ্দার

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:০৫:৫৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২১
  • / ৪১ বার পড়া হয়েছে

‘আমরা সকলে মিলে মিশে আছি, যখন যতটুকু উন্নয়নে কাজ করতে পারছি উন্নতি করছি। সংসারের সকলে মিলে মিশে থাকলে সংসারের উন্নতি হয়। একটি প্রতিষ্ঠান বা সংঠনও তাই। তোমরা যারা সাংবাদিকতা করছো, প্রেসক্লাবে মিলেমিশে আছো বলেই তোমাদেরও উন্নতি হচ্ছে। নতুন যে কমিটি মিলেমিশে গঠন করেছো, এ কমিটি সকল বিভেদ ভুলে প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নসহ সকল সদস্যের কল্যাণে কাজ করবে বলে আমি বিশ^াস করি।’

চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাব ও বাংলাদেশ সাংবাদিক সমিতি চুয়াডাঙ্গা ইউনিটের নবগঠিত কমিটি সৌজন্য সাক্ষাতে মিলিত হলে বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন উপরোক্ত আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে দেশ স্বাধীন হওয়ার এতোদিন পরও স্বাধীনতার বিপক্ষের শক্তি বলে মৌলবাদ একটি চক্র বাঙালি জাতিকে বিভেদ করে রেখেছে। মহান স্বাধীনতা অর্জনের পরপরই ওই অপশক্তি দেশের উন্নয়ন পদে পদে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে। অবাক হলেও সত্যি ওই শক্তি এখনও অপতৎপরতা অব্যাহত রেখেছে। ওই অপশক্তি বিভেদ সৃষ্টি না করলে, উন্নয়নে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না করলে দেশ যতোটা এগিয়েছে, তার চেয়ে আরও বেশি এগিয়ে যেতে পারতো। এরপরও জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে উন্নয়নের এক রোল মডেল সৃষ্টি করেছে। যা উন্নত বিশ্ব পর্যন্ত আমাদের দেশের দিকে অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে রয়েছে।

গতকাল রোববার সকল ১০টায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখা কার্যালয়ের দ্বিতীয় তলায় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির কক্ষে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার সাবেক মেয়র রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন উপস্থিত ছিলেন। চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের নবনির্বাচিত সভাপতি সরদার আল আমিন, সাধারণ সম্পাদক রাজীব হাসান কচি, বাংলাদেশ সাংবাদিক সমিতি চুয়াডাঙ্গা ইউনিটের নবনির্বাচিত সভাপতি ও দৈনিক সময়ের সমীকরণ-এর প্রধান সম্পাদক নাজমুল হক স্বপন, সাধারণ সম্পাদক বিপুল আশরাফসহ দুটি কমিটির অধিকাংশ নেতৃবৃন্দই উপস্থিত ছিলেন।

নবনির্বাচিত নেতৃবৃন্দের মিষ্টিমুখও করান প্রবীণ রাজনীতিক ছেলুন জোয়ার্দ্দার এমপি। এসময় নবনির্বাচিত কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুনকে উপস্থিত থাকার আমন্ত্রণ জানানো হয়। তিনি আমন্ত্রণ গ্রহণ করেন। বলেন, সব সময়ই ভালোকাজের সাথে থেকেছি, রয়েছি। চুয়াডাঙ্গার উন্নয়নের কয়েকটি কাজ হাতে নিয়ে সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। শহীদ আবুল কাশেম সড়কে রেলক্রসিংয়ে ওভার ব্রিজটি নির্মাণের জন্য একনেক পর্যন্ত অনুমোদন পাওয়ার পর নকশায় সামান্য ত্রুটির কারণে ফাইলটিই আবার নতুন করে শুরু করতে হচ্ছে। বাইপাস সড়কের ফাইল গ্রিন লেবেল পর্যন্ত নেওয়ার পর কিছু জটিলতায় আটকে আছি। দেখা যাক কত দ্রুত এসব কাজ সম্পন্ন করতে পারি।

বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন মৃদু হাসিমাখা মুখে বলেন, ‘স্টেডিয়াম করেছি। পাবলিক লাইব্রেরিও করলাম। কই লাইব্রেরিতে বইয়ের পাঠক কোথায়? স্টেডিয়াম মাঠে খেলাধুলাই বা কই। চুয়াডাঙ্গায় যতোগুলো খেলার মাঠ রয়েছে, অতো মাঠ অনেক জেলা সদরেই নেই। অথচ খেলাধুলার তেমন আয়োজন নেই। যুব সমাজকে সুপথে রাখতে হলে যেমন দরকার তাদের বই পড়ায় আগ্রহী করা, তেমনই দরকার খেলার মাঠে নেওয়া। এদিকেও আমাদের সকলকে আন্তরিকভাবে চেষ্টা করতে হবে। আমরা যে যেখানে আছি সে সেখানে থেকে নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করতে হবে। মনে রাখতে হবে, সম্মিলিত প্রচেষ্টা থাকলে সব কিছুই করা সম্ভব।’

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাব ও সাংবাদিক সমিতির নবনির্বাচিত নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময়কালে এমপি ছেলুন জোয়ার্দ্দার

আপলোড টাইম : ০৯:০৫:৫৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২১

‘আমরা সকলে মিলে মিশে আছি, যখন যতটুকু উন্নয়নে কাজ করতে পারছি উন্নতি করছি। সংসারের সকলে মিলে মিশে থাকলে সংসারের উন্নতি হয়। একটি প্রতিষ্ঠান বা সংঠনও তাই। তোমরা যারা সাংবাদিকতা করছো, প্রেসক্লাবে মিলেমিশে আছো বলেই তোমাদেরও উন্নতি হচ্ছে। নতুন যে কমিটি মিলেমিশে গঠন করেছো, এ কমিটি সকল বিভেদ ভুলে প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নসহ সকল সদস্যের কল্যাণে কাজ করবে বলে আমি বিশ^াস করি।’

চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাব ও বাংলাদেশ সাংবাদিক সমিতি চুয়াডাঙ্গা ইউনিটের নবগঠিত কমিটি সৌজন্য সাক্ষাতে মিলিত হলে বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন উপরোক্ত আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে দেশ স্বাধীন হওয়ার এতোদিন পরও স্বাধীনতার বিপক্ষের শক্তি বলে মৌলবাদ একটি চক্র বাঙালি জাতিকে বিভেদ করে রেখেছে। মহান স্বাধীনতা অর্জনের পরপরই ওই অপশক্তি দেশের উন্নয়ন পদে পদে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে। অবাক হলেও সত্যি ওই শক্তি এখনও অপতৎপরতা অব্যাহত রেখেছে। ওই অপশক্তি বিভেদ সৃষ্টি না করলে, উন্নয়নে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না করলে দেশ যতোটা এগিয়েছে, তার চেয়ে আরও বেশি এগিয়ে যেতে পারতো। এরপরও জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে উন্নয়নের এক রোল মডেল সৃষ্টি করেছে। যা উন্নত বিশ্ব পর্যন্ত আমাদের দেশের দিকে অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে রয়েছে।

গতকাল রোববার সকল ১০টায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখা কার্যালয়ের দ্বিতীয় তলায় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির কক্ষে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার সাবেক মেয়র রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন উপস্থিত ছিলেন। চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের নবনির্বাচিত সভাপতি সরদার আল আমিন, সাধারণ সম্পাদক রাজীব হাসান কচি, বাংলাদেশ সাংবাদিক সমিতি চুয়াডাঙ্গা ইউনিটের নবনির্বাচিত সভাপতি ও দৈনিক সময়ের সমীকরণ-এর প্রধান সম্পাদক নাজমুল হক স্বপন, সাধারণ সম্পাদক বিপুল আশরাফসহ দুটি কমিটির অধিকাংশ নেতৃবৃন্দই উপস্থিত ছিলেন।

নবনির্বাচিত নেতৃবৃন্দের মিষ্টিমুখও করান প্রবীণ রাজনীতিক ছেলুন জোয়ার্দ্দার এমপি। এসময় নবনির্বাচিত কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুনকে উপস্থিত থাকার আমন্ত্রণ জানানো হয়। তিনি আমন্ত্রণ গ্রহণ করেন। বলেন, সব সময়ই ভালোকাজের সাথে থেকেছি, রয়েছি। চুয়াডাঙ্গার উন্নয়নের কয়েকটি কাজ হাতে নিয়ে সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। শহীদ আবুল কাশেম সড়কে রেলক্রসিংয়ে ওভার ব্রিজটি নির্মাণের জন্য একনেক পর্যন্ত অনুমোদন পাওয়ার পর নকশায় সামান্য ত্রুটির কারণে ফাইলটিই আবার নতুন করে শুরু করতে হচ্ছে। বাইপাস সড়কের ফাইল গ্রিন লেবেল পর্যন্ত নেওয়ার পর কিছু জটিলতায় আটকে আছি। দেখা যাক কত দ্রুত এসব কাজ সম্পন্ন করতে পারি।

বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন মৃদু হাসিমাখা মুখে বলেন, ‘স্টেডিয়াম করেছি। পাবলিক লাইব্রেরিও করলাম। কই লাইব্রেরিতে বইয়ের পাঠক কোথায়? স্টেডিয়াম মাঠে খেলাধুলাই বা কই। চুয়াডাঙ্গায় যতোগুলো খেলার মাঠ রয়েছে, অতো মাঠ অনেক জেলা সদরেই নেই। অথচ খেলাধুলার তেমন আয়োজন নেই। যুব সমাজকে সুপথে রাখতে হলে যেমন দরকার তাদের বই পড়ায় আগ্রহী করা, তেমনই দরকার খেলার মাঠে নেওয়া। এদিকেও আমাদের সকলকে আন্তরিকভাবে চেষ্টা করতে হবে। আমরা যে যেখানে আছি সে সেখানে থেকে নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করতে হবে। মনে রাখতে হবে, সম্মিলিত প্রচেষ্টা থাকলে সব কিছুই করা সম্ভব।’