ইপেপার । আজ সোমবার, ২১ অক্টোবর ২০২৪

চুয়াডাঙ্গা জেলা সার ও বীজ মনিটরিং কমিটির সভা অনুষ্ঠিত

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১২:০৩:০৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ নভেম্বর ২০২২
  • / ২০ বার পড়া হয়েছে

সমীকরণ প্রতিবেদক:
বাড়ির আশপাশসহ আবাদ উপযোগী সকল জমিতে ফসল ফলানোর তাগিদ দিয়ে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান বলেছেন, ‘সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্বশাসিতসহ ব্যক্তি মালিকনাধীন কোনো জমি পতিত রাখা যাবে না। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মোতাবেক আবাদের আওতায় নিয়ে খাদ্য চাহিদা পূরণে সহায়ক ভূমিকা রাখতে হবে। এ জন্য উপজেলা পর্যায়ে পতিত জমি আবাদের আওতায় নেয়ার জন্য দ্রুত সময়ের মধ্যে কমিটি গঠন করে বাস্তবমুখী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে।’

গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে জেলা সার ও বীজ মনিটরিং কমিটির সভায় সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান আরও বলেন, যখন যে ফসলের জন্য বীজ প্রয়োজন, তখন সরকার বিএডিসির মাধ্যমে সরবরাহ নিশ্চিত করছে। তৃণমূল কৃষকদের মাঝে যথাসময়ে সারও সরবরাহ করা হচ্ছে। মাঠ পর্যায়ে কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের কর্মকর্তারাও কাজ করছেন। এরপরও আবাদি জমি পতিত থাকবে কেন। চুয়াডাঙ্গার মাটি খুবই উর্বর। কৃষকদের আন্তরিক প্রচেষ্টায় মাঠভরা ফসলও হচ্ছে। সকলে সম্মিলিতভাবে চেষ্টা করলে বাড়ির আশেপাশে কিম্বা সরকারি কোনো স্থাপনার নিকট পতিত জমিতেও আবাদ করে খাদ্য চাহিদা পূরণে সহায়ক ভূমিকা রাখা সম্ভব। এ লক্ষে উপজেলা পর্যায়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে সভাপতি ও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাকে সদস্যসচিব করে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা সচেতন কৃষক সাংবাদিকদের নিয়ে কমিটি গঠন করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে।

জেলা সার ও বীজ মনিটরিং কমিটির সদস্যসচিব জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক বিভাষ চন্দ্র সাহা গত সভায় গৃহীত সিদ্ধান্তসমূহ ও তার বাস্তবায়নের বিষয়ে উপস্থাপনের পর পর্যায়ক্রমে আলোচ্যসূচি উপস্থাপন করেন। সভার সভাপতি জেলা প্রশাসক উপস্থিত সদস্যদের মতামতের প্রেক্ষিতে সার ও বীজ সরবরাহে বেশকিছু সিদ্ধান্ত নিয়ে বলেন, সার বীজসহ কৃষি উৎপাদনে কৃষকদের সকল সুবিধা নিশ্চিত করা আমাদের কর্তব্য। কোনো প্রকারের অনিয়ম মেনে নেওয়া হবে না। কোথাও কোনো অনিয়ম হচ্ছে কি না, তা সরেজমিনে নজরদারির জন্যও উপস্থিত সদস্যদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন সভার সভাপতি।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

চুয়াডাঙ্গা জেলা সার ও বীজ মনিটরিং কমিটির সভা অনুষ্ঠিত

আপলোড টাইম : ১২:০৩:০৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ নভেম্বর ২০২২

সমীকরণ প্রতিবেদক:
বাড়ির আশপাশসহ আবাদ উপযোগী সকল জমিতে ফসল ফলানোর তাগিদ দিয়ে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান বলেছেন, ‘সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্বশাসিতসহ ব্যক্তি মালিকনাধীন কোনো জমি পতিত রাখা যাবে না। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মোতাবেক আবাদের আওতায় নিয়ে খাদ্য চাহিদা পূরণে সহায়ক ভূমিকা রাখতে হবে। এ জন্য উপজেলা পর্যায়ে পতিত জমি আবাদের আওতায় নেয়ার জন্য দ্রুত সময়ের মধ্যে কমিটি গঠন করে বাস্তবমুখী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে।’

গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে জেলা সার ও বীজ মনিটরিং কমিটির সভায় সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান আরও বলেন, যখন যে ফসলের জন্য বীজ প্রয়োজন, তখন সরকার বিএডিসির মাধ্যমে সরবরাহ নিশ্চিত করছে। তৃণমূল কৃষকদের মাঝে যথাসময়ে সারও সরবরাহ করা হচ্ছে। মাঠ পর্যায়ে কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের কর্মকর্তারাও কাজ করছেন। এরপরও আবাদি জমি পতিত থাকবে কেন। চুয়াডাঙ্গার মাটি খুবই উর্বর। কৃষকদের আন্তরিক প্রচেষ্টায় মাঠভরা ফসলও হচ্ছে। সকলে সম্মিলিতভাবে চেষ্টা করলে বাড়ির আশেপাশে কিম্বা সরকারি কোনো স্থাপনার নিকট পতিত জমিতেও আবাদ করে খাদ্য চাহিদা পূরণে সহায়ক ভূমিকা রাখা সম্ভব। এ লক্ষে উপজেলা পর্যায়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে সভাপতি ও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাকে সদস্যসচিব করে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা সচেতন কৃষক সাংবাদিকদের নিয়ে কমিটি গঠন করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে।

জেলা সার ও বীজ মনিটরিং কমিটির সদস্যসচিব জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক বিভাষ চন্দ্র সাহা গত সভায় গৃহীত সিদ্ধান্তসমূহ ও তার বাস্তবায়নের বিষয়ে উপস্থাপনের পর পর্যায়ক্রমে আলোচ্যসূচি উপস্থাপন করেন। সভার সভাপতি জেলা প্রশাসক উপস্থিত সদস্যদের মতামতের প্রেক্ষিতে সার ও বীজ সরবরাহে বেশকিছু সিদ্ধান্ত নিয়ে বলেন, সার বীজসহ কৃষি উৎপাদনে কৃষকদের সকল সুবিধা নিশ্চিত করা আমাদের কর্তব্য। কোনো প্রকারের অনিয়ম মেনে নেওয়া হবে না। কোথাও কোনো অনিয়ম হচ্ছে কি না, তা সরেজমিনে নজরদারির জন্যও উপস্থিত সদস্যদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন সভার সভাপতি।