ইপেপার । আজ মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪

চুয়াডাঙ্গা জেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক নিয়ে ধোঁয়াশা!

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:১৪:৩৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২২
  • / ১৬ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের কমিটি নিয়ে গুঞ্জনের শেষ নেই। দীর্ঘ সাত বছর পর বিশাল সম্মেলন হলেও কমিটির আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না করেই কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের ঢাকায় চলে যাওয়া, সাধারণ নেতাকর্মী ও চুয়াডাঙ্গাবাসীর মধ্যে ধোঁয়াশা সৃষ্টি করেছে। সভাপতি হিসেবে বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন এমপির নাম নিশ্চিত হলেও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের সাথে একপক্ষের মতানৈক্যের কারণে সাধারণ সম্পাদক পদে নাম ঘোষণা নিয়ে ধুম্রজালেরও সৃষ্টি হয়েছে। যদিও বিভিন্ন টেলিভিশন, অনলাইন, জাতীয় পত্রপত্রিকার খবরে নিশ্চিত হওয়া গেছে, আজাদুল ইসলাম আজাদই জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে পুনরায় নির্বাচিত হয়েছেন। তবে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য, ঘোষণা বা অফিসিয়াল স্টেটমেন্ট না পাওয়ায় এখুনি নিশ্চি করে কিছু বলা সম্বভ হচ্ছে না। এবিষয়ে জেলার বেশ কয়েকজন সাংবাদিকের তথ্যে ও বিশ্বস্ত সূত্রের খবরে জানা গেছে, সম্মেলনের উদ্বোধক ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফরউল্লাহ, সম্মেলনে প্রধান বক্তা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম ও সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হকই নাকি বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন এমপিকে সভাপতি ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আজাদুল ইসলাম আজাদকে সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করে চুয়াডাঙ্গা ছেড়েছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনের এক কাউন্সিলর জানান, ‘জেলা আওয়ামী লীগের অফিসে ২১৮ জন কাউন্সিলরের উপস্থিতিতে দ্বিতীয় অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। ওই কাউন্সিলে সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুনের নাম সভাপতি হিসেবে প্রস্তাব করেন আলমডাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইয়াকুব আলী মাস্টার। এছাড়া সভাপতি হিসেবে আসাদুল হক বিশ্বাস ও প্রফেসর ডা. মাহবুব হোসেন মেহেদী নিজেরা নিজেদের নাম প্রস্তাব করেন। অন্যদিকে, সাধারণ সম্পাদক হিসেবে আজাদুল ইসলাম আজাদ, আলী আজগার টগর, মুন্সি আলমগীর হান্নান ও আব্দুল মালেকের নাম প্রস্তাবিত হয়। এরপর কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ বেলা দুইটার পরে জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় যান এবং সেখান থেকে কিছুক্ষণ পর বেরিয় সার্কিট হাউজে যান। এরপর সেখান থেকে বেলা তিনটার দিকে তারা সম্মেলন মাঠে না ফিরেই এবং আনুষ্ঠানিকভাবে কমিটির নাম ঘোষণা না করেই চুয়াডাঙ্গা পুলিশ লাইন থেকে হেলিকাপ্টারযোগে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হন। আর ধোঁয়াশা এখান থেকেই শুরু হয়।’

বিশ্বস্ত আরেকটি সূত্র জানায়, ‘সদ্য ঘোষিত এই কমিটি নাকি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুয়ায়ী কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ ঘোষণা করে ঢাকায় চলে গেছেন।’ এই কথার পরে সবার মনে একটাই প্রশ্ন ঊকিঁ দিচ্ছে, তাহলে কেন আনষ্ঠানিকভাবে কমিটির ঘোষণা আসলো না?

এদিকে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সভাপতি হিসেবে সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে আজাদুল ইসলাম আজাদকে অনেকেই শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন। অপরদিকে, বিভিন্ন অনলাইন মিডিয়া ও টেলিভিশনগুলোর স্ক্রলে সভাপতি হিসেবে বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে বীর মুক্তিযোদ্ধা আজাদুল ইসলাম আজাদের নাম দিনভর চলতে দেখা যায়। সবমিলিয়ে সাধারণ সম্পাদকের পদ নিয়ে ধোঁয়াশা ও গুঞ্জন এখনো চলমান। তাহলে কে হলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক? তা জানতে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা বা তাদের অফিসিয়াল স্টেটমেন্টের জন্যই এখন সবার অপেক্ষা।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

চুয়াডাঙ্গা জেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক নিয়ে ধোঁয়াশা!

আপলোড টাইম : ১০:১৪:৩৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের কমিটি নিয়ে গুঞ্জনের শেষ নেই। দীর্ঘ সাত বছর পর বিশাল সম্মেলন হলেও কমিটির আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না করেই কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের ঢাকায় চলে যাওয়া, সাধারণ নেতাকর্মী ও চুয়াডাঙ্গাবাসীর মধ্যে ধোঁয়াশা সৃষ্টি করেছে। সভাপতি হিসেবে বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন এমপির নাম নিশ্চিত হলেও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের সাথে একপক্ষের মতানৈক্যের কারণে সাধারণ সম্পাদক পদে নাম ঘোষণা নিয়ে ধুম্রজালেরও সৃষ্টি হয়েছে। যদিও বিভিন্ন টেলিভিশন, অনলাইন, জাতীয় পত্রপত্রিকার খবরে নিশ্চিত হওয়া গেছে, আজাদুল ইসলাম আজাদই জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে পুনরায় নির্বাচিত হয়েছেন। তবে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য, ঘোষণা বা অফিসিয়াল স্টেটমেন্ট না পাওয়ায় এখুনি নিশ্চি করে কিছু বলা সম্বভ হচ্ছে না। এবিষয়ে জেলার বেশ কয়েকজন সাংবাদিকের তথ্যে ও বিশ্বস্ত সূত্রের খবরে জানা গেছে, সম্মেলনের উদ্বোধক ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফরউল্লাহ, সম্মেলনে প্রধান বক্তা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম ও সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হকই নাকি বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন এমপিকে সভাপতি ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আজাদুল ইসলাম আজাদকে সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করে চুয়াডাঙ্গা ছেড়েছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনের এক কাউন্সিলর জানান, ‘জেলা আওয়ামী লীগের অফিসে ২১৮ জন কাউন্সিলরের উপস্থিতিতে দ্বিতীয় অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। ওই কাউন্সিলে সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুনের নাম সভাপতি হিসেবে প্রস্তাব করেন আলমডাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইয়াকুব আলী মাস্টার। এছাড়া সভাপতি হিসেবে আসাদুল হক বিশ্বাস ও প্রফেসর ডা. মাহবুব হোসেন মেহেদী নিজেরা নিজেদের নাম প্রস্তাব করেন। অন্যদিকে, সাধারণ সম্পাদক হিসেবে আজাদুল ইসলাম আজাদ, আলী আজগার টগর, মুন্সি আলমগীর হান্নান ও আব্দুল মালেকের নাম প্রস্তাবিত হয়। এরপর কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ বেলা দুইটার পরে জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় যান এবং সেখান থেকে কিছুক্ষণ পর বেরিয় সার্কিট হাউজে যান। এরপর সেখান থেকে বেলা তিনটার দিকে তারা সম্মেলন মাঠে না ফিরেই এবং আনুষ্ঠানিকভাবে কমিটির নাম ঘোষণা না করেই চুয়াডাঙ্গা পুলিশ লাইন থেকে হেলিকাপ্টারযোগে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হন। আর ধোঁয়াশা এখান থেকেই শুরু হয়।’

বিশ্বস্ত আরেকটি সূত্র জানায়, ‘সদ্য ঘোষিত এই কমিটি নাকি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুয়ায়ী কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ ঘোষণা করে ঢাকায় চলে গেছেন।’ এই কথার পরে সবার মনে একটাই প্রশ্ন ঊকিঁ দিচ্ছে, তাহলে কেন আনষ্ঠানিকভাবে কমিটির ঘোষণা আসলো না?

এদিকে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সভাপতি হিসেবে সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে আজাদুল ইসলাম আজাদকে অনেকেই শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন। অপরদিকে, বিভিন্ন অনলাইন মিডিয়া ও টেলিভিশনগুলোর স্ক্রলে সভাপতি হিসেবে বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে বীর মুক্তিযোদ্ধা আজাদুল ইসলাম আজাদের নাম দিনভর চলতে দেখা যায়। সবমিলিয়ে সাধারণ সম্পাদকের পদ নিয়ে ধোঁয়াশা ও গুঞ্জন এখনো চলমান। তাহলে কে হলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক? তা জানতে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা বা তাদের অফিসিয়াল স্টেটমেন্টের জন্যই এখন সবার অপেক্ষা।