ইপেপার । আজ মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪

চুয়াডাঙ্গায় স্বামীর বিরুদ্ধে স্ত্রী ও শ্বাশুড়িকে মারধরের অভিযোগ

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:৪৮:৫২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২২
  • / ১৫ বার পড়া হয়েছে

সমীকরণ প্রতিবেদন:
চুয়াডাঙ্গার সরিষাডাঙ্গায় নিমচান জোয়ার্দ্দারের বিরুদ্ধে স্ত্রী তানিয়া খাতুন (৩০) ও শাশুড়ি সুরাতন খাতুনকে (৭০) মারথরের অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বুধবার সকাল ৯টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার মোমিনপুর ইউনিয়নের সরিষাডাঙ্গা গ্রামের দক্ষিনপাড়ায় এঘটনা ঘটে। পরে স্থানীয় ব্যক্তিরা আহত দুজনকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাপসাতালের জরুরি বিভাগে নেয়। জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক আহতদেরকে তাৎক্ষণিক চিকিৎসা প্রদান করেন। অভিযুক্ত নিমচান জোয়ার্দ্দার সরিষাডাঙ্গা গ্রামের দক্ষিনপাড়ায় শহিদুল জোয়ার্দ্দারের ছেলে।

জানা যায়, বিবাহের পর থেকে সাংসারিক ছোটখাটো বিষয় নিয়ে নিমচান তার স্ত্রী তানিয়া খাতুনকে মারধর করে আসছে। গতকাল সাকলে তানিয়ার মা সুরাতন খাতুন চুয়াডাঙ্গা থেকে মেয়ের বাড়িতে বেড়াতে যান। এসময় কোন সাংসারিক একটি তুচ্ছ বিষয় নিয়ে নিমচান তানিয়াকে তার মায়ের সামনে মারধর করতে শুরু করে। সুরাতন ঠেকাতে গেলে তাকেও বুকে-পিঠে লাথি দিয়ে ফেলে দেয় নিমচান। একপর্যায়ে শ্বাশুিিড়র হাতেও কামড়ে জখম করে নিমচান। পরে স্থানীয় ব্যক্তিরা মা ও মেয়েকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেয়।

দুই সন্তানের জননী তানিয়া খাতুন বলেন, ‘বিয়ের পর আমাদের সংসারে দুই সন্তান জন্ম নিয়েছে। কিন্তু ছোট ছোট যে কোন বিষয় নিয়ে নিমচান আমাকে সকলের সামনে মারধর করে। প্রতিবাদ করতে গেলে আরও বেশি মারধর করে। আমার ছোট দুই সন্তানের মুকের দিকে চেয়ে নিমচানের সংসারে পড়ে আছি। আমার শাশুড়ি রসি খাতুনও আমাকে মারধর করে।’

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. সাদিয়া মা আরিজ বলেন, ‘সকালে মারধরের শিকার মা ও মেয়েখে জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়। বৃদ্ধার হাতে একটি ক্ষতের আলামত পাওয়া গেছে। ক্ষত চিহ্নটি কোন ব্যক্তি কিংবা পশুর কামড়ের চিহ্ন হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এছাড়াও দুজনের শরীরের বিভিন্নস্থানে আঘাতের আলামত পাওয়া গেছে। দুজনকেই জরুরি বিভাগ থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করা হয়েছে।
এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহব্বুর রহমান বলেন, ‘এমন কোন ঘটনা সম্পর্কে থানায় কোন অভিযোগ হয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

চুয়াডাঙ্গায় স্বামীর বিরুদ্ধে স্ত্রী ও শ্বাশুড়িকে মারধরের অভিযোগ

আপলোড টাইম : ০৯:৪৮:৫২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২২

সমীকরণ প্রতিবেদন:
চুয়াডাঙ্গার সরিষাডাঙ্গায় নিমচান জোয়ার্দ্দারের বিরুদ্ধে স্ত্রী তানিয়া খাতুন (৩০) ও শাশুড়ি সুরাতন খাতুনকে (৭০) মারথরের অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বুধবার সকাল ৯টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার মোমিনপুর ইউনিয়নের সরিষাডাঙ্গা গ্রামের দক্ষিনপাড়ায় এঘটনা ঘটে। পরে স্থানীয় ব্যক্তিরা আহত দুজনকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাপসাতালের জরুরি বিভাগে নেয়। জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক আহতদেরকে তাৎক্ষণিক চিকিৎসা প্রদান করেন। অভিযুক্ত নিমচান জোয়ার্দ্দার সরিষাডাঙ্গা গ্রামের দক্ষিনপাড়ায় শহিদুল জোয়ার্দ্দারের ছেলে।

জানা যায়, বিবাহের পর থেকে সাংসারিক ছোটখাটো বিষয় নিয়ে নিমচান তার স্ত্রী তানিয়া খাতুনকে মারধর করে আসছে। গতকাল সাকলে তানিয়ার মা সুরাতন খাতুন চুয়াডাঙ্গা থেকে মেয়ের বাড়িতে বেড়াতে যান। এসময় কোন সাংসারিক একটি তুচ্ছ বিষয় নিয়ে নিমচান তানিয়াকে তার মায়ের সামনে মারধর করতে শুরু করে। সুরাতন ঠেকাতে গেলে তাকেও বুকে-পিঠে লাথি দিয়ে ফেলে দেয় নিমচান। একপর্যায়ে শ্বাশুিিড়র হাতেও কামড়ে জখম করে নিমচান। পরে স্থানীয় ব্যক্তিরা মা ও মেয়েকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেয়।

দুই সন্তানের জননী তানিয়া খাতুন বলেন, ‘বিয়ের পর আমাদের সংসারে দুই সন্তান জন্ম নিয়েছে। কিন্তু ছোট ছোট যে কোন বিষয় নিয়ে নিমচান আমাকে সকলের সামনে মারধর করে। প্রতিবাদ করতে গেলে আরও বেশি মারধর করে। আমার ছোট দুই সন্তানের মুকের দিকে চেয়ে নিমচানের সংসারে পড়ে আছি। আমার শাশুড়ি রসি খাতুনও আমাকে মারধর করে।’

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. সাদিয়া মা আরিজ বলেন, ‘সকালে মারধরের শিকার মা ও মেয়েখে জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়। বৃদ্ধার হাতে একটি ক্ষতের আলামত পাওয়া গেছে। ক্ষত চিহ্নটি কোন ব্যক্তি কিংবা পশুর কামড়ের চিহ্ন হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এছাড়াও দুজনের শরীরের বিভিন্নস্থানে আঘাতের আলামত পাওয়া গেছে। দুজনকেই জরুরি বিভাগ থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করা হয়েছে।
এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহব্বুর রহমান বলেন, ‘এমন কোন ঘটনা সম্পর্কে থানায় কোন অভিযোগ হয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’