ইপেপার । আজ শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪

চুয়াডাঙ্গায় শীতের সঙ্গে বেড়েছে শীতবস্ত্রের বেচা-কেনা

রুদ্র রাসেল:
  • আপলোড টাইম : ০৯:২৫:২৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২১
  • / ৩৮ বার পড়া হয়েছে

চুয়াডাঙ্গায় শীত পড়তে শুরু করেছে। তবে বেশ কিছুদিন আগে থেকেই দোকানিরা শীতের পোশাকের পসরা সাজিয়ে বসেছেন শহরের বিভিন্ন বাজারগুলোতে। কম দামে শীতের পোশাক কিনতে অনেকেই এখন ভিড় জমাচ্ছেন শহরের নিক্সন পট্টিসহ ফুটপাতের বিভিন্ন দোকানে।

গতকাল মঙ্গলবার সরেজমিনে চুয়াডাঙ্গার বিভিন্ন বাজার এলাকা ঘুরে দেখা যায়, শিশু, নারী-পুরুষসহ সব বয়সের মানুষের শীতের পোশাক রয়েছে দোকানগুলোতে। চুয়াডাঙ্গা নিউ মার্কেট, বড় বাজার পুরাতন গলির মার্কেট, পোস্ট অফিসের সামনে, কোর্ট মোড় থেকে শুরু করে রেলবাজার পর্যন্ত বিভিন্ন পোশাকের দোকান এখন শীতপোশাক ও পোশাক বিক্রেতাদের দখলে। অন্যদিকে শহর এলাকা ঘুরে আরও দেখা যায়, বিভিন্ন হকারেরা মোজা, হাতমোজা, টুপি, মাফলারসহ বিভিন্ন ছোঠ-বড় শীতের পোশাকে সাজিয়েছেন তাঁদের ভ্রাম্যমাণ দোকান। আবার শহরের বড় বড় দোকানগুলোতে মিলছে কম্বল, জ্যাকেট, সোয়েটার, মাফলার, কার্ডিগান, শাল, চাদর, হাতমোজা, কান টুপিসহ বিভিন্ন ধরনের গরম কাপড়। আর এগুলো খুব কম দামে পাওয়া না গেলেও ক্রেতাদের নাগালের মধ্যেই আছে এমন দাবি বিক্রেতাদের।

কথা হয় চুয়াডাঙ্গা কোর্ট মোড় নিক্সন পট্টিতে পরিবার নিয়ে শীতের পোশাক কিনতে আসা জাহানারা বেগম নামের এক ক্রেতার সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘বাঁচ্চার জন্য গরম কাপড় কিনব, বৃদ্ধ মায়ের জন্য হাতমোজা, পা মোজা। শহরের বড় দোকানগুলোতেও গিয়েছি প্রথমে কিন্তু সাধ্যের মধ্যে ভালো পোশাক পাওয়া মুশকিল। যে কারণে এসেছি নিক্সন পট্টিতে। এখানেও বেশি দামই হাকাচ্ছে দোকানিরা। তবে দরদাম করে নিতে পারলে বাজেটের মধ্যেই ভালো পোশাক পাওয়া যাচ্ছে।’

শহরের নিউ মার্কেট, আব্দুল্লাহ সিটি মার্কেট ঘুরেও শীতবস্ত্রের কেনা-বেচা দেখা যায়। কথা হয় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সানোয়ার হোসেন নামের আরও এক ক্রেতার সঙ্গে। তিনি জানান, দুই মেয়ে, স্ত্রী ও মায়ের জন্য শীতের পোশাক কিনতে এসেছেন তিনি। ইতঃমধ্যে দুই মেয়ের জন্য গরম পোশাক কেনাও হয়েছে তাঁর। তবে স্ত্রী ও মায়ের জন্য পোশাক কিনতে বেগ পেতে হচ্ছে। পছন্দ মতো পোশাক মেলানো মুশকিল হয়ে পড়েছে, বেশিরভাগ দোকানে নারী ও বৃদ্ধদের পোশাক খুবই কম, তবে তরুণ ও যুবকদের জন্য পোশাকের কোনো কমতি নেই।

চুয়াডাঙ্গা প্রিন্স প্লাজার এক পোশাক ব্যবসায়ী বলেন, ‘নভেম্বর মাসের শুরুতে খুব একটা বেচা-কেনা না হলেও শেষের দিকে এসে বেচা-কেনা তুলনামূলক বেড়েছে। সব থেকে ভালো বিক্রি হচ্ছে ছেলেদের জ্যাকেট, টুপি, হুডিসহ বিভিন্ন শীতবস্ত্র। গত বছরের তুলনায় ঢাকা পাইকারদের থেকে এবার কিছু পোশাকের দাম কম, তবে নতুন ডিজাইনের পোশাকের দাম একটু বেশি। ক্রেতারা নতুন ডিজাইনের পোশাকই বেশি কিনছেন।’

সেখানে কথা হয় আরও একজন ক্রেতা সাদিকুর ইসলামের সঙ্গে। তিনি জানান, শীত সবে শুরু হয়েছে। এখনি কাপড়ের যে দাম বেড়েছে, শীত বাড়লে নিম্ন আয়ের মানুষের নাগালের বাইরে চলে যাবে। তখন ফুটপাতের গরম কাপড়ের দোকানেও ভিড় বাড়বে। সেখানেও দাম বাড়বে। তাই শুরুতেই নিজের জন্য কিছু পোশাক কিনতে এসেছেনে তিনি।

সজিব হোসেন নামের এক হকার বলেন, শীতের প্রকোপ সবে পড়তে শুরু করেছে। তারপরও বিক্রি ভালোই হচ্ছে। তবে গত শীতে মানুষ যে দামে গরম কাপড় কিনেছে, এবার তা পাবে না। কারণ গতবারের চেয়ে কাপড়ের দাম বেশি ধরছেন পাইকাররা। শীতের শুরু হিসেবে বিক্রি সন্তোষজনক।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

চুয়াডাঙ্গায় শীতের সঙ্গে বেড়েছে শীতবস্ত্রের বেচা-কেনা

আপলোড টাইম : ০৯:২৫:২৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২১

চুয়াডাঙ্গায় শীত পড়তে শুরু করেছে। তবে বেশ কিছুদিন আগে থেকেই দোকানিরা শীতের পোশাকের পসরা সাজিয়ে বসেছেন শহরের বিভিন্ন বাজারগুলোতে। কম দামে শীতের পোশাক কিনতে অনেকেই এখন ভিড় জমাচ্ছেন শহরের নিক্সন পট্টিসহ ফুটপাতের বিভিন্ন দোকানে।

গতকাল মঙ্গলবার সরেজমিনে চুয়াডাঙ্গার বিভিন্ন বাজার এলাকা ঘুরে দেখা যায়, শিশু, নারী-পুরুষসহ সব বয়সের মানুষের শীতের পোশাক রয়েছে দোকানগুলোতে। চুয়াডাঙ্গা নিউ মার্কেট, বড় বাজার পুরাতন গলির মার্কেট, পোস্ট অফিসের সামনে, কোর্ট মোড় থেকে শুরু করে রেলবাজার পর্যন্ত বিভিন্ন পোশাকের দোকান এখন শীতপোশাক ও পোশাক বিক্রেতাদের দখলে। অন্যদিকে শহর এলাকা ঘুরে আরও দেখা যায়, বিভিন্ন হকারেরা মোজা, হাতমোজা, টুপি, মাফলারসহ বিভিন্ন ছোঠ-বড় শীতের পোশাকে সাজিয়েছেন তাঁদের ভ্রাম্যমাণ দোকান। আবার শহরের বড় বড় দোকানগুলোতে মিলছে কম্বল, জ্যাকেট, সোয়েটার, মাফলার, কার্ডিগান, শাল, চাদর, হাতমোজা, কান টুপিসহ বিভিন্ন ধরনের গরম কাপড়। আর এগুলো খুব কম দামে পাওয়া না গেলেও ক্রেতাদের নাগালের মধ্যেই আছে এমন দাবি বিক্রেতাদের।

কথা হয় চুয়াডাঙ্গা কোর্ট মোড় নিক্সন পট্টিতে পরিবার নিয়ে শীতের পোশাক কিনতে আসা জাহানারা বেগম নামের এক ক্রেতার সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘বাঁচ্চার জন্য গরম কাপড় কিনব, বৃদ্ধ মায়ের জন্য হাতমোজা, পা মোজা। শহরের বড় দোকানগুলোতেও গিয়েছি প্রথমে কিন্তু সাধ্যের মধ্যে ভালো পোশাক পাওয়া মুশকিল। যে কারণে এসেছি নিক্সন পট্টিতে। এখানেও বেশি দামই হাকাচ্ছে দোকানিরা। তবে দরদাম করে নিতে পারলে বাজেটের মধ্যেই ভালো পোশাক পাওয়া যাচ্ছে।’

শহরের নিউ মার্কেট, আব্দুল্লাহ সিটি মার্কেট ঘুরেও শীতবস্ত্রের কেনা-বেচা দেখা যায়। কথা হয় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সানোয়ার হোসেন নামের আরও এক ক্রেতার সঙ্গে। তিনি জানান, দুই মেয়ে, স্ত্রী ও মায়ের জন্য শীতের পোশাক কিনতে এসেছেন তিনি। ইতঃমধ্যে দুই মেয়ের জন্য গরম পোশাক কেনাও হয়েছে তাঁর। তবে স্ত্রী ও মায়ের জন্য পোশাক কিনতে বেগ পেতে হচ্ছে। পছন্দ মতো পোশাক মেলানো মুশকিল হয়ে পড়েছে, বেশিরভাগ দোকানে নারী ও বৃদ্ধদের পোশাক খুবই কম, তবে তরুণ ও যুবকদের জন্য পোশাকের কোনো কমতি নেই।

চুয়াডাঙ্গা প্রিন্স প্লাজার এক পোশাক ব্যবসায়ী বলেন, ‘নভেম্বর মাসের শুরুতে খুব একটা বেচা-কেনা না হলেও শেষের দিকে এসে বেচা-কেনা তুলনামূলক বেড়েছে। সব থেকে ভালো বিক্রি হচ্ছে ছেলেদের জ্যাকেট, টুপি, হুডিসহ বিভিন্ন শীতবস্ত্র। গত বছরের তুলনায় ঢাকা পাইকারদের থেকে এবার কিছু পোশাকের দাম কম, তবে নতুন ডিজাইনের পোশাকের দাম একটু বেশি। ক্রেতারা নতুন ডিজাইনের পোশাকই বেশি কিনছেন।’

সেখানে কথা হয় আরও একজন ক্রেতা সাদিকুর ইসলামের সঙ্গে। তিনি জানান, শীত সবে শুরু হয়েছে। এখনি কাপড়ের যে দাম বেড়েছে, শীত বাড়লে নিম্ন আয়ের মানুষের নাগালের বাইরে চলে যাবে। তখন ফুটপাতের গরম কাপড়ের দোকানেও ভিড় বাড়বে। সেখানেও দাম বাড়বে। তাই শুরুতেই নিজের জন্য কিছু পোশাক কিনতে এসেছেনে তিনি।

সজিব হোসেন নামের এক হকার বলেন, শীতের প্রকোপ সবে পড়তে শুরু করেছে। তারপরও বিক্রি ভালোই হচ্ছে। তবে গত শীতে মানুষ যে দামে গরম কাপড় কিনেছে, এবার তা পাবে না। কারণ গতবারের চেয়ে কাপড়ের দাম বেশি ধরছেন পাইকাররা। শীতের শুরু হিসেবে বিক্রি সন্তোষজনক।