ইপেপার । আজ শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪

চুয়াডাঙ্গায় শিশুর কামড়ে সাপের মৃত্যু

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:১০:২০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৮ জুন ২০২২
  • / ২৩ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: বিভিন্ন সময় সাপের কামড়ে মানুষের মৃত্যুর ঘটনা ঘটলেও এবার চুয়াডাঙ্গায় ঘটেছে তার উল্টো ঘটনা। সদর উপজেলার উজলপুর গ্রামে জান্নাতুল ফেরদৌস নামের এক বছর বয়সী এক শিশুর কামড়ে মৃত্যু হয়েছে একটি নির্বিষ সাপের বাচ্চার। সাপটির নাম ‘ঘরগিন্নি’ (কমন উলফ স্নেক)। গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে উজলপুর গ্রামের বিলপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। পরে পরিবারের সদস্যরা সাপসহ শিশুটির দেখতে পেয়ে তাকে দ্রুত উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেয়। শিশু জান্নাতুল ফেরদৌস উজলপুর গ্রামের বিলপাড়ার রিয়াজুল ইসলাম ও শিলা খাতুন দম্পতির মেয়ে। তার অবস্থা আশঙ্কামুক্ত বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক।

জানা যায়, গতকাল সকালে রান্না ঘরে রান্না করছিলেন শিশু জান্নাতুলের মা শিলা খাতুন। এসময় ঘরে মেঝেতে চাচাতো ভাই কাউসারের সঙ্গে ঘরে খেলা করছিল শিশু জান্নাতুল। খেলতে খেলতে দুজনেই খাটের নিচে চলে যায়। এরই একপর্যায়ে শিলা খাতুন ঘরে প্রবেশ করছে শিশু জান্নাতুলকে একটি মৃত সাপের বাচ্চা হাতে নিয়ে খাটের নিচ থেকে বের হতে দেখেন। মৃত সাপটির শরীরে দুইটি স্থানে কামড়ের চিহ্ন দেখতে পেয়ে তিনি দ্রুত মেয়ে ও সাপটিকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আসেন।

শিশু জান্নাতুলের মা শিলা খাতুন বলেন, ‘জান্নাতুল তার চাচাতো ভাই কাউসারের সঙ্গে ঘরের ভেতরে খেলা করছিল। আমি রান্নাঘর থেকে ঘরের ভেতরে গেলে জান্নাতুলকে খাটের নিচ থেকে বের হতে দেখি। তখনি খেয়াল করি মেয়ের হাতে একটি মৃত সাপের বাচ্চা। সাপের গায়ে কামরের দাগ দেখে আমি ভয় পেয়ে দ্রুত মেয়েকে ও সাপটিকে সঙ্গে নিয়ে হাসপাতালে আসি।’

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. মাহবুবুর রহমান মিলন বলেন, ‘সাপের বাচ্চাটির শরীরে কামড়ের চিহ্ন রয়েছে। খেলার ছলে শিশু জান্নাতুল সাপের বাচ্চাটিকে কামড় দেওয়ায় সাপটির মৃত্যু হয়েছে। তবে সাপটি শিশুটিকে কামড় না দেওয়ায় তার কোনো ক্ষতি হয়নি। শিশুটি সম্পূর্ণ সুস্থ থাকলেও শিশু ওয়ার্ডে ২৪ ঘণ্টার জন্য তাকে অবজারভেশনে রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়।’

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার পরিবেশবিদ বখতিয়ার হামিদ জানান, মারা যাওয়া সাপটি সম্পূর্ণ বিষহীন সাপ। এই সাপের নাম ‘ঘরগিন্নি’ (কমন উলফ স্নেক)। সাধারণত টিকটিকি খাওয়ার জন্য এই সাপ মানুষের ঘরে ঢোকে। এ প্রজাতীর একটি পূর্ণবয়স্ক সাপ সর্বোচ্চ দেড় ফুট লম্বা হয়। তবে এই সাপটি সদ্য ভূমিষ্ট হওয়ায় শিশুটির কামড়ের আঘাতেই মারা গেছে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

চুয়াডাঙ্গায় শিশুর কামড়ে সাপের মৃত্যু

আপলোড টাইম : ০৯:১০:২০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৮ জুন ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক: বিভিন্ন সময় সাপের কামড়ে মানুষের মৃত্যুর ঘটনা ঘটলেও এবার চুয়াডাঙ্গায় ঘটেছে তার উল্টো ঘটনা। সদর উপজেলার উজলপুর গ্রামে জান্নাতুল ফেরদৌস নামের এক বছর বয়সী এক শিশুর কামড়ে মৃত্যু হয়েছে একটি নির্বিষ সাপের বাচ্চার। সাপটির নাম ‘ঘরগিন্নি’ (কমন উলফ স্নেক)। গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে উজলপুর গ্রামের বিলপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। পরে পরিবারের সদস্যরা সাপসহ শিশুটির দেখতে পেয়ে তাকে দ্রুত উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেয়। শিশু জান্নাতুল ফেরদৌস উজলপুর গ্রামের বিলপাড়ার রিয়াজুল ইসলাম ও শিলা খাতুন দম্পতির মেয়ে। তার অবস্থা আশঙ্কামুক্ত বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক।

জানা যায়, গতকাল সকালে রান্না ঘরে রান্না করছিলেন শিশু জান্নাতুলের মা শিলা খাতুন। এসময় ঘরে মেঝেতে চাচাতো ভাই কাউসারের সঙ্গে ঘরে খেলা করছিল শিশু জান্নাতুল। খেলতে খেলতে দুজনেই খাটের নিচে চলে যায়। এরই একপর্যায়ে শিলা খাতুন ঘরে প্রবেশ করছে শিশু জান্নাতুলকে একটি মৃত সাপের বাচ্চা হাতে নিয়ে খাটের নিচ থেকে বের হতে দেখেন। মৃত সাপটির শরীরে দুইটি স্থানে কামড়ের চিহ্ন দেখতে পেয়ে তিনি দ্রুত মেয়ে ও সাপটিকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আসেন।

শিশু জান্নাতুলের মা শিলা খাতুন বলেন, ‘জান্নাতুল তার চাচাতো ভাই কাউসারের সঙ্গে ঘরের ভেতরে খেলা করছিল। আমি রান্নাঘর থেকে ঘরের ভেতরে গেলে জান্নাতুলকে খাটের নিচ থেকে বের হতে দেখি। তখনি খেয়াল করি মেয়ের হাতে একটি মৃত সাপের বাচ্চা। সাপের গায়ে কামরের দাগ দেখে আমি ভয় পেয়ে দ্রুত মেয়েকে ও সাপটিকে সঙ্গে নিয়ে হাসপাতালে আসি।’

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. মাহবুবুর রহমান মিলন বলেন, ‘সাপের বাচ্চাটির শরীরে কামড়ের চিহ্ন রয়েছে। খেলার ছলে শিশু জান্নাতুল সাপের বাচ্চাটিকে কামড় দেওয়ায় সাপটির মৃত্যু হয়েছে। তবে সাপটি শিশুটিকে কামড় না দেওয়ায় তার কোনো ক্ষতি হয়নি। শিশুটি সম্পূর্ণ সুস্থ থাকলেও শিশু ওয়ার্ডে ২৪ ঘণ্টার জন্য তাকে অবজারভেশনে রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়।’

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার পরিবেশবিদ বখতিয়ার হামিদ জানান, মারা যাওয়া সাপটি সম্পূর্ণ বিষহীন সাপ। এই সাপের নাম ‘ঘরগিন্নি’ (কমন উলফ স্নেক)। সাধারণত টিকটিকি খাওয়ার জন্য এই সাপ মানুষের ঘরে ঢোকে। এ প্রজাতীর একটি পূর্ণবয়স্ক সাপ সর্বোচ্চ দেড় ফুট লম্বা হয়। তবে এই সাপটি সদ্য ভূমিষ্ট হওয়ায় শিশুটির কামড়ের আঘাতেই মারা গেছে।