নিজস্ব প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গায় গাঁজা ও চোলাই মদসহ ৩ জনকে আটকের পর ভ্রাম্যমাণ আদালতে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার পদ্মবিলা ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে ১ কেজি গাঁজা ও সাড়ে ৪ লিটার চোলাই মদ উদ্ধার করা হয়। আটককৃতদের ভ্রাম্যমাণ আদালতে সাজা প্রদান করেন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট শামীম ভুইয়া। সাজাপ্রাপ্তরা হলেন-চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার পদ্মবিলা ইউনিয়নের পিরোজখালী মাঝের পাড়ার মৃত বিলাত আলী বিশ্বাসের ছেলে সিরাজুল ইসলাম ওরফে নবাব (৬০), কুশোডাঙ্গা গ্রামের মৃত মুনছুর আলী মন্ডলের ছেলে সুলতান আলী (৩৯) এবং একই গ্রামের আনোয়ার হোসেনের ছেলে আসাদুল হক (৪৬)।
]

ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট শামীম ভুইয়ার নেতৃত্বে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. শরিয়তউল্লাহ, পরিদর্শক আব্দুল্লাহ আল মামুন, উপপরিদর্শক আকবর হোসেন, সাহারা ইয়াসমিন ও সহকারী উপপরিদর্শক সৈয়দ মনিরুজ্জামান সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে পদ্মবিলা ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে মাদকবিরোধী অভিয়ান চালায়। এসময় সিরাজুল ইসলাম ওরফে নবাবের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ১ কেজি গাঁজাসহ তাকে আটক করা হয়। কুশোডাঙ্গা গ্রামের রাকিবের লেবু বাগানে অভিযান চালিয়ে আড়াই লিটার চোলাই মদসহ সুলতান আলীকে আটক করা হয়।

এদিকে, কুশোডাঙ্গা গ্রামের বাঁশখালী মাঠে আকালের বাঁশবাগান থেকে ২লিটার চোলাই মদসহ আসাদুল হককে আটক করা হয়। পরে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট শামীম ভুইয়া ভ্রাম্যমাণ আদালতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে সিরাজুল ইসলামকে ১ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ২ শ’ টাকা জরিমানা করেন। সুলতান আলী ও আসাদুল হক দুজনকেই ৬ মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ১ শ’ টাকা করে জরিমানা করা হয়। সাজাপ্রাপ্তদের জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।