ইপেপার । আজ শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪

চুয়াডাঙ্গায় নতুন করে ৩৭ ও মেহেরপুরে ৪৫ জনের রিপোর্ট পজিটিভ

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০২:১৯:৩৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৭ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • / ৩০ বার পড়া হয়েছে

সমীকরণ প্রতিবেদক:
সারা দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরো ২৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। একইসময়ে সারা দেশে নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে ৮ হাজার ৩৪৫ জনের শরীরে। এদিকে, গতকাল চুয়াডাঙ্গায় করোনা আক্রান্ত ও উপসর্গ নিয়ে কারো মৃত্যু নাহলেও নতুন করে আরো ৩৭ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এসময় মেহেরপুরেও নতুন করে ৪৫ জন করোনায় আক্রান্ত হন।


চুয়াডাঙ্গা:
চুয়াডাঙ্গায় প্রতিনিয়ত বাড়ছে করোনা শনাক্তের সংখ্যা। গতকাল রোববার নতুন করে এ জেলায় ৩৭ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। গতকাল বিকেল চারটায় চুয়াডাঙ্গা জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ নিয়মিত করোনা আপডেটে এ তথ্য নিশ্চিত করে। নতুন আক্রান্ত ৩৭ জনসহ জেলায় এ পর্যন্ত মোট করোনা আক্রান্ত হয়েছে ৭ হাজার ৫৯৮ জন।
স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, রোববার ২৫৬টি নমুনার ফলাফলের মধ্যে ৩৭টি নমুনায় করোনা শনাক্ত হয়েছে। বাকী ২১৯টি নমুনার ফলাফল নেগেটিভ আসে। নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৪৫ শতাংশ। গতকাল জেলায় করোনা আক্রান্ত থেকে নতুন ১০জন সুস্থ হয়েছে। এনিয়ে জেলায় মোট সুস্থ হয়েছেন ৬ হাজার ৮২২ জন। জেলায় এ যাবত মোট ২১৯ জন করোনায় মারা গেছেন। যারমধ্যে জেলায় মৃত্যু হয়েছে ১৮৯ জনের ও জেলার বাইরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন আরো বিশজন। এদিকে, গতকাল পর্যন্ত চুুয়াডাঙ্গা জেলায় করোনা প্রতিরোধক টিকার সর্বমোট প্রথম ডোজ গ্রহণ করেছেন ৮ লাখ ৮১ হাজার ২, দ্বিতীয় ডোজ ৬ লাখ ৪৪ হাজার ৮৩৮ এবং তৃতীয় বুস্টার ডোজ গ্রহণ করেছেন ১৩ হাজার ৪৬৩ জন।


মেহেরপুরে:
মেহেরপুরে নতুন করে ৪৫জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে সদর উপজেলার ২৫ জন, গাংনী উপজেলার ১৪ জন ও মুজিবনগরের ৬ জন রয়েছেন। গতকাল রোববার রাতে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে এ তথ্য জানা যায়। গতকাল জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ করোনা পরীক্ষার মোট ১০৯টি নমুনার ফলাফল প্রকাশ করে। এর মধ্যে ৪৫টি নমুনায় করোনার ফলাফল পজিটিভ ও বাকী ৬৪টি ফলাফল নেগেটিভ আসে। এনিয়ে বর্তমানে মেহেরপুর জেলায় করোনা পজেটিভ এর সংখ্যা ২৭২ জন। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ১৪৭ জন, গাংনী উপজেলার ৯৪ জন এবং মুজিবনগরের ৩১ জন।


সারা দেশ:
সারা দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরো ২৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশে করোনায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৮ হাজার ৫৮৯ জনে। একই সময়ে নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে ৮ হাজার ৩৪৫ জনের। এ পর্যন্ত মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৮ লাখ ৬১ হাজার ৫৩২ জনে। শনাক্তের হার ২১ দশমিক ৫০ শতাংশ। গতকাল রোববার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
গতকাল বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৮ হাজার ১৫৯ জন। এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৬ লাখ ২ হাজার ৫৫০ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয় ৩৮ হাজার ২৪৭টি। পরীক্ষা করা হয় ৩৮ হাজার ৮২১টি নমুনা। পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ২১ দশমিক ৫০ শতাংশ। মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৬৩ শতাংশ। ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়াদের মধ্যে ১৫ জন পুরুষ, ১৪ জন নারী। ঢাকা বিভাগে মারা গেছেন ১৪ জন। চট্টগ্রামে ৪, রাজশাহীতে ১, খুলনায় ৪, সিলেটে ১, রংপুরে ৩ ও ময়মনসিংহে ২ জন মারা গেছেন।
২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম ৩ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ওই বছরের ১৮ মার্চ দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। গেল বছরের ৫ ও ১০ আগস্ট দুদিন সর্বাধিক ২৬৪ জন করে মারা যান।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

চুয়াডাঙ্গায় নতুন করে ৩৭ ও মেহেরপুরে ৪৫ জনের রিপোর্ট পজিটিভ

আপলোড টাইম : ০২:১৯:৩৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৭ ফেব্রুয়ারী ২০২২

সমীকরণ প্রতিবেদক:
সারা দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরো ২৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। একইসময়ে সারা দেশে নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে ৮ হাজার ৩৪৫ জনের শরীরে। এদিকে, গতকাল চুয়াডাঙ্গায় করোনা আক্রান্ত ও উপসর্গ নিয়ে কারো মৃত্যু নাহলেও নতুন করে আরো ৩৭ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এসময় মেহেরপুরেও নতুন করে ৪৫ জন করোনায় আক্রান্ত হন।


চুয়াডাঙ্গা:
চুয়াডাঙ্গায় প্রতিনিয়ত বাড়ছে করোনা শনাক্তের সংখ্যা। গতকাল রোববার নতুন করে এ জেলায় ৩৭ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। গতকাল বিকেল চারটায় চুয়াডাঙ্গা জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ নিয়মিত করোনা আপডেটে এ তথ্য নিশ্চিত করে। নতুন আক্রান্ত ৩৭ জনসহ জেলায় এ পর্যন্ত মোট করোনা আক্রান্ত হয়েছে ৭ হাজার ৫৯৮ জন।
স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, রোববার ২৫৬টি নমুনার ফলাফলের মধ্যে ৩৭টি নমুনায় করোনা শনাক্ত হয়েছে। বাকী ২১৯টি নমুনার ফলাফল নেগেটিভ আসে। নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৪৫ শতাংশ। গতকাল জেলায় করোনা আক্রান্ত থেকে নতুন ১০জন সুস্থ হয়েছে। এনিয়ে জেলায় মোট সুস্থ হয়েছেন ৬ হাজার ৮২২ জন। জেলায় এ যাবত মোট ২১৯ জন করোনায় মারা গেছেন। যারমধ্যে জেলায় মৃত্যু হয়েছে ১৮৯ জনের ও জেলার বাইরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন আরো বিশজন। এদিকে, গতকাল পর্যন্ত চুুয়াডাঙ্গা জেলায় করোনা প্রতিরোধক টিকার সর্বমোট প্রথম ডোজ গ্রহণ করেছেন ৮ লাখ ৮১ হাজার ২, দ্বিতীয় ডোজ ৬ লাখ ৪৪ হাজার ৮৩৮ এবং তৃতীয় বুস্টার ডোজ গ্রহণ করেছেন ১৩ হাজার ৪৬৩ জন।


মেহেরপুরে:
মেহেরপুরে নতুন করে ৪৫জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে সদর উপজেলার ২৫ জন, গাংনী উপজেলার ১৪ জন ও মুজিবনগরের ৬ জন রয়েছেন। গতকাল রোববার রাতে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে এ তথ্য জানা যায়। গতকাল জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ করোনা পরীক্ষার মোট ১০৯টি নমুনার ফলাফল প্রকাশ করে। এর মধ্যে ৪৫টি নমুনায় করোনার ফলাফল পজিটিভ ও বাকী ৬৪টি ফলাফল নেগেটিভ আসে। এনিয়ে বর্তমানে মেহেরপুর জেলায় করোনা পজেটিভ এর সংখ্যা ২৭২ জন। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ১৪৭ জন, গাংনী উপজেলার ৯৪ জন এবং মুজিবনগরের ৩১ জন।


সারা দেশ:
সারা দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরো ২৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশে করোনায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৮ হাজার ৫৮৯ জনে। একই সময়ে নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে ৮ হাজার ৩৪৫ জনের। এ পর্যন্ত মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৮ লাখ ৬১ হাজার ৫৩২ জনে। শনাক্তের হার ২১ দশমিক ৫০ শতাংশ। গতকাল রোববার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
গতকাল বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৮ হাজার ১৫৯ জন। এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৬ লাখ ২ হাজার ৫৫০ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয় ৩৮ হাজার ২৪৭টি। পরীক্ষা করা হয় ৩৮ হাজার ৮২১টি নমুনা। পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ২১ দশমিক ৫০ শতাংশ। মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৬৩ শতাংশ। ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়াদের মধ্যে ১৫ জন পুরুষ, ১৪ জন নারী। ঢাকা বিভাগে মারা গেছেন ১৪ জন। চট্টগ্রামে ৪, রাজশাহীতে ১, খুলনায় ৪, সিলেটে ১, রংপুরে ৩ ও ময়মনসিংহে ২ জন মারা গেছেন।
২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম ৩ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ওই বছরের ১৮ মার্চ দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। গেল বছরের ৫ ও ১০ আগস্ট দুদিন সর্বাধিক ২৬৪ জন করে মারা যান।