ইপেপার । আজ শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪

চুয়াডাঙ্গায় ঢোকেনি নতুন মূল্যের ভোজ্য তেল

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:০৭:১১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ জুলাই ২০২২
  • / ২৫ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: সয়াবিন তেলের দাম কমলেও চুয়াডাঙ্গাতে এখনো সাপ্লাই হয়নি সরকার নির্ধারিত নতুন দামের বোতলজাত ভোজ্য তেলের। আজ মঙ্গলবার চুয়াডাঙ্গায় তেল কোম্পানিগুলো নতুন মূল্যের বোতল সরবরাহ করতে পারে, বলছেন ব্যবসায়ীরা। সোমবার নতুন দরে তেলের দাম কার্যকর হলেও চুয়াডাঙ্গায় ক্রেতা সাধারণ পাইনি নতুন দামের তেল। চুয়াডাঙ্গার খুচরা বাজারে বিক্রি হওয়া ভোজ্য তেলের বোতল আগের মূল্যেই বিক্রি করা হয়েছে।

জানা গেছে, সরকার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ১৪ টাকা কমিয়েছে। নতুন দর অনুযায়ী, প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম প্রায় ৭ শতাংশ কমে ১৮৫ টাকায় বিক্রি হবে। এ পর্যন্ত বাজারে তেলের দাম ছিল ১৯৯ টাকা। আর ৯৮০ টাকার পাঁচ লিটারের বোতলের নতুন দাম হবে ৯১০ টাকা। প্রতি লিটার পাম তেলের দাম লিটারে ৬ টাকা কমে হবে ১৫২ টাকা। এ মূল্য গতকাল সোমবার থেকে সারাদেশে কার্যকর করা হয়েছে।

তবে, নতুন মূল্য তেলের দাম কার্যকর হলেও, চুয়াডাঙ্গার ক্রেতা সাধারণরা খুচরা বাজারে সোমবার পাননি নতুন দামের বোতল। যদিও কোনো কোনো ব্যবসায়ী বলছেন, সোমবার থেকেই পুরোনো বোতল নতুন দামে বাজারে দেয়া হচ্ছে।

চুয়াডাঙ্গা কোর্টপাড়ার বাসিন্দা আবুল কালাম বলেন, তেল নিতে বাজারে গিয়েছিলাম। দোকানদাররা বলছেন, নতুন দামের বোতল ঢোকেনি। তাই এখন নতুন দামে তেল দেয়া সম্ভব হয়নি।

সাতগাড়ী এলাকার রজব আলী বলেন, এখন সরকার কমিয়েছে। তবে, নতুন বোতল ঢোকেনি ঢোকেনি করে কতদিন যে পার করে।

চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিবেশক সমিতির সভাপতি হাজী সালাউদ্দিন চান্নু বলেন, আমরা তেলে ডেমারেজ দিয়েই বিক্রি করা শুরু করেছি। আগের তেল নেওয়া ছিলো। এখন সব ব্যবসায়ীর কাছেই তেল আছে। সরকার সিদ্ধান্ত নিলো তেলের দাম ১৪ টাকা কমবে। আসলে আমাদের লস হলে কারো কোনো মাথাব্যাথা নেই। তবে, আমরা লসে বিক্রি করছি।

জেলা বাজার কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম বলেন, চুয়াডাঙ্গায় নতুন মূল্যের বোতল এখনো ঢোকেনি। তবে, মঙ্গলবার কোম্পানিগুলো নতুন মূল্যের তেল চুয়াডাঙ্গায় সরবরাহ করবে বলে জানতে পেরেছি।

উল্লেখ্য, সরকারের বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান ট্রেড কমিশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, স্থানীয় বাজারে গত এক বছরে সয়াবিন তেলের দাম বেড়েছে (খোলা) ৪৭%, (বোতল) পাঁচ লিটার ৪১%, (বোতল) এক লিটার ৩৩%, পাম তেল (লুজ) ৩৯% এবং পাম অয়েল সুপার ৪১%। গত এক মাসে যথাক্রমে ৮.৫%, ২.১২%, ৪%, ১৫% ও ১১% দাম কমেছে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

চুয়াডাঙ্গায় ঢোকেনি নতুন মূল্যের ভোজ্য তেল

আপলোড টাইম : ০৯:০৭:১১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ জুলাই ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক: সয়াবিন তেলের দাম কমলেও চুয়াডাঙ্গাতে এখনো সাপ্লাই হয়নি সরকার নির্ধারিত নতুন দামের বোতলজাত ভোজ্য তেলের। আজ মঙ্গলবার চুয়াডাঙ্গায় তেল কোম্পানিগুলো নতুন মূল্যের বোতল সরবরাহ করতে পারে, বলছেন ব্যবসায়ীরা। সোমবার নতুন দরে তেলের দাম কার্যকর হলেও চুয়াডাঙ্গায় ক্রেতা সাধারণ পাইনি নতুন দামের তেল। চুয়াডাঙ্গার খুচরা বাজারে বিক্রি হওয়া ভোজ্য তেলের বোতল আগের মূল্যেই বিক্রি করা হয়েছে।

জানা গেছে, সরকার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ১৪ টাকা কমিয়েছে। নতুন দর অনুযায়ী, প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম প্রায় ৭ শতাংশ কমে ১৮৫ টাকায় বিক্রি হবে। এ পর্যন্ত বাজারে তেলের দাম ছিল ১৯৯ টাকা। আর ৯৮০ টাকার পাঁচ লিটারের বোতলের নতুন দাম হবে ৯১০ টাকা। প্রতি লিটার পাম তেলের দাম লিটারে ৬ টাকা কমে হবে ১৫২ টাকা। এ মূল্য গতকাল সোমবার থেকে সারাদেশে কার্যকর করা হয়েছে।

তবে, নতুন মূল্য তেলের দাম কার্যকর হলেও, চুয়াডাঙ্গার ক্রেতা সাধারণরা খুচরা বাজারে সোমবার পাননি নতুন দামের বোতল। যদিও কোনো কোনো ব্যবসায়ী বলছেন, সোমবার থেকেই পুরোনো বোতল নতুন দামে বাজারে দেয়া হচ্ছে।

চুয়াডাঙ্গা কোর্টপাড়ার বাসিন্দা আবুল কালাম বলেন, তেল নিতে বাজারে গিয়েছিলাম। দোকানদাররা বলছেন, নতুন দামের বোতল ঢোকেনি। তাই এখন নতুন দামে তেল দেয়া সম্ভব হয়নি।

সাতগাড়ী এলাকার রজব আলী বলেন, এখন সরকার কমিয়েছে। তবে, নতুন বোতল ঢোকেনি ঢোকেনি করে কতদিন যে পার করে।

চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিবেশক সমিতির সভাপতি হাজী সালাউদ্দিন চান্নু বলেন, আমরা তেলে ডেমারেজ দিয়েই বিক্রি করা শুরু করেছি। আগের তেল নেওয়া ছিলো। এখন সব ব্যবসায়ীর কাছেই তেল আছে। সরকার সিদ্ধান্ত নিলো তেলের দাম ১৪ টাকা কমবে। আসলে আমাদের লস হলে কারো কোনো মাথাব্যাথা নেই। তবে, আমরা লসে বিক্রি করছি।

জেলা বাজার কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম বলেন, চুয়াডাঙ্গায় নতুন মূল্যের বোতল এখনো ঢোকেনি। তবে, মঙ্গলবার কোম্পানিগুলো নতুন মূল্যের তেল চুয়াডাঙ্গায় সরবরাহ করবে বলে জানতে পেরেছি।

উল্লেখ্য, সরকারের বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান ট্রেড কমিশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, স্থানীয় বাজারে গত এক বছরে সয়াবিন তেলের দাম বেড়েছে (খোলা) ৪৭%, (বোতল) পাঁচ লিটার ৪১%, (বোতল) এক লিটার ৩৩%, পাম তেল (লুজ) ৩৯% এবং পাম অয়েল সুপার ৪১%। গত এক মাসে যথাক্রমে ৮.৫%, ২.১২%, ৪%, ১৫% ও ১১% দাম কমেছে।