ইপেপার । আজ রবিবার, ২০ অক্টোবর ২০২৪

চুয়াডাঙ্গায় জাতীয় শোক দিবসে কুইজ প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণকালে এসপি জাহিদ

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:১৭:৫৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৭ অগাস্ট ২০২২
  • / ১৭ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: চুয়াডাঙ্গায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস-২০২২ উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর জীবনীর ওপর কুইজ প্রতিযোগিতা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় চুয়াডাঙ্গা আদর্শ উচ্চবিদ্যালয়ে এ আয়োজন করে চুয়াডাঙ্গা ফাউন্ডেশন। অনুষ্ঠানে চুয়াডাঙ্গা ফাউন্ডেশনের সভাপতি আলিফ হোসেনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেন জেলা পুলিশ সুপার মো. জাহিদুল ইসলাম বিপিএম-সেবা।

চুয়াডাঙ্গা ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা সাংবাদিক মেহেরাব্বিন সানভীর উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার সাবেক মেয়র ও আদর্শ উচ্চবিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতি ওবায়দুর রহমান চৌধুরী জিপু ও আদর্শ উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নূর হোসেন। এসময় অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গার ট্রাফিক পুলিশ পরিদর্শক ফকরুল ইসলাম, আদর্শ উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক আনোয়ার হোসেন, চুয়াডাঙ্গা ফাউন্ডেশনের সম্পাদকম-লীর সদস্য সাবিত শিথিল, হাদিয়ুজ্জামান প্রান্ত, ইয়াসির আরাফাত, শাহরিয়ার সাইমন অন্তু, রমজান আলী প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে পুলিশ সুপার মো. জাহিদুল ইসলাম বিপিএম-সেবা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন ছোট-বড় সবার প্রিয়। কারণ তিনি সবাইকে ভালোবাসতেন। খুব সহজে সবাইকে আপন করে নিতেন। মানুষের প্রতি বঙ্গবন্ধুর ছিল গভীর মমতা। বিশেষ করে ছোটদের তিনি খুব ভালোবাসতেন। ¯েœহ করতেন। শিশুদের সঙ্গে সময় কাটাতে পছন্দ করতেন। শিশুদের সবকিছুকে সহজে বুঝতে পারতেন তিনি। দেশে ও জনগণের বিভিন্ন কাজে বঙ্গবন্ধু যখন গ্রামেগঞ্জে যেতেন, তখন চলার পথে শিশুদের দেখলে গাড়ি থামিয়ে তাদের সঙ্গে গল্প করতেন। খোঁজখবর নিতেন। দুস্থ ও গরিব শিশুদের দেখলে কাছে টানতেন। কখনো কখনো নিজের গাড়িতে উঠিয়ে অফিসে বা নিজের বাড়িতে নিয়ে যেতেন। এরপর কাপড়-চোপড়সহ নানা উপহার দিয়ে তাদের মুখে হাসি ফোটাতেন।

পুলিশ সুপার মো. জাহিদুল ইসলাম বিপিএম-সেবা বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জন করার জন্য দিতে হয়েছে লাখো প্রাণ, দিতে হয়েছে হাজারো মা-বোনের ইজ্জত। আর এই স্বাধীনতা টিকিয়ে রাখতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ তার সম্পূর্ণ পরিবারকে দিতে হয়েছে তাজা রক্ত। এই শোকের মাসেই আমরা আসি সকলে প্রতিজ্ঞা করি বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্নকে আমরা পূরণ করব।

পরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুুজিবুর রহমানকে নিয়ে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে কুইজ প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন পুলিশ সুপারসহ অতিথিরা। এসময় পুলিশ সুপার মো. জাহিদুল ইসলাম বিপিএম-সেবা আদর্শ উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের হাতে বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী বই উপহার হিসেবে তুলে দেন। প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী সকল শিক্ষার্থীকে চুয়াডাঙ্গা ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা উপহার দেওয়া হয়।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

চুয়াডাঙ্গায় জাতীয় শোক দিবসে কুইজ প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণকালে এসপি জাহিদ

আপলোড টাইম : ১০:১৭:৫৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৭ অগাস্ট ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক: চুয়াডাঙ্গায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস-২০২২ উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর জীবনীর ওপর কুইজ প্রতিযোগিতা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় চুয়াডাঙ্গা আদর্শ উচ্চবিদ্যালয়ে এ আয়োজন করে চুয়াডাঙ্গা ফাউন্ডেশন। অনুষ্ঠানে চুয়াডাঙ্গা ফাউন্ডেশনের সভাপতি আলিফ হোসেনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেন জেলা পুলিশ সুপার মো. জাহিদুল ইসলাম বিপিএম-সেবা।

চুয়াডাঙ্গা ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা সাংবাদিক মেহেরাব্বিন সানভীর উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার সাবেক মেয়র ও আদর্শ উচ্চবিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতি ওবায়দুর রহমান চৌধুরী জিপু ও আদর্শ উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নূর হোসেন। এসময় অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গার ট্রাফিক পুলিশ পরিদর্শক ফকরুল ইসলাম, আদর্শ উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক আনোয়ার হোসেন, চুয়াডাঙ্গা ফাউন্ডেশনের সম্পাদকম-লীর সদস্য সাবিত শিথিল, হাদিয়ুজ্জামান প্রান্ত, ইয়াসির আরাফাত, শাহরিয়ার সাইমন অন্তু, রমজান আলী প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে পুলিশ সুপার মো. জাহিদুল ইসলাম বিপিএম-সেবা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন ছোট-বড় সবার প্রিয়। কারণ তিনি সবাইকে ভালোবাসতেন। খুব সহজে সবাইকে আপন করে নিতেন। মানুষের প্রতি বঙ্গবন্ধুর ছিল গভীর মমতা। বিশেষ করে ছোটদের তিনি খুব ভালোবাসতেন। ¯েœহ করতেন। শিশুদের সঙ্গে সময় কাটাতে পছন্দ করতেন। শিশুদের সবকিছুকে সহজে বুঝতে পারতেন তিনি। দেশে ও জনগণের বিভিন্ন কাজে বঙ্গবন্ধু যখন গ্রামেগঞ্জে যেতেন, তখন চলার পথে শিশুদের দেখলে গাড়ি থামিয়ে তাদের সঙ্গে গল্প করতেন। খোঁজখবর নিতেন। দুস্থ ও গরিব শিশুদের দেখলে কাছে টানতেন। কখনো কখনো নিজের গাড়িতে উঠিয়ে অফিসে বা নিজের বাড়িতে নিয়ে যেতেন। এরপর কাপড়-চোপড়সহ নানা উপহার দিয়ে তাদের মুখে হাসি ফোটাতেন।

পুলিশ সুপার মো. জাহিদুল ইসলাম বিপিএম-সেবা বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জন করার জন্য দিতে হয়েছে লাখো প্রাণ, দিতে হয়েছে হাজারো মা-বোনের ইজ্জত। আর এই স্বাধীনতা টিকিয়ে রাখতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ তার সম্পূর্ণ পরিবারকে দিতে হয়েছে তাজা রক্ত। এই শোকের মাসেই আমরা আসি সকলে প্রতিজ্ঞা করি বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্নকে আমরা পূরণ করব।

পরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুুজিবুর রহমানকে নিয়ে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে কুইজ প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন পুলিশ সুপারসহ অতিথিরা। এসময় পুলিশ সুপার মো. জাহিদুল ইসলাম বিপিএম-সেবা আদর্শ উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের হাতে বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী বই উপহার হিসেবে তুলে দেন। প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী সকল শিক্ষার্থীকে চুয়াডাঙ্গা ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা উপহার দেওয়া হয়।