ইপেপার । আজ শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪

চুয়াডাঙ্গায় ছোট ভাইয়ের কোদালের আঘাতে বড় ভাই-ভাবি আহত

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০২:২১:১২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • / ৩৪ বার পড়া হয়েছে


নিজস্ব প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গায় পৈত্রিক জিম নিয়ে বিরোধের জেরে ছোট ভায়ের কোদালের আঘাতে বড় ভাই ও ভাবী আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। গতকাল শনিবার সকাল নয়টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার আলুকদিয়া ইউনিয়নের ঝোড়াঘাটা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরে পরিবারের সদস্যরা আহতদেরকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। আহতা হলেন- ঝোড়াঘাটা গ্রামের মাঝেরপাড়ার শাহাবদ্দীনের বড় ছেলে ইলিয়াস হোসেন (৪০) ও তাঁর স্ত্রী রুপালি খাতুন (৩৫)।
জানা যায়, পৈত্রিক বাড়ির জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ইলিয়াস হোসেনের সঙ্গে তার ছোট ভাই আলামিনের (৩৫) বিরোধ চলে আসছিল। কিছুদিন পূর্বে তাদের পিতা শাহাবদ্দীন বাড়ির মধ্যে দুই ভায়ের জমি ও রাস্তা আলাদা করে দেয়। কিন্তু এতে মতবিরোধ সৃষ্টি হয় আলামিনের। এরই মধ্যে গতকাল সকালে আলামিন নিজের মত করে জোরপূর্বক রাস্তা ও জমি তার অধিনে নিতে কোদাল দিয়ে রাস্তার মাটি কাটতে শুরু করে। এসময় ইলিয়াস হোসেন তাকে বাঁধা দিলে দুই ভাইয়ের মধ্যে বাগবিতণ্ডার সুষ্টি হয়। এরই এক পর্যায়ে আলামিত তার হাতে থাকা কোদালের উল্টাপিঠ দিয়ে ইলিয়াসের মুখে ও চোখে আঘাত করে। এসময় ইলিয়াসের স্ত্রী রপালি খাতুন ঠেকাতে গেলে তাকেও আঘাত করে আলামিন। এসময় পরিবারের সদস্যরা দুই ইলিয়াসকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাপসাতালের জরুরি বিভাগে নেয়। জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ইলিয়াসকে তাৎক্ষণিক চিকিৎসা দিয়ে ভর্তি রাখেন। অন্যদিকে রুপালিকে গ্রাম্য চিকিৎসকের নিকট থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা গ্রহণ করেন।
আহত ইলিয়াস হোসেন বলেন, ‘আমাদের পিতা দুই ভায়ের জমি ও রাস্তা আলাদা করে দেখিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু আমার ছোট ভাই সবকিছু নিজের মত করে নিতে চাই। কোন কিছু বলতে গেলেই সে আমাকে মারধর করে। আজও সে আমাকে ও আমার স্ত্রীকে কোদালের আছাড়ি দিয়ে পিটিয়ে আহত করেছে।’
চুয়াডাঙ্গা সদর হাপসাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যত চিকিৎসক ডা. ওয়াহিদ মাহমুদ রবিন বলেন, ‘বেলা ১১টার দিকে পরিবারের সদস্যরা ইলিয়াস নামের এক ব্যক্তিকে জরুরি বিভাগে নেয়। তার মুখে ও চোখে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। জরুরি বিভাগ থেকে তা’ক্ষণিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে হাসপাতালের পুরুষ সার্জারি বিভাগে ভর্তি রাখা হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন বলেন, ‘এমন একটি ঘটনা সম্পর্কে জানতে পেরেছি। তবে এখন পর্যন্ত কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

চুয়াডাঙ্গায় ছোট ভাইয়ের কোদালের আঘাতে বড় ভাই-ভাবি আহত

আপলোড টাইম : ০২:২১:১২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২২


নিজস্ব প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গায় পৈত্রিক জিম নিয়ে বিরোধের জেরে ছোট ভায়ের কোদালের আঘাতে বড় ভাই ও ভাবী আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। গতকাল শনিবার সকাল নয়টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার আলুকদিয়া ইউনিয়নের ঝোড়াঘাটা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরে পরিবারের সদস্যরা আহতদেরকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। আহতা হলেন- ঝোড়াঘাটা গ্রামের মাঝেরপাড়ার শাহাবদ্দীনের বড় ছেলে ইলিয়াস হোসেন (৪০) ও তাঁর স্ত্রী রুপালি খাতুন (৩৫)।
জানা যায়, পৈত্রিক বাড়ির জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ইলিয়াস হোসেনের সঙ্গে তার ছোট ভাই আলামিনের (৩৫) বিরোধ চলে আসছিল। কিছুদিন পূর্বে তাদের পিতা শাহাবদ্দীন বাড়ির মধ্যে দুই ভায়ের জমি ও রাস্তা আলাদা করে দেয়। কিন্তু এতে মতবিরোধ সৃষ্টি হয় আলামিনের। এরই মধ্যে গতকাল সকালে আলামিন নিজের মত করে জোরপূর্বক রাস্তা ও জমি তার অধিনে নিতে কোদাল দিয়ে রাস্তার মাটি কাটতে শুরু করে। এসময় ইলিয়াস হোসেন তাকে বাঁধা দিলে দুই ভাইয়ের মধ্যে বাগবিতণ্ডার সুষ্টি হয়। এরই এক পর্যায়ে আলামিত তার হাতে থাকা কোদালের উল্টাপিঠ দিয়ে ইলিয়াসের মুখে ও চোখে আঘাত করে। এসময় ইলিয়াসের স্ত্রী রপালি খাতুন ঠেকাতে গেলে তাকেও আঘাত করে আলামিন। এসময় পরিবারের সদস্যরা দুই ইলিয়াসকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাপসাতালের জরুরি বিভাগে নেয়। জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ইলিয়াসকে তাৎক্ষণিক চিকিৎসা দিয়ে ভর্তি রাখেন। অন্যদিকে রুপালিকে গ্রাম্য চিকিৎসকের নিকট থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা গ্রহণ করেন।
আহত ইলিয়াস হোসেন বলেন, ‘আমাদের পিতা দুই ভায়ের জমি ও রাস্তা আলাদা করে দেখিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু আমার ছোট ভাই সবকিছু নিজের মত করে নিতে চাই। কোন কিছু বলতে গেলেই সে আমাকে মারধর করে। আজও সে আমাকে ও আমার স্ত্রীকে কোদালের আছাড়ি দিয়ে পিটিয়ে আহত করেছে।’
চুয়াডাঙ্গা সদর হাপসাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যত চিকিৎসক ডা. ওয়াহিদ মাহমুদ রবিন বলেন, ‘বেলা ১১টার দিকে পরিবারের সদস্যরা ইলিয়াস নামের এক ব্যক্তিকে জরুরি বিভাগে নেয়। তার মুখে ও চোখে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। জরুরি বিভাগ থেকে তা’ক্ষণিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে হাসপাতালের পুরুষ সার্জারি বিভাগে ভর্তি রাখা হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন বলেন, ‘এমন একটি ঘটনা সম্পর্কে জানতে পেরেছি। তবে এখন পর্যন্ত কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’