ইপেপার । আজ মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪

চুয়াডাঙ্গায় আ.লীগের সম্মেলনের শুরুতেই দু’পক্ষের মধ্যে চেয়ার ছোড়াছুড়ি

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:১৫:৩২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২২
  • / ১৪ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন শুরুর আগেই সম্মেলন মাঠে দুই পক্ষের মধ্যে চেয়ার ছোড়াছুড়ির ঘটনা ঘটেছে। এসময় জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মোহাইমেন হাসান জোয়ার্দ্দার অনিকসহ ৬ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়। গতকাল সোমবার সকাল ৯টার দিকে চুয়াডাঙ্গা টাউন ফুটবল মাঠে সম্মেলনের মঞ্চের পাশে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতরা হলেন- চুয়াডাঙ্গা জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মোহাইমেন হাসান জোয়ার্দ্দার অনিক, কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক তারেক হাসান, ছাত্রলীগ নেতা ফিরোজ জোয়ার্দ্দার, রাজু আহমেদ, হিরক ও স্বপন। তবে এরিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কোনো পক্ষই থানায় মৌখিক বা লিখিত অভিযোগ কিংবা মামলা করেনি বলে জানা গেছে।

আহত ছাত্রলীগ নেতা হিরক বলেন, ‘জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মোহাইমেন হাসান জোয়ার্দ্দার অনিক ভাইয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী সম্মেলন সফল করার জন্য মাঠেই কাজ করছিলাম। এসময় মাফিজুর রহমান মাফির নেতৃত্বে তাবু, তাওরাত, প্লাবনরা সংঘবন্ধভাবে আমাদের প্রতিরোধ করে। এবং আমাদের নেতা জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মোহাইমেন হাসান জোয়ার্দ্দার অনিক ভাইয়ের ওপর চেয়ার নিক্ষেপ করে। এটা প্রতিরোধ করার সময় আমরা আহত হয়েছি।’

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জুনিয়র সার্জারি কনসালটেন্ট ডা. এহসানুল হক তন্ময় বলেন, মোহাইমেন হাসান জোয়ার্দ্দার অনিক ও হিরকের মাথা এবং তারেক হাসানের হাতের একটি আঙ্গুল আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে। সেখানে সেলাই করা হয়েছে। তারা শঙ্কামুক্ত। সবাইকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ভর্তি করা হয়েছে।

সম্মেলনস্থলে চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. আনিসুজ্জামান বলেন, ‘সম্মেলনের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো আছে। পরিস্থিতি আমাদের নিয়ন্ত্রণে আছে। আমাদের ডিউটি শুরু হওয়ার আগেই একটু ভুল বোঝাবুঝির কারণে হয়ত চেয়ার ছোড়াছুড়ি হয়েছে। কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ এখানে এসেছেন। চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশ অত্যন্ত সতর্ক অবস্থানে আছে।’

চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘সম্মেলনে আসন নিয়ে দুইটা গ্রুপের মধ্যে বাগবিণ্ডতা হয়েছিল বলে শুনেছি। কাদের কোথায় কখন মারধর করেছে, হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে, এটা আমার জানা নেই। তবে বিষয়টি আমি খোঁজ নিয়ে দেখব।’

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

চুয়াডাঙ্গায় আ.লীগের সম্মেলনের শুরুতেই দু’পক্ষের মধ্যে চেয়ার ছোড়াছুড়ি

আপলোড টাইম : ১০:১৫:৩২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক: চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন শুরুর আগেই সম্মেলন মাঠে দুই পক্ষের মধ্যে চেয়ার ছোড়াছুড়ির ঘটনা ঘটেছে। এসময় জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মোহাইমেন হাসান জোয়ার্দ্দার অনিকসহ ৬ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়। গতকাল সোমবার সকাল ৯টার দিকে চুয়াডাঙ্গা টাউন ফুটবল মাঠে সম্মেলনের মঞ্চের পাশে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতরা হলেন- চুয়াডাঙ্গা জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মোহাইমেন হাসান জোয়ার্দ্দার অনিক, কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক তারেক হাসান, ছাত্রলীগ নেতা ফিরোজ জোয়ার্দ্দার, রাজু আহমেদ, হিরক ও স্বপন। তবে এরিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কোনো পক্ষই থানায় মৌখিক বা লিখিত অভিযোগ কিংবা মামলা করেনি বলে জানা গেছে।

আহত ছাত্রলীগ নেতা হিরক বলেন, ‘জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মোহাইমেন হাসান জোয়ার্দ্দার অনিক ভাইয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী সম্মেলন সফল করার জন্য মাঠেই কাজ করছিলাম। এসময় মাফিজুর রহমান মাফির নেতৃত্বে তাবু, তাওরাত, প্লাবনরা সংঘবন্ধভাবে আমাদের প্রতিরোধ করে। এবং আমাদের নেতা জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মোহাইমেন হাসান জোয়ার্দ্দার অনিক ভাইয়ের ওপর চেয়ার নিক্ষেপ করে। এটা প্রতিরোধ করার সময় আমরা আহত হয়েছি।’

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জুনিয়র সার্জারি কনসালটেন্ট ডা. এহসানুল হক তন্ময় বলেন, মোহাইমেন হাসান জোয়ার্দ্দার অনিক ও হিরকের মাথা এবং তারেক হাসানের হাতের একটি আঙ্গুল আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে। সেখানে সেলাই করা হয়েছে। তারা শঙ্কামুক্ত। সবাইকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ভর্তি করা হয়েছে।

সম্মেলনস্থলে চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. আনিসুজ্জামান বলেন, ‘সম্মেলনের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো আছে। পরিস্থিতি আমাদের নিয়ন্ত্রণে আছে। আমাদের ডিউটি শুরু হওয়ার আগেই একটু ভুল বোঝাবুঝির কারণে হয়ত চেয়ার ছোড়াছুড়ি হয়েছে। কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ এখানে এসেছেন। চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশ অত্যন্ত সতর্ক অবস্থানে আছে।’

চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘সম্মেলনে আসন নিয়ে দুইটা গ্রুপের মধ্যে বাগবিণ্ডতা হয়েছিল বলে শুনেছি। কাদের কোথায় কখন মারধর করেছে, হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে, এটা আমার জানা নেই। তবে বিষয়টি আমি খোঁজ নিয়ে দেখব।’