ইপেপার । আজ শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪

চুয়াডাঙ্গায় আঁখিতারা হাসাতালের ভবন নির্মাণে নানা অনিয়ম

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৮:০০:৩৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২২
  • / ৫৩ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল এলাকার আঁখিতারা জেনারেল হাসপাতালের মালিক ডা. আঁখিতারার বিরুদ্ধে পৌর কর ফাঁকি দেওয়া ও অবৈধ ভবন নির্মাণের অভিযোগে উঠেছে। গতকাল বুধবার দুপুর দেড়টার দিকে আঁখিতারা জেনারেল হাসপাতালে ভ্রাম্যমাণ অভিযান পরিচালনা করেন চুয়াডাঙ্গা পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা শামীম ভূইয়া। এসময় তিনি আঁখিতারা জেনারেল হাসপাতালের বহুতল ভবনটি ঝুকিপূর্ণ ও আবাসিক অনুমতি নিয়ে ভবনটি ব্যবসায়িক কাজে ব্যবহার করে পৌর কর ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগ তোলেন।

এদিকে পৌর নির্বাহী কর্মকর্তার থেকে পূর্বে নোটিশ পেয়েও তা আমলে না নেওয়ার অভিযোগও ওঠে আঁখিতারা জেনারেল হাপসাতালের মালিক ডা. হোসনা জারি তাহমিনা আঁখির বিরুদ্ধে। অভিযান চলাকালীন সময়ে ভবন মালিক ডা. হোসনে জারি তাহমিনা আঁখি পৌর কর্তৃপক্ষের প্রতিটি প্রশ্নের সঠিক জবাব দিতে ব্যর্থ হন। এদিকে, ভ্রাম্যমাণ অভিযান শেষে পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা শামীম ভূইয়া যথাযথ সময়ের মধ্যে ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে আঁখিতারা জেনারেল হাসপাতালের বিদ্যুৎ ও পানির সংযোগ বিচ্ছিন্নসহ সকল পৌর সুবিধা থেকে বঞ্চিত করার নির্দেশ দেন।

এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী আয়ুব আলী বিশ্বাস বলেন, পৌরসভা থেকে পাঁচতলা বিশিষ্ট আবাসিক ভবন নির্মাণের অনুমতি নিলেও ভবন মালিক ঝুকিপূর্ণভাবে ছয়তলা ভবন নির্মাণ করেছেন। শুধু তাই নয়, ভবনটি আবাসিক অনুমোদিত হলেও সম্পূর্ণ ভবনটিই তিনি ব্যবসায়িক কাজে ব্যবহার করছেন।

চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও চুয়াডাঙ্গার সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) শামীম ভুইয়া বলেন, ‘চুয়াডাঙ্গা পৌরসভা হবে একটি চমৎকার শহর। চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে এই শহরকে সুন্দর রুপে গড়ে তোলার জন্য কাজ করার চেষ্টা করছি। যে শহরে কোনো অবৈধ স্থাপনা ও পানি নিষ্কাশনের সমস্যা থাকবে না। এরই মধ্যে আঁখিতারা জেনারেল হাসপাতালের বহুতল ভবনটি আমার চোখে পড়ে। পরবর্তীতে জানতে পারি আবাসিক পাঁচতলা বিশিষ্ট ভবন নির্মাণের অনুমতি নিয়ে ভবন মালিক এটিকে ঝুকিপূর্ণভাবে ছয়তলা নির্মাণ করেছে। শুধু তায়ই নয়, ভবনটি সম্পূর্ণভাবে ব্যবসায়িক কাজে ব্যবহার হচ্ছে। এতে করে পৌরসভার বাৎসরিক যে কর আসার কথা, তার কয়েক গুণ কম কর পরিশোধ করে আসছেন তারা। ভবন নির্মাণের সময় পৌরসভার নির্দেশনা অনুযায়ী সেখানে গাড়ি পার্কিংয়ের জন্য জায়গা রাখার কথা থাকলেও ভবন মালিক সে নিয়ম অমান্য করেছেন। আমরা সেখানে অভিযান চালিয়ে বিদ্যুৎ ও পানির সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার নির্দেশ দিয়েছি।’
এসময় তিনি চুয়াডাঙ্গা পৌরসভাকে একটি চমৎকার পৌরসভা হিসেবে গড়ে তুলতে পৌরবাসীর সহযোগিতা কামনা করেন। সকলের সহযোগিতা পেলে এই শহরকে একটি চমৎকার শহর হিবেসে গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতিও দেন তিনি।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

চুয়াডাঙ্গায় আঁখিতারা হাসাতালের ভবন নির্মাণে নানা অনিয়ম

আপলোড টাইম : ০৮:০০:৩৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল এলাকার আঁখিতারা জেনারেল হাসপাতালের মালিক ডা. আঁখিতারার বিরুদ্ধে পৌর কর ফাঁকি দেওয়া ও অবৈধ ভবন নির্মাণের অভিযোগে উঠেছে। গতকাল বুধবার দুপুর দেড়টার দিকে আঁখিতারা জেনারেল হাসপাতালে ভ্রাম্যমাণ অভিযান পরিচালনা করেন চুয়াডাঙ্গা পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা শামীম ভূইয়া। এসময় তিনি আঁখিতারা জেনারেল হাসপাতালের বহুতল ভবনটি ঝুকিপূর্ণ ও আবাসিক অনুমতি নিয়ে ভবনটি ব্যবসায়িক কাজে ব্যবহার করে পৌর কর ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগ তোলেন।

এদিকে পৌর নির্বাহী কর্মকর্তার থেকে পূর্বে নোটিশ পেয়েও তা আমলে না নেওয়ার অভিযোগও ওঠে আঁখিতারা জেনারেল হাপসাতালের মালিক ডা. হোসনা জারি তাহমিনা আঁখির বিরুদ্ধে। অভিযান চলাকালীন সময়ে ভবন মালিক ডা. হোসনে জারি তাহমিনা আঁখি পৌর কর্তৃপক্ষের প্রতিটি প্রশ্নের সঠিক জবাব দিতে ব্যর্থ হন। এদিকে, ভ্রাম্যমাণ অভিযান শেষে পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা শামীম ভূইয়া যথাযথ সময়ের মধ্যে ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে আঁখিতারা জেনারেল হাসপাতালের বিদ্যুৎ ও পানির সংযোগ বিচ্ছিন্নসহ সকল পৌর সুবিধা থেকে বঞ্চিত করার নির্দেশ দেন।

এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী আয়ুব আলী বিশ্বাস বলেন, পৌরসভা থেকে পাঁচতলা বিশিষ্ট আবাসিক ভবন নির্মাণের অনুমতি নিলেও ভবন মালিক ঝুকিপূর্ণভাবে ছয়তলা ভবন নির্মাণ করেছেন। শুধু তাই নয়, ভবনটি আবাসিক অনুমোদিত হলেও সম্পূর্ণ ভবনটিই তিনি ব্যবসায়িক কাজে ব্যবহার করছেন।

চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও চুয়াডাঙ্গার সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) শামীম ভুইয়া বলেন, ‘চুয়াডাঙ্গা পৌরসভা হবে একটি চমৎকার শহর। চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে এই শহরকে সুন্দর রুপে গড়ে তোলার জন্য কাজ করার চেষ্টা করছি। যে শহরে কোনো অবৈধ স্থাপনা ও পানি নিষ্কাশনের সমস্যা থাকবে না। এরই মধ্যে আঁখিতারা জেনারেল হাসপাতালের বহুতল ভবনটি আমার চোখে পড়ে। পরবর্তীতে জানতে পারি আবাসিক পাঁচতলা বিশিষ্ট ভবন নির্মাণের অনুমতি নিয়ে ভবন মালিক এটিকে ঝুকিপূর্ণভাবে ছয়তলা নির্মাণ করেছে। শুধু তায়ই নয়, ভবনটি সম্পূর্ণভাবে ব্যবসায়িক কাজে ব্যবহার হচ্ছে। এতে করে পৌরসভার বাৎসরিক যে কর আসার কথা, তার কয়েক গুণ কম কর পরিশোধ করে আসছেন তারা। ভবন নির্মাণের সময় পৌরসভার নির্দেশনা অনুযায়ী সেখানে গাড়ি পার্কিংয়ের জন্য জায়গা রাখার কথা থাকলেও ভবন মালিক সে নিয়ম অমান্য করেছেন। আমরা সেখানে অভিযান চালিয়ে বিদ্যুৎ ও পানির সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার নির্দেশ দিয়েছি।’
এসময় তিনি চুয়াডাঙ্গা পৌরসভাকে একটি চমৎকার পৌরসভা হিসেবে গড়ে তুলতে পৌরবাসীর সহযোগিতা কামনা করেন। সকলের সহযোগিতা পেলে এই শহরকে একটি চমৎকার শহর হিবেসে গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতিও দেন তিনি।