ইপেপার । আজ সোমবার, ২১ অক্টোবর ২০২৪

চুয়াডাঙ্গার খাড়াগোদা বাজারে ভ্যানভর্তি করে সার পাচারের চেষ্টা

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৮:২৫:৫৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২ অক্টোবর ২০২২
  • / ২৫ বার পড়া হয়েছে

আকিমুল ইসলাম, তিতুদহ: সারের অভাবে সাধারণ কৃষকরা যেখানে দিশেহারা, সেখানে সরকার কর্তৃক অনুমোদিত কিছু অসাধু ডিলার তাদের স্বার্থ হাসিল করতে বিভিন্ন দোকানে অধিক মূল্যে সার বিক্রির সিন্ডিকেট তৈরি করে চলেছে প্রতিনিয়ত। বস্তা প্রতি ১৫০ থেকে ২ শ টাকা বেশি দরে কিনছেন দোকানিরা এবং অন্য এলাকায় নিয়ে দোকানিরা বিক্রি করছেন আরও ২ শ টাকা লাভে। এর ফলে সার না পেয়ে ডিলারদের কাছ থেকে প্রতিদিন খালি হাতে ফিরে যাচ্ছে শত শত কৃষক। গতকাল শনিবার ভোরে খাড়াগোদা বাজারে ভ্যানভর্তি সার বদরগঞ্জ বাজারের উদ্দেশ্যে পাচারকালে এক সিন্ডিকেটের এমওপি-পটাশ সার আটক করেছে স্থানীয় জনতা।

জানা গেছে, গড়াইটুপি ইউনিয়নের গোবরগাড়া গ্রামের ফারুক হোসেন অনেকদিন ধরে কীটনাশকের ব্যবসার সাথে জড়িত আছে এবং সার সংকটে কয়েকটি ডিলারের সাথে সিন্ডিকেট করে আসছেন। গতকাল ভোরে দুটি ভ্যানে ডিএপি ও এমওপি সার বদরগঞ্জ বাজারে চালান দেবার সময় স্থানীয় জনতার চোখে পড়লে একটি ভ্যান জব্দ করে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা তারিফুজ্জামান ও তিতুদহ ক্যাম্প পুলিশ। পরে বিষয়টি গড়াইটুপি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শফিকুর রহমান রাজু সঠিক বিচারের আশ্বাসে ১০ বস্তা ইউরিয়া সার ইউনিয়ন পরিষদে জব্দ করে। এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে অবশ্যই এর সঠিক বিচার হবে জানান স্থানীয়দের।

আটককৃত সার বহনকারী ভ্যানচালক রাজ্জাক বলেন, ‘আগে একটি ভ্যানে ডিএপি সার নিয়ে পালিয়ে গেলেও আমি যেতে পারিনি। বিষয়টা যে এমন হবে সেটা আমার অজানা ছিল।’ তবে ডিলারের নাম প্রকাশ করার বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য বিভিন্ন মহলের দৌঁড়াঝাপ করেছে ফারুক যা বিভিন্ন নেতা-কর্মীদের উপস্থিতি সকলের চোখে পড়েছে। সরেজমিনে ফারুকের বাড়িতে গিয়ে দেখা গেছে, তার নিজস্ব গোডাউনে বিএডিসির অনেক সারের বস্তা রয়েছে, যেটা সিন্ডিকেট করে বেশি দামে বিক্রি করছেন, যা আইনত দণ্ডনীয়।

এবিষয়ে অভিযুক্ত ফারুকের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, ‘আমি সারগুলো বদরগঞ্জের একটি ডিলারের কাছে দিচ্ছি, এটা ভুল হয়েছে।’

আজ রোববার চুয়াডাঙ্গা ভোক্তা অধিকার ফারুককে এই সার সিন্ডিকেটের অপরাধে জরিমানা করা হতে পারে বলে জানা গেছে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

চুয়াডাঙ্গার খাড়াগোদা বাজারে ভ্যানভর্তি করে সার পাচারের চেষ্টা

আপলোড টাইম : ০৮:২৫:৫৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২ অক্টোবর ২০২২

আকিমুল ইসলাম, তিতুদহ: সারের অভাবে সাধারণ কৃষকরা যেখানে দিশেহারা, সেখানে সরকার কর্তৃক অনুমোদিত কিছু অসাধু ডিলার তাদের স্বার্থ হাসিল করতে বিভিন্ন দোকানে অধিক মূল্যে সার বিক্রির সিন্ডিকেট তৈরি করে চলেছে প্রতিনিয়ত। বস্তা প্রতি ১৫০ থেকে ২ শ টাকা বেশি দরে কিনছেন দোকানিরা এবং অন্য এলাকায় নিয়ে দোকানিরা বিক্রি করছেন আরও ২ শ টাকা লাভে। এর ফলে সার না পেয়ে ডিলারদের কাছ থেকে প্রতিদিন খালি হাতে ফিরে যাচ্ছে শত শত কৃষক। গতকাল শনিবার ভোরে খাড়াগোদা বাজারে ভ্যানভর্তি সার বদরগঞ্জ বাজারের উদ্দেশ্যে পাচারকালে এক সিন্ডিকেটের এমওপি-পটাশ সার আটক করেছে স্থানীয় জনতা।

জানা গেছে, গড়াইটুপি ইউনিয়নের গোবরগাড়া গ্রামের ফারুক হোসেন অনেকদিন ধরে কীটনাশকের ব্যবসার সাথে জড়িত আছে এবং সার সংকটে কয়েকটি ডিলারের সাথে সিন্ডিকেট করে আসছেন। গতকাল ভোরে দুটি ভ্যানে ডিএপি ও এমওপি সার বদরগঞ্জ বাজারে চালান দেবার সময় স্থানীয় জনতার চোখে পড়লে একটি ভ্যান জব্দ করে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা তারিফুজ্জামান ও তিতুদহ ক্যাম্প পুলিশ। পরে বিষয়টি গড়াইটুপি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শফিকুর রহমান রাজু সঠিক বিচারের আশ্বাসে ১০ বস্তা ইউরিয়া সার ইউনিয়ন পরিষদে জব্দ করে। এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে অবশ্যই এর সঠিক বিচার হবে জানান স্থানীয়দের।

আটককৃত সার বহনকারী ভ্যানচালক রাজ্জাক বলেন, ‘আগে একটি ভ্যানে ডিএপি সার নিয়ে পালিয়ে গেলেও আমি যেতে পারিনি। বিষয়টা যে এমন হবে সেটা আমার অজানা ছিল।’ তবে ডিলারের নাম প্রকাশ করার বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য বিভিন্ন মহলের দৌঁড়াঝাপ করেছে ফারুক যা বিভিন্ন নেতা-কর্মীদের উপস্থিতি সকলের চোখে পড়েছে। সরেজমিনে ফারুকের বাড়িতে গিয়ে দেখা গেছে, তার নিজস্ব গোডাউনে বিএডিসির অনেক সারের বস্তা রয়েছে, যেটা সিন্ডিকেট করে বেশি দামে বিক্রি করছেন, যা আইনত দণ্ডনীয়।

এবিষয়ে অভিযুক্ত ফারুকের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, ‘আমি সারগুলো বদরগঞ্জের একটি ডিলারের কাছে দিচ্ছি, এটা ভুল হয়েছে।’

আজ রোববার চুয়াডাঙ্গা ভোক্তা অধিকার ফারুককে এই সার সিন্ডিকেটের অপরাধে জরিমানা করা হতে পারে বলে জানা গেছে।