ইপেপার । আজ শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪

চুয়াডাঙ্গার ইটভাটাগুলোতে জ্বলছে কাঠ!

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০১:৫৪:০৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৩ মার্চ ২০২২
  • / ২৫ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গার অধিকাংশ ইটভাটাগুলোতে অবাধে পোড়ানো হচ্ছে কাঠ। জ্বালানি হিসেবে কয়লা ব্যবহারের কথা থাকলেও অনেকেই তা মানছেন না। বিষয়টিকে পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর হিসেবে দেখছেন পরিবেশবিদ ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা। জেলা প্রশাসন বলছে, নিয়মিত মোবাইল কোর্ট অব্যাহত রয়েছে। তাছাড়া কাঠ পোড়ালে জরিমানা ও শাস্তি দেয়া হচ্ছে।

জানা গেছে, এ বছর জেলায় ৯২টি ইটভাটায় ইট প্রস্তুত করতে পোড়ানো হচ্ছে ইট। এরমধ্যে ৩২টি ইটভাটার পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র থাকলেও বাকী ৬১টি ইটভাটার একটিরও নেই পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র। পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র না থাকার কারণে জেলা প্রশাসন থেকে লাইসেন্স দেয়া হয়নি। পরিবেশ অধিদপ্তর ও জেলা প্রশাসনের অনুমোদন না থাকা প্রতিটি ভাটা মালিক ইউনিয়ন পরিষদের ট্রেড লাইসেন্সেই ভাটাগুলোতে ইট তৈরি ও বিক্রি করছেন।

জেলা ও জেলার বাইরের বনাঞ্চলের গাছ ধ্বংস করে লাখ লাখ টন কাঠ পোড়ানো চলছে ভাটাগুলোতে। কয়েকদিন পরপর জেলা প্রশাসন থেকে অবৈধ ইটভাটাগুলোতে কাঠ পোড়ানোর অপরাধে জরিমানা করা হলেও কাঠ পুড়ানো বন্ধ করছে না ইটভাটার মালিকেরা। ভাটা মালিকদের দাবি, সরকারের নীতিমালা মেনে ভাটা স্থাপনে তারা পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্রের জন্য আবেদন করেছেন। কিন্তু কোনো অনুমোদন পাচ্ছেন না বছরের পর বছর জেলা ইটভাটা মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোতালেব বলেন, আমরা ইটভাটায় কাঠ পোড়ানোর বিপক্ষে। পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র পেতে, যেসব শর্ত পালন করতে হয়, তার কোনোটিই ইট ভাটাগুলো পালন করতে পারে না। তাই ভাটাগুলোকে ছাড়পত্র দিতে পারছে না। আমরা পরিবেশ অধিদপ্তরের কাছে অনুরোধ করব, উন্নয়নমূলক কাজের অংশীদার হিসেবে শর্ত কিছুটা শিথিল করে ভাটাগুলোকে যেন ছাড়পত্র দেয়া হয়।


কাঠ ব্যবহার করে ইট পোড়ানার কোনও সুযোগ নেই দাবি করে চুয়াডাঙ্গার জেলা প্রশাসক আমিনুল ইসলাম খান জানান, কাঠ পোড়ানো যাবে না। যেগুলোর পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র নেই, সেগুলো আমরা বন্ধ করে দেবো। নিয়মিত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হচ্ছে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

চুয়াডাঙ্গার ইটভাটাগুলোতে জ্বলছে কাঠ!

আপলোড টাইম : ০১:৫৪:০৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৩ মার্চ ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গার অধিকাংশ ইটভাটাগুলোতে অবাধে পোড়ানো হচ্ছে কাঠ। জ্বালানি হিসেবে কয়লা ব্যবহারের কথা থাকলেও অনেকেই তা মানছেন না। বিষয়টিকে পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর হিসেবে দেখছেন পরিবেশবিদ ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা। জেলা প্রশাসন বলছে, নিয়মিত মোবাইল কোর্ট অব্যাহত রয়েছে। তাছাড়া কাঠ পোড়ালে জরিমানা ও শাস্তি দেয়া হচ্ছে।

জানা গেছে, এ বছর জেলায় ৯২টি ইটভাটায় ইট প্রস্তুত করতে পোড়ানো হচ্ছে ইট। এরমধ্যে ৩২টি ইটভাটার পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র থাকলেও বাকী ৬১টি ইটভাটার একটিরও নেই পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র। পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র না থাকার কারণে জেলা প্রশাসন থেকে লাইসেন্স দেয়া হয়নি। পরিবেশ অধিদপ্তর ও জেলা প্রশাসনের অনুমোদন না থাকা প্রতিটি ভাটা মালিক ইউনিয়ন পরিষদের ট্রেড লাইসেন্সেই ভাটাগুলোতে ইট তৈরি ও বিক্রি করছেন।

জেলা ও জেলার বাইরের বনাঞ্চলের গাছ ধ্বংস করে লাখ লাখ টন কাঠ পোড়ানো চলছে ভাটাগুলোতে। কয়েকদিন পরপর জেলা প্রশাসন থেকে অবৈধ ইটভাটাগুলোতে কাঠ পোড়ানোর অপরাধে জরিমানা করা হলেও কাঠ পুড়ানো বন্ধ করছে না ইটভাটার মালিকেরা। ভাটা মালিকদের দাবি, সরকারের নীতিমালা মেনে ভাটা স্থাপনে তারা পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্রের জন্য আবেদন করেছেন। কিন্তু কোনো অনুমোদন পাচ্ছেন না বছরের পর বছর জেলা ইটভাটা মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোতালেব বলেন, আমরা ইটভাটায় কাঠ পোড়ানোর বিপক্ষে। পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র পেতে, যেসব শর্ত পালন করতে হয়, তার কোনোটিই ইট ভাটাগুলো পালন করতে পারে না। তাই ভাটাগুলোকে ছাড়পত্র দিতে পারছে না। আমরা পরিবেশ অধিদপ্তরের কাছে অনুরোধ করব, উন্নয়নমূলক কাজের অংশীদার হিসেবে শর্ত কিছুটা শিথিল করে ভাটাগুলোকে যেন ছাড়পত্র দেয়া হয়।


কাঠ ব্যবহার করে ইট পোড়ানার কোনও সুযোগ নেই দাবি করে চুয়াডাঙ্গার জেলা প্রশাসক আমিনুল ইসলাম খান জানান, কাঠ পোড়ানো যাবে না। যেগুলোর পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র নেই, সেগুলো আমরা বন্ধ করে দেবো। নিয়মিত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হচ্ছে।