ইপেপার । আজ বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪

চুয়াডাঙ্গার মোমিনপুরে পূর্ব বিরোধের জেরে মারামারি, আহত ৩

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১১:৪২:১৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৩
  • / ২৪ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার মোমিনপুরে পূর্ব বিরোধের জেরে মারামারি ঘটনায় তিনজন জখম হয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে মোমিনপুর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে। পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেয়।

আাহতরা হলেন- মোমিনপুর ইউনিয়নের বোয়ালমারী গ্রামের মৃত রুহুল আমিনের ছেলে হাফিজুর রহমান হিটু (৪১), একই গ্রামের মজিবর রহমানের ছেলে তরিকুল ইসলাম (৪০) ও ইলিয়াস হোসেনের ছেলে রাজিব হাসান বঙ্গ (৩৮)।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল রাত ৯টার দিকে হাফিজুর রহমান হিটু ও তার বন্ধু তরিকুল ইসলাম মোমিনপুর পিটিআই মোড়ে ওষুধ কেনার জন্য যায়। এসময় স্থানীয় কয়েকজন যুবকের সঙ্গে তাদের বাগবিতণ্ডার সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে মোমিনপুর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের সামনে মারামারির ঘটনাটি ঘটে। চিৎকার শুনে অনেকে সেখানে ছুটে যায় এবং মারামারি ঠেকানোর সময় বঙ্গ আহত হন।

নিশান নামের এক যুবক বলেন, ‘হিটু ভাই ওষুধ কিনতে মোড়ে গিয়েছিল। এসময় পূর্বের কোন একটি ঘটনার জেরে এলাকার কয়েকজন যুবকের সঙ্গে হিটু ভাইয়ের বাগবিতণ্ডার সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে ওরা ১০-১৫ জন জড় হয়ে হিটু ভাইসহ তিনজনকে রড ও কাঠের বাটাম দিয়ে পিটিয়ে জখম করে। পরে স্থানীয়দের সাহায্যে জখম তিনজনকে হাসপাতালে নিয়ে আসি।’

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ওসামা জালাল বলেন, ‘রাত ১০টার পরে জখম অবস্থায় তিনজন জরুরি বিভাগে আসে। তাদের মধ্যে হাফিজুর রহমান নামের এক ব্যক্তির দুই পায়ে কাঠ জাতীয় কিছুর একাধিক জখমের চিহ্ন পাওয়া গেছে। জখম গুরুতর হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে। একই সময়ে জখম আরও দুজনকে জরুরি বিভাগ থেকে প্রাথমকি চিকিৎসা দিয়ে বাড়ি পাঠানো হয়েছে।’

এ বিষয়ে মোমিনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘যতদূর জেনেছি পূর্ব বিরোধের জেরে এলাকার এক দল বখাটে তাদের পিটিয়ে জখম করেছে। আহত তিনজনের খোঁজ নিতে ঘটনার পরেই হাসপাতালে গিয়েছিলাম। জনশ্রুতি আছে যারা মেরেছে তারা নিজেদের ছাত্রলীগ বললেও মূলত তারা লাটাহাম্বার চালকসহ বিভিন্ন কাজকর্ম করে।’

ঘটনা সম্পর্কে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ সেকেন্দার আলী বলেন, ঘটনাটি শুনেছি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

চুয়াডাঙ্গার মোমিনপুরে পূর্ব বিরোধের জেরে মারামারি, আহত ৩

আপলোড টাইম : ১১:৪২:১৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার মোমিনপুরে পূর্ব বিরোধের জেরে মারামারি ঘটনায় তিনজন জখম হয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে মোমিনপুর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে। পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেয়।

আাহতরা হলেন- মোমিনপুর ইউনিয়নের বোয়ালমারী গ্রামের মৃত রুহুল আমিনের ছেলে হাফিজুর রহমান হিটু (৪১), একই গ্রামের মজিবর রহমানের ছেলে তরিকুল ইসলাম (৪০) ও ইলিয়াস হোসেনের ছেলে রাজিব হাসান বঙ্গ (৩৮)।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল রাত ৯টার দিকে হাফিজুর রহমান হিটু ও তার বন্ধু তরিকুল ইসলাম মোমিনপুর পিটিআই মোড়ে ওষুধ কেনার জন্য যায়। এসময় স্থানীয় কয়েকজন যুবকের সঙ্গে তাদের বাগবিতণ্ডার সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে মোমিনপুর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের সামনে মারামারির ঘটনাটি ঘটে। চিৎকার শুনে অনেকে সেখানে ছুটে যায় এবং মারামারি ঠেকানোর সময় বঙ্গ আহত হন।

নিশান নামের এক যুবক বলেন, ‘হিটু ভাই ওষুধ কিনতে মোড়ে গিয়েছিল। এসময় পূর্বের কোন একটি ঘটনার জেরে এলাকার কয়েকজন যুবকের সঙ্গে হিটু ভাইয়ের বাগবিতণ্ডার সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে ওরা ১০-১৫ জন জড় হয়ে হিটু ভাইসহ তিনজনকে রড ও কাঠের বাটাম দিয়ে পিটিয়ে জখম করে। পরে স্থানীয়দের সাহায্যে জখম তিনজনকে হাসপাতালে নিয়ে আসি।’

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ওসামা জালাল বলেন, ‘রাত ১০টার পরে জখম অবস্থায় তিনজন জরুরি বিভাগে আসে। তাদের মধ্যে হাফিজুর রহমান নামের এক ব্যক্তির দুই পায়ে কাঠ জাতীয় কিছুর একাধিক জখমের চিহ্ন পাওয়া গেছে। জখম গুরুতর হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে। একই সময়ে জখম আরও দুজনকে জরুরি বিভাগ থেকে প্রাথমকি চিকিৎসা দিয়ে বাড়ি পাঠানো হয়েছে।’

এ বিষয়ে মোমিনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘যতদূর জেনেছি পূর্ব বিরোধের জেরে এলাকার এক দল বখাটে তাদের পিটিয়ে জখম করেছে। আহত তিনজনের খোঁজ নিতে ঘটনার পরেই হাসপাতালে গিয়েছিলাম। জনশ্রুতি আছে যারা মেরেছে তারা নিজেদের ছাত্রলীগ বললেও মূলত তারা লাটাহাম্বার চালকসহ বিভিন্ন কাজকর্ম করে।’

ঘটনা সম্পর্কে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ সেকেন্দার আলী বলেন, ঘটনাটি শুনেছি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।