ইপেপার । আজ বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৪

চুয়াডাঙ্গার পৃথকস্থানে বিষপানে দুই গৃহবধূর আত্মহত্যার চেষ্টা

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৮:৪৪:৩৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২২ নভেম্বর ২০২৩
  • / ২৯ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গার পৃথক স্থানে বিষপানে রত্না (১৪) ও জাহানারা (৪৫) নামের দুই গৃহবধূর আত্মহত্যা চেষ্টার ঘটনা ঘটেছে। অসাবধানতাবসত বিষপানে অসুস্থ হয়েছে লামিয়া (৪) নামের অপর এক শিশু। তিনজনকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েরছ। এরমধ্যে জাহানারার অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৮টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার আলুকদিয়া ইউনিয়নের মনিরামপুর স্কুলপাড়ার গৃহবধূ রত্না পারিবারিক কলহের জেরে বিষপান করেন। তিনি এলাকার সানোয়ারের স্ত্রী।

একই দিন সকাল ১০টার দিকে লামিয়া নামের এক শিশু পরিবারের অসাবধানতার কারণে বিষপান করে এবং শরীরে মেখে অসুস্থ হয়। শিশুটি চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার মোমিনপুর ইউনিয়নের সরিষাডাঙ্গা গ্রামের দেলওয়ারের মেয়ে। এছাড়াও সদর উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নের হাসানহাটি গ্রামে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পারিবারিক কলহের জেরে বিষপান করেন গৃহবধূ জাহানারা। বিষপানে অসুস্থ হয়ে পড়লে পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক শাপলা খাতুন প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে রত্না ও জাহানারাকে হাসপাতালের মহিলা মেডিসিন ওয়ার্ডে ও লামিয়াকে হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি রাখেন। তবে জাহানারা অবনতি হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। দুপুরেই পরিবারের সদস্যরা তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উদ্দেশ্যে সদর হাপসাতাল ত্যাগ করে।

বিষপানে অসুস্থ রত্না বলেন, ‘ঝগড়াসহ পারিবারিক কলহের জেরে আমি ইঁদুর মারা বিষ খেয়েছি। আমার স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজন আমাকে মিথ্যা অপবাদ দেয়। এটা নিয়ে পাড়ায় বিভিন্ন কথা ছড়ায়। এই কারণেই আমি বিষপান করেছি।’ সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ফেসওয়াস কিনে না দেওয়ায় আমি বিষপান করিনি। আমি মূলত অন্য মিথ্যা অপবাদের কারণে বিষ খেয়েছি।’
উল্লেখ্য, গতকাল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রত্নার বিষপান নিয়ে ভুল তথ্য ছড়ানো হয়। বিভিন্ন মাধ্যমে ছড়ানো হয় ‘ফেসওয়াস কিনে না দেওয়ায় স্বামীর ওপর অভিমান করে বিষপান করেছে’। তবে এই তথ্যটি সঠিক নয়, এমনটি দাবি করেছেন তিনি ও তার পরিবার।

এদিকে পরিবারের অসাবধানতায় ধানের পোকা মারা বিষপান ও শরীরে মাখে শিশু লামিয়া। লামিয়ার দাদী শাহনারা বলেন, বিষ রাখা ছিল বাঁচ্চার নাগালের অনেক ওপরে। তবে বিড়ালের ধস্তাধস্তিতে বিষের প্যাকেটটি ওখান থেকে নিচে পড়ে যায়। লামিয়া দেখা মাত্রই সেটা খায় এবং শরীরে মাখে। পরে আমরা দেখতে পেয়ে তাৎক্ষণিক হাসপাতালে নিয়ে আসি। এখন লামিয়া সুস্থ আছে।’

বিষপান করে গুরুতর অবস্থায় রেফার্ড হওয়া জাহানারার ছেলে সজীব বলেন, ‘পারিবারিক কলহের জেরে বিষপান করে আমার আম্মা। তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল থেকে রাজশাহীতে নেওয়ার পরামর্শ দেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। আমরা রাজশাহী মেডিকেলে নিয়েছি। এখন আগের থেকে সুস্থ আছেন।’

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

চুয়াডাঙ্গার পৃথকস্থানে বিষপানে দুই গৃহবধূর আত্মহত্যার চেষ্টা

আপলোড টাইম : ০৮:৪৪:৩৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২২ নভেম্বর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গার পৃথক স্থানে বিষপানে রত্না (১৪) ও জাহানারা (৪৫) নামের দুই গৃহবধূর আত্মহত্যা চেষ্টার ঘটনা ঘটেছে। অসাবধানতাবসত বিষপানে অসুস্থ হয়েছে লামিয়া (৪) নামের অপর এক শিশু। তিনজনকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েরছ। এরমধ্যে জাহানারার অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৮টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার আলুকদিয়া ইউনিয়নের মনিরামপুর স্কুলপাড়ার গৃহবধূ রত্না পারিবারিক কলহের জেরে বিষপান করেন। তিনি এলাকার সানোয়ারের স্ত্রী।

একই দিন সকাল ১০টার দিকে লামিয়া নামের এক শিশু পরিবারের অসাবধানতার কারণে বিষপান করে এবং শরীরে মেখে অসুস্থ হয়। শিশুটি চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার মোমিনপুর ইউনিয়নের সরিষাডাঙ্গা গ্রামের দেলওয়ারের মেয়ে। এছাড়াও সদর উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নের হাসানহাটি গ্রামে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পারিবারিক কলহের জেরে বিষপান করেন গৃহবধূ জাহানারা। বিষপানে অসুস্থ হয়ে পড়লে পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক শাপলা খাতুন প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে রত্না ও জাহানারাকে হাসপাতালের মহিলা মেডিসিন ওয়ার্ডে ও লামিয়াকে হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি রাখেন। তবে জাহানারা অবনতি হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। দুপুরেই পরিবারের সদস্যরা তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উদ্দেশ্যে সদর হাপসাতাল ত্যাগ করে।

বিষপানে অসুস্থ রত্না বলেন, ‘ঝগড়াসহ পারিবারিক কলহের জেরে আমি ইঁদুর মারা বিষ খেয়েছি। আমার স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজন আমাকে মিথ্যা অপবাদ দেয়। এটা নিয়ে পাড়ায় বিভিন্ন কথা ছড়ায়। এই কারণেই আমি বিষপান করেছি।’ সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ফেসওয়াস কিনে না দেওয়ায় আমি বিষপান করিনি। আমি মূলত অন্য মিথ্যা অপবাদের কারণে বিষ খেয়েছি।’
উল্লেখ্য, গতকাল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রত্নার বিষপান নিয়ে ভুল তথ্য ছড়ানো হয়। বিভিন্ন মাধ্যমে ছড়ানো হয় ‘ফেসওয়াস কিনে না দেওয়ায় স্বামীর ওপর অভিমান করে বিষপান করেছে’। তবে এই তথ্যটি সঠিক নয়, এমনটি দাবি করেছেন তিনি ও তার পরিবার।

এদিকে পরিবারের অসাবধানতায় ধানের পোকা মারা বিষপান ও শরীরে মাখে শিশু লামিয়া। লামিয়ার দাদী শাহনারা বলেন, বিষ রাখা ছিল বাঁচ্চার নাগালের অনেক ওপরে। তবে বিড়ালের ধস্তাধস্তিতে বিষের প্যাকেটটি ওখান থেকে নিচে পড়ে যায়। লামিয়া দেখা মাত্রই সেটা খায় এবং শরীরে মাখে। পরে আমরা দেখতে পেয়ে তাৎক্ষণিক হাসপাতালে নিয়ে আসি। এখন লামিয়া সুস্থ আছে।’

বিষপান করে গুরুতর অবস্থায় রেফার্ড হওয়া জাহানারার ছেলে সজীব বলেন, ‘পারিবারিক কলহের জেরে বিষপান করে আমার আম্মা। তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল থেকে রাজশাহীতে নেওয়ার পরামর্শ দেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। আমরা রাজশাহী মেডিকেলে নিয়েছি। এখন আগের থেকে সুস্থ আছেন।’