ইপেপার । আজ বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪

চুয়াডাঙ্গার উকতো গ্রামে বালুভর্তি ট্রাক্টরের ধাক্কায় শিশুর মৃত্যু

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:১৯:২৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৯ জুন ২০২৩
  • / ১৮ বার পড়া হয়েছে

সমীকরণ প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গায় ভিটামিন ‘এ প্লাস’ ক্যাপসুল খেয়ে বাড়ি ফেরার পথে বালুভর্তি ট্রাক্টরের ধাক্কায় লামিম হোসেন (৪) নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল রোববার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার উকতো গ্রামের মাঝেরপাড়ায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এসময় স্থানীয়দের সহায়তায় পরিবারের সদস্যরা শিশুটিকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত লামিম শঙ্করচন্দ্র ইউনিয়নের উকতো গ্রামের মাঝেরপাড়ার ইসরাফিল হোসেনের ছেলে।

স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গতকাল সকালে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে বাড়ি অদূরে টিকা কেন্দ্রে ভিটামিন ‘এ প্লাস’ ক্যাপসুল খাওয়ার জন্য যায় শিশু লামিম ও তার বড় ভাই লিয়াম (৬)। সাড়ে আটটার দিকে ‘এ’ ক্যাপসুল খেয়ে বাড়ি ফেরার সময় লিয়াম বাড়ির কাছে পৌঁছে রাস্তার ধারে দাঁড়ায়। এসময় লামিম তার কাছে যাওয়ার জন্য রাস্তা পার হতে গেলে একটি দ্রুতগামী বালুভর্তি ট্রাক্টর তাকে ধাক্কা দেয়। এতে লামিম ছিটকে রাস্তার ওপর পড়ে গুরুতর জখম হয়। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় লামিমকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়। এ সময় জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহত শিশু লামিমের পিতা ইসরাফিল বলেন, ‘আমার দুই ছেলে লামিম ও লিয়াম পাশেই তাদের দাদার বাড়ির কাছে ভিটামিন ক্যাপসুল খেতে যায়। ভিটামিন ক্যাপসুল খেয়ে খাওয়ার পর দুজনই দাদার বাড়িতে যাওয়ার সময় লামিম আগে পৌঁছে যায়। পরে ভাইকে পিছনে না দেখতে পেয়ে লামিম ফেরত গিয়ে লিয়ামকে ডাকার জন্য বাড়ি থেকে বের হয়ে রাস্তায় ওঠে। সে সময়ই একটি ট্রাক্টর তাকে ধাক্কা দেয়।’

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক নুরজাহান রুমি বলেন, ‘জরুরি বিভাগে আমরা শিশুটিকে মৃত অবস্থায় পেয়েছি। হাসপাতালে নেওয়ার পূর্বেই তার মৃত্যু হয়। পরিবারের সদস্যরা জানায় শিশুটি ট্রাক্টরের ধাক্কায় জখম হলে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়।’ এদিকে, খবর পেয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশ বেলা একটার দিকে শিশুটির লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন সম্পন্ন করে। দুপুরেই শিশুটির লাশ পরিবারের সদস্যদের জিম্মায় দেওয়া হয়।

চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহাব্বুর রহমান বলেন, ‘বাড়ির সামনের রাস্তা পার হওয়ার একটি বালুভর্তি ট্রাকের ধাক্কায় চার বছর বয়সী এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। তবে এ ঘটনায় শিশুটির পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ না থাকায় ও তাদের লিখিত আবেদনের প্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়ায় লাশ হস্তান্তর করা হয়।’ গতকাল বাদ আছর উকতো মাদ্রাসা প্রাঙ্গনে লামিমের জানাজা নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। জানাজা শেষে স্থানীয় কবরস্থানে শিশু লামিমের লাশের দাফন কার্য সম্পন্ন করা হয়।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

চুয়াডাঙ্গার উকতো গ্রামে বালুভর্তি ট্রাক্টরের ধাক্কায় শিশুর মৃত্যু

আপলোড টাইম : ১০:১৯:২৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৯ জুন ২০২৩

সমীকরণ প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গায় ভিটামিন ‘এ প্লাস’ ক্যাপসুল খেয়ে বাড়ি ফেরার পথে বালুভর্তি ট্রাক্টরের ধাক্কায় লামিম হোসেন (৪) নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল রোববার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার উকতো গ্রামের মাঝেরপাড়ায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এসময় স্থানীয়দের সহায়তায় পরিবারের সদস্যরা শিশুটিকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত লামিম শঙ্করচন্দ্র ইউনিয়নের উকতো গ্রামের মাঝেরপাড়ার ইসরাফিল হোসেনের ছেলে।

স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গতকাল সকালে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে বাড়ি অদূরে টিকা কেন্দ্রে ভিটামিন ‘এ প্লাস’ ক্যাপসুল খাওয়ার জন্য যায় শিশু লামিম ও তার বড় ভাই লিয়াম (৬)। সাড়ে আটটার দিকে ‘এ’ ক্যাপসুল খেয়ে বাড়ি ফেরার সময় লিয়াম বাড়ির কাছে পৌঁছে রাস্তার ধারে দাঁড়ায়। এসময় লামিম তার কাছে যাওয়ার জন্য রাস্তা পার হতে গেলে একটি দ্রুতগামী বালুভর্তি ট্রাক্টর তাকে ধাক্কা দেয়। এতে লামিম ছিটকে রাস্তার ওপর পড়ে গুরুতর জখম হয়। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় লামিমকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়। এ সময় জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহত শিশু লামিমের পিতা ইসরাফিল বলেন, ‘আমার দুই ছেলে লামিম ও লিয়াম পাশেই তাদের দাদার বাড়ির কাছে ভিটামিন ক্যাপসুল খেতে যায়। ভিটামিন ক্যাপসুল খেয়ে খাওয়ার পর দুজনই দাদার বাড়িতে যাওয়ার সময় লামিম আগে পৌঁছে যায়। পরে ভাইকে পিছনে না দেখতে পেয়ে লামিম ফেরত গিয়ে লিয়ামকে ডাকার জন্য বাড়ি থেকে বের হয়ে রাস্তায় ওঠে। সে সময়ই একটি ট্রাক্টর তাকে ধাক্কা দেয়।’

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক নুরজাহান রুমি বলেন, ‘জরুরি বিভাগে আমরা শিশুটিকে মৃত অবস্থায় পেয়েছি। হাসপাতালে নেওয়ার পূর্বেই তার মৃত্যু হয়। পরিবারের সদস্যরা জানায় শিশুটি ট্রাক্টরের ধাক্কায় জখম হলে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়।’ এদিকে, খবর পেয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশ বেলা একটার দিকে শিশুটির লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন সম্পন্ন করে। দুপুরেই শিশুটির লাশ পরিবারের সদস্যদের জিম্মায় দেওয়া হয়।

চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহাব্বুর রহমান বলেন, ‘বাড়ির সামনের রাস্তা পার হওয়ার একটি বালুভর্তি ট্রাকের ধাক্কায় চার বছর বয়সী এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। তবে এ ঘটনায় শিশুটির পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ না থাকায় ও তাদের লিখিত আবেদনের প্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়ায় লাশ হস্তান্তর করা হয়।’ গতকাল বাদ আছর উকতো মাদ্রাসা প্রাঙ্গনে লামিমের জানাজা নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। জানাজা শেষে স্থানীয় কবরস্থানে শিশু লামিমের লাশের দাফন কার্য সম্পন্ন করা হয়।