ইপেপার । আজ বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৪

চুয়াডাঙ্গায় সন্ধ্যা নামতেই বাড়ছে শীতের আবহ

এখন থেকে ধারাবাহিকভাবে কমতে থাকবে তাপমাত্রা : আবহাওয়া অফিস

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৪:২৬:৩৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৩
  • / ৬১ বার পড়া হয়েছে

সমীকরণ প্রতিবেদক:
শীত ও গরমের ‘রাজধানী’ খ্যাত দক্ষিণের জেলা চুয়াডাঙ্গায় হিমেল হাওয়ার পরশ নিয়ে নামছে শীত। রাত গভীর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে শীতের প্রকোপ। গতকাল শুক্রবার সকাল ৬টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। শুক্রবার ভোরে দেখা যায়, হালকা কুয়াশার চাদরে জড়িয়েছে প্রকৃতি। কুয়াশায় ঝরা শিশিরে ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে। সন্ধ্যা নামতেই বাড়তে থাকে শীতের আবহ। তাই শীতের পোশাকের চাহিদা বাড়ছে জেলায়। যার প্রভাব পড়েছে কেনাকাটায়।

স্থানীয়রা জানান, শীতের আমেজ শুরু হয় অক্টোবরের শেষ দিকে। দক্ষিণের এ জেলায় সাধারণত নভেম্বরের শুরু থেকে বাড়তে থাকে শীতের পরশ। শীত ঘিরে শুরু হয়েছে নতুন ধানে কৃষকের ঘরে নবান্নের আনন্দ। গোলার নতুন ধানে মৌ মৌ গন্ধের পাশাপাশি শুরু হয়েছে পিঠা-পুলির উৎসব। চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরসহ গ্রামীণ জনপদের হাট-বাজারগুলোতে বিকেল হলেই শীতের গরম হরেক রকমের পিঠার পসরা সাজিয়ে বসছেন দোকানিরা। গরম পিঠা খেতে ফুটপাতের এসব দোকানে ভিড় জমাচ্ছেন ভোজন রসিকেরা।

শীতকে কেন্দ্র করে ব্যস্ত সময় পার করছেন লেপ-তোশকের কারিগররা। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত তাদের কর্মচাঞ্চলে তৈরি হচ্ছে লেপ তোশক। দোকানগুলোতে হরেক রকমের কাপড় ও তুলার পসরা সাজিয়েছেন দোকানিরা। কারিগররা তুলা ধোনা আর লেপ তোশক সেলাইয়ের কাজে মগ্ন। হাটবাজারে উঠছে শীতের তরতাজা শাকসবজি। ফুলকপি, বাঁধাকপি, গাজর, লাউ, মুলা, কাঁচা টমেটো, শিম, পেঁয়াজপাতা, ধনিয়া পাতা, শালগমসহ বিভিন্ন শীতকালীন শাক-সবজি পাওয়া যাচ্ছে। তবে এবার শাক-সবজিতে চড়া দামের কারণে ক্রেতারা বিপাকে। তারপরেও সাধ্যের মধ্যে কিনছেন নতুন সবজি।

শীতের পরশ বাড়ার সঙ্গে জেলা শহরসহ বিভিন্ন হাটবাজারে বসতে দেখা গেছে ফুটপাতে কাপড়ের দোকান। উচ্চ, মধ্যবিত্ত ও নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের লোকজন শপিং মল ও মার্কেটগুলোতে গরমের পোশাক কিনতে পারলেও নিম্নবিত্তদের ভরসা এসব ফুটপাতের কাপড়ের দোকান। সোয়েটার, জ্যাকেট, মাফলার, ট্রাউজার, টুপিসহ বিভিন্ন রকমের শীতের কাপড় ওঠে এসব দোকানগুলোতে।

চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রকিবুল হাসান জানান, চুয়াডাঙ্গায় শুক্রবার সকাল ছয়টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে বৃহস্পতিবার রাত ১২টায় রেকর্ড করা হয় ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা। আকাশ পরিষ্কার থাকলে এখন থেকে ধারাবাহিকভাবে তাপমাত্রা কমতে থাকবে। আপাতত শৈত্যপ্রবাহের পূর্বাভাস নেই।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

চুয়াডাঙ্গায় সন্ধ্যা নামতেই বাড়ছে শীতের আবহ

এখন থেকে ধারাবাহিকভাবে কমতে থাকবে তাপমাত্রা : আবহাওয়া অফিস

আপলোড টাইম : ০৪:২৬:৩৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৩

সমীকরণ প্রতিবেদক:
শীত ও গরমের ‘রাজধানী’ খ্যাত দক্ষিণের জেলা চুয়াডাঙ্গায় হিমেল হাওয়ার পরশ নিয়ে নামছে শীত। রাত গভীর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে শীতের প্রকোপ। গতকাল শুক্রবার সকাল ৬টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। শুক্রবার ভোরে দেখা যায়, হালকা কুয়াশার চাদরে জড়িয়েছে প্রকৃতি। কুয়াশায় ঝরা শিশিরে ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে। সন্ধ্যা নামতেই বাড়তে থাকে শীতের আবহ। তাই শীতের পোশাকের চাহিদা বাড়ছে জেলায়। যার প্রভাব পড়েছে কেনাকাটায়।

স্থানীয়রা জানান, শীতের আমেজ শুরু হয় অক্টোবরের শেষ দিকে। দক্ষিণের এ জেলায় সাধারণত নভেম্বরের শুরু থেকে বাড়তে থাকে শীতের পরশ। শীত ঘিরে শুরু হয়েছে নতুন ধানে কৃষকের ঘরে নবান্নের আনন্দ। গোলার নতুন ধানে মৌ মৌ গন্ধের পাশাপাশি শুরু হয়েছে পিঠা-পুলির উৎসব। চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরসহ গ্রামীণ জনপদের হাট-বাজারগুলোতে বিকেল হলেই শীতের গরম হরেক রকমের পিঠার পসরা সাজিয়ে বসছেন দোকানিরা। গরম পিঠা খেতে ফুটপাতের এসব দোকানে ভিড় জমাচ্ছেন ভোজন রসিকেরা।

শীতকে কেন্দ্র করে ব্যস্ত সময় পার করছেন লেপ-তোশকের কারিগররা। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত তাদের কর্মচাঞ্চলে তৈরি হচ্ছে লেপ তোশক। দোকানগুলোতে হরেক রকমের কাপড় ও তুলার পসরা সাজিয়েছেন দোকানিরা। কারিগররা তুলা ধোনা আর লেপ তোশক সেলাইয়ের কাজে মগ্ন। হাটবাজারে উঠছে শীতের তরতাজা শাকসবজি। ফুলকপি, বাঁধাকপি, গাজর, লাউ, মুলা, কাঁচা টমেটো, শিম, পেঁয়াজপাতা, ধনিয়া পাতা, শালগমসহ বিভিন্ন শীতকালীন শাক-সবজি পাওয়া যাচ্ছে। তবে এবার শাক-সবজিতে চড়া দামের কারণে ক্রেতারা বিপাকে। তারপরেও সাধ্যের মধ্যে কিনছেন নতুন সবজি।

শীতের পরশ বাড়ার সঙ্গে জেলা শহরসহ বিভিন্ন হাটবাজারে বসতে দেখা গেছে ফুটপাতে কাপড়ের দোকান। উচ্চ, মধ্যবিত্ত ও নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের লোকজন শপিং মল ও মার্কেটগুলোতে গরমের পোশাক কিনতে পারলেও নিম্নবিত্তদের ভরসা এসব ফুটপাতের কাপড়ের দোকান। সোয়েটার, জ্যাকেট, মাফলার, ট্রাউজার, টুপিসহ বিভিন্ন রকমের শীতের কাপড় ওঠে এসব দোকানগুলোতে।

চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রকিবুল হাসান জানান, চুয়াডাঙ্গায় শুক্রবার সকাল ছয়টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে বৃহস্পতিবার রাত ১২টায় রেকর্ড করা হয় ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা। আকাশ পরিষ্কার থাকলে এখন থেকে ধারাবাহিকভাবে তাপমাত্রা কমতে থাকবে। আপাতত শৈত্যপ্রবাহের পূর্বাভাস নেই।