ইপেপার । আজ বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৪

চুয়াডাঙ্গায় পরিবার কল্যাণ অ্যাডভোকেসি সভায় জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমা

স্বাস্থ্যঝুঁকি হ্রাস ও জনসাধারণের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৮:৩৭:৩১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২২ নভেম্বর ২০২৩
  • / ২১ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক:
‘নিরাপদ মাতৃত্ব পরিকল্পিত পরিবার, স্মার্ট বাংলাদেশ হোক আমাদের অঙ্গীকার’ এই প্রতিপাদ্যে চুয়াডাঙ্গায় পরিবার কল্যাণ সেবা ও প্রচার সপ্তাহের অ্যাডভোকেসি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আগামী ২৫ থেকে ৩০ নভেম্বর পরিবার কল্যাণ সেবা ও প্রচার সপ্তাহ উপলক্ষে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসন ও পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের আয়োজনে গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১০টায় চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) নাজমুল হামিদ রেজার সভাপতিত্বে অ্যাডভোকেসি সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেন চুয়াডাঙ্গার জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমা।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, পরিবার পরিকল্পনা জীবন সাজায়, পরিকল্পিত পরিবার গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। জেন্ডার সমতা, নারীর ক্ষমতায়ন তথা টেকসই উন্নয়নের চাবিকাঠি হলো পরিবার পরিকল্পনা। যা আপামর জনসাধারণের জীবন রক্ষাকারী কর্মসূচির অন্যতম। পরিবার পরিকল্পনায় বিনিয়োগ হল উন্নয়নের ‘বেস্ট বাই’ যা টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রাকে ত্বরান্বিত করে। পছন্দ অনুযায়ী নিরাপদ পরিবার পরিকল্পনা সেবা পাওয়া মানবাধিকারের সামিল। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী মাতৃমৃত্যু ২০৩০ সালের মধ্যে ৭০-এ নামিয়ে আনা এবং ২০১৯ সালের আইসিপিডি ২৫ সম্মেলন (কায়রোতে অনুষ্ঠিত) অনুযায়ী ‘তিন শূন্য’ অর্জনে বাংলাদেশ অঙ্গীকারাবদ্ধ।

তিন শূন্য অর্থাৎ ‘মাতৃমৃত্যুর শুন্য হার, নারীর প্রতি সহিংসতা শূন্য এবং অপূর্ণ চাহিদার হার শূন্য-অর্জনে মাতৃ ও শিশু স্বাস্থ্য উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়নের কোনো বিকল্প নেই। বর্তমানে বাংলাদেশে ৫০% নারীর বিয়ে হয় ১৮ বছরের আগে (বিডিএইচএস-২০২২)। এ সকল নারীদের কাছে পরিবার পরিকল্পনা তথ্য ও সেবা প্রাপ্তি সহজলভ্য না হলে অনাকাঙ্খিত গর্ভধারণের ঝুঁকি সৃষ্টি হয়। নারীর পরিবার পরিকল্পনার উপযুক্ত পদ্ধতি ব্যবহার করে পছন্দসই পরিবার গঠনের সুযোগ হ্রাস পেলে অথবা স্বাস্থ্য অধিকার সংরক্ষিত না হলে তা শুধুমাত্র নারী ও কিশোরীর দেহের স্বাধীনতাকেই ক্ষুণ্ন করে না, সমগ্র দেশ তথা বিশ্বের ভবিষ্যৎ স্বপ্নকেও ঝুঁকিপূর্ণ করে তোলে। এসব স্বাস্থ্যঝুঁকি হ্রাস ও জনসাধারণের মাঝে ব্যাপক সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর প্রতিবছর একটি করে পরিবার কল্যাণ সেবা ও প্রচার সপ্তাহের আয়োজন করে থাকে। সেবা ও প্রচার সপ্তাহে সামগ্রিকভাবে পরিবার পরিকল্পনা, মা ও শিশুস্বাস্থ্য এবং কৈশোরকালীন স্বাস্থ্যসেবা প্রদানে গ্রহণ করা হয়েছে। বিশেষ পরামর্শ প্রদান ও সেবার আয়োজন। সেই সাথে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে এ অধিদপ্তর তথ্য স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় বন্ধ পরিকর।

আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন চুয়াডাঙ্গার সিভিল সার্জন ডা. সাজ্জাৎ হাসান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন) নাজিম উদ্দিন আল আজাদ ও চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সভাপতি সরদার আল আমিন। সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন চুয়াডাঙ্গা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক এবিএম শরিফুল আলম। আলোচনা সভার শুরুতে পবিত্র কুরআন থেকে তিলাওয়াত ও গীতাপাঠ করা হয়। সভায় বক্তব্য দেন সদর উপজেলার শংকরচন্দ্র ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার ডা. জেডএম রওশন আমিন রতন, দামুড়হুদা উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের সহকারী পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা হোসনে মোবারক, শংকরচন্দ্র ইউনিয়নের পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক আখিরুল ইসলাম, জান্নাতুল ফেরদৌস, এফডব্লিউএ নুরজাহান বেগম প্রমুখ।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

চুয়াডাঙ্গায় পরিবার কল্যাণ অ্যাডভোকেসি সভায় জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমা

স্বাস্থ্যঝুঁকি হ্রাস ও জনসাধারণের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে

আপলোড টাইম : ০৮:৩৭:৩১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২২ নভেম্বর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক:
‘নিরাপদ মাতৃত্ব পরিকল্পিত পরিবার, স্মার্ট বাংলাদেশ হোক আমাদের অঙ্গীকার’ এই প্রতিপাদ্যে চুয়াডাঙ্গায় পরিবার কল্যাণ সেবা ও প্রচার সপ্তাহের অ্যাডভোকেসি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আগামী ২৫ থেকে ৩০ নভেম্বর পরিবার কল্যাণ সেবা ও প্রচার সপ্তাহ উপলক্ষে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসন ও পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের আয়োজনে গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১০টায় চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) নাজমুল হামিদ রেজার সভাপতিত্বে অ্যাডভোকেসি সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেন চুয়াডাঙ্গার জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমা।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, পরিবার পরিকল্পনা জীবন সাজায়, পরিকল্পিত পরিবার গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। জেন্ডার সমতা, নারীর ক্ষমতায়ন তথা টেকসই উন্নয়নের চাবিকাঠি হলো পরিবার পরিকল্পনা। যা আপামর জনসাধারণের জীবন রক্ষাকারী কর্মসূচির অন্যতম। পরিবার পরিকল্পনায় বিনিয়োগ হল উন্নয়নের ‘বেস্ট বাই’ যা টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রাকে ত্বরান্বিত করে। পছন্দ অনুযায়ী নিরাপদ পরিবার পরিকল্পনা সেবা পাওয়া মানবাধিকারের সামিল। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী মাতৃমৃত্যু ২০৩০ সালের মধ্যে ৭০-এ নামিয়ে আনা এবং ২০১৯ সালের আইসিপিডি ২৫ সম্মেলন (কায়রোতে অনুষ্ঠিত) অনুযায়ী ‘তিন শূন্য’ অর্জনে বাংলাদেশ অঙ্গীকারাবদ্ধ।

তিন শূন্য অর্থাৎ ‘মাতৃমৃত্যুর শুন্য হার, নারীর প্রতি সহিংসতা শূন্য এবং অপূর্ণ চাহিদার হার শূন্য-অর্জনে মাতৃ ও শিশু স্বাস্থ্য উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়নের কোনো বিকল্প নেই। বর্তমানে বাংলাদেশে ৫০% নারীর বিয়ে হয় ১৮ বছরের আগে (বিডিএইচএস-২০২২)। এ সকল নারীদের কাছে পরিবার পরিকল্পনা তথ্য ও সেবা প্রাপ্তি সহজলভ্য না হলে অনাকাঙ্খিত গর্ভধারণের ঝুঁকি সৃষ্টি হয়। নারীর পরিবার পরিকল্পনার উপযুক্ত পদ্ধতি ব্যবহার করে পছন্দসই পরিবার গঠনের সুযোগ হ্রাস পেলে অথবা স্বাস্থ্য অধিকার সংরক্ষিত না হলে তা শুধুমাত্র নারী ও কিশোরীর দেহের স্বাধীনতাকেই ক্ষুণ্ন করে না, সমগ্র দেশ তথা বিশ্বের ভবিষ্যৎ স্বপ্নকেও ঝুঁকিপূর্ণ করে তোলে। এসব স্বাস্থ্যঝুঁকি হ্রাস ও জনসাধারণের মাঝে ব্যাপক সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর প্রতিবছর একটি করে পরিবার কল্যাণ সেবা ও প্রচার সপ্তাহের আয়োজন করে থাকে। সেবা ও প্রচার সপ্তাহে সামগ্রিকভাবে পরিবার পরিকল্পনা, মা ও শিশুস্বাস্থ্য এবং কৈশোরকালীন স্বাস্থ্যসেবা প্রদানে গ্রহণ করা হয়েছে। বিশেষ পরামর্শ প্রদান ও সেবার আয়োজন। সেই সাথে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে এ অধিদপ্তর তথ্য স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় বন্ধ পরিকর।

আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন চুয়াডাঙ্গার সিভিল সার্জন ডা. সাজ্জাৎ হাসান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন) নাজিম উদ্দিন আল আজাদ ও চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সভাপতি সরদার আল আমিন। সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন চুয়াডাঙ্গা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক এবিএম শরিফুল আলম। আলোচনা সভার শুরুতে পবিত্র কুরআন থেকে তিলাওয়াত ও গীতাপাঠ করা হয়। সভায় বক্তব্য দেন সদর উপজেলার শংকরচন্দ্র ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার ডা. জেডএম রওশন আমিন রতন, দামুড়হুদা উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের সহকারী পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা হোসনে মোবারক, শংকরচন্দ্র ইউনিয়নের পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক আখিরুল ইসলাম, জান্নাতুল ফেরদৌস, এফডব্লিউএ নুরজাহান বেগম প্রমুখ।