ইপেপার । আজ শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪

চুয়াডাঙ্গায় নানা আয়োজনে বিশ্ব যক্ষ্মা দিবস পালন,

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১১:১২:১১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ মার্চ ২০২২
  • / ২৬ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক:

চুয়াডাঙ্গায় নানা আয়োজনে বিশ্ব যক্ষ্মা দিবস পালিত হয়েছে। জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির আয়োজনে অনুষ্ঠনাটি বাস্তবায়ন করে চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন অফিস ও সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে নয়টায় দিবসটি পালন উপলক্ষে চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জনের কার্যালয় থেকে একটি র‌্যালি বের করা হয়। চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন ডা. এ এস এম সাজ্জাৎ হাসানের নেতৃত্বে র‌্যালিটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে এসে শেষ হয়। এরপর চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের সম্মেলনকক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। বিশ্ব যক্ষ্মা দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল ‘বিনিয়োগ করি যক্ষ্মা নির্মূলে, জীবন বাঁচাই সবাই মিলে’।

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আউলিয়ার রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসেসিয়েশন চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার সভাপতি ডা. মার্টিন হিরক চৌধুরী।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘যক্ষ্মা রোগের ক্ষতিকর দিক বিশেষ করে স্বাস্থ্য, সামাজিক ও অর্থনৈতিক পরিণতি সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি ও রোগ নির্মূলে সারাবিশ্বে দিবসটি যথাযথ গুরুত্বের সঙ্গে পালিত হয়ে আসছে। আমাদের দেশের একটি মারাত্মক জনস্বাস্থ্য সমস্যা যক্ষ্মা। বিশ্বের যে ৩০টি দেশে যক্ষ্মা রোগীর সংখ্যা বেশি, তার মধ্যে আমাদের দেশ অন্যতম। ১৮৮২ সালের ২৪ মার্চ ডা. রবার্ট করু যক্ষ্মা রোগের জীবাণু মাইক্রোব্যাটেরিয়াম টিউবারকিউলোসিস আবিষ্কার করেন। যক্ষ্মারোগের জীবাণু আবিষ্কারের ১০০ বছর পর ১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ দিনটিকে স্মরণীয় করা ও যক্ষ্মারোগের চিকিৎসা সম্পর্কে গণসচেতনতা বাড়ানোর জন্য প্রতিবছর এ দিনটিকে বিশ্ব যক্ষ্মা দিবস হিসেবে পালন করা হয়।’

তিনি আরও বলেন, করোনার প্রথম থেকেই হাছি-কাঁশির শিষ্টাচার মেনে চলার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। আমাদের লক্ষ্য হতে হবে যেন আশপাশের মানুষের এ ধরণের নমুনা দেখলে চিকিৎসকের স্মরণাপণ্ন হওয়ার তাগিদ দিবেন। সচেতনতায় পারে আমাদের এ রোগ থেকে পরিত্রাণ দিতে। হাছি-কাঁশির শিষ্টাচার মেনে চললে করোনা ছাড়াও অনেক বড় বড় রোগ থেকে রক্ষা পাব। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা যাদের কম আছে, তাদের সতর্ক থাকতে হবে।

ডা. সাদিয়া হক সূচনার সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন নাটাবের সভাপতি ও চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ সিদ্দিকুর রহমান, নাটাবের সেক্রেটারি মাহাবুল ইসলাম সেলিম, ব্র্যাকের চুয়াডাঙ্গা জেলা সমন্বয়ক ফারুক আহম্মেদ, এরিয়া সুপারভাইজার ব্র্যাক (টিবি প্রগ্রাম) সরদার আবু রউফ ও পিওপিপিএম ব্রাক (টিবি প্রোগ্রাম) সুব্রত মল্লিক। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা বক্ষব্যধি হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্সসহ বিভিন্ন ইউনিটের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

চুয়াডাঙ্গায় নানা আয়োজনে বিশ্ব যক্ষ্মা দিবস পালন,

আপলোড টাইম : ১১:১২:১১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ মার্চ ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক:

চুয়াডাঙ্গায় নানা আয়োজনে বিশ্ব যক্ষ্মা দিবস পালিত হয়েছে। জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির আয়োজনে অনুষ্ঠনাটি বাস্তবায়ন করে চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন অফিস ও সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে নয়টায় দিবসটি পালন উপলক্ষে চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জনের কার্যালয় থেকে একটি র‌্যালি বের করা হয়। চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন ডা. এ এস এম সাজ্জাৎ হাসানের নেতৃত্বে র‌্যালিটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে এসে শেষ হয়। এরপর চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের সম্মেলনকক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। বিশ্ব যক্ষ্মা দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল ‘বিনিয়োগ করি যক্ষ্মা নির্মূলে, জীবন বাঁচাই সবাই মিলে’।

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আউলিয়ার রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসেসিয়েশন চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার সভাপতি ডা. মার্টিন হিরক চৌধুরী।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘যক্ষ্মা রোগের ক্ষতিকর দিক বিশেষ করে স্বাস্থ্য, সামাজিক ও অর্থনৈতিক পরিণতি সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি ও রোগ নির্মূলে সারাবিশ্বে দিবসটি যথাযথ গুরুত্বের সঙ্গে পালিত হয়ে আসছে। আমাদের দেশের একটি মারাত্মক জনস্বাস্থ্য সমস্যা যক্ষ্মা। বিশ্বের যে ৩০টি দেশে যক্ষ্মা রোগীর সংখ্যা বেশি, তার মধ্যে আমাদের দেশ অন্যতম। ১৮৮২ সালের ২৪ মার্চ ডা. রবার্ট করু যক্ষ্মা রোগের জীবাণু মাইক্রোব্যাটেরিয়াম টিউবারকিউলোসিস আবিষ্কার করেন। যক্ষ্মারোগের জীবাণু আবিষ্কারের ১০০ বছর পর ১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ দিনটিকে স্মরণীয় করা ও যক্ষ্মারোগের চিকিৎসা সম্পর্কে গণসচেতনতা বাড়ানোর জন্য প্রতিবছর এ দিনটিকে বিশ্ব যক্ষ্মা দিবস হিসেবে পালন করা হয়।’

তিনি আরও বলেন, করোনার প্রথম থেকেই হাছি-কাঁশির শিষ্টাচার মেনে চলার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। আমাদের লক্ষ্য হতে হবে যেন আশপাশের মানুষের এ ধরণের নমুনা দেখলে চিকিৎসকের স্মরণাপণ্ন হওয়ার তাগিদ দিবেন। সচেতনতায় পারে আমাদের এ রোগ থেকে পরিত্রাণ দিতে। হাছি-কাঁশির শিষ্টাচার মেনে চললে করোনা ছাড়াও অনেক বড় বড় রোগ থেকে রক্ষা পাব। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা যাদের কম আছে, তাদের সতর্ক থাকতে হবে।

ডা. সাদিয়া হক সূচনার সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন নাটাবের সভাপতি ও চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ সিদ্দিকুর রহমান, নাটাবের সেক্রেটারি মাহাবুল ইসলাম সেলিম, ব্র্যাকের চুয়াডাঙ্গা জেলা সমন্বয়ক ফারুক আহম্মেদ, এরিয়া সুপারভাইজার ব্র্যাক (টিবি প্রগ্রাম) সরদার আবু রউফ ও পিওপিপিএম ব্রাক (টিবি প্রোগ্রাম) সুব্রত মল্লিক। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা বক্ষব্যধি হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্সসহ বিভিন্ন ইউনিটের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ।