ইপেপার । আজ বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪

চুয়াডাঙ্গায় দরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থীদের মধ্যে শিক্ষাবৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে ডিসি আমিনুল ইসলাম

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৭:২৫:০৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৫ জুন ২০২৩
  • / ৪৪ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গায় দরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থীদের মধ্যে শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করা হয়েছে। গতকাল শনিবার বেলা ১১টায় নিজস্ব প্রধান কার্যালয়ে এ শিক্ষাবৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ‘আত্মবিশ্বাস’। এতে সহযোগিতা করে পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন। এর আগে আত্মবিশ্বাসের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুল হক বিশ্বাসের সভাপতিত্বে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন চুয়াডাঙ্গার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান। স্বাগত বক্তব্য দেন আত্মবিশ্বাসের নির্বাহী পরিচালক আকরামুল হক বিশ্বাস। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন, চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সভাপতি সরদার আল-আমিন, বাংলাদেশ সাংবাদিক সমিতি চুয়াডাঙ্গা জেলা ইউনিটের সভাপতি ও দৈনিক সময়ের সমীকরণ পত্রিকার প্রধান সম্পাদক নাজমুল হক স্বপন।
আত্মবিশ্বাসের এমআইএস অফিসার জাহাঙ্গীর আলমের উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানের সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন আত্মবিশ্বাসের পরিচালক রফিকুল হাসান জোয়ার্দ্দার, সহকারী পরিচালক আককাস আলী, এ কে এম হাসানুজ্জামান, মো. আবু সাদাত রিমু, মো. শাহ্ আলম আলোসহ প্রমুখ। অনুষ্ঠানে ৭১ জন শিক্ষার্থীদের হাতে ৬ লাখ ৩০ হাজার টাকার চেক তুলে দেন অতিথিরা।
চুয়াডাঙ্গার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান বলেন, ‘আত্মবিশ্বাস ৩৪ বছর ধরে কাজ করছে এবং জনগণের পাশে রয়েছে। সে জন্য আত্মবিশ্বাসকে ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে আত্মবিশ্বাস এ উদ্যোগ নিয়েছে। আমি আত্মবিশ্বাসের সাফল্য কামনা করব। এই সময়ে ১২ হাজার টাকা একজন শিক্ষার্থীর জন্য অনেক কিছু। ১২ হাজার টাকায় বই কিনলে অনেক উন্নতি লাভ করা যাবে। সাফল্যের কোনো শর্টকাট নেই। সাফল্য অর্জন করতে হলে পরিশ্রম করতে হবে। স্বপ্নপূরণ করার সময় এখনি। স্বপ্নপূরণে কাজ করতে হবে। চাকরির পড়া হাইস্কুল থেকেই শুরু করা উচিত। সাধারণ জ্ঞান নিতে হবে। সাফল্য লাভ করতে সকলেই চাই। কঠোর পরিশ্রম করলে সফলতা আসবেই। প্রতিযোগিতামূলক যুগে সেই টিকে থাকবে, যে নিজেকে শক্ত করে তৈরি করবে।’
তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘দেশের প্রতি একটা দায়িত্ববোধ থাকতে হবে। বাড়ির ময়লা প্যাকেটে করে রাস্তায় ফেলে গেলে পৌরসভা যতই চেষ্টা করুক কিন্তু পরিষ্কার রাখতে পারবে না। আমাদের মধ্যে দেশপ্রেম থাকতে হবে। যুদ্ধে যেয়েই যে দেশপ্রেম দেখাতে হবে, তা কিন্তু নয়। আমাদের দেশের জন্য কিছু করতে হবে। দেশকে সুন্দর করে গড়ে তুলতে হবে। এগিয়ে যাওয়ার এই সময়ে দেশপ্রেমের স্বাক্ষর রাখতে হবে। দেশ প্রেমের স্বাক্ষর আমরা অনেকভাবেই রাখতে পারি। ছোট বয়স থেকেই দেশপ্রেম মনের মধ্যে জাগ্রত করতে হবে। ২০৪১ সালে আমরা উন্নত বিশ্বের কাতারে যাব। সেই সময় তোমরা দেশের গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকবে। তোমরা আগামীর বাংলাদেশ।’
পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘শিক্ষাবৃত্তি নিয়ে এগিয়ে যাবে। ভালো কিছু করতে হবে। আজকের পিতা-মাতারা গর্বিত। তারা মেধাবী শিক্ষার্থীর পিতা-মাতা হিসেবে সন্তানের সাথে বৃত্তি নিতে এসেছেন। তোমাদের প্রতি চাওয়া একটাই, ভালো মানুষ হতে হবে। আর বাবা-মায়ের প্রতি অনুরোধ থাকবে, সন্তানকে মানুষ তৈরি করবেন। সন্তানকে স্বশিক্ষিত করে গড়ে তুলবেন।’
সভাপতির বক্তব্যে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও আত্মবিশ্বাসের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আসাদুল হক বিশ্বাস বলেন, ‘আমার মনে হয় বর্তমানে একজন ভালো ছাত্র এবং ভালো পরীক্ষার্থী এক নয়। পরীক্ষার্থীরা এখন অনেকেই ভালো করে। তবে হয়ত ভালো হয়ে উঠছে না। ভালো ছাত্র তথা ভালো মানুষ হতে হবে। আজকের আয়োজনে মঞ্চে থাকা সম্মানিত অতিথিরা আপনাদের প্রতি অনেক উপদেশ দিয়েছেন। সেগুলোও মেনে চলতে হবে।’ তিনি আরও বলেন, একটি পত্রিকা সকালে বিক্রি হয় ১০ টাকা পিস। বিকেলে বিক্রি হয়, ১০ টাকা কেজিতে। সময়ের একটা মূল্য আছে। সময় মতো কাজ করতে হয়। আসাদুল হক বিশ্বাস বলেন, এ দেশের জন্য সুশিক্ষায় প্রতিষ্ঠিত হয়ে, এরকম পেছনের মানুষদের পাশে দাঁড়াতে হবে। বঙ্গবন্ধু স্বপ্ন দেখেছিলেন, সোনার বাংলার। বঙ্গবন্ধুর সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করছে বঙ্গবন্ধুর কন্যা। এই দেশের ভবিষ্যৎ তোমরা। তোমাদের মানুষের মতো মানুষ হয়ে দেশের পাশে দাঁড়াতে হবে।
আত্মবিশ্বাসের নির্বাহী পরিচালক আকরামুল হক বিশ্বাস বলেন, ‘আত্মবিশ্বাস তোমাদের পাশে সব সময় থাকবে। তোমাদের পড়াশোনা শেষ করার পর চাকরির জন্যও আত্মবিশ্বাস তোমাদের পাশে আছে। প্রয়োজনে আত্মবিশ্বাস তোমাদেরও চাকরি দেবে। আত্মবিশ্বাসের দরজা সবসময় তোমাদের জন্য খোলা। আত্মবিশ্বাস প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকেই মানুষের কল্যাণে, সমাজের কল্যাণে কাজ করছে। এই অঞ্চলের মানুষের জীবনমান উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

চুয়াডাঙ্গায় দরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থীদের মধ্যে শিক্ষাবৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে ডিসি আমিনুল ইসলাম

আপলোড টাইম : ০৭:২৫:০৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৫ জুন ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গায় দরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থীদের মধ্যে শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করা হয়েছে। গতকাল শনিবার বেলা ১১টায় নিজস্ব প্রধান কার্যালয়ে এ শিক্ষাবৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ‘আত্মবিশ্বাস’। এতে সহযোগিতা করে পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন। এর আগে আত্মবিশ্বাসের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুল হক বিশ্বাসের সভাপতিত্বে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন চুয়াডাঙ্গার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান। স্বাগত বক্তব্য দেন আত্মবিশ্বাসের নির্বাহী পরিচালক আকরামুল হক বিশ্বাস। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন, চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সভাপতি সরদার আল-আমিন, বাংলাদেশ সাংবাদিক সমিতি চুয়াডাঙ্গা জেলা ইউনিটের সভাপতি ও দৈনিক সময়ের সমীকরণ পত্রিকার প্রধান সম্পাদক নাজমুল হক স্বপন।
আত্মবিশ্বাসের এমআইএস অফিসার জাহাঙ্গীর আলমের উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানের সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন আত্মবিশ্বাসের পরিচালক রফিকুল হাসান জোয়ার্দ্দার, সহকারী পরিচালক আককাস আলী, এ কে এম হাসানুজ্জামান, মো. আবু সাদাত রিমু, মো. শাহ্ আলম আলোসহ প্রমুখ। অনুষ্ঠানে ৭১ জন শিক্ষার্থীদের হাতে ৬ লাখ ৩০ হাজার টাকার চেক তুলে দেন অতিথিরা।
চুয়াডাঙ্গার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান বলেন, ‘আত্মবিশ্বাস ৩৪ বছর ধরে কাজ করছে এবং জনগণের পাশে রয়েছে। সে জন্য আত্মবিশ্বাসকে ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে আত্মবিশ্বাস এ উদ্যোগ নিয়েছে। আমি আত্মবিশ্বাসের সাফল্য কামনা করব। এই সময়ে ১২ হাজার টাকা একজন শিক্ষার্থীর জন্য অনেক কিছু। ১২ হাজার টাকায় বই কিনলে অনেক উন্নতি লাভ করা যাবে। সাফল্যের কোনো শর্টকাট নেই। সাফল্য অর্জন করতে হলে পরিশ্রম করতে হবে। স্বপ্নপূরণ করার সময় এখনি। স্বপ্নপূরণে কাজ করতে হবে। চাকরির পড়া হাইস্কুল থেকেই শুরু করা উচিত। সাধারণ জ্ঞান নিতে হবে। সাফল্য লাভ করতে সকলেই চাই। কঠোর পরিশ্রম করলে সফলতা আসবেই। প্রতিযোগিতামূলক যুগে সেই টিকে থাকবে, যে নিজেকে শক্ত করে তৈরি করবে।’
তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘দেশের প্রতি একটা দায়িত্ববোধ থাকতে হবে। বাড়ির ময়লা প্যাকেটে করে রাস্তায় ফেলে গেলে পৌরসভা যতই চেষ্টা করুক কিন্তু পরিষ্কার রাখতে পারবে না। আমাদের মধ্যে দেশপ্রেম থাকতে হবে। যুদ্ধে যেয়েই যে দেশপ্রেম দেখাতে হবে, তা কিন্তু নয়। আমাদের দেশের জন্য কিছু করতে হবে। দেশকে সুন্দর করে গড়ে তুলতে হবে। এগিয়ে যাওয়ার এই সময়ে দেশপ্রেমের স্বাক্ষর রাখতে হবে। দেশ প্রেমের স্বাক্ষর আমরা অনেকভাবেই রাখতে পারি। ছোট বয়স থেকেই দেশপ্রেম মনের মধ্যে জাগ্রত করতে হবে। ২০৪১ সালে আমরা উন্নত বিশ্বের কাতারে যাব। সেই সময় তোমরা দেশের গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকবে। তোমরা আগামীর বাংলাদেশ।’
পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘শিক্ষাবৃত্তি নিয়ে এগিয়ে যাবে। ভালো কিছু করতে হবে। আজকের পিতা-মাতারা গর্বিত। তারা মেধাবী শিক্ষার্থীর পিতা-মাতা হিসেবে সন্তানের সাথে বৃত্তি নিতে এসেছেন। তোমাদের প্রতি চাওয়া একটাই, ভালো মানুষ হতে হবে। আর বাবা-মায়ের প্রতি অনুরোধ থাকবে, সন্তানকে মানুষ তৈরি করবেন। সন্তানকে স্বশিক্ষিত করে গড়ে তুলবেন।’
সভাপতির বক্তব্যে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও আত্মবিশ্বাসের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আসাদুল হক বিশ্বাস বলেন, ‘আমার মনে হয় বর্তমানে একজন ভালো ছাত্র এবং ভালো পরীক্ষার্থী এক নয়। পরীক্ষার্থীরা এখন অনেকেই ভালো করে। তবে হয়ত ভালো হয়ে উঠছে না। ভালো ছাত্র তথা ভালো মানুষ হতে হবে। আজকের আয়োজনে মঞ্চে থাকা সম্মানিত অতিথিরা আপনাদের প্রতি অনেক উপদেশ দিয়েছেন। সেগুলোও মেনে চলতে হবে।’ তিনি আরও বলেন, একটি পত্রিকা সকালে বিক্রি হয় ১০ টাকা পিস। বিকেলে বিক্রি হয়, ১০ টাকা কেজিতে। সময়ের একটা মূল্য আছে। সময় মতো কাজ করতে হয়। আসাদুল হক বিশ্বাস বলেন, এ দেশের জন্য সুশিক্ষায় প্রতিষ্ঠিত হয়ে, এরকম পেছনের মানুষদের পাশে দাঁড়াতে হবে। বঙ্গবন্ধু স্বপ্ন দেখেছিলেন, সোনার বাংলার। বঙ্গবন্ধুর সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করছে বঙ্গবন্ধুর কন্যা। এই দেশের ভবিষ্যৎ তোমরা। তোমাদের মানুষের মতো মানুষ হয়ে দেশের পাশে দাঁড়াতে হবে।
আত্মবিশ্বাসের নির্বাহী পরিচালক আকরামুল হক বিশ্বাস বলেন, ‘আত্মবিশ্বাস তোমাদের পাশে সব সময় থাকবে। তোমাদের পড়াশোনা শেষ করার পর চাকরির জন্যও আত্মবিশ্বাস তোমাদের পাশে আছে। প্রয়োজনে আত্মবিশ্বাস তোমাদেরও চাকরি দেবে। আত্মবিশ্বাসের দরজা সবসময় তোমাদের জন্য খোলা। আত্মবিশ্বাস প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকেই মানুষের কল্যাণে, সমাজের কল্যাণে কাজ করছে। এই অঞ্চলের মানুষের জীবনমান উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।