ইপেপার । আজ শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪

চুয়াডাঙ্গায় জেঁকে বসেছে শীত!

নিজস্ব প্রতিবেদক:
  • আপলোড টাইম : ০৩:৩৯:৫৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ জানুয়ারী ২০২২
  • / ৩১ বার পড়া হয়েছে

চুয়াডাঙ্গায় জেঁকে বসেছে শীত; সেই সঙ্গে কুয়াশা ও হিমেল বাতাস শীতের মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছে। কাজে বের হতে শীতের প্রকোপে বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। গতকাল সোমবার চুয়াডাঙ্গায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। সকালের দিকে কুয়াশা ঝরছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রোদের দেখা মেলায় শীতের মাত্রা কিছুটা কমছে। তবে বিকেলের পর থেকে আবারও শীত অনুভূত হচ্ছে। চুয়াডাঙ্গায় গত ২০ ডিসেম্বর এ জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্র রেকর্ড করা হয় ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা এ মৌসুমের এখন পর্যন্ত সর্বনিম্ন তামপাত্রা।

এদিকে, প্রচণ্ড শীতে ঠান্ডাজনিত রোগ বাড়তে শুরু হয়েছে। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্ক মানুষ ডায়রিয়া ও ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হওয়ায় ইতঃমধ্যে এ ধরনের রোগী ভর্তি শুরু হয়ে গেছে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে।

চুয়াডাঙ্গার বিভিন্ন এলাকার অনেকেই বলেন, ‘সকাল থেকে ঠান্ডা বাতাস বইছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সূর্যের দেখা মিললেও রোদের উত্তাপ ছিল না। প্রচণ্ড ঠান্ডা আবহাওয়ার কারণে অনেকেই সন্ধ্যার পর থেকে আর বাড়ির বাইরে বের হচ্ছেন না।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্তকর্তা ডা. এ এস এম ফাতেহ আকরাম বলেন, ‘শীত বাড়ায় ঠান্ডায় বেশি কাতর হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে শিশু ও বয়স্ক মানুষের। শ্বাসকষ্টের সমস্যা নিয়ে আজও (গতকাল) কয়েকজন বয়স্ক মানুষ হাসপাতালে এসেছেন। এ ছাড়া ডায়রিয়ায় আক্রান্ত কয়েকটি শিশুকেও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।’

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ সামাদুল হক জানান, ‘ডিসেম্বরের শেষের দিক থেকে তাপমাত্রা ক্রমাগত নিচের দিকে নামছে। মাঝে মধ্যে দুই একদিন তাপমাত্রা বাড়লেও পরদিন আবার তা নেমে আসে। এভাবে গত ২০ ডিসেম্বর চুয়াডাঙ্গায় রেকর্ড করা হয় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। তাপমাত্রার পাশাপাশি রয়েছে কুয়াশা। রাতে ও ভোরের দিকে কুয়াশা পড়ছে।’

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

চুয়াডাঙ্গায় জেঁকে বসেছে শীত!

আপলোড টাইম : ০৩:৩৯:৫৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ জানুয়ারী ২০২২

চুয়াডাঙ্গায় জেঁকে বসেছে শীত; সেই সঙ্গে কুয়াশা ও হিমেল বাতাস শীতের মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছে। কাজে বের হতে শীতের প্রকোপে বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। গতকাল সোমবার চুয়াডাঙ্গায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। সকালের দিকে কুয়াশা ঝরছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রোদের দেখা মেলায় শীতের মাত্রা কিছুটা কমছে। তবে বিকেলের পর থেকে আবারও শীত অনুভূত হচ্ছে। চুয়াডাঙ্গায় গত ২০ ডিসেম্বর এ জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্র রেকর্ড করা হয় ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা এ মৌসুমের এখন পর্যন্ত সর্বনিম্ন তামপাত্রা।

এদিকে, প্রচণ্ড শীতে ঠান্ডাজনিত রোগ বাড়তে শুরু হয়েছে। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্ক মানুষ ডায়রিয়া ও ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হওয়ায় ইতঃমধ্যে এ ধরনের রোগী ভর্তি শুরু হয়ে গেছে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে।

চুয়াডাঙ্গার বিভিন্ন এলাকার অনেকেই বলেন, ‘সকাল থেকে ঠান্ডা বাতাস বইছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সূর্যের দেখা মিললেও রোদের উত্তাপ ছিল না। প্রচণ্ড ঠান্ডা আবহাওয়ার কারণে অনেকেই সন্ধ্যার পর থেকে আর বাড়ির বাইরে বের হচ্ছেন না।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্তকর্তা ডা. এ এস এম ফাতেহ আকরাম বলেন, ‘শীত বাড়ায় ঠান্ডায় বেশি কাতর হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে শিশু ও বয়স্ক মানুষের। শ্বাসকষ্টের সমস্যা নিয়ে আজও (গতকাল) কয়েকজন বয়স্ক মানুষ হাসপাতালে এসেছেন। এ ছাড়া ডায়রিয়ায় আক্রান্ত কয়েকটি শিশুকেও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।’

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ সামাদুল হক জানান, ‘ডিসেম্বরের শেষের দিক থেকে তাপমাত্রা ক্রমাগত নিচের দিকে নামছে। মাঝে মধ্যে দুই একদিন তাপমাত্রা বাড়লেও পরদিন আবার তা নেমে আসে। এভাবে গত ২০ ডিসেম্বর চুয়াডাঙ্গায় রেকর্ড করা হয় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। তাপমাত্রার পাশাপাশি রয়েছে কুয়াশা। রাতে ও ভোরের দিকে কুয়াশা পড়ছে।’