ইপেপার । আজ বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৪

চুয়াডাঙ্গায় ছাত্রদল নেতার আকষ্মিক মৃত্যু, শোক প্রকাশ

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১১:৫৬:৫১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৩
  • / ১৬ বার পড়া হয়েছে

সমীকরণ প্রতিবেদন:
চুয়াডাঙ্গা শহরের পরিচিত মুখ আমির সোহেল (২৮) ব্রেন স্ট্রোক করে মৃত্যুবরণ করেছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন। গত বুধবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল থেকে রাজশাহী মেডিকেলে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। আমির সোহেল চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার কোর্ট পাড়ার মৃত আব্দুল গণির ছেলে এবং চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন।

আমির সোহেলের ছোট ভাই তাঈম বলেন, ‘বুধবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে ভাই আর আমি বড় বাজারের দিকে যাচ্ছিলাম। ভাই একদম সুস্থ ছিল। থানার সামনে পৌঁছালে হঠাৎ করে ভাই অসুস্থ হয়। ভাই নিজেই বলে আমার প্রেসার লো হয়ে গেছে। শারীরিক অবস্থা স্বাভাবিক না হওয়ায় আমি তাকে দ্রুত চুয়াডাঙ্গার সদর হাসপাতালে জরুরি বিভাগে নিয়ে যায়। কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে আমাদেরকে জানাই ভাইয়ের স্ট্রোক হয়েছে, দ্রুত কুষ্টিয়া বা রাজশাহী মেডিকেলে নেওয়ার পরামর্শ দেয়। সময় ক্ষেপণ না করে আমরা দ্রুত রাজশাহীর দিকে রওনা দিই। ঈশ্বরদী পার হয়ে ভাই আর কথা বলছিল না। কাছাকাছি অবস্থিত বাগদাহ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।’

গতকাল বৃহস্পতিবার ভোরে আমির সোহেলের লাশ চুয়াডাঙ্গা কোর্টপাড়ার নিজ বাড়িতে নেওয়া হয়। গতকাল বাদ জোহর জান্নাতুল মাওলা মসজিদে জানাজা শেষে জান্নাতুল মাওলা কবরস্থানে তাঁর দাফনকার্য সম্পন্ন করা হয়।

পিতা আব্দুল গনি মারা যাওয়ার পর দুই বোন ও মায়ের পরিবারের হাল ধরেছিলেন আমির সোহেল। বটবৃক্ষ হয়ে দুই বোনকে স্নেহ দিয়ে পড়াশোনাও করাচ্ছিলেন একমাত্র অভিভাবক বড় ভাই আমির। তার অকাল মৃত্যুতে পরিবারে চলছে শোকের মতম। অভিভাবকহীন পরিবারটি নিস্তব্ধ। ছেলের অকাল মৃত্যুতে পাগলপ্রায় মা।

এদিকে, আমির সোহেলের মৃত্যুতে চুয়াডাঙ্গা জেলা ছাত্রদল গভীর শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করেছে। জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মো. শাহাজান খাঁন ও সাধারণ সম্পাদক মোমিন মালিতা এক শোক বার্তায় বলেন, আমির সোহেল ছিল দলের জন্য সদা নিবেদিত প্রাণ। দলের খারাপ সময়ে তার ত্যাগ চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। আমির ছিল সদালাপী, ভদ্র, মার্জিত ও দায়িত্ববান ছেলে। বাবা মারা যাওয়ার পর পরিবারের দায়িত্ব কাঁধে নিয়ে সংগ্রামশীল জীবনে অনেকটাই সফলতার দিকে অগ্রসর হয়েছিল। তার স্মৃতি চিরদিন হৃদয়ের মানসপটে উজ্জ্বল হয়ে থাকবে। আমরা তার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। সেই সাথে শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করছি। উল্লেখ্য, ছাত্রদল নেতা আমির সোহেলের ওয়েস্টার্ন জোন নামে পোশাকের দোকান ছিল।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

চুয়াডাঙ্গায় ছাত্রদল নেতার আকষ্মিক মৃত্যু, শোক প্রকাশ

আপলোড টাইম : ১১:৫৬:৫১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৩

সমীকরণ প্রতিবেদন:
চুয়াডাঙ্গা শহরের পরিচিত মুখ আমির সোহেল (২৮) ব্রেন স্ট্রোক করে মৃত্যুবরণ করেছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন। গত বুধবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল থেকে রাজশাহী মেডিকেলে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। আমির সোহেল চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার কোর্ট পাড়ার মৃত আব্দুল গণির ছেলে এবং চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন।

আমির সোহেলের ছোট ভাই তাঈম বলেন, ‘বুধবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে ভাই আর আমি বড় বাজারের দিকে যাচ্ছিলাম। ভাই একদম সুস্থ ছিল। থানার সামনে পৌঁছালে হঠাৎ করে ভাই অসুস্থ হয়। ভাই নিজেই বলে আমার প্রেসার লো হয়ে গেছে। শারীরিক অবস্থা স্বাভাবিক না হওয়ায় আমি তাকে দ্রুত চুয়াডাঙ্গার সদর হাসপাতালে জরুরি বিভাগে নিয়ে যায়। কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে আমাদেরকে জানাই ভাইয়ের স্ট্রোক হয়েছে, দ্রুত কুষ্টিয়া বা রাজশাহী মেডিকেলে নেওয়ার পরামর্শ দেয়। সময় ক্ষেপণ না করে আমরা দ্রুত রাজশাহীর দিকে রওনা দিই। ঈশ্বরদী পার হয়ে ভাই আর কথা বলছিল না। কাছাকাছি অবস্থিত বাগদাহ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।’

গতকাল বৃহস্পতিবার ভোরে আমির সোহেলের লাশ চুয়াডাঙ্গা কোর্টপাড়ার নিজ বাড়িতে নেওয়া হয়। গতকাল বাদ জোহর জান্নাতুল মাওলা মসজিদে জানাজা শেষে জান্নাতুল মাওলা কবরস্থানে তাঁর দাফনকার্য সম্পন্ন করা হয়।

পিতা আব্দুল গনি মারা যাওয়ার পর দুই বোন ও মায়ের পরিবারের হাল ধরেছিলেন আমির সোহেল। বটবৃক্ষ হয়ে দুই বোনকে স্নেহ দিয়ে পড়াশোনাও করাচ্ছিলেন একমাত্র অভিভাবক বড় ভাই আমির। তার অকাল মৃত্যুতে পরিবারে চলছে শোকের মতম। অভিভাবকহীন পরিবারটি নিস্তব্ধ। ছেলের অকাল মৃত্যুতে পাগলপ্রায় মা।

এদিকে, আমির সোহেলের মৃত্যুতে চুয়াডাঙ্গা জেলা ছাত্রদল গভীর শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করেছে। জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মো. শাহাজান খাঁন ও সাধারণ সম্পাদক মোমিন মালিতা এক শোক বার্তায় বলেন, আমির সোহেল ছিল দলের জন্য সদা নিবেদিত প্রাণ। দলের খারাপ সময়ে তার ত্যাগ চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। আমির ছিল সদালাপী, ভদ্র, মার্জিত ও দায়িত্ববান ছেলে। বাবা মারা যাওয়ার পর পরিবারের দায়িত্ব কাঁধে নিয়ে সংগ্রামশীল জীবনে অনেকটাই সফলতার দিকে অগ্রসর হয়েছিল। তার স্মৃতি চিরদিন হৃদয়ের মানসপটে উজ্জ্বল হয়ে থাকবে। আমরা তার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। সেই সাথে শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করছি। উল্লেখ্য, ছাত্রদল নেতা আমির সোহেলের ওয়েস্টার্ন জোন নামে পোশাকের দোকান ছিল।