ইপেপার । আজ শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪

ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’র প্রভাবে জীবননগরে ব্যাপক বৃষ্টিপাত

জীবননগর অফিস:
  • আপলোড টাইম : ০৮:৫৫:৩৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ মে ২০২২
  • / ২৪ বার পড়া হয়েছে

ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’র প্রভাবে জীবননগরে ব্যাপক বৃষ্টিপাত হয়েছে। এতে বোরো ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। গতকাল সোমবার দুপুর ১২টার দিকে বৃষ্টি শুরু হয়। টানা কয়েক ঘণ্টার বৃষ্টিতে ধানখেতে হাঁটুপানি জমেছে। এতে করে ধান ঘরে তোলা নিয়ে বিপাকে পড়েছেন কৃষকেরা। গতকাল সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন ধানের মাঠ ঘুরে দেখা যায়, খেতে কাটা ধান পানিতে ডুবে রয়েছে। কিছু জড় করে গাদা দেওয়া রয়েছে। আর কিছু ধান গুছিয়ে বাড়ি নিয়ে গেছেন কৃষকেরা।

কৃষকেরা জানান, সকাল থেকে রোদ ছিল। আকাশে তেমন মেঘ ছিল না। তবে দুপুর ১২টার দিকে হঠাৎ বৃষ্টি শুরু হয়। বৃষ্টিতে ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। খেতের ধান ঘরে তোলা নিয়ে শঙ্কায় পড়েছেন তাঁরা। হেলে পড়া বোরো ধানের খেত দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন সীমান্ত ইউনিয়নের গঙ্গাদাশপুর গ্রামের কৃষক মনিরুল ইসলাম। বাঁকা ইউনিয়নের পাথিলা গ্রামের কৃষক আতিয়ার রহমান বলেন, ‘দুই বিঘা জমির ধান পানিতে ভাসছিল। অনেক কষ্টে ধান কেটে ডাঙায় তুলেছি।’ একই এলাকার চাষি মোস্তাক আহম্মেদ বলেন, ‘আড়াই বিঘা জমির ধান কেটে খেতেই রেখেছিলাম। ধান মাড়াই করতে পারলে গরুর খাবার হিসেবে বিচালী হতো। এখন খেতের ধান পানিতে ভাসছে।’

জীবননগর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এ বছর উপজেলায় ৭ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। জীবননগর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কৃষি কর্মকর্তা শারমিন আক্তার বলেন, এখন ধান ঘরে তোলার সময়। এ সময়ে বৃষ্টি সবাইকে চিন্তিত করে তুলেছে। বৃষ্টির কারণে ধান নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের পাওয়া তথ্যমতে প্রায় ৮০ শতাংশ কৃষক ধান গুছিয়ে নিয়েছেন। উপজেলায় অল্প কিছু কৃষক নাবি বোরো ধানের আবাদ করেছেন। তাঁরা এখনও ধান ঘরে তুলতে পারেননি। একটু রোদ হলেই তাঁর ধান গুছিয়ে নিতে পারবেন।’

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’র প্রভাবে জীবননগরে ব্যাপক বৃষ্টিপাত

আপলোড টাইম : ০৮:৫৫:৩৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ মে ২০২২

ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’র প্রভাবে জীবননগরে ব্যাপক বৃষ্টিপাত হয়েছে। এতে বোরো ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। গতকাল সোমবার দুপুর ১২টার দিকে বৃষ্টি শুরু হয়। টানা কয়েক ঘণ্টার বৃষ্টিতে ধানখেতে হাঁটুপানি জমেছে। এতে করে ধান ঘরে তোলা নিয়ে বিপাকে পড়েছেন কৃষকেরা। গতকাল সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন ধানের মাঠ ঘুরে দেখা যায়, খেতে কাটা ধান পানিতে ডুবে রয়েছে। কিছু জড় করে গাদা দেওয়া রয়েছে। আর কিছু ধান গুছিয়ে বাড়ি নিয়ে গেছেন কৃষকেরা।

কৃষকেরা জানান, সকাল থেকে রোদ ছিল। আকাশে তেমন মেঘ ছিল না। তবে দুপুর ১২টার দিকে হঠাৎ বৃষ্টি শুরু হয়। বৃষ্টিতে ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। খেতের ধান ঘরে তোলা নিয়ে শঙ্কায় পড়েছেন তাঁরা। হেলে পড়া বোরো ধানের খেত দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন সীমান্ত ইউনিয়নের গঙ্গাদাশপুর গ্রামের কৃষক মনিরুল ইসলাম। বাঁকা ইউনিয়নের পাথিলা গ্রামের কৃষক আতিয়ার রহমান বলেন, ‘দুই বিঘা জমির ধান পানিতে ভাসছিল। অনেক কষ্টে ধান কেটে ডাঙায় তুলেছি।’ একই এলাকার চাষি মোস্তাক আহম্মেদ বলেন, ‘আড়াই বিঘা জমির ধান কেটে খেতেই রেখেছিলাম। ধান মাড়াই করতে পারলে গরুর খাবার হিসেবে বিচালী হতো। এখন খেতের ধান পানিতে ভাসছে।’

জীবননগর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এ বছর উপজেলায় ৭ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। জীবননগর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কৃষি কর্মকর্তা শারমিন আক্তার বলেন, এখন ধান ঘরে তোলার সময়। এ সময়ে বৃষ্টি সবাইকে চিন্তিত করে তুলেছে। বৃষ্টির কারণে ধান নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের পাওয়া তথ্যমতে প্রায় ৮০ শতাংশ কৃষক ধান গুছিয়ে নিয়েছেন। উপজেলায় অল্প কিছু কৃষক নাবি বোরো ধানের আবাদ করেছেন। তাঁরা এখনও ধান ঘরে তুলতে পারেননি। একটু রোদ হলেই তাঁর ধান গুছিয়ে নিতে পারবেন।’