ইপেপার । আজ শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪

গাংনীতে আবাদী জমিতে অবৈধভাবে বালি উত্তোলন

প্রতিবেদক, গাংনী:
  • আপলোড টাইম : ১০:০৬:৪৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ জানুয়ারী ২০২২
  • / ৩৪ বার পড়া হয়েছে

মেহেরপুরের গাংনীতে আবাদী জমিতে অবৈধভাবে চলছে বালি উত্তোলন। ফলে হুমকির মুখে প্রায় শত বিঘা জমির ফসল। স্থানীয় ইটভাটার মালিক ও বালি ব্যবসায়ীরা এ কাজের সঙ্গে জড়িত বলে অভিযোগ উঠেছে।

স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, গাংনী পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ড বাঁশবাড়িয়া ও ২ নস্বর ওয়ার্ড শিশিরপাড়া গ্রামের মাঝামাঝি আনারুল ব্রিক্সের পার্শ্ববর্তী পুকুর থেকে এই ব্রিক্সের মালিক মো. আনারুল ইসলাম দীর্ঘদিন যাবৎ আবাদী জমির ওপর অবৈধভাবে পুকুর থেকে বালি উত্তোলন করে বালির বিশাল স্তূপ করেছেন। যার ফলে পার্শ্ববর্তী আনুমানিক প্রায় ১ শ বিঘা আবাদী জমি ধ্বংস হচ্ছে। অপর দিকে, শিশিরপাড়া গ্রামের বালি ব্যবসায়ী ইমন একইভাবে আনারুল ব্রিক্সের একট দূরে আবাদী জমির ওপর বালির পাহাড় গড়েছেন। অথচ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি নেই সেদিকে। এভাবে পার্শ্ববর্তী আবাদী জমি দিন দিন ধ্বংসের মুখে পড়ছে।

গাংনী উপজেলার ৮ নম্বর ধানখোলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘আমি ইউপি নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত থাকায় শিশিরপাড়া গ্রামের আব্দুল মালেকের ছেলে ইমন বালি তুলে স্তূপ গড়েছে। এতে আমার আমবাগানে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।’

এবিষয়ে আনারুল ব্রিক্সের সত্ত্বাধিকারী আনারুল ইসলাম জানান, ‘বর্তমানে আর বালি উত্তোলন করা হয় না। যে জমিতে বালি উত্তোলন করে রাখা হয়েছে, তা আমাদের বায়নাকৃত জমি। এই বালি খুব দ্রুত সরিয়ে নেওয়া হবে।’

৮ নম্বর ধানখোলা ইউনিয়নের চিৎলা গ্রামের ট্রমা মেম্বার (সাবেক) বলেন, ‘আমার ও আমার আত্মীয়দের কাছ থেকে আনারুল ব্রিক্সের সত্ত্বাধিকারী আনারুল ইসলাম জমি লিজ নিয়েছে।’ উপজেলা কৃষি অফিসার বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’

গাংনী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাজমুল আলম বলেন, ‘বিয়টি আমার জানা নেই। সরেজমিনে বিষয়টি তদন্ত করে অপরাধী যেই ব্যক্তি হোক না কেন তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

গাংনী পৌরসভার মেয়র আহাম্মদ আলী বলেন, ‘বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবগত আছি। কিন্তু আমি ঢাকাতে অবস্থান করার কারণে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারিনি। ঢাকা থেকে ফিরে অবৈধ বালি উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।’

গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মৌসুমী খানম বলেন, আগামীকাল (আজ) সরেজমিনে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

গাংনীতে আবাদী জমিতে অবৈধভাবে বালি উত্তোলন

আপলোড টাইম : ১০:০৬:৪৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ জানুয়ারী ২০২২

মেহেরপুরের গাংনীতে আবাদী জমিতে অবৈধভাবে চলছে বালি উত্তোলন। ফলে হুমকির মুখে প্রায় শত বিঘা জমির ফসল। স্থানীয় ইটভাটার মালিক ও বালি ব্যবসায়ীরা এ কাজের সঙ্গে জড়িত বলে অভিযোগ উঠেছে।

স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, গাংনী পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ড বাঁশবাড়িয়া ও ২ নস্বর ওয়ার্ড শিশিরপাড়া গ্রামের মাঝামাঝি আনারুল ব্রিক্সের পার্শ্ববর্তী পুকুর থেকে এই ব্রিক্সের মালিক মো. আনারুল ইসলাম দীর্ঘদিন যাবৎ আবাদী জমির ওপর অবৈধভাবে পুকুর থেকে বালি উত্তোলন করে বালির বিশাল স্তূপ করেছেন। যার ফলে পার্শ্ববর্তী আনুমানিক প্রায় ১ শ বিঘা আবাদী জমি ধ্বংস হচ্ছে। অপর দিকে, শিশিরপাড়া গ্রামের বালি ব্যবসায়ী ইমন একইভাবে আনারুল ব্রিক্সের একট দূরে আবাদী জমির ওপর বালির পাহাড় গড়েছেন। অথচ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি নেই সেদিকে। এভাবে পার্শ্ববর্তী আবাদী জমি দিন দিন ধ্বংসের মুখে পড়ছে।

গাংনী উপজেলার ৮ নম্বর ধানখোলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘আমি ইউপি নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত থাকায় শিশিরপাড়া গ্রামের আব্দুল মালেকের ছেলে ইমন বালি তুলে স্তূপ গড়েছে। এতে আমার আমবাগানে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।’

এবিষয়ে আনারুল ব্রিক্সের সত্ত্বাধিকারী আনারুল ইসলাম জানান, ‘বর্তমানে আর বালি উত্তোলন করা হয় না। যে জমিতে বালি উত্তোলন করে রাখা হয়েছে, তা আমাদের বায়নাকৃত জমি। এই বালি খুব দ্রুত সরিয়ে নেওয়া হবে।’

৮ নম্বর ধানখোলা ইউনিয়নের চিৎলা গ্রামের ট্রমা মেম্বার (সাবেক) বলেন, ‘আমার ও আমার আত্মীয়দের কাছ থেকে আনারুল ব্রিক্সের সত্ত্বাধিকারী আনারুল ইসলাম জমি লিজ নিয়েছে।’ উপজেলা কৃষি অফিসার বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’

গাংনী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাজমুল আলম বলেন, ‘বিয়টি আমার জানা নেই। সরেজমিনে বিষয়টি তদন্ত করে অপরাধী যেই ব্যক্তি হোক না কেন তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

গাংনী পৌরসভার মেয়র আহাম্মদ আলী বলেন, ‘বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবগত আছি। কিন্তু আমি ঢাকাতে অবস্থান করার কারণে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারিনি। ঢাকা থেকে ফিরে অবৈধ বালি উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।’

গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মৌসুমী খানম বলেন, আগামীকাল (আজ) সরেজমিনে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।