ইপেপার । আজ শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪

গরু কিনতে আসার পথে অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে একই পরিবারের চারজন

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৮:২৪:৩৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৬ মার্চ ২০২২
  • / ৩১ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: মুন্সিগঞ্জ জেলা থেকে গরু কেনার জন্য চুয়াডাঙ্গায় আসার পথে একই পরিবারের চারজন অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে চুয়াডাঙ্গার উদ্দেশ্যে মাওয়া থেকে আলসানি পরিবহনে চড়েন তাঁরা। বাসের মধ্যেই অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়লে তাঁদের নিকট থেকে গরু কেনার আট লাখ টাকা খোয়া যায়। অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়া চারজন হলেন- মুুন্সীগঞ্জ জেলার শ্রীনগর থানাধীন বারুইখালী গ্রামের মৃত শেখ হায়াত আলীর ছেলে শেখ সাহাবদ্দীন সেণ্টু (৪৫), তাঁর ছেলে শেখ নিবিড় (২২), ভাই শেখ হারেজ আলী (৫০) এবং সাহাবদ্দীন সেণ্টুর চাচাত ভাই ও খামারের দেখাশোনাকারী দিদার হোসনে (৫০)।

ভুক্তভোগী গরুর খামারী শেখ সাহাবুদ্দিন সেণ্টুর ছেলে শেখ নিবিড় বলেন, ‘আমাদের খামারের জন্য প্রায়ই কুষ্টিয়া ও চুয়াডাঙ্গার কয়েকটি গরুর হাটে গরু কিনতে আসি আমরা। আজ (গতকাল) বেলা ১১টার দিকে মাওয়া থেকে চুয়াডাঙ্গার উদ্দেশ্যে আমি, বাবা, দাদু ও চাচাসহ মোট চারজন আলসানি পরিবহনে উঠি। পথের মধ্যে বাসে কাটা পেয়ারা ও শসা বিক্রেতা উঠলে সবাই পেয়ারা ও শসা খায়। এর পরেই আমরা সবাই বাসের মধ্যেই অচেতন হয়ে পড়ি। চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে আমার ও দাদুর চেতনা ফিরলে বাবা ও চাচার চেতনা ফেরেনি। আমাদের সবগুলো ব্যাগ ও মোবাইল আছে শুধু যে স্কুল ব্যাগের মধ্যে গরু কেনার আট লাখ টাকা ছিল, টাকাসহ সেই ব্যাগটা খোয়া গেছে।’

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মেডিকেল অফিসার ডা. ওয়াহিদ মাহমুদ রবিন বলেন, ‘বিকেল পৌনে চারটার দিকে কয়েকজন ব্যক্তি অচেতন অবস্থায় চারজনকে জরুরি বিভাগে নেয়। প্রত্যেকেই বাসের মধ্যে অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়েছে বলে জানতে পারি। জরুরি বিভাগে নেওয়ার পরে দুজনের চেতনা ফিরেছে। অন্য দুজনকে জরুরি বিভাগ থেকে তাৎক্ষণিক চিকিৎসা দিয়ে ভর্তি রাখা হয়েছে। প্রত্যেকের অবস্থা শঙ্কামুক্ত।’

চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন বলেন, ‘বাসের মধ্যে পেয়ারা ও শসা খেয়েছিল ভুক্তভোগী চারজন। এরপরেই তারা অচেতন হয়ে পড়েন। আলসানি পরিবহনের সুপারভাইসার তাদেরকে বড় বাজার নামিয়ে দিলে পুলিশ চারজনকেই সদর হাসপাতালে নেয়। তারা নিজেদের খামারের জন্য গরু কিনতে মুন্সিগঞ্জ জেলা থেকে চুয়াডাঙ্গা আসছিলেন। চারজনের মধ্যে দুজন কথা বলতে পারলেও তারা সম্পূর্ণ সুস্থ নয়। তারা সুস্থ হলে তাদের নিকট থেকে কত টাকা খোয়া গেছে, সে সম্পর্কে নিশ্চিত করে বলা সম্ভব হবে।’

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

গরু কিনতে আসার পথে অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে একই পরিবারের চারজন

আপলোড টাইম : ০৮:২৪:৩৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৬ মার্চ ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক: মুন্সিগঞ্জ জেলা থেকে গরু কেনার জন্য চুয়াডাঙ্গায় আসার পথে একই পরিবারের চারজন অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে চুয়াডাঙ্গার উদ্দেশ্যে মাওয়া থেকে আলসানি পরিবহনে চড়েন তাঁরা। বাসের মধ্যেই অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়লে তাঁদের নিকট থেকে গরু কেনার আট লাখ টাকা খোয়া যায়। অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়া চারজন হলেন- মুুন্সীগঞ্জ জেলার শ্রীনগর থানাধীন বারুইখালী গ্রামের মৃত শেখ হায়াত আলীর ছেলে শেখ সাহাবদ্দীন সেণ্টু (৪৫), তাঁর ছেলে শেখ নিবিড় (২২), ভাই শেখ হারেজ আলী (৫০) এবং সাহাবদ্দীন সেণ্টুর চাচাত ভাই ও খামারের দেখাশোনাকারী দিদার হোসনে (৫০)।

ভুক্তভোগী গরুর খামারী শেখ সাহাবুদ্দিন সেণ্টুর ছেলে শেখ নিবিড় বলেন, ‘আমাদের খামারের জন্য প্রায়ই কুষ্টিয়া ও চুয়াডাঙ্গার কয়েকটি গরুর হাটে গরু কিনতে আসি আমরা। আজ (গতকাল) বেলা ১১টার দিকে মাওয়া থেকে চুয়াডাঙ্গার উদ্দেশ্যে আমি, বাবা, দাদু ও চাচাসহ মোট চারজন আলসানি পরিবহনে উঠি। পথের মধ্যে বাসে কাটা পেয়ারা ও শসা বিক্রেতা উঠলে সবাই পেয়ারা ও শসা খায়। এর পরেই আমরা সবাই বাসের মধ্যেই অচেতন হয়ে পড়ি। চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে আমার ও দাদুর চেতনা ফিরলে বাবা ও চাচার চেতনা ফেরেনি। আমাদের সবগুলো ব্যাগ ও মোবাইল আছে শুধু যে স্কুল ব্যাগের মধ্যে গরু কেনার আট লাখ টাকা ছিল, টাকাসহ সেই ব্যাগটা খোয়া গেছে।’

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মেডিকেল অফিসার ডা. ওয়াহিদ মাহমুদ রবিন বলেন, ‘বিকেল পৌনে চারটার দিকে কয়েকজন ব্যক্তি অচেতন অবস্থায় চারজনকে জরুরি বিভাগে নেয়। প্রত্যেকেই বাসের মধ্যে অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়েছে বলে জানতে পারি। জরুরি বিভাগে নেওয়ার পরে দুজনের চেতনা ফিরেছে। অন্য দুজনকে জরুরি বিভাগ থেকে তাৎক্ষণিক চিকিৎসা দিয়ে ভর্তি রাখা হয়েছে। প্রত্যেকের অবস্থা শঙ্কামুক্ত।’

চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন বলেন, ‘বাসের মধ্যে পেয়ারা ও শসা খেয়েছিল ভুক্তভোগী চারজন। এরপরেই তারা অচেতন হয়ে পড়েন। আলসানি পরিবহনের সুপারভাইসার তাদেরকে বড় বাজার নামিয়ে দিলে পুলিশ চারজনকেই সদর হাসপাতালে নেয়। তারা নিজেদের খামারের জন্য গরু কিনতে মুন্সিগঞ্জ জেলা থেকে চুয়াডাঙ্গা আসছিলেন। চারজনের মধ্যে দুজন কথা বলতে পারলেও তারা সম্পূর্ণ সুস্থ নয়। তারা সুস্থ হলে তাদের নিকট থেকে কত টাকা খোয়া গেছে, সে সম্পর্কে নিশ্চিত করে বলা সম্ভব হবে।’