ইপেপার । আজ বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৪

কোটি টাকা নিয়ে উধাও ব্যবসায়ী

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৮:৩৯:৪৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ নভেম্বর ২০২৩
  • / ৪৭ বার পড়া হয়েছে

আলমডাঙ্গা অফিস:
আলমডাঙ্গার বিভিন্ন ব্যবসায়ী ও এনজিও‘র ঋণসহ প্রায় কোটি টাকা নিয়ে উধাও হওয়ার অভিযোগ উঠেছে সুজা উদ্দীন নামের এক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে। গত কয়েকদিন আগে ওই ব্যবসায়ী পরিবারসহ উধাও হয়ে যাওয়ায় স্থানীয় ব্যবসায়ীদের উঠেছে মাথায় হাত। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীরা বাদী হয়ে আলমডাঙ্গা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। সুজা উদ্দীন যশোর পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মৃত আছির আলীর ছেলে। তিনি বিয়ের পর উপজেলার ডাউকি ইউনিয়নের বাদেমাজু গ্রামের শ্বশুর আব্দুল মান্নানের বাড়িতে বসবাস করতেন।

স্থানীয়রা জানান, গত ৭ বছর আগে সুজা উদ্দীন আলমডাঙ্গা পৌর শহরের মেডিসিন কর্নারে চাকরি নেন। ২০২০ সালে তিনি নিজেই রিপন ফার্মেসি নামের একটি দোকান দিয়ে ব্যবসা শুরু করেন। ব্যবসায়ী হিসেবে তিনি বিভিন্ন ব্যবসায়ী ও এনজিও থেকে ঋণ নেন। এছাড়া বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানির নিকট থেকে বাকিতে ওষুধ ক্রয় করেন। এতে প্রায় দেড় কোটি টাকা ঋণী হয়ে পড়েন। পরে পরিবারসহ রাতারাতি উধাও হয়ে যান।

ভুক্তভোগী ওষুধ কোম্পানির এসআরদের তথ্যে মতে, ইবনে সিনা ফার্মাসিটিক্যাল ৬ লাখ ৯০ হাজার, জেনারেল ফার্মাসিউটিক্যালস ৫ লাখ ৯০ হাজার, একমি ফার্মাসিটিক্যাল ১ লাখ, নাভানা ফার্মাসিটিক্যাল ১ লাখ ১০ হাজার, বিকন ফার্মা ৯০ হাজার, বায়ো ফার্মা ১ লাখ ১৪ হাজার, নিপ্রো জেএমআইয়ের ৫০ হাজার, পপুলার ফার্মা ১ লাখ ১০ হাজার, এসকেএফ ফার্মা ১৫ হাজার, জিসকা ফার্মা ১৬ হাজার, প্যাসেফিক ফার্মা ১১ হাজার, এভারেস্ট ফার্মা ১৬ হাজার, ড্রাগ ফার্মা ১০ হাজার, এপেক্স ফার্মা ৪ হাজার টাকা পায়।

আর ব্র্যাক এনজিও থেকে ৭ লাখ ও একতা ডেইলি সমিতি থেকে ২৭ লাখ এবং ফোর স্টার সমিতি থেকে ৭ লাখ টাকা তিনি ঋণ নিয়েছেন। এছাড়া প্রতিবেশী কসমেটিকস অ্যান্ড কনফেকশনারি ব্যবসায়ী জহুরুল ইসলামের কাছ থেকে ৪ লাখ, ভাই ভাই মোবাইলের মালিক জুয়েল রানার কাছ থেকে ১ লাখ ২৫ হাজার, আমেনা কনফেকশনারির মালিক ডাবলুর কাছ থেকে ৫০ হাজার ধার নেন। এছাড়া গোপনে তিনি চড়া সুদে অনেক ব্যক্তির কাছ থেকে কয়েক লাখ টাকা নিয়েছেন।

ইবনে সিনা ফার্মার এসআর আসাদুজ্জামান বলেন, ব্যাবসায়িক সূত্রে কোম্পানির প্রায় ৭ লাখ টাকা বাকি দেওয়া হয়েছে। গত ১৪ নভেম্বর রাতের আধারে তিনি পরিবার নিয়ে লাপাত্তা হয়ে যায়। ভুক্তভোগী কসমেটিকস অ্যান্ড কনফেকশনারী ব্যবসায়ী জহুরুল ইসলাম জানান, ১ মাস পূর্বে দোকানে ওষুধ কেনার জন্য ৪ লাখ টাকা ধার নেন। ব্যাংকে লোনের টাকা তুলে পরিশোধ করবে বলে জানান। তিনি রাতারাতি পরিবার নিয়ে উধাও হয়ে গেছে। এ ঘটনার পর ভুক্তভোগীরা আলমডাঙ্গা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।

এ বিষয়ে আলমডাঙ্গা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) হাদিউজ্জামান বলেন, কয়েকজন ওষুধ কোম্পানির এসআর বাদী হয়ে অভিযুক্ত সুজা উদ্দীনের বিরুদ্ধে ২৫ লাখ টাকা পাবে বলে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিতে খোঁজখবর চলছে। আলমডাঙ্গা থানার পরিদর্শক (ওসি) বিপ্লব কুমার নাথ বলেন, অর্থ আত্মসাৎ করে উধাও এক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত চলছে, পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

কোটি টাকা নিয়ে উধাও ব্যবসায়ী

আপলোড টাইম : ০৮:৩৯:৪৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ নভেম্বর ২০২৩

আলমডাঙ্গা অফিস:
আলমডাঙ্গার বিভিন্ন ব্যবসায়ী ও এনজিও‘র ঋণসহ প্রায় কোটি টাকা নিয়ে উধাও হওয়ার অভিযোগ উঠেছে সুজা উদ্দীন নামের এক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে। গত কয়েকদিন আগে ওই ব্যবসায়ী পরিবারসহ উধাও হয়ে যাওয়ায় স্থানীয় ব্যবসায়ীদের উঠেছে মাথায় হাত। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীরা বাদী হয়ে আলমডাঙ্গা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। সুজা উদ্দীন যশোর পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মৃত আছির আলীর ছেলে। তিনি বিয়ের পর উপজেলার ডাউকি ইউনিয়নের বাদেমাজু গ্রামের শ্বশুর আব্দুল মান্নানের বাড়িতে বসবাস করতেন।

স্থানীয়রা জানান, গত ৭ বছর আগে সুজা উদ্দীন আলমডাঙ্গা পৌর শহরের মেডিসিন কর্নারে চাকরি নেন। ২০২০ সালে তিনি নিজেই রিপন ফার্মেসি নামের একটি দোকান দিয়ে ব্যবসা শুরু করেন। ব্যবসায়ী হিসেবে তিনি বিভিন্ন ব্যবসায়ী ও এনজিও থেকে ঋণ নেন। এছাড়া বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানির নিকট থেকে বাকিতে ওষুধ ক্রয় করেন। এতে প্রায় দেড় কোটি টাকা ঋণী হয়ে পড়েন। পরে পরিবারসহ রাতারাতি উধাও হয়ে যান।

ভুক্তভোগী ওষুধ কোম্পানির এসআরদের তথ্যে মতে, ইবনে সিনা ফার্মাসিটিক্যাল ৬ লাখ ৯০ হাজার, জেনারেল ফার্মাসিউটিক্যালস ৫ লাখ ৯০ হাজার, একমি ফার্মাসিটিক্যাল ১ লাখ, নাভানা ফার্মাসিটিক্যাল ১ লাখ ১০ হাজার, বিকন ফার্মা ৯০ হাজার, বায়ো ফার্মা ১ লাখ ১৪ হাজার, নিপ্রো জেএমআইয়ের ৫০ হাজার, পপুলার ফার্মা ১ লাখ ১০ হাজার, এসকেএফ ফার্মা ১৫ হাজার, জিসকা ফার্মা ১৬ হাজার, প্যাসেফিক ফার্মা ১১ হাজার, এভারেস্ট ফার্মা ১৬ হাজার, ড্রাগ ফার্মা ১০ হাজার, এপেক্স ফার্মা ৪ হাজার টাকা পায়।

আর ব্র্যাক এনজিও থেকে ৭ লাখ ও একতা ডেইলি সমিতি থেকে ২৭ লাখ এবং ফোর স্টার সমিতি থেকে ৭ লাখ টাকা তিনি ঋণ নিয়েছেন। এছাড়া প্রতিবেশী কসমেটিকস অ্যান্ড কনফেকশনারি ব্যবসায়ী জহুরুল ইসলামের কাছ থেকে ৪ লাখ, ভাই ভাই মোবাইলের মালিক জুয়েল রানার কাছ থেকে ১ লাখ ২৫ হাজার, আমেনা কনফেকশনারির মালিক ডাবলুর কাছ থেকে ৫০ হাজার ধার নেন। এছাড়া গোপনে তিনি চড়া সুদে অনেক ব্যক্তির কাছ থেকে কয়েক লাখ টাকা নিয়েছেন।

ইবনে সিনা ফার্মার এসআর আসাদুজ্জামান বলেন, ব্যাবসায়িক সূত্রে কোম্পানির প্রায় ৭ লাখ টাকা বাকি দেওয়া হয়েছে। গত ১৪ নভেম্বর রাতের আধারে তিনি পরিবার নিয়ে লাপাত্তা হয়ে যায়। ভুক্তভোগী কসমেটিকস অ্যান্ড কনফেকশনারী ব্যবসায়ী জহুরুল ইসলাম জানান, ১ মাস পূর্বে দোকানে ওষুধ কেনার জন্য ৪ লাখ টাকা ধার নেন। ব্যাংকে লোনের টাকা তুলে পরিশোধ করবে বলে জানান। তিনি রাতারাতি পরিবার নিয়ে উধাও হয়ে গেছে। এ ঘটনার পর ভুক্তভোগীরা আলমডাঙ্গা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।

এ বিষয়ে আলমডাঙ্গা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) হাদিউজ্জামান বলেন, কয়েকজন ওষুধ কোম্পানির এসআর বাদী হয়ে অভিযুক্ত সুজা উদ্দীনের বিরুদ্ধে ২৫ লাখ টাকা পাবে বলে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিতে খোঁজখবর চলছে। আলমডাঙ্গা থানার পরিদর্শক (ওসি) বিপ্লব কুমার নাথ বলেন, অর্থ আত্মসাৎ করে উধাও এক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত চলছে, পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।