ইপেপার । আজ সোমবার, ২১ অক্টোবর ২০২৪

কারাভোগ শেষে দেশে ফিরে গেল তিন ভারতীয় নাগরিক

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১২:২৪:১৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ অক্টোবর ২০২২
  • / ২৯ বার পড়া হয়েছে

দর্শনা অফিস: দীর্ঘ সাড়ে ১৮ মাস কারাভোগ শেষে ৩ ভারতীয় নাগরিককে দর্শনা আন্তজার্তিক চেকপোস্ট দিয়ে বিএসএফের কাছে হস্তান্তর করেছে বিজিবি। হস্তান্তরের সময় বিজিবি, ইমিগ্রেশন পুলিশ, ভারতের পুলিশ, বিএসএফ, ডিআইবি, কাস্টমস কর্মকর্তাসহ এনজিও সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। গতকাল সোমবার দুপুরে দর্শনা চেকপোস্টের ৭৬ নম্বর মেইন পিলারের কাছে শূন্য রেখায় হস্তান্তর কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়। ফেরত যাওয়া ভারতীয় নাগরিকরা হলেন- ভারতের উত্তর চব্বিশপরগনা জেলার হাবড়া থানার হায়দারবেলিয়া গ্রামের মৃত রতন দের ছেলে সুমন দে, তার স্ত্রী সুজাতা দে ও শিশুপুত্র শুভজিত দে।

দর্শনা চেকপোস্ট সূত্রে জানা যায়, ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে অবৈধভাবে ভারত থেকে সুমন দে, তার স্ত্রী ও শিশুপুত্র সাতক্ষীরার ভোমরা সীমান্ত এলাকা দিয়ে বাংলাদেশে মামা গোতম দত্তের বাড়িতে আসেন যশোর জেলার রুপদিয়া মুন্সিপুর গ্রামে। ঝিনাইদহ জেলা কারাগার থেকে গতকাল সোমবার সকালে তাদের চুয়াডাঙ্গার দর্শনা চেকপোস্ট এলাকায় নেওয়া হয়। কাগজপত্রে জটিলতার থাকায় আব্বাস নামের এক ভারতীয় নাগরীককে ফেরত পাঠানো সম্ভব হয়নি। তাকে চুয়াডাঙ্গা জেলা কারাগারে ফিরিয়ে নেওয়া হয়। স্বজনদের দেখে তারা কান্নায় ভেঙে পড়েন। একই বছরের মার্চ মাসে ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর সীমান্ত এলাকা দিয়ে ভারতে যাওয়ার সময় তাদের বিজিবি আটক করে। অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে বিজিবি পাসপোর্ট আইনে মামলা করলে আদালত তাদের ৩ মাসের কারাদণ্ড দেয়। দীর্ঘদিন কারাভোগ শেষে দুই দেশের আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার পর গতকাল সোমবার দুপুরে দর্শনা চেকপোস্টের শূন্য রেখায় এ হস্তান্তর কার্যক্রম সম্পন্ন হয়।

বাংলাদেশের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন ইমিগ্রেশন ইনচার্জ আবু নাঈম, বিজিবির দর্শনা চেকপোস্ট ক্যাম্প কমান্ডার নায়েব সুবেদার আব্দুল জলিল ও দর্শনা থানার এসআই শামিম রেজা। ভারতের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন ইমিগ্রেশনের ইনচার্জ সন্দিপ কুমার তেয়ারি, গেদে বিএসএফ ক্যাম্প কমান্ডার নাগেন্দ্র পাল ও কৃষ্ণগঞ্জ থানার ইনচার্জ বাবিন মুখার্জি। ভারতের কলকাতার নদীয়া জেলার কৃষ্ণগঞ্জ থানার ইনচার্জ বাবি মুখার্জি বলেন, তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। কারাভোগ ও প্রক্রিয়া শেষে বাংলাদেশ থেকে ভারতে ফিরে আসলো।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

কারাভোগ শেষে দেশে ফিরে গেল তিন ভারতীয় নাগরিক

আপলোড টাইম : ১২:২৪:১৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ অক্টোবর ২০২২

দর্শনা অফিস: দীর্ঘ সাড়ে ১৮ মাস কারাভোগ শেষে ৩ ভারতীয় নাগরিককে দর্শনা আন্তজার্তিক চেকপোস্ট দিয়ে বিএসএফের কাছে হস্তান্তর করেছে বিজিবি। হস্তান্তরের সময় বিজিবি, ইমিগ্রেশন পুলিশ, ভারতের পুলিশ, বিএসএফ, ডিআইবি, কাস্টমস কর্মকর্তাসহ এনজিও সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। গতকাল সোমবার দুপুরে দর্শনা চেকপোস্টের ৭৬ নম্বর মেইন পিলারের কাছে শূন্য রেখায় হস্তান্তর কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়। ফেরত যাওয়া ভারতীয় নাগরিকরা হলেন- ভারতের উত্তর চব্বিশপরগনা জেলার হাবড়া থানার হায়দারবেলিয়া গ্রামের মৃত রতন দের ছেলে সুমন দে, তার স্ত্রী সুজাতা দে ও শিশুপুত্র শুভজিত দে।

দর্শনা চেকপোস্ট সূত্রে জানা যায়, ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে অবৈধভাবে ভারত থেকে সুমন দে, তার স্ত্রী ও শিশুপুত্র সাতক্ষীরার ভোমরা সীমান্ত এলাকা দিয়ে বাংলাদেশে মামা গোতম দত্তের বাড়িতে আসেন যশোর জেলার রুপদিয়া মুন্সিপুর গ্রামে। ঝিনাইদহ জেলা কারাগার থেকে গতকাল সোমবার সকালে তাদের চুয়াডাঙ্গার দর্শনা চেকপোস্ট এলাকায় নেওয়া হয়। কাগজপত্রে জটিলতার থাকায় আব্বাস নামের এক ভারতীয় নাগরীককে ফেরত পাঠানো সম্ভব হয়নি। তাকে চুয়াডাঙ্গা জেলা কারাগারে ফিরিয়ে নেওয়া হয়। স্বজনদের দেখে তারা কান্নায় ভেঙে পড়েন। একই বছরের মার্চ মাসে ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর সীমান্ত এলাকা দিয়ে ভারতে যাওয়ার সময় তাদের বিজিবি আটক করে। অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে বিজিবি পাসপোর্ট আইনে মামলা করলে আদালত তাদের ৩ মাসের কারাদণ্ড দেয়। দীর্ঘদিন কারাভোগ শেষে দুই দেশের আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার পর গতকাল সোমবার দুপুরে দর্শনা চেকপোস্টের শূন্য রেখায় এ হস্তান্তর কার্যক্রম সম্পন্ন হয়।

বাংলাদেশের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন ইমিগ্রেশন ইনচার্জ আবু নাঈম, বিজিবির দর্শনা চেকপোস্ট ক্যাম্প কমান্ডার নায়েব সুবেদার আব্দুল জলিল ও দর্শনা থানার এসআই শামিম রেজা। ভারতের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন ইমিগ্রেশনের ইনচার্জ সন্দিপ কুমার তেয়ারি, গেদে বিএসএফ ক্যাম্প কমান্ডার নাগেন্দ্র পাল ও কৃষ্ণগঞ্জ থানার ইনচার্জ বাবিন মুখার্জি। ভারতের কলকাতার নদীয়া জেলার কৃষ্ণগঞ্জ থানার ইনচার্জ বাবি মুখার্জি বলেন, তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। কারাভোগ ও প্রক্রিয়া শেষে বাংলাদেশ থেকে ভারতে ফিরে আসলো।