ইপেপার । আজ শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪

এসএসসি-১৯৮৪ ব্যাচের বন্ধু উৎসবে কৃতী ব্যবসায়ী সাহিদুজ্জামান টরিক

নিজস্ব প্রতিবেদক:
  • আপলোড টাইম : ১০:২৯:১০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৭ জানুয়ারী ২০২২
  • / ৩৩ বার পড়া হয়েছে

কারো সাথে বহুদিন পর দেখা, আবার কারো সাথে বেশ কয়েক বছর পর। সবাই এখন ব্যস্ত নিজের নিজের কাজ নিয়ে। সবাই আবদ্ধও হয়েছেন পরিবারের বন্ধনে। দায়িত্বও কাঁধে এসেছে বহু বছর আগেই। কারো চুল পেকে সাদা হয়েছে, আবার কারো কারো হয়তোবা অল্পদিনের মধ্যেই চুল পেকে সাদা হবে। হবেই বা না কেন, বয়স তো কম হচ্ছে না। সে যাইহোক, বয়স কি কখনো বন্ধুত্বের বাধনে, বন্ধুর ভালোবাসায় ঘাটতি হয়ে দাড়াতে পারে! নাকি বহু বছর নিজের নিজের কাজে থাকার কারণে বন্ধুত্বের সেই পুরোনো ভালোবাসা, ইয়ার্কি, আড্ডা ভুলে যেতে পারে কেউ। হয়তোবা সবাই নিজের মতো করে থাকলেও, একে অপরের কাছেই ছিলেন, ছিলেন অন্তরে। নতুন নতুন পরিচয় তৈরি হলেও বন্ধুত্ব তো একটা পরিচয় রাখেই। বলছিলাম, এসএসসি ১৯৮৪ সালের ব্যাচের কথা। গতকাল বৃহস্পতিবার চুয়াডাঙ্গা শহরের তিনতারকা মানের অভিজাত হোটেল সাহিদ প্যালেসে ছিলো এসএসসি-১৯৮৪ ব্যাচের বন্ধু উৎসব।

আনন্দ উল্লাসে এ যেন এক মহামিলন মেলা। সন্ধ্যা সাতটায় শুরু হওয়া এ উৎসবে অংশগ্রহণ করেন ১৯৮৪ সালের এসএসসি ব্যাচের বন্ধুরা। কেউ ডাক্তার, কেউ কৃষক কেউবা বড় ব্যবসায়ী। কিন্তু মিলন মেলায় সবাই বন্ধু। এ যেন এক অন্য রকম পরিবেশ। সেই পুরোনো বন্ধু, সেই পুরোনো ইয়ার্কি আড্ডা। বয়সের সাথে অনেক কিছুই পরিবর্তন হলেও কারো প্রতি কারো বন্ধুত্বের ভালোবাসায় কমতি ছিলো না মোটেও। সন্ধ্যায় কফির আড্ডার মধ্যে একে অন্যের সাথে ছবি তোলা, নতুন করে পুরোনো বন্ধুদের সাথে নতুন স্মৃতি তৈরি করা। এরপর হোটেল সাহিদ প্যালেসের রাফেল কনভেনশন হল অ্যান্ড কমিউনিটি সেন্টারে পুরোনো স্মৃতি রোমান্থন করে নিজের নিজের নতুন পরিচয় দেওয়ার পর্ব। রাতে একসাথে খাওয়া-দাওয়া ও আড্ডা। সম্পূর্ণ আয়োজনই যেন ছিলো অসাধারণ। এসএসসি ১৯৮৪ সালের বন্ধু উৎসবে দেখা যায় এ রকমই বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশ। এ বন্ধু উৎসবে চুয়াডাঙ্গার কৃতী সন্তান, সিঙ্গাপুরস্থ বাংলাদেশ বিজনেস অব চেম্বার (বিডিচ্যাম)-এর সাবেক প্রেসিডেন্ট, সাহিদ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, এসএসসি-১৯৮৪ সালের ব্যাচের অন্যতম সদস্য আলহাজ্ব সাহিদুজ্জামান টরিকের পরিচালনায় ১৯৮৪ সালের এসএসসি ব্যাচের সদস্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন, পারভীন লায়লা, শাহানাজ আক্তার, তানজিল, ফারজানা কেতকী, ইসমত আরা পুতুল, রেবেকা সুলতানা লিপি, নার্গিস জাহান, স্বপ্না, ডা. আঁখিতারা, রেদওয়ানুর রহমান মালিক (রোকন), আব্দুল জব্বার (চাইনিজ বাবু), কৃষ্ণ গোপাল দাস (পিটার), আনন্দ জোয়ার্দ্দার, মোকছেদুল হক মল্লিক, আসাদুজ্জামান, ডা. আতাউর রহমান, মাসুম কামাল, মামুনুর রশিদ আঙ্গুর, মোজাম্মেল, মিজানুর রহমান, আমজাদ হোসেন, মঈনুল হক, তৌহিবুর রহমান জোয়ার্দ্দার বাবু, মিজানুর রহমান মিজান, শেখ ফরিদ আহমেদ, আব্দুল মালেক, নূর ইসলাম, তৌফিকুল আলম তুহিন, তাইজুল হক আজিজ, টিপু, আনিসুর রহমান, আব্দুর রহিম, মুসা করিম, আরিফুর রহমান, রিচার্ড রহমান, কবির, আমানুল্লাহ, জিনারুল ইসলাম, আব্দুল হালিম প্রমুখ।

উৎসবে এসএসসি-১৯৮৪ সালের ব্যাচের অন্য বন্ধুদেরকে একত্রিত করার জন্য যোগাযোগ বৃদ্ধির ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়। আগামীতে একসাথে নিয়মিত মিলন মেলা আয়োজনের জন্যও বেশ কয়েকজন তাগিদ দেন। বন্ধুদেরকে কাছে পেয়ে অনেকেই আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন। বন্ধুদেরকে গান শুনিয়ে মুগ্ধ করেন শেখ ফরিদ আহমেদ ও মুসা করিম। বক্তব্যে, চুয়াডাঙ্গার কৃতী সন্তান, সিঙ্গাপুরস্থ বাংলাদেশ বিজনেস অব চেম্বার (বিডিচ্যাম)-এর সাবেক প্রেসিডেন্ট, সাহিদ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, এসএসসি-১৯৮৪ সালের ব্যাচের অন্যতম সদস্য আলহাজ্ব সাহিদুজ্জামান টরিক বলেন, বন্ধুদের সবাইকে কিভাবে এক জায়গায় করা যায়, কিভাবে সবার সাথে যোগাযোগটা একটু বাড়ানো যায়, সেটি নিয়ে আমাদের বসতে হবে। আমাদের বন্ধুরাই অনেক ভালো ভালো জায়গায় আছে। আসলে মাথার ওপরে সূর্য বারোটা থেকে দেড়টা পর্যন্ত থাকে। সৃষ্টিকর্তা নূরটাকে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যই রাখেন। মানুষের জীবনেও এমন সময় আসে। ওই সময়টাতে যারা অবহেলা করেন, তারা পিছিয়ে পড়েন। আমাদের বন্ধুত্বটাকে আরো শক্ত করতে হবে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

এসএসসি-১৯৮৪ ব্যাচের বন্ধু উৎসবে কৃতী ব্যবসায়ী সাহিদুজ্জামান টরিক

আপলোড টাইম : ১০:২৯:১০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৭ জানুয়ারী ২০২২

কারো সাথে বহুদিন পর দেখা, আবার কারো সাথে বেশ কয়েক বছর পর। সবাই এখন ব্যস্ত নিজের নিজের কাজ নিয়ে। সবাই আবদ্ধও হয়েছেন পরিবারের বন্ধনে। দায়িত্বও কাঁধে এসেছে বহু বছর আগেই। কারো চুল পেকে সাদা হয়েছে, আবার কারো কারো হয়তোবা অল্পদিনের মধ্যেই চুল পেকে সাদা হবে। হবেই বা না কেন, বয়স তো কম হচ্ছে না। সে যাইহোক, বয়স কি কখনো বন্ধুত্বের বাধনে, বন্ধুর ভালোবাসায় ঘাটতি হয়ে দাড়াতে পারে! নাকি বহু বছর নিজের নিজের কাজে থাকার কারণে বন্ধুত্বের সেই পুরোনো ভালোবাসা, ইয়ার্কি, আড্ডা ভুলে যেতে পারে কেউ। হয়তোবা সবাই নিজের মতো করে থাকলেও, একে অপরের কাছেই ছিলেন, ছিলেন অন্তরে। নতুন নতুন পরিচয় তৈরি হলেও বন্ধুত্ব তো একটা পরিচয় রাখেই। বলছিলাম, এসএসসি ১৯৮৪ সালের ব্যাচের কথা। গতকাল বৃহস্পতিবার চুয়াডাঙ্গা শহরের তিনতারকা মানের অভিজাত হোটেল সাহিদ প্যালেসে ছিলো এসএসসি-১৯৮৪ ব্যাচের বন্ধু উৎসব।

আনন্দ উল্লাসে এ যেন এক মহামিলন মেলা। সন্ধ্যা সাতটায় শুরু হওয়া এ উৎসবে অংশগ্রহণ করেন ১৯৮৪ সালের এসএসসি ব্যাচের বন্ধুরা। কেউ ডাক্তার, কেউ কৃষক কেউবা বড় ব্যবসায়ী। কিন্তু মিলন মেলায় সবাই বন্ধু। এ যেন এক অন্য রকম পরিবেশ। সেই পুরোনো বন্ধু, সেই পুরোনো ইয়ার্কি আড্ডা। বয়সের সাথে অনেক কিছুই পরিবর্তন হলেও কারো প্রতি কারো বন্ধুত্বের ভালোবাসায় কমতি ছিলো না মোটেও। সন্ধ্যায় কফির আড্ডার মধ্যে একে অন্যের সাথে ছবি তোলা, নতুন করে পুরোনো বন্ধুদের সাথে নতুন স্মৃতি তৈরি করা। এরপর হোটেল সাহিদ প্যালেসের রাফেল কনভেনশন হল অ্যান্ড কমিউনিটি সেন্টারে পুরোনো স্মৃতি রোমান্থন করে নিজের নিজের নতুন পরিচয় দেওয়ার পর্ব। রাতে একসাথে খাওয়া-দাওয়া ও আড্ডা। সম্পূর্ণ আয়োজনই যেন ছিলো অসাধারণ। এসএসসি ১৯৮৪ সালের বন্ধু উৎসবে দেখা যায় এ রকমই বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশ। এ বন্ধু উৎসবে চুয়াডাঙ্গার কৃতী সন্তান, সিঙ্গাপুরস্থ বাংলাদেশ বিজনেস অব চেম্বার (বিডিচ্যাম)-এর সাবেক প্রেসিডেন্ট, সাহিদ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, এসএসসি-১৯৮৪ সালের ব্যাচের অন্যতম সদস্য আলহাজ্ব সাহিদুজ্জামান টরিকের পরিচালনায় ১৯৮৪ সালের এসএসসি ব্যাচের সদস্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন, পারভীন লায়লা, শাহানাজ আক্তার, তানজিল, ফারজানা কেতকী, ইসমত আরা পুতুল, রেবেকা সুলতানা লিপি, নার্গিস জাহান, স্বপ্না, ডা. আঁখিতারা, রেদওয়ানুর রহমান মালিক (রোকন), আব্দুল জব্বার (চাইনিজ বাবু), কৃষ্ণ গোপাল দাস (পিটার), আনন্দ জোয়ার্দ্দার, মোকছেদুল হক মল্লিক, আসাদুজ্জামান, ডা. আতাউর রহমান, মাসুম কামাল, মামুনুর রশিদ আঙ্গুর, মোজাম্মেল, মিজানুর রহমান, আমজাদ হোসেন, মঈনুল হক, তৌহিবুর রহমান জোয়ার্দ্দার বাবু, মিজানুর রহমান মিজান, শেখ ফরিদ আহমেদ, আব্দুল মালেক, নূর ইসলাম, তৌফিকুল আলম তুহিন, তাইজুল হক আজিজ, টিপু, আনিসুর রহমান, আব্দুর রহিম, মুসা করিম, আরিফুর রহমান, রিচার্ড রহমান, কবির, আমানুল্লাহ, জিনারুল ইসলাম, আব্দুল হালিম প্রমুখ।

উৎসবে এসএসসি-১৯৮৪ সালের ব্যাচের অন্য বন্ধুদেরকে একত্রিত করার জন্য যোগাযোগ বৃদ্ধির ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়। আগামীতে একসাথে নিয়মিত মিলন মেলা আয়োজনের জন্যও বেশ কয়েকজন তাগিদ দেন। বন্ধুদেরকে কাছে পেয়ে অনেকেই আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন। বন্ধুদেরকে গান শুনিয়ে মুগ্ধ করেন শেখ ফরিদ আহমেদ ও মুসা করিম। বক্তব্যে, চুয়াডাঙ্গার কৃতী সন্তান, সিঙ্গাপুরস্থ বাংলাদেশ বিজনেস অব চেম্বার (বিডিচ্যাম)-এর সাবেক প্রেসিডেন্ট, সাহিদ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, এসএসসি-১৯৮৪ সালের ব্যাচের অন্যতম সদস্য আলহাজ্ব সাহিদুজ্জামান টরিক বলেন, বন্ধুদের সবাইকে কিভাবে এক জায়গায় করা যায়, কিভাবে সবার সাথে যোগাযোগটা একটু বাড়ানো যায়, সেটি নিয়ে আমাদের বসতে হবে। আমাদের বন্ধুরাই অনেক ভালো ভালো জায়গায় আছে। আসলে মাথার ওপরে সূর্য বারোটা থেকে দেড়টা পর্যন্ত থাকে। সৃষ্টিকর্তা নূরটাকে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যই রাখেন। মানুষের জীবনেও এমন সময় আসে। ওই সময়টাতে যারা অবহেলা করেন, তারা পিছিয়ে পড়েন। আমাদের বন্ধুত্বটাকে আরো শক্ত করতে হবে।