ইপেপার । আজ শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪

এশিয়ান কাপ খেলতে কম্বোডিয়া গেলেন তাসিন

ঝিনাইদহ অফিস:
  • আপলোড টাইম : ০২:২৯:২৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪
  • / ৫ বার পড়া হয়েছে

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জের সন্তান তাসিন সাহেব এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন (এএফসি) অনূর্ধ্ব ১৭ এশিয়ান কাপ ২০২৫ খেলতে কম্বোডিয়ায় পাড়ি জমিয়েছেন। গ্রুপ পর্বে কম্বোডিয়া, ম্যাকাও, ফিলিপাইন ও আফগানিস্তানের সাথে খেলবে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব ১৭ ফুটবল দল। বাংলাদেশ ১৯ অক্টোবর প্রথমবারের মতো মুখোমুখি হবে স্বাগতিক কম্বোডিয়ার সাথে। ওই খেলায় গোলরক্ষক হিসেবে অংশগ্রহণ করবে কালীগঞ্জের সন্তান তাসিন সাহেব।
সুঠাম দেহের অধিকারী এবং ৫ ফিট ৯ ইঞ্চি উচ্চতার এই ফুটবলার বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে (বিকেএসপি) নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী। তিনি নিজ যোগ্যতাই অনূর্ধ্ব ১৭ জাতীয় ফুটবল দলে জায়গা করে নিয়েছেন। তাসিন সাহেব কালীগঞ্জ উপজেলার পৌর এলাকার হেলায় গ্রামের প্রবাসী হুর আলীর ছেলে। মাত্র ৪ বছরে মাকে হারিয়ে চাচা—চাচির পরিবারে বেড়ে উঠে সে। ছোটবেলা থেকেই স্বপ্ন ছিল নিজেকে বড় ফুটবলার হিসেবে গড়ে তোলা। সেই লক্ষ্যে প্রবাসী বাবা ও চাচা মোবাশ্বের হোসেনের সহযোগিতায় নিজ গ্রামের প্রাইমারি স্কুল মাঠে শুরু করে সে।
ফুটবলের প্রতি একাগ্রতা দেখে প্রবাসী বাবা তাকে ভর্তি করান বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বিকেএসপিতে। নিজের খেলোয়াড়ি জীবনকে সাফল্যমণ্ডিত করতে এবং এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় নিয়ে কঠোর পরিশ্রম শুরু করে সে। তার পরিশ্রমের ফসল হিসেবে সে এএফসি অনূর্ধ্ব ১৭ জাতীয় ফুটবল দলের হয়ে খেলার সুযোগ পায়।
তাসিন সাহেব এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন কাপে খেলার সুযোগ পাওয়ায় তার নিজ এলাকা তথা কালীগঞ্জ উপজেলাবাসী উচ্ছ্বাসিত। তাসিনের গ্রামের বাসিন্দা এবং ঢাকার পিডব্লিউডি স্পোর্টিং ক্লাবের ফুটবলার নাদিম সুলতান মুন্না বলেন, তাসিন ছোট থেকেই অনেক পরিশ্রমী। অনেক কষ্ট করে ও বিকেএসপিতে ভর্তি হয়েছে। আমার গ্রামের ছোট ভাই হিসেবে ওর জন্য শুভকামনা রইলো। সে যেন সামনে আরও ভালো কিছু করতে পারে এবং বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করতে পারে।
ফুটবলার তাসিন সাহেবের বাবা মালয়েশিয়া প্রবাসী হুর আলী মুঠোফোনে বলেন, আমার ছেলেটা ছোটবেলা থেকেই ফুটবল পাগল। তার ধ্যান—জ্ঞান সবই ফুটবলকেন্দ্রীক। আমি প্রবাসে থাকলেও তার খেলাধুলার ব্যাপারে খেঁাজখবর রাখি। তাছাড়া দেশে তাকে সার্বিক সহযোগিতা করে আমার ভাই মোবাশ্বের হোসেন, গ্রামের ফুটবলার এবং ফুটবলের অন্যতম সংগঠক সবুর হোসেন এবং মুন্না। সে কম্বোডিয়ায় খেলতে যাওয়ায় আমিসহ গ্রামবাসী অত্যন্ত খুশি। আপনারা দোয়া করবেন আমার ছেলের জন্য, সে যেন তার সর্বোচ্চটুকু দিয়ে বিজয় অর্জন করে দেশের জন্য সম্মান বয়ে আনতে পারে।
ফুটবলার তাসিন সাহেবের সাথে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কথা হলে সে বলে, অনূর্ধ্ব ১৭ জাতীয় দলের হয়ে গ্রুপ পর্বের সবগুলো ম্যাচসহ আমরা শিরোপা জিততে চাই। আমার ও আমার দলের জন্য সকলে দোয়া করবেন। ভবিষ্যতে আমি বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের হয়ে খেলতে চাই। এটাই আমার স্বপ্ন।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

এশিয়ান কাপ খেলতে কম্বোডিয়া গেলেন তাসিন

আপলোড টাইম : ০২:২৯:২৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জের সন্তান তাসিন সাহেব এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন (এএফসি) অনূর্ধ্ব ১৭ এশিয়ান কাপ ২০২৫ খেলতে কম্বোডিয়ায় পাড়ি জমিয়েছেন। গ্রুপ পর্বে কম্বোডিয়া, ম্যাকাও, ফিলিপাইন ও আফগানিস্তানের সাথে খেলবে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব ১৭ ফুটবল দল। বাংলাদেশ ১৯ অক্টোবর প্রথমবারের মতো মুখোমুখি হবে স্বাগতিক কম্বোডিয়ার সাথে। ওই খেলায় গোলরক্ষক হিসেবে অংশগ্রহণ করবে কালীগঞ্জের সন্তান তাসিন সাহেব।
সুঠাম দেহের অধিকারী এবং ৫ ফিট ৯ ইঞ্চি উচ্চতার এই ফুটবলার বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে (বিকেএসপি) নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী। তিনি নিজ যোগ্যতাই অনূর্ধ্ব ১৭ জাতীয় ফুটবল দলে জায়গা করে নিয়েছেন। তাসিন সাহেব কালীগঞ্জ উপজেলার পৌর এলাকার হেলায় গ্রামের প্রবাসী হুর আলীর ছেলে। মাত্র ৪ বছরে মাকে হারিয়ে চাচা—চাচির পরিবারে বেড়ে উঠে সে। ছোটবেলা থেকেই স্বপ্ন ছিল নিজেকে বড় ফুটবলার হিসেবে গড়ে তোলা। সেই লক্ষ্যে প্রবাসী বাবা ও চাচা মোবাশ্বের হোসেনের সহযোগিতায় নিজ গ্রামের প্রাইমারি স্কুল মাঠে শুরু করে সে।
ফুটবলের প্রতি একাগ্রতা দেখে প্রবাসী বাবা তাকে ভর্তি করান বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বিকেএসপিতে। নিজের খেলোয়াড়ি জীবনকে সাফল্যমণ্ডিত করতে এবং এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় নিয়ে কঠোর পরিশ্রম শুরু করে সে। তার পরিশ্রমের ফসল হিসেবে সে এএফসি অনূর্ধ্ব ১৭ জাতীয় ফুটবল দলের হয়ে খেলার সুযোগ পায়।
তাসিন সাহেব এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন কাপে খেলার সুযোগ পাওয়ায় তার নিজ এলাকা তথা কালীগঞ্জ উপজেলাবাসী উচ্ছ্বাসিত। তাসিনের গ্রামের বাসিন্দা এবং ঢাকার পিডব্লিউডি স্পোর্টিং ক্লাবের ফুটবলার নাদিম সুলতান মুন্না বলেন, তাসিন ছোট থেকেই অনেক পরিশ্রমী। অনেক কষ্ট করে ও বিকেএসপিতে ভর্তি হয়েছে। আমার গ্রামের ছোট ভাই হিসেবে ওর জন্য শুভকামনা রইলো। সে যেন সামনে আরও ভালো কিছু করতে পারে এবং বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করতে পারে।
ফুটবলার তাসিন সাহেবের বাবা মালয়েশিয়া প্রবাসী হুর আলী মুঠোফোনে বলেন, আমার ছেলেটা ছোটবেলা থেকেই ফুটবল পাগল। তার ধ্যান—জ্ঞান সবই ফুটবলকেন্দ্রীক। আমি প্রবাসে থাকলেও তার খেলাধুলার ব্যাপারে খেঁাজখবর রাখি। তাছাড়া দেশে তাকে সার্বিক সহযোগিতা করে আমার ভাই মোবাশ্বের হোসেন, গ্রামের ফুটবলার এবং ফুটবলের অন্যতম সংগঠক সবুর হোসেন এবং মুন্না। সে কম্বোডিয়ায় খেলতে যাওয়ায় আমিসহ গ্রামবাসী অত্যন্ত খুশি। আপনারা দোয়া করবেন আমার ছেলের জন্য, সে যেন তার সর্বোচ্চটুকু দিয়ে বিজয় অর্জন করে দেশের জন্য সম্মান বয়ে আনতে পারে।
ফুটবলার তাসিন সাহেবের সাথে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কথা হলে সে বলে, অনূর্ধ্ব ১৭ জাতীয় দলের হয়ে গ্রুপ পর্বের সবগুলো ম্যাচসহ আমরা শিরোপা জিততে চাই। আমার ও আমার দলের জন্য সকলে দোয়া করবেন। ভবিষ্যতে আমি বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের হয়ে খেলতে চাই। এটাই আমার স্বপ্ন।