ইপেপার । আজ রবিবার, ২০ অক্টোবর ২০২৪

আড়াই বছর ধরে দর্শনা দিয়ে ভারত যেতে পারছেন না যাত্রীরা

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৭:৪৯:১৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩০ জুলাই ২০২২
  • / ৪৪ বার পড়া হয়েছে

দর্শনা অফিস: দর্শনা সীমান্ত চেকপোস্ট সড়ক পথে টুরিস্ট ভিসাসহ বন্ধের আড়াই বছর পার হলেও খুলছে না দর্শনা আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট। একই রুটে ট্রেনে ভিসা মিললেও মিলছে না সড়ক পথে। এতে করে ভোগান্তির শিকার হচ্ছে ১০ জেলার মানুষ।

সূত্রে জানা যায়, বিশ্বে করোনাভাইরাস মহামারি রুপ ধারণ করলেও বাংলাদেশে ২০২০ সালের ২০ মার্চ দেখা দেয় করোনা। এরপর সরকারি নির্দেশনায় বন্ধ হয়ে যায় আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট পথে রেল ও সড়ক পথ দিয়ে ভারত-বাংলাদেশ পাসপোর্টধারী যাত্রীদের যাতায়াত। কিন্তু সরকারি নির্দেশনার কারণে করোনাকালীন সময়ে ভারতে বাংলাদেশী নাগরিক আটকে পড়ে। পরবর্তীতে দুই দেশের সরকারি সিদ্ধান্তে ভারত-বাংলাদেশে আটকে পড়া যাত্রীদের ফেরত নেওয়া হয়। এর মধ্যে ভারতে আটকে পড়া বাংলাদেশী নাগরিকদের দর্শনা আন্তর্জাতিক সীমান্তে সড়ক পথে কয়েক দফায় নিজ দেশে ফেরার সুযোগ পান। এদের সকলকে দর্শনা জয়নগর সীমান্তের চেকপোস্টে স্বাস্থ্য বিভাগের স্থাপিত কোভিড পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়। এদের মধ্যে করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন হোটেল ও আবাসিকে কোয়ারিন্টাইনে রাখা হয়। পরবর্তীতে করোনা কিছুটা কম হলেও ভারতীয় হাইকমিশনের গাফলতির কারণে বন্ধ থাকে দর্শনা আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট দিয়ে সড়ক পথে যাত্রী যাতায়াত।

কিন্তু একই সীমান্ত দিয়ে রেলপথে মৈত্রী এক্সপ্রেসে টুরিস্ট ভিসার যাত্রীরা ভারত-বাংলাদেশ যাতায়াতের সুযোগ পেলেও দীর্ঘ আড়াই বছর ধরে বন্ধ রয়েছে সড়ক পথ। ফলে চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর, কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ, পাবনা, রাজবাড়ী, মাগুরা ফরিদপুর, রাজশাহীসহ উত্তরাঞ্চলের বেশ কয়েকটি জেলার মানুষ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। যে কারণে ক্যানসারসহ দূরারোগ্য ব্যধিতে আক্রান্ত মানুষ চিকিৎসার প্রয়োজনে দর্শনা জয়নগর আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট হয়ে সীমান্ত পথে ভারত যেতে পারছে না। দেশের সকল সীমান্ত পথে নতুন করে ভিসা চালু থাকলেও দর্শনা জয়নগর চেকপোস্ট হয়ে ভারত ভ্রমণ ও চিকিৎসা সেবাসহ অন্যান্য প্রয়োজনে যাতায়াতে বাঁধা থাকায় অনেক পথ পাড়ি দিয়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে যাত্রী-সাধারণকে। এতে করে একদিকে সময়ের অপচয় ও অপরদিকে অর্থের তছরুপ।

দর্শনা ইমিগ্রেশন সূত্রে জানা যায়, বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে ২০২০ সালের ২০ মার্চ দর্শনা আন্তর্জাতিক রেল বন্দরের মাধ্যমে ভারতীয় মালামাল আমদানি ও স্থলপথে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে সব ধরণের ভিসার পাসপোর্টধারী যাত্রীদের যাতায়াত স্থগিত করে ভারতীয় হাইকমিশন। কিছুদিন পর বাধ্যতামূলক ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে দর্শনা আন্তর্জাতিক রেলপথে মুখে মাস্ক পরে ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে মালামাল আমদানি শুরু হয়। ২০২১ সালের ১৭ মে থেকে ভারতে আটকা পড়া বাংলাদেশিদের দর্শনা আন্তর্জাতিক স্থলপথের মাধ্যমে দেশে ফেরত আনার একটি নির্দেশনা জারি করা হয়। একই বছরের সেপ্টেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময়ে শুধু মেডিকেল ও বিজনেস ভিসায় দর্শনার জয়নগর থেকে ভারতের গেদে হয়ে পাসপোর্টধারী যাত্রীদের যাতায়াত করার অনুমতি দেওয়া হয়। পরবর্তীতে ২০২১ সালে ৫ ডিসেম্বর তাও বন্ধ করে দেয়া হয়। সর্বশেষ গত ২৯ মে ঢাকা-কলকাতা মৈত্রী এক্সপ্রেস দর্শনা আন্তর্জাতিক রেল স্টেশন দিয়ে চলাচল শুরু হলেও অদ্যাবধি দর্শনা-গেদে স্থলপথে কোনো ভিসা চালু করা হয়নি।

কুষ্টিয়া আড়ুয়া পাড়ার এক বয়স্ক মহিলা পাসপোর্টধারী যাত্রী দর্শনা চেকপোস্টে দাঁড়িয়ে সাংবাদিকদের জানান, কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ, মাগুরা, মেহেরপুর, রাজবাড়ী, চুয়াডাঙ্গা, রাজশাহীসহ এ অঞ্চলের ৮-১০টি জেলার মানুষ বিভিন্ন ভিসায় দর্শনা-গেদে স্থলপথে যাতায়াত করতে না পেরে বাধ্য হয়ে যশোরের বেনাপোল ও হরিদাসপুর দিয়ে ভারত যেতে হচ্ছে। এতে তীব্র তাবদহের মধ্যে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে বিড়ম্বনার শিকার হতে হচ্ছে। এসময় অনেক যাত্রী তীব্র তাবদহের কারণে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। এছাড়াও যাতায়াত খরচ গুণতে হচ্ছে দ্বিগুণ থেকে তিনগুণ।

তিনি জানান, কুষ্টিয়া, মাগুরা, মেহেরপুরসহ আশপাশের জেলা থেকে দর্শনা চেকপোস্টে আসতে খরচ হয় মাত্র ৫০ থেকে ৮০ টাকা। আর দর্শনা থেকে ভারতের গেদে রেল স্টেশনে পায়ে হেঁটেই যাওয়া যায়। সে হিসেবে কুষ্টিয়া থেকে যশোরের ভাড়া একশ টাকা, যশোর থেকে বেনাপোলের ভাড়া ৫০ টাকা, বেনাপোল থেকে ভারতের বনগাঁও রেলস্টেশনে পৌঁছাতে জনপ্রতি খরচ দেড়শ টাকা।

দর্শনা ইমিগ্রেশন ইনচার্জ এসআই আবু নাঈম জানান, ভারতীয় নাগরিকরা যেকোনো ভিসায় গেদে হয়ে দর্শনা জয়নগর চেকপোস্ট দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে পারছেন। তবে বাংলাদেশীদের এ পথে নতুন করে কোনো ভিসা দেওয়া হচ্ছে না।

দর্শনা সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েসনের সাধারণ সম্পাদক আতিয়ার রহমান হাবু বলেন, দর্শনা-গেদে স্থলপথ দিয়ে ভিসা চালু করা হলে সরকার যেমন হাজার হাজার টাকা রাজস্ব পাবে, সেই সঙ্গে বেনাপোল স্থলবন্দরের ওপর যাত্রীর চাপ কমার পাশাপাশি ভোগান্তির হতে রেহায় পাবে। তাছাড়া দর্শনা থেকে কলকাতার দূরত্ব মাত্র ১১৮ কিলোমিটার।

দর্শনা কাস্টমসের এক কর্মকর্তা জানান, কোভিডের আগে এ পথে প্রতিদিন প্রায় দেড়-দুই হাজারের ওপরে পাসপোর্টধারী যাত্রী যাতায়াত করত। কিন্তু ভিসা চালু হলে আগের মতো পাসপোর্টধারী যাত্রী যাতায়াত করবে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ চেকপোস্টে একজন যাত্রীর জন্যও কাস্টমস, ইমিগ্রেশন ও বিজিবি ফুলটাইম কাজ করে। ভালো সেবার কারণে সড়ক পথে দর্শনা আন্তর্জাতিক চেকপোস্টের দিকে তাকিয়ে আছে চুয়াডাঙ্গা জেলাসহ ১০ জেলার মানুষ।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

আড়াই বছর ধরে দর্শনা দিয়ে ভারত যেতে পারছেন না যাত্রীরা

আপলোড টাইম : ০৭:৪৯:১৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩০ জুলাই ২০২২

দর্শনা অফিস: দর্শনা সীমান্ত চেকপোস্ট সড়ক পথে টুরিস্ট ভিসাসহ বন্ধের আড়াই বছর পার হলেও খুলছে না দর্শনা আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট। একই রুটে ট্রেনে ভিসা মিললেও মিলছে না সড়ক পথে। এতে করে ভোগান্তির শিকার হচ্ছে ১০ জেলার মানুষ।

সূত্রে জানা যায়, বিশ্বে করোনাভাইরাস মহামারি রুপ ধারণ করলেও বাংলাদেশে ২০২০ সালের ২০ মার্চ দেখা দেয় করোনা। এরপর সরকারি নির্দেশনায় বন্ধ হয়ে যায় আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট পথে রেল ও সড়ক পথ দিয়ে ভারত-বাংলাদেশ পাসপোর্টধারী যাত্রীদের যাতায়াত। কিন্তু সরকারি নির্দেশনার কারণে করোনাকালীন সময়ে ভারতে বাংলাদেশী নাগরিক আটকে পড়ে। পরবর্তীতে দুই দেশের সরকারি সিদ্ধান্তে ভারত-বাংলাদেশে আটকে পড়া যাত্রীদের ফেরত নেওয়া হয়। এর মধ্যে ভারতে আটকে পড়া বাংলাদেশী নাগরিকদের দর্শনা আন্তর্জাতিক সীমান্তে সড়ক পথে কয়েক দফায় নিজ দেশে ফেরার সুযোগ পান। এদের সকলকে দর্শনা জয়নগর সীমান্তের চেকপোস্টে স্বাস্থ্য বিভাগের স্থাপিত কোভিড পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়। এদের মধ্যে করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন হোটেল ও আবাসিকে কোয়ারিন্টাইনে রাখা হয়। পরবর্তীতে করোনা কিছুটা কম হলেও ভারতীয় হাইকমিশনের গাফলতির কারণে বন্ধ থাকে দর্শনা আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট দিয়ে সড়ক পথে যাত্রী যাতায়াত।

কিন্তু একই সীমান্ত দিয়ে রেলপথে মৈত্রী এক্সপ্রেসে টুরিস্ট ভিসার যাত্রীরা ভারত-বাংলাদেশ যাতায়াতের সুযোগ পেলেও দীর্ঘ আড়াই বছর ধরে বন্ধ রয়েছে সড়ক পথ। ফলে চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর, কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ, পাবনা, রাজবাড়ী, মাগুরা ফরিদপুর, রাজশাহীসহ উত্তরাঞ্চলের বেশ কয়েকটি জেলার মানুষ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। যে কারণে ক্যানসারসহ দূরারোগ্য ব্যধিতে আক্রান্ত মানুষ চিকিৎসার প্রয়োজনে দর্শনা জয়নগর আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট হয়ে সীমান্ত পথে ভারত যেতে পারছে না। দেশের সকল সীমান্ত পথে নতুন করে ভিসা চালু থাকলেও দর্শনা জয়নগর চেকপোস্ট হয়ে ভারত ভ্রমণ ও চিকিৎসা সেবাসহ অন্যান্য প্রয়োজনে যাতায়াতে বাঁধা থাকায় অনেক পথ পাড়ি দিয়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে যাত্রী-সাধারণকে। এতে করে একদিকে সময়ের অপচয় ও অপরদিকে অর্থের তছরুপ।

দর্শনা ইমিগ্রেশন সূত্রে জানা যায়, বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে ২০২০ সালের ২০ মার্চ দর্শনা আন্তর্জাতিক রেল বন্দরের মাধ্যমে ভারতীয় মালামাল আমদানি ও স্থলপথে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে সব ধরণের ভিসার পাসপোর্টধারী যাত্রীদের যাতায়াত স্থগিত করে ভারতীয় হাইকমিশন। কিছুদিন পর বাধ্যতামূলক ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে দর্শনা আন্তর্জাতিক রেলপথে মুখে মাস্ক পরে ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে মালামাল আমদানি শুরু হয়। ২০২১ সালের ১৭ মে থেকে ভারতে আটকা পড়া বাংলাদেশিদের দর্শনা আন্তর্জাতিক স্থলপথের মাধ্যমে দেশে ফেরত আনার একটি নির্দেশনা জারি করা হয়। একই বছরের সেপ্টেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময়ে শুধু মেডিকেল ও বিজনেস ভিসায় দর্শনার জয়নগর থেকে ভারতের গেদে হয়ে পাসপোর্টধারী যাত্রীদের যাতায়াত করার অনুমতি দেওয়া হয়। পরবর্তীতে ২০২১ সালে ৫ ডিসেম্বর তাও বন্ধ করে দেয়া হয়। সর্বশেষ গত ২৯ মে ঢাকা-কলকাতা মৈত্রী এক্সপ্রেস দর্শনা আন্তর্জাতিক রেল স্টেশন দিয়ে চলাচল শুরু হলেও অদ্যাবধি দর্শনা-গেদে স্থলপথে কোনো ভিসা চালু করা হয়নি।

কুষ্টিয়া আড়ুয়া পাড়ার এক বয়স্ক মহিলা পাসপোর্টধারী যাত্রী দর্শনা চেকপোস্টে দাঁড়িয়ে সাংবাদিকদের জানান, কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ, মাগুরা, মেহেরপুর, রাজবাড়ী, চুয়াডাঙ্গা, রাজশাহীসহ এ অঞ্চলের ৮-১০টি জেলার মানুষ বিভিন্ন ভিসায় দর্শনা-গেদে স্থলপথে যাতায়াত করতে না পেরে বাধ্য হয়ে যশোরের বেনাপোল ও হরিদাসপুর দিয়ে ভারত যেতে হচ্ছে। এতে তীব্র তাবদহের মধ্যে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে বিড়ম্বনার শিকার হতে হচ্ছে। এসময় অনেক যাত্রী তীব্র তাবদহের কারণে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। এছাড়াও যাতায়াত খরচ গুণতে হচ্ছে দ্বিগুণ থেকে তিনগুণ।

তিনি জানান, কুষ্টিয়া, মাগুরা, মেহেরপুরসহ আশপাশের জেলা থেকে দর্শনা চেকপোস্টে আসতে খরচ হয় মাত্র ৫০ থেকে ৮০ টাকা। আর দর্শনা থেকে ভারতের গেদে রেল স্টেশনে পায়ে হেঁটেই যাওয়া যায়। সে হিসেবে কুষ্টিয়া থেকে যশোরের ভাড়া একশ টাকা, যশোর থেকে বেনাপোলের ভাড়া ৫০ টাকা, বেনাপোল থেকে ভারতের বনগাঁও রেলস্টেশনে পৌঁছাতে জনপ্রতি খরচ দেড়শ টাকা।

দর্শনা ইমিগ্রেশন ইনচার্জ এসআই আবু নাঈম জানান, ভারতীয় নাগরিকরা যেকোনো ভিসায় গেদে হয়ে দর্শনা জয়নগর চেকপোস্ট দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে পারছেন। তবে বাংলাদেশীদের এ পথে নতুন করে কোনো ভিসা দেওয়া হচ্ছে না।

দর্শনা সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েসনের সাধারণ সম্পাদক আতিয়ার রহমান হাবু বলেন, দর্শনা-গেদে স্থলপথ দিয়ে ভিসা চালু করা হলে সরকার যেমন হাজার হাজার টাকা রাজস্ব পাবে, সেই সঙ্গে বেনাপোল স্থলবন্দরের ওপর যাত্রীর চাপ কমার পাশাপাশি ভোগান্তির হতে রেহায় পাবে। তাছাড়া দর্শনা থেকে কলকাতার দূরত্ব মাত্র ১১৮ কিলোমিটার।

দর্শনা কাস্টমসের এক কর্মকর্তা জানান, কোভিডের আগে এ পথে প্রতিদিন প্রায় দেড়-দুই হাজারের ওপরে পাসপোর্টধারী যাত্রী যাতায়াত করত। কিন্তু ভিসা চালু হলে আগের মতো পাসপোর্টধারী যাত্রী যাতায়াত করবে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ চেকপোস্টে একজন যাত্রীর জন্যও কাস্টমস, ইমিগ্রেশন ও বিজিবি ফুলটাইম কাজ করে। ভালো সেবার কারণে সড়ক পথে দর্শনা আন্তর্জাতিক চেকপোস্টের দিকে তাকিয়ে আছে চুয়াডাঙ্গা জেলাসহ ১০ জেলার মানুষ।