ইপেপার । আজ শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪

আসমানখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নিরাপত্তা কর্মীকে মারধরের অভিযোগ

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৮:০৬:২৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ জুন ২০২২
  • / ১৮ বার পড়া হয়েছে

আলমডাঙ্গা অফিস: আলমডাঙ্গার আসমানখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নিরাপত্তা কর্মী রিংকু মিয়াকে বহিরাগতরা মারধর করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। জানা গেছে, আলমডাঙ্গার আসমানখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নিরাপত্তা কর্মীকে গতকাল বুধবার দুপুর ১২টার দিকে অভিভাবক ও বহিরাগতরা বিদ্যালয়ে প্রবেশ করে বিদ্যালয়ের কর্মচারি রিংকু মিয়াকে বেধড়ক মারপিট করেছে।

এবিষয়ে বিদ্যালয়ের নিরাপত্তা কর্মী রিংকু মিয়া বলেন, আমাদের স্কুলে মাঝে মধ্যে এমনভাবে মাঝে মধ্যেই বহিরাগতরা এসে মারামারি করে।  আমি স্কুলের কর্মচারী হিসেবে স্কুল চলাকালীন সময়ে আমার দায়িত্ব কঠোরভাবে পালন করছি। এখন পরীক্ষা হচ্ছে আমি গেটে দায়িত্বে আছি এবং সকল ছাত্র-ছাত্রীকে আমি তাদের পরীক্ষার কেন্দ্রে যেতে বলেছি, এমন সময়ে এক ছাত্রকে ধমক দিয়ে তার পরীক্ষার রুমে যেতে বলেছি, সে মুখ খারাপ করলে আমি আম গাছের ডালদিয়ে তার পাশের মাঠিতে বাড়ি দিয়েছি। ওই ছাত্র তার পিতা ও বহিরাগত ব্যাক্তিদের ডেকে নিয়ে এসে আমাকে বেধড়ক মারপিট করেছে। ঘটনার খবর শুনে ঘটনা স্থলে ছুটে যায় বিদ্যালয়ের নৈশপ্রহরী আলমঙ্গীর হোসেন। সে মারামারি ঠেকাতে গেলে, বাইজিত তার শার্টের কলার ধরে,অকথ্য ভাষা ব্যবহার করেছে। এসময়ে বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও ছাত্র-ছাত্রীরা এসে বিষয়টি নিয়ন্ত্রন করেছে।

স্থানীয় বাসিন্দা সাহাবুল ইসলাম বলেন, যদি কোনো ছাত্র-ছাত্রীকে শিক্ষক-শিক্ষিকা বিদ্যালয়ে বকা দেয় বা শাসন করে তবে কিছু, অভিভাবক বিদ্যালয়ে এসে শিক্ষক বা অফিসের স্টাফ দের মারপিট করে, তাহলে ছেলে মেয়ে স্কুলে না পাঠিয়ে নিজে শিক্ষক হয়ে নিজ বাড়িতে পরাতে হবে, নয় তো বা নিজে স্কুল খুলে নিজে মাষ্টার হয়ে ছেলে মেয়ে দের পড়াতে হবে। বেলা তিনটার দিকে বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষে মিটিং হয়, এসময়ে ওই ছাত্রের পিতা হাসিবুল বলেন আমার ছেলে কে নিরাপত্তা কর্মী মারপিট করছে,  শুনে আমার রাগ চেক দিতে পারিনি তাই নিরাপত্তা কর্মীর গায়ে হাত তুলে ফেলেছি। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমিনুল ইসলাম বলেন ঘটনার পরে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও গাংনী ইউপি চেয়ারম্যান সহ উভয় পক্ষকে ডেকে বিষয়টি হাত এক প্রকার সমাধান করা হয়েছে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

আসমানখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নিরাপত্তা কর্মীকে মারধরের অভিযোগ

আপলোড টাইম : ০৮:০৬:২৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ জুন ২০২২

আলমডাঙ্গা অফিস: আলমডাঙ্গার আসমানখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নিরাপত্তা কর্মী রিংকু মিয়াকে বহিরাগতরা মারধর করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। জানা গেছে, আলমডাঙ্গার আসমানখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নিরাপত্তা কর্মীকে গতকাল বুধবার দুপুর ১২টার দিকে অভিভাবক ও বহিরাগতরা বিদ্যালয়ে প্রবেশ করে বিদ্যালয়ের কর্মচারি রিংকু মিয়াকে বেধড়ক মারপিট করেছে।

এবিষয়ে বিদ্যালয়ের নিরাপত্তা কর্মী রিংকু মিয়া বলেন, আমাদের স্কুলে মাঝে মধ্যে এমনভাবে মাঝে মধ্যেই বহিরাগতরা এসে মারামারি করে।  আমি স্কুলের কর্মচারী হিসেবে স্কুল চলাকালীন সময়ে আমার দায়িত্ব কঠোরভাবে পালন করছি। এখন পরীক্ষা হচ্ছে আমি গেটে দায়িত্বে আছি এবং সকল ছাত্র-ছাত্রীকে আমি তাদের পরীক্ষার কেন্দ্রে যেতে বলেছি, এমন সময়ে এক ছাত্রকে ধমক দিয়ে তার পরীক্ষার রুমে যেতে বলেছি, সে মুখ খারাপ করলে আমি আম গাছের ডালদিয়ে তার পাশের মাঠিতে বাড়ি দিয়েছি। ওই ছাত্র তার পিতা ও বহিরাগত ব্যাক্তিদের ডেকে নিয়ে এসে আমাকে বেধড়ক মারপিট করেছে। ঘটনার খবর শুনে ঘটনা স্থলে ছুটে যায় বিদ্যালয়ের নৈশপ্রহরী আলমঙ্গীর হোসেন। সে মারামারি ঠেকাতে গেলে, বাইজিত তার শার্টের কলার ধরে,অকথ্য ভাষা ব্যবহার করেছে। এসময়ে বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও ছাত্র-ছাত্রীরা এসে বিষয়টি নিয়ন্ত্রন করেছে।

স্থানীয় বাসিন্দা সাহাবুল ইসলাম বলেন, যদি কোনো ছাত্র-ছাত্রীকে শিক্ষক-শিক্ষিকা বিদ্যালয়ে বকা দেয় বা শাসন করে তবে কিছু, অভিভাবক বিদ্যালয়ে এসে শিক্ষক বা অফিসের স্টাফ দের মারপিট করে, তাহলে ছেলে মেয়ে স্কুলে না পাঠিয়ে নিজে শিক্ষক হয়ে নিজ বাড়িতে পরাতে হবে, নয় তো বা নিজে স্কুল খুলে নিজে মাষ্টার হয়ে ছেলে মেয়ে দের পড়াতে হবে। বেলা তিনটার দিকে বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষে মিটিং হয়, এসময়ে ওই ছাত্রের পিতা হাসিবুল বলেন আমার ছেলে কে নিরাপত্তা কর্মী মারপিট করছে,  শুনে আমার রাগ চেক দিতে পারিনি তাই নিরাপত্তা কর্মীর গায়ে হাত তুলে ফেলেছি। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমিনুল ইসলাম বলেন ঘটনার পরে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও গাংনী ইউপি চেয়ারম্যান সহ উভয় পক্ষকে ডেকে বিষয়টি হাত এক প্রকার সমাধান করা হয়েছে।